সেই_রাতের_গল্প
পর্ব--২
-উনি আমাকে ধর্ষন করেছে? এই বাচ্ছাটি ওনার।
-মেঘার কথাটি শুনেই সবাই আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। তখন সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললাম।
-দেখেছেন বাচ্ছাটি আমার কোলে আসা মাত্রই কান্না থামিয়ে দিলো' এখন সেই বাচ্ছার বাবা নাকি আমি। মানুষ ভালো করতেই নেই।
'মেঘা আমার কথা শুনা মাত্রই বলে উঠে'
-কেনো সেই রাতের কথা ভূলে গেলেন নাকি? যেই রাতে আমাকে নষ্ট করেছেন।
-ছিইই...কি বলেন এই সব আপনি।
-কেনো আমি কোন মিথ্যা বললাম বুঝি। কতোই না আকুতি মিনতি করেছি।
-আশ্চর্য আপনার মুখে যা আসতেছে তাই বলতেছেন দেখি। আমার কিন্তু মান সন্মান আছে। এইভাবে মিথ্যা অপোবাদ দিতে পারোনা আমাকে।
-প্লিজজ সাহেব আমাকে বিয়ে করে আপনার ঘড়ে তুলুন। এই সন্তান নিয়ে বাহিরে কিভাবে থাকবো।
'মেঘার কথা শুনে সবাই বেশ আশ্চর্য হয়। কারন যেই পাগলিটা ভালো ভাবে কথাই বলতে পারতোনা সে আজ এতো সুন্দর করে কিভাবে কথা বলতেছে। তার কথা শুনে সবাই বলতেছে মেঘা কখনোই পাগল হতে পারেনা। যদি পাগল হতো তাহলে এতো সুন্দর ভাবে গুছিয়ে কথা বলতে পারতোনা। নিশ্চিত সে পাগল সাজার অভিনয় করতেছে।
'একজন লোক মেঘাকে বলে'
-কিরে মেঘা তুই এতো সুন্দর ভাবে কথা বলতে পারিস! আগে তো জানতাম না।
-হ্যা আমি কথা বলতে পারি।
-তাহলে পাগলি সেজে থাকিস কেনো।
-জানি না।
-আচ্ছা তুই যে বলতেছিস এই সাহেব তোকে ধর্ষন করেছে তার কোন প্রমান আছে কি।
-না প্রমান নেই।
-তাহলে এমন মিথ্যা অপোবাদ দিচ্ছিস কেনো লোকটাকে হ্যা।
-বিশ্বাস করেন উনি আমার সন্তানের বাবা। উনি আমাকে রাতের আধারে একা পেয়ে ধর্ষন করেছে।
'ঠিক সেই মুহূর্তে আমি বলে উঠলাম'
-আচ্ছা আমি যদি তোমাকে এই সব করে থাকি তাহলে এতোদিন বললেনা কেনো। আজ হঠাৎ করেই বলতেছো।
-আমি ভাবছিলাম আপনি আমাকে নিয়ে যাবেন। আমাকে বিয়ে করে বউয়ের সম্মান দিবেন। যখন দেখলাম বাচ্ছা হবার পরেও আপনি আসতেছেনা তখন সব প্রকাশ করলাম।
'এইবার রাগান্বিত হয়ে মেঘাকে সবার সামনে কশে একটি থাপ্পড় দিলাম।
-ঠাসসস!ঠাসসস! লজ্জা করেনা একটি ভালো মানুষের নামে এমন মিথ্যা অপোবাদ দিতে। তুই রাস্তার পাগলি তোর মান সম্মান নেই বলে কি আমার ও মান সম্মান নেই। ভূল করেছি তোর সন্তানটিকে কোলে নিয়ে।
'বলেই সন্তানটি অন্য একজনের কোলে দিলাম।
এবং পিছন ফিরে হাটতে ধরলাম। এমন সময় মেঘা আমার দুটি পা জরিয়ে ধরে বলতে থাকে আমাকে বউ হিসেবে মানতে হবেনা।
'কিন্তু সন্তানটিকে যেনো আমি পিতার পরিচয় দেই। ( বলেই কান্না শুরু করে দেয় )
'মেঘার এমন আচারনে ওর চুলের মুঠি ধরে একটি ধাক্কা মেরে সেখানে থেকে হন হন করে বাসায় চলে আসি। এবং ভাবতে থাকি এর হাত থেকে বাছার উপায়।
'সারা দিন ভেবে চিন্তে একটি উপায় বের করলাম। উপায়টি হলো সন্তানটিকে মেরে ফেলতে হবে' মেরে ফেল্লেই কাহিনী শেষ'' যেই ভাবা সেই কাজ"
"রাত যখন ২ টা বাজে এমন সময় ঘুম থেকে উঠলাম এবং হাতে একটি ছুরি নিয়ে রহনা দিলাম মেঘার উদ্দেশ্যে।see more......
'প্রায় ১০মিনিট পরে গন্তব্য স্থানে এসে দেখতে পাই মেঘা তার সন্তানকে বুকে জরিয়ে ধরে বিভোর ঘুমে আসক্ত হয়ে আছে। যা দেখে আমার মনে একটু মায়া হলো। পরক্ষনে ভাবলাম এখন তো মায়া দেখালে কাজ হবেনা। যা কারার এখনি করতে হবে।
'এইটা ভেবে ছুরিটা বের করে যেইনা মারতে যাবো এমন সমম পিছন থেকে'''
পরবতি পর্ব:-৩
0 Post a Comment:
Post a Comment