ভয়ংকর_ধর্ষণ ( পর্ব-৫ ও শেষ)

গল্প- ভয়ংকর_ধর্ষণ ( পর্ব-৫ ও শেষ)




লেখক- Riaz Raj

------------------

সব ঝাপসা দেখতে লাগলো সে। ধীরে ধীরে জ্ঞান হারিয়ে বসে রিয়াজ।

চোখ খুলে দেখে রিয়াজ মর্গে শুয়ে আছে। সামনে দাঁড়িয়ে আছে সামিয়া আর ফাতেমা। অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে সে। এইগুলা কি। কি হচ্ছে এসব?


চোখের পলকে আবার তারা অদৃশ্য হয়ে যায়। রিয়াজ সিট থেকে উঠে দেখে আশেপাশে অনেক লাশ। কে বা কারা,আর সে এখানে কিভাবে। তা বুঝে উঠতে পারেনা রিয়াজ। এইবার ভূত বলতে কিছু আছে,তা বিশ্বাস করেই নিয়েছে রিয়াজ। এতোদিন চোখের ভুল বা বনোয়ারি গল্প ভেবেছে। এখন থেকে তার মনের ভিতর পুরোপুরি ভাবে জমাট বেধেছে। আসলেই আত্মা নামক কিছু আছে। ভাবতে ভাবতে অবশেষে ওখানেই জ্ঞান হারায় সে।


অন্যদিকে ড:এস্টুম্যান রিয়াজকে বলল,

- হা হা হা,দেখো। ইন্সপেক্টর ভয় পেয়ে জ্ঞান হারিয়েছে। তারমানে সে ধরেই নিয়েছে আত্মা নামক কিছু আছে। হা হা হা

- থামুন তো! এতো হাসার কি আছে। উনাকে আমরা ব্যবহার করেছি। ব্যস এইটুকু। ডিওএমএম এর পরিচয় না জানাই থাক। আমরা লুকিয়ে কাজ করবো। ডিওএমএম এর নাম সেখানেই প্রকাশ হবে,যেখানে প্রকাশ করা দরকার। এই অহংকার আর বিকৃত মস্তিষ্কজাতের কাছে যদি ডিওএমএম এর পরিচয় লিক হয়। তবে এরা উল্টো ভেবে আমাদের উপরেই হামলা চালাবে হয়তো।

- ডিওএমএম কখনো হার মেনে নেয়না রিয়াজ।

- জানি। তবে জিত লাভ করার জন্য এই নিরীহ মানুষদের মেরে কি হবে। আপরাধীর শাস্তি সে পাবেই? কিন্তু জেনে অপরাধ করাতে তো পারিনা। কি বলেন ড:এস্টুম্যান

- হুম। এইবার তুমি যাও। এই ইন্সপেক্টরকে বলে দাও,ওর সাথে আমরা এমন কেনো করেছি আর কি করতে চেয়েছি। 

- হুম যাবো। এখন নয়। সে বাসায় যাক। এরপর তার বারান্দায় গিয়ে কথা বলবো। আকাশযান তো আছেই।

- তোমার খুশি মিষ্টার রিয়াজ সাহেব।


এই রিয়াজ আর ইন্সপেক্টর রিয়াজ এক মানুষ না। ওরা মানুষ দুজন,কিন্তু নাম এক। রিয়াজ হচ্ছে ডিওএমএম এর এজেন্ট।  যারা ডিওএমএম এর সম্মন্ধে জানেনা,তারা Riaz Raj Official নামক পেজে মেসেজ করে জেনে আসুন। আমি সংক্ষিপ্ত আকারে বলি। ডিওএমএম হচ্ছে খুবি শক্তিশালী একটা এজেন্সি।  রিয়াজ হচ্ছে এই এজেন্সির এজেন্ট। এদের কাজ হচ্ছে কালো যাদু,সাইন্স,মেশিন,মস্তিষ্ক সহ সব কিছু নিয়ে খেলা করা। অলরেডি এই ব্যাপারে গল্প লেখা আছে। আপনারা পেজে মেসেজ দিয়ে লিংক নিয়ে নিবেন। মনে রাখবেন,ডিওএমএম এর সিরিজ না পড়লে,এই গল্পের আগামাথা কিছুই বুঝবেন না। পেজের নাম মনে আছে তো? ফিরে যাই গল্পে। 

রিয়াজ অফিস থেকে বের হয়ে আকাশযানে চড়ে বসে।  লাল বাটনে চাপ দিতেই এক মেয়ের কন্ঠ ভেসে আসলো," 3...2...1... let's go....


অন্যদিকে ইন্সপেক্টর রিয়াজ আবার চোখ মেলে দেখে সে বাসায়। নিজেকে এইবার পাগলও ভাবা শুরু করেছে সে। হুটহাট করে কি হচ্ছে, কখন হচ্ছে কোথায় হচ্ছে সবি তার অজানা। তখনি সে দেখে,জানালার বাহিরে একজন ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। রিয়াজ বিছানা থেকে উঠে পিস্তল হাতে নেয়। বারান্দায় ঢুকেই সে গুলি করে দেয় সেই ছায়ামানব এর উপর। কিন্তু বুলেট তার গায়ে পড়ার আগেই সে গায়েব হয়ে যায়। রিয়াজ ভ্যাবাচেকা খেয়ে খুঁজতে লাগলো ছায়ামানবকে। আর তখন অদৃশ্য একটা কন্ঠ ভেসে আসে। রিয়াজ শুনতে লাগলো কথাগুলো। 

- ভয় পেয়োনা। আমি কোনো ভূত বা প্রেত না। তোমার সাথে এসব কেনো হচ্ছে আমি জানি। যদি অনুমতি দাও,তবে আমি তোমার সামনে আসতে পারি।

কথাগুলো শুনে ইন্সপেক্টর রিয়াজ বলা শুরু করেছে,

- কে আপনি? আর কি জানেন?

- তোমার সামনে আসবো?

- হুম আসুন।


ইন্সপেক্টর অনুমতি দেওয়ার সাথে সাথে দেখতে পায়, একটা রশ্নি আলো হুট করে তার সামনে ভাসমান হয়। যা অবিশ্বাস্য।  ইন্সপেক্টর দেখতে লাগলো আলোটাকে। দেখতে দেখতে দেখতে হটাৎ সে খেয়াল করে,একটা যুবক ছেলে সেখানে দাঁড়ানো। তার চুলগুলো অনেক লম্বা লম্বা। সব চুল ধবধনে সাদা রঙ্গের। লম্বা প্রায় ৭ ফুট। লাল একটা বড় জামা,আর ভিতরে কালো গেঞ্জি পড়া। স্টাইলিশ জামাকাপড়।পিঠের মধ্যে একটা লম্বা তলোয়ার আটকানো। কোমরের দুই পাশে দুটো পিস্তল। যেনো কোনো মুভি থেকে একটা সুপার পাওয়ারের অধিকারী লোক এসেছে তার সামনে। ইন্সপেক্টর কিছু বলার আগে এজেন্ট রিয়াজ বলল।

- হাই। আমার নাম রিয়াজ। এজেন্ট রিয়াজ।

- রিয়াজ? ওটা তো আমার নাম।

- হুম জানি। কিন্তু তুমি ইন্সপেক্টর রিয়াজ। আর আমি এজেন্ট রিয়াজ।

- ঠিক বুঝলাম না। 

🔴গল্পের মাঝে এড দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। 

দেখতে দেখতে শীতকাল চলে এলো এজন্য আমরা নিয়ে এসেছি ন্যায্য দামে উন্নতমানের শীতকালের জ্যাকেট(কুটি) জ্যাকেটের বিবরণ 🥰👇

Ladies Primium Winter Overcoat


চায়না উইন্টার ফেব্রিক্সের প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ওভারকোট।

দুই পাশে পকেট দেওয়া আছে।

ছবির সাথে মিল থাকবে এবং কোয়ালিটি সম্পূর্ণ হিট প্রোডাক্ট।


লং সাইজঃ ৩৬/৩৮

বডি সাইজঃ ৩৮,৪০,৪২,৪৪

লেডিস জ্যাকেট গুলো দেখতে কেমন পিক দেওয়া আছে 👇




সাইজ বর্ণনাঃ

S=34,36 (আপাতত নাই, সামনে আসবে)

L=38,40

XL=42,44

মূল্য ১২০০৳

অর্ডার করতে ইনবক্স করুন📨

আবার গল্পে ফিরে আসা যাক🤩

- সোজা কথায় বলি। তুমি এই কয়দিন যে ভৌতিক কাহিনী দেখেছিলে। তা ছিলো শুধুমাত্র একটা 3D ভিডিও ফুটেজ।  অর্থাৎ ফুটেজের দ্বারা তোমাকে এসব দেখানো হয়েছে। তোমার মত সেম লাশ ঝুলে থাকা,ওটা তোমারি দেহ ছিলো। তবে তা ভিডিও একটা ফুটেজ মাত্র। যা দেখলে যে কেও অশরীরী মনে করবে। সামিয়া,আর ফাতেমা তারাও ছিলো একটা ভিডিও ফুটেজ মাত্র। আর এই কাজ আমরা করেছি তখন,যখন তুমি ফাতেমার কেসটা হাতে নিয়েছিলে। তোমার চোখে একটা বায়ুকোষ ল্যান্স লাগানো হয়েছে। যার দ্বারা,আমরা তোমাকে যা দেখাবো,তুমি তাই দেখবা। হা হা হা,মজা না?

- আপনি কি পাগল? বা কোনো সাইকো? এসব করার কি দরকার ছিলো? আপনার লাভ হয়েছে কি? 

- এই কয়দিনে আমরা কাকে হত্যা করেছি? যারা একটা নিরীহ মেয়েকে মেরেছে তাদের? নাকি যাদের জন্য হাজার মেয়ের স্বাধীনতা বন্দি হয়েছে তাদের? 

- দুটোই তো এক। 

- রাইট। এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাকে বলে। ওরা ধর্ষক, ওদের জন্য মেয়েরা নিরাপদ না। ওরা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট, ওদের ভয়ে খাচায় বন্দি থাকতে হয়। ওরা ঘাতক,ওদের মৃত্যু অনিবার্য।  মেরে দিয়েছি। সবাইকেই মেরেছি। 

- আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়াও কিন্তু অন্যায়।

- যেটা আইন করতে পারেনা,সেটা ডিওএমএম করে। আইন অপরাধীকে ২ দিন জেল বন্দি করে। উপর থেকে চাপ এলেই ছেড়ে দেওয়া হয়।আই হেট সৌচ এ ল্যও,দ্যা ল্যও উইল বি লাইক দ্যা ল্যও। দিচ ইজ নট এ থিং টু প্লে। 

- বুঝলাম। আচ্ছা এইটুকু তো বলুন। ফাতেমার লাশ কোথায়। আর সামিয়ার লাশের রহস্য কি। ৪ বছর ধরে যে সিম কার্ড বন্ধ। ওটা থেকে কিভাবে কল দিলেন।

- আচ্ছা শুনো তবে। সামিয়ার লাশের কোনো অস্তিত্ব আসলেই নেই। গত ৪ বছর আগে যে লোকটা সামিয়াকে হসপিটাল এনেছিলো। সে ছিলো একজন সাইকো। আর সামিয়া তার স্ত্রী ছিলো। সামিয়ার বাবা- মা অনেক আগেই মারা গেছে। তাই সামিয়ার পরিচিত কেও যদি থাকে,সে ছিলো তার স্বামী শিবলু। শিবলু সামিয়াকে রাগের মাথায় আঘাত করে।  যার কারণে সামিয়ার মস্তিষ্কে প্রচুর ব্লাড জমা হয়ে যায়। এর ফলে সে মারাও যায়। কিন্তু শিবলু পরবর্তী সময়ে এইটা জানতে পারে।আর সেও নিজের রাগ করে,নিজেকে শেষ করে দেয়। যার কারণে দুজনের লাশেরই কোনো অস্তিত্ব ছিলোনা।

আর কলের ব্যাপারটা?

- সামিয়ার সিম থেকে তোমাকে আমরাই কল করেছি। আমি জানি তুমি অপরাধীদের ধরলে তারা ২ দিন পর মুক্ত হয়ে যাবে। তাই তোমাকে ভয় দেখিয়ে,তাদের কেস আমরা হেন্ডেল করেছি। আর সামিয়ার ভোকালটা ছিলো আমাদের এক মেয়ে এজেন্টের।

- তাহলে এই ব্যাপার।  কিন্তু আমি ডিওএমএম এর সম্মন্ধে জানতে চাই। কে তারা,কেনো করছে এসব। 

- সব কিছু দেওয়া আছে। খুঁজুন আপনি। ঠিকই জেনে যাবেন।


বলেই এজেন্ট রিয়াজ বারান্দা থেকে লাফ দেয়। আর সোজা আকাশযানের উপর উঠে যায়। ছুটতে লাগলো রিয়াজও। কারণ ব্লাক ডেভিলকে খুঁজতে হবে এখন। ব্লাক ডেভিল নাকি ডিওএমএম এর ৬ জন এজেন্টকে দিয়ে অনেক শক্তিশালী যন্ত্র বানিয়ে ফেলেছে। ডিওএমএম এর ৬ জন এজেন্ট এখন ব্লাক ডেভিলের আন্ডারে কাজ করে। ৬ জন এজেন্ট এখন ব্লাক ডেভিলের এক একটা লেভেল। অর্থাৎ ব্লাক ডেভিলের কাছে পৌঁছানো অসম্ভব।  এখনো তো এইটাই জানেনা,কে এই ব্লাক ডেভিল,আর কোথায় তার বাসা। ব্লাক ডেভিল দেখতে কেমন,তাও কেও জানেনা। ব্লাক ডেভিল নামটা সবার মুখে মুখে,আজ অব্দি চেহারা দেখায়নি সে। আসলেই কে সে? অদৌ কি রিয়াজ ব্লাক ডেভিলকে শেষ করতে পারবে? আচ্ছা এইটাই তো কেও জানেনা। ব্লাক ডেভিল কোনো মানুষ? নাকি এলিয়েন? জানতে চোখ রাখুন,আগামী সিরিজে..! 


.............সমাপ্ত............



ঘটনা মূলক কমেন্ট করুন।আপনারা গল্প পড়ে মজা নেন,আমি কমেন্ট পড়ে।আর রিভিও দিতে ভুলবেন না কেও।




0 Post a Comment:

Post a Comment