এক রাতের বউ পর্ব ২




আদিত্য: কি ব্যাপার কান্না করছেন কেন?


 কথক: আদিত্যর কথা শুনে রিয়া তাড়াতাড়ি করে চোখের পানি মুছে ফেললো! তার পর হাসি মুখে বললো?


রিয়া: কিছু হই নাই" চোখে কি যেনো পড়ে গেছে। আচ্ছা একটা কথা বলবো?


 আদিত্য: জি বলেন?


 রিয়া: আমি চলে গেলে আপনে আমাকে ভুলে যাবেন তাই না।


 আদিত্য: হাহাহা আপনাকে মনে রেখে আমি কি করবো।  আপনাকে আমি কিনে নিয়েছিলাম ১ রাতের জন্য। আমার কাজ শেষ আপনার ও আপনাকে মনে রেখে আমার কি লাভ বাহ আপনার কি লাভ! 


 রিয়া: ও আচ্ছা, 


 আদিত্য: হুম" আচ্ছা আমি আর খাবো না আপনে খেয়ে নিন! 


 কথক: আদিত্য কথাটা বলে রুমে চলে গেলো" রিয়া আদিত্য অধেক খাবার খেতে লাগলো! তার পর  সব খাবার গুছিয়ে রেখে দিলো!  রিয়া রুমে গিয়ে দেখে আদিত্য বসে আছে! রিয়া ওর  ফোন হাত দিয়ে দেখে ওর বোন অনেকবার কল করছে। রিয়া কলটা ব্যাক দিলে ওর বোন ধরে বললো?


রূপা: আপু কই তুমি? আব্বু অপারেশন হয়ে গেছে।আর আব্বু এখন একদম সুস্থ আছে" ৩দিন রেখে পরে আব্বুকে নিয়ে যেতে পারবো!


 রিয়া:আচ্ছা তুই  আব্বুর পাশে থাকিস" আমি  যত দূরত্ব সম্ভব চলে  আসবো!  


 রূপা: আচ্ছা আপু সাবধানে এসেছো" 


 কথক: রিয়া ফোনটা কেটে দিয়ে আদিত্যর দিকে তাকিয়ে বললো?


 রিয়া: খাবার সব ফ্রিজে রেখে দিয়েছি" আপনে ৩দিন গরম করে খেয়ে নিয়েন! 


 আদিত্য: ওকে"


 রিয়া: আচ্ছা আমি তাহলে আসছি' আর  হ্যা শুনেন নিজের খেয়াল রাখেন? আর এই সব মেয়েদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক না করে। একটা বিয়ে করে নিয়েন,  তাহলে অনেক সুখী হবেন"


 আদিত্য: আপনাকে এতো ভাবতে হবে না' আপনে এখন যেতে পারেন?


 রিয়া: জি আমি এখন চলে যাবো" আপনার বোনের জামা টা  আগামীকাল ধুয়ে পাঠিয়ে দিবো!


 আদিত্য: লাগবে না'  আমার বোন এইসব পড়ে না!  


 রিয়া:  না আমি অন্য জামা কেন রাখবো"  ওনি পড়ুক না পড়ুক সেইটা ওনার ব্যাপার আমার জামা পাঠানোর কথা আমি পাঠিয়ে দিবো! 


 কথক: রিয়া কথাটা বলে ওয়াশরুমে গিয়ে  ফ্রেশ হয়ে এসেছে। বোরকাটা পড়ে হিজাব নেকাপ পড়ে নিলো! তার পর আদিত্যর থেকে বিদায় নিয়ে রিয়া চলে যেতে লাগলো। রিয়ার বুকের ভিতর চাপা কষ্টটা বুকের ভিতরে  তোলপাড়  করে দিচ্ছে। আদিত্য রিয়াকে ডাক দিয়ে রিয়া সাথে সাথে পিছনে ঘুড়ে তাকায়?  আদিত্য গিয়ে রিয়ার হাত ১০ হাজার টাকা দিয়ে বললো?


 আদিত্য:  ১০হাজার টাকা নিয়ে যানে"  আপনার আব্বুকে ফল মূল খাওয়ান!  


 রিয়া:না আমি এই টাকা নিতে পারবো না"  আপনে অলরেডি আমার অনেক বড় উপকার করছেন। এই ঋণ আমি কোনোদিন হইতো শোধ করতে পারবো কিনা জানি না।  যাই হোক ভালো থাকবেন"


কথক: রিয়া টাকাটা না নিয়ে চলে আসলো' আদিত্যর  রিয়ার কিছু বিষয়ে অনেকটা ভালো লাগলো।।আদিত্য খাটের উপরে বসে থেকে ভাবতে লাগলো?


 আদিত্য: মেয়েটাহ  আত্ন সস্মান অনেক"  আবার নিজের আব্বুর জীবন বাঁচাতে নিজের দেহ পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছে৷  এই দুনিয়াতে কত ধরনের যে মানুষ আছে।  উফফ আমার এইসব ভেবে কাজ নাই"  আদিত্য এইসব ভাবা বাদ এই সাবজেক্ট ক্লোস।  


 কথক: আদিত্য এইটা ভেবে  পরে ফোনে গেম খেলতে লাগে। আর এইদিকে রিয়া হস্পিটালে যায় গিয়ে ওর আব্বু আর বোনের সাথে দেখা করে।  ওর বোনকে খাবার খাওয়া দিয়ে ওই আবার বাহিরে যায়। কাজ খুঁজতে রিয়া বের হয়' সারাদিন কাজ খুজে পায় না।রিয়ার এক পরিচিত  এক আন্টির থেকে একটা কাজ পায়!  রিয়া খুশি হয়ে হস্পিটালে আছে এসেছে রূপাকে জানায় রূপা অনেক খুশি হয়!   তারপর দুইবোন বাসায় গিয়ে    রাতের খাবার রান্না করে নেয়!  রিয়া আদিত্যর বোনের জামাটা ধুয়ে   শুকাতে দেয়!  আর এইদিকে রিয়া আর রূপা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায়।    সকালে ঘুম থেকে উঠে, রিয়া আদিত্যর বোনের জামা টা দিয়ে আছে, দারোয়ানের কাছে!৷ তার পর হস্পিটালে গিয়ে ওর আব্বুকে  বাসায় এসেছে। ওর ওই আন্টির সাথে ঢাকার পথে দৌড়ে রওনা দেয়!   ওইখানে গিয়ে ওর ওই আন্টির বাসায় গিয়ে উঠে!   রিয়া ওর আন্টির সাথে  সেই বাসায় যায়! কাজ ঠিক করে বাসায় আসলে। রিয়ার আব্বু রিয়াকে বললে?See more


 রিয়ার আব্বু: রিয়া তুই ৫ লাখ টাকা কোথায় পাইছিস!


 কথক: রিয়া কথাটা শুনে থতমত খেয়ে যায়" রিয়া ওর আব্বুর দিকে তাকিয়ে কি বলবে বুঝতে পারে না। রিয়ার আব্বু আবার জিজ্ঞেস করলে? রিয়া  বললো?


রিয়া: ওইসব বাদ দে ও আব্বু তুমি সুস্থ হয়েছো৷ এতে আমি অনেক খুশি" 


 রিয়ার আব্বু: আমি জানতে চাচ্চি এতো টাকা কোথায় পাইছোস! 


 রিয়া: আব্বু যেখানে পায় না কেন? আমি হালাল ভাবে টাকা নিয়েছি। কিন্তু আমি বলতে পারবো না, এই টাকা আমি কোথায় পাইছি। আমাকে ক্ষমা করে দেও, প্লিজ আমার কাছ থেকে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এসেছো না।


কথক: রিয়া কথাটা বলে কান্না করতে লাগল" রিয়ার আব্বু রিয়ার কথা শুনে?  আর কিছু বললো না৷ মেয়েকে কান্না করতে দেখলে কার বা ভালো লাগে।  কিন্তু রিয়ার আব্বু কিছুটা সন্দেহ হলো! রিয়া এমন কিছু করছে যেইটা রিয়ার অনেক বড় ক্ষতি করছে।  রিয়ার আব্বু বললো?


 রিয়ার আব্বু: আমার জন্য  নিজের ক্ষতি করে থাকলে। তাহলে শুনেন রাখ? আমি বাঁচাতে গিয়েও আমাকে মেরে ফেলেছিস।


 কথক: রিয়া ওর আব্বুর মুখ চেপে ধরে কান্না করতে করতে বললো?


 রিয়া: প্লিজ আব্বু এই কথা বলো না' এই দুনিয়াতে তুমি ছাড়া আমাদের কেউ নাই।  ছোট বেলায় মা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। আর তুমি ও যদি চলে যাও তাহলে আমাদের আর কেউ থাকবে না। আমরা যে একে বারে  বরবাদ হয়ে যাবো!


কথক: কথাটা বলে রিয়া ওর আব্বুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে। আর রিয়ার আব্বু কান্না করতে লাগলো? রিয়ার আব্বু বললো?


 রিয়ার আব্বু: আমি বেঁচে থাকা থেকে মরে যাওয়া অনেক ভালো রে মা। তোর ঘাড়ে চেপে বসে থেকে খেতে আমার আর ভালো লাগছে না রে।


 রিয়া:  তুমি সেই ছোট বেলা থেকে আমাদের লেখা পড়া খাওয়া সব করেছো।।আর সেখানে আমি তোমার জন্য যদি  ৩বেলা দুইটা ভাত না খাওয়াতে পারি। তাহলে আমি কেমন মেয়ে হইলাম বলো?


 রিয়ার আব্বু: আচ্ছা তুই কিসের জব নিয়েছিস"


 কথক: রিয়া কিছুটা থমকে গেলো, রিয়া ভাবতে লাগলো?


 রিয়া: না আব্বুকে আসল কথা বলা যাবে না। যদি বলি আমি কাজের ভুয়া হইছি, তাহলে আব্বু এইটা মেনে নিতে পারবে না।তার থেকে বলি অফিসের জব করি!


 কথক: রিয়াকে ভাবতে দেখে এ-র আব্বু আবার ও জিজ্ঞেস করলে রিয়া বললো?


 রিয়া; ওই তো আব্বু অফিসে কাজ  বসে থেকে কাজ করতে হবে। 


 রিয়ার আব্বু: যাক শুনে ভালো লাগলো"  সাবধানে থাকিস মা" 


 রিয়া: হ্যা আব্বু"


 রূপা: আপু তোমাকে  খালা ডাকে?


রিয়া: খালাকে বল আসছি' আর তুই আব্বুর কাছে থাক।


রূপা: আচ্ছা আপু"


 কথক: রিয়া উঠে ওর  খালার কাছে গেলো!  রিয়া গিয়ে বললো?


 রিয়া:  খালা আমাকে আপনে ডাক ছিলে?


  খালা: হ্যা রে মা"  রিয়া তোর জন্য একটা খারাপ খবর আছে!


 রিয়া: কি খবর খালা"


 কথক: যেখানে চাকরিটা ঠিক করে আসলাম না৷ তাড়া  কিছুক্ষন আগে আমাকে বললো? তোকে নাকি চাকরিতে রাখতে পারবে না।  ওরা নাকি অন্য  কাজের মেয়ে রেখে দিয়েছে!


 রিয়া: এইটা কেমন কথা হলো' তাহলে তখন কেন বললো না!


  খালা: কি আর বলবো বড়লোকের ব্যাপার বুঝা মুশকিল। যাই হোক তুই চিন্তা করিস না৷ যত দিন একটা কাজ না পাশ আমার বাড়িতে থাক!


 রিয়া: এভাবে এখন চাকরি কোথায় পাবো " 


 খালা: ও হ্য আমি যেখানে কাজ করি! সেইখানে রান্না করার জন্য কাজের ভুয়া লাগবে। এই রিয়া তোর হাতের রান্না তো অনেক সুন্দর।  তাহলে তুই ওইখানে কাজ করলে তো অনেক ভালো হবে। আর তুই তো রান্না করতেও অনেকটা ভালোবাসোস।


 রিয়া: এমন চাকরি পেলে তো অনেক ভালো হয়! তাহলে তুমি একটু দেখো?


 খালা: আচ্ছা,  তুই আমার সাথে চল"  


 রিয়া: এখন?


খালা: হ্যা এখন চল"


 কথক: রিয়া ওর খালার সাথে  চলে গেলো! ওইখানে গিয়ে রিয়াকে দেখে সবার অনেক পছন্দ হয়ে যায়। রিয়া  রাতের  রান্নাটা ওই করলো! রিয়া রান্নার ঘ্রাণ পেয়ে সবাই তো এক এক করে টেবিলের এসেছে বসে পড়লো!  রিয়া এক এক করে সব খাবার গুছিয়ে টেবিলের উপরে সাজিয়ে রাখলো?    সবাই খাবার খেতে লাগলো" সবাই  খাওয়া শেষে হাত চেটে পুটে খেয়ে নিলো! সালেহা চৌধুরী  বললো?See more


 সালেহা চৌধুরী : বাহ তোমার হাতে  জাদু আছে,  তোমাকে চাকরিতে নিয়ে নিলাম! কিন্তু সমস্যা একটা যে " তোমাকে ৩বেলা রান্না করতে হবে। কিন্তু তুমি থাকো কোথায়?


 রিয়া: জি আমি তো রহিমা খালার বাসায় থাকি!


 সালেহা চৌধুরী : ও আচ্ছা' তুমি আজ থেকে আমাদের এখানে থাকবে। কারণ  আমি চাচ্ছি আমার পার্সোনাল একটা কাজের মেয়ে।  যে সব দিকে খেয়াল রাখবে আর আমার সাথে থাকবে।  


 রিয়া: আসলে ম্যাম আমার বাসায় তো আমার অসুস্থ আব্বু আর আমার ছোট বোন আছে। ওদের রেখে আমি এখানে কিভাবে থাকবো!  ওদের রেখে তো কোনোদিন থাকি নাই আমি!  


 সালেহা চৌধুরী : ও কিন্তু আমার তো ২৪ঘন্টার একটা মেয়ে দরকার।  তোমাকে আমার অনেক ভালো লেগেছে" 


 রহিমা: ম্যাম আপনে চিন্তা করেন না,  রিয়া আগামীকাল থেকে আপনার সাথেই থাকবে! আজকে ওরে যাইতে দেন"


 কথক: রিয়া কিছু বলতে যাবে রহিমা  আন্টি ওকে কিছু বলতে দিলো না!  রিয়া আর কিছু বললো না" তার পর  সবাইকে খাওয়া শেষ হলে রহিমা আন্টি থালাবাসন গুলো নিয়ে ধুতে চলে গেল!  রিয়া তার পিছন পিছন গিয়ে বললো?


 রিয়া:খালা এইটা কি করলে?


 রহিমা: যাহ করছি ভালোই করছি" তুই বাসায় চল আমি তোকে বুঝিয়ে বলবোনি!  


 কথক: কথাটা বলে রহিমা খালা সব ধুয়ে মুছে রেখে দিলো!  তার পর  মোটামুটি সব কাজ করে রাত  ১২টার দিকে বাসায় চলে গেলো! বাসায় গিয়ে   ওই বাসা থেকে অনেক খাবার বেঁচেছিলো! সেই সব খাবার  সব কাজের ভুয়ারা ভাগাভাগি করে নিয়ে এসেছে। রিয়ার বোন আর ওর আব্বু খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেছে! রহিমা খালা  সব খাবার ফ্রিজে রেখে দিয়ে  হাত মুখ ধুয়ে   খাটের উপরে বসলো? রিয়া  রহিমার খালার রুমে এসেছে বললো? 


 রিয়া: খালা তুমি এইটা কি করলে? আব্বুকে আমি এমনিতে মিথ্যা বলছি। অফিসের কাজ আর এখন যদি ২৪ ঘন্টা ওইখানে  থাকি তাহলে বাসায় আসবো কিভাবে?


 রহিমা খালা: আরে পাগল মেয়ে তুই ম্যামের সাথে থাকলে! যদি ম্যামের সাথে ভালো সম্পর্ক  গড়তে পারোস অনেক লাভ আছে। তুই তো পড়াশোনা করছোস অনেক' এমন হতে পারে।তোকে তাদের অফিসের কাজ  ও দিতে পারে। আর শুন ম্যামের  সাথে এ-র আগে একটা মেয়ে ছিলো। মেয়েটাকে ম্যাম অনেক ভালোবাসতো নিজের সন্তানের মতো।  কিন্তু মেয়েটা একে বারে ফাজিল ছিলো" ম্যামের  সব গয়না  টাকা পয়সা নিয়ে ভেগে গেছে৷ ম্যাম এতোটায় ভালোবাসে যে,ওই মেয়েটাকে পারলে ধরা ম্যামের কোনো ব্যাপার ছিলো না। তারপর মেয়েটাকে ধরে নাই" তার শুধু একটায় কষ্ট ছিলো এতো ভালোবাসার কাছে টাকা টায় বড় হয়ে গেলো। আর আজ অনেক বছর পর তোকে ম্যাম এই অফার টা দিয়েছে।  


 রিয়া: কিন্তু  আব্বুকে  আর রূপাকে রেখে যাবো কিভাবে?


 রহিমা: আরে চিন্তা করিস না' আমি তো আছি আর ওরা দুইজন এখানে থাকবে! আমার মেয়ে হয়ে রুপা আমার কাছে থাকবে! সপ্তাহে পর পর এসেছে দেখা করে যাবি!  আর রূপা দেখা করতে যাবে।  আর রূপা তো অনেক বড় হয়ে গেছে রান্না করতে পারে। ওই তোর থেকে তোর  আব্বুর খেয়াল ভালো রাখতে পারে।


 রিয়া: হুম তা ঠিক"আব্বুকে কিভাবে বুঝাবো সেইটা বলো?


রহিমা: ওইটা নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না, ওইটা আমি দেখে নিবো। আচ্ছা যাহ ঘুমা গা, অনেক রাত হয়ে গেছে সকাল  ৬টায় আগে যেতে হবে কিন্তু!


 রিয়া:  আচ্ছা তুমি ও তাহলে ঘুমাও"  


 কথক: রিয়া ওর বোনের সাথে ঘুমিয়ে গেলো!  সকালে ৫টায় উঠে নামাজ পড়ে রান্না শেষ করে।  রিয়া চলে গেল'  চৌধুরী বাড়িতে গিয়ে  দুইজন কাজে লেগে যায়! রান্না করে রিয়া রেডি করে  ফেলে! সালেহা চৌধুরী  নামাজ পড়ে কুর আন পড়ে  ঘুমিয়ে যায়! ১০টা আগে রিয়া সব রান্না শেষ করে ফেলে। তার পর  সবার জন্য চা বানিয়ে সবার রুমে এক এক করে দিয়ে আছে!  সালেহা চৌধুরী রুমে ঢুকতে দেখতে ।  সালেহা চৌধুরী    অধাশোয়া হয়ে বসে আছে! রিয়া দরজার সামনে নক করে বললো?


 রিয়া: ম্যাম আসবো?


 সালেহা চৌধুরী : হ্যা এসেছো?


 কথক: রিয়া ভিতরে ঢুকে সালেহা চৌধুরী সামনে চা টা এগিয়ে দিয়ে বললো?


রিয়া: ম্যাম এই নিন আপনার  অল্প  চিনি দিয়ে চা! 


 সালেহা চৌধুরী : তুমি কিভাবে জানলে আমি অল্প চিনি দিয়ে চা খায়!See more


রিয়া: রহিমা খালা আমাকে সব বলেছে" 


 সালেহা চৌধুরী : ও আচ্ছা, তোমার কাজ কি শেষ!   


 রিয়া: জি ম্যাম আমার সব কাজ শেষ এখন আপনারা আসলে। আমি  খাবার পরিবেশন করবো"


 কথক: সালেহা চৌধুরী চা খেত খেতে বললো?


 সালেহা চৌধুরী : কখন এসেছো?  আর তুমি কি ভাবলে? আমার সাথে থাকবে নাকি? শুধু রান্না করে চলে যাবে।


 রিয়া:জি আপনার সাথে থাকবো"  কিন্তু ম্যাম আমাকে সপ্তাহে সপ্তাহে আমার বোন আর আব্বুকে দেখতে যেতে দিতে হবে।  


 সালেহা চৌধুরী : আচ্ছা সমস্যা নাই'  তা তোমার ছোট বোন কোন ক্লাসে পড়ে!


 রিয়া: জি ওই   উঠবে ওকে ভেবেছি এখানে ভালো একটা স্কুলে ভর্তি করবো!


 সালেহা চৌধুরী : ও আচ্ছা,  ওর কোনো কিছুতে সাহায্য লাগলে আমাকে বলো? 


 রিয়া: জি"  আচ্ছা আমি কি যাবো"


 সালেহা চৌধুরী : আচ্ছা যাও "


কথক: রিয়া রুম থেকে বের হয়ে ভাবতে লাগলো?


 রিয়া: ব্যাপার কি? এই মহিলা আমার প্রতি এতো ভালোবাসা কেন দেখাচ্ছে। যেখানে    আমাকে প্রথম দিন দেখে' যেখানে  একবার এতো বড় ধোকা খেয়েছে।  তার পর ও আমার প্রতি তার বেশি ভালোবাসা দেখা যাচ্ছে কেন? 


 কথক: রিয়া কথা গুলো ভাবতে ভাবতে হাটতে লাগলো! হঠাৎ করে রিয়া কারো সাথে ধাক্কা খায়! রিয়া সাথে সাথে পড়ে যায়" রিয়া সামনের দিকে তাকাতে তাকাতে বললো?


 রিয়া: স্যরি সরি আমি বুঝতে পারি নাই" 


 কথক: কথাটা বলে রিয়া সামনে থাকার ব্যক্তির দিকে তাকাতে" রিয়া দেখে ওর রহিমা খালা?

See more


 রহিমা: এই তুই কোন দিক মন দিয়ে হাটোস"  আর আমার কোমড় টায় ভাঙবি নাকি?


 কথক: রিয়া উঠে রহিমা খালাকে তুলতে তুলতে বললো?


 রিয়া: তুমি এখানে কেন?


 রহিমা:  সবাইকে ডাকতে এসেছি" 


 রিয়া: ও আচ্ছা" আমি বলেছি তাড়া   ৪০মিনিট পর সবাই আসবে!   তুমি আমার সাথে চলো " 


 কথক: রিয়া রহিমাকে ধরে নিয়ে যেতে লাগলো! দুইজন ড্রায়ংরুমে গিয়ে সব কিছু গোছাতে লাগলো!   গোছানো শেষ হলে সবাই এক এক করে চলে আসলো! রিয়া আর রহিমা আর কয়েকটা ভুয়া মিলে সবাইকে খেতে দিলো! সবাই খাবার খাওয়া শেষ করে ড্রায়ংরুমে বসে গল্প করতে লাগলো!  রিয়া সালেহা চৌধুরী   কাছে দাঁডিয়ে আছে!  সালেহা চৌধুরী  রিয়াকে বললো?


চলবে...

৩য় পর্বের লিংক

http//www3partstory24houes.com

৪থ পর্বের লিংক

http//www4partstory24houes.com

0 Post a Comment:

Post a Comment