গল্প- পিশাচ সুন্দরী ( পর্ব-০২)
লেখক- রিয়াজ রাজ
--------------------------------
ওর কথাগুলো আমার এক কান দিয়ে সুন্দর মতো ঢুকলেও,অন্য কান দিয়ে আগুন হয়ে বের হচ্ছিলো। তাজকিয়া বাড়িতে হলে এইটা কে? তাজকিয়াকে কি জবাব দিবো,হাবলা হয়ে ফোনটা বিছানায় রেখে আমি ওয়াশরুমের সামনে যাই। দরজা খুলতেই দেখি,ভিতরে একটা বিড়াল চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি চিৎকার দিতেই বিড়ালটা চোখের সামনেই অদৃশ্য হয়ে গেলো।
এরপর আর কি,
মুভির কাহিনীর মতো জ্ঞান হারাই ওখানেই। প্যান্ট ছাড়া।
এলোপাতাড়ি কলিং বেলের শব্দে হুশ আসে আমার। লাফ দিয়ে উঠি। অগোছালো রুম আমার। প্যান্ট এক জায়গায়,শার্ট এক জায়গায় আর ছোটটাও অন্য জায়গায়। তাড়াহুড়ো করে লুঙ্গিটা পড়লাম। এরপর দরজা আটকিয়ে সোজা নিছে নেমে এলাম। নিশ্চয়ই আব্বু আম্মু চলে এসেছে। দরজার সামনে এসে দরজা খুলতেই দেখি,তাজকিয়া,আম্মু,আব্বু তিনজনই দাঁড়িয়ে আছে। আমার দিকে এমনভাবে মুখ করে আছে,যেনো চিড়িয়াখানার প্রাণী দেখেছেন উনারা। আমি আমতা আমতা করে বললাম,
- এমন করে কি দেখছো সবাই। আমি রিয়াজ।
আমার কথার পরেই তাজকিয়া বলল,
- সেই ২০ মিনিটের বেশি হবে বেল বাজিয়ে যাচ্ছি আমরা। তোমার দরজা খোলার নামই নেই। কল দিচ্ছি ধরতেছো না। হয়েছে কি তোমার? কি করতেছিলে?
তাজকিয়ার কথা শেষ না হতেই আব্বু বলল,
- এক রাত বাসায় ছিলাম না বলে মদ এনে খেয়েছিস নাকি। মানে একা ছেড়ে দিলেই আকাশে উড়তে মন চায়? চোখমুখ এমন গাজাখোরের মতো হলো কেন এক রাতেই?
আব্বুরটার ফাকে এইবার আম্মুর কবিতা শুরু।
- তুই তো আমারে একটুও ভালোবাসিস না। কত চিন্তা করতেছিলাম। তোর কিছু হইলে আমরা কি নিয়ে বাচবো। আমাদের কথা একটুও কি ভাবিস না তুই?
দিলো কান্না করে। আর আমার অবস্থা তখন কেমন বুঝতেই পারতেছেন। সারারাত গেলো এক অমায়িক ঝড়,যে ঝড়ে আমিই হয়ে আছি অমায়িক বোকা**দা। ওদের কথা শুনে আমি আমার বাংলা ভাষাওটাও ভুলে গেলাম। উত্তর কি দিবো, দেওয়ার মতো কিছু হয়ওনি। যা হয়েছে তা বললে বিশ্বাস তো করবেই না। উল্টো মিথ্যা কথা বলতেছি বলে আরো কয়েকটি রচনা উপস্থাপন করবে। লুঙ্গিটা হাত দিয়ে ধরে হাবলার মতো ওদের দিকে তাকাই আছি। আর কি বা করার আমার। হুট করে সবাই আমাকে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলো। আম্মু সোফায় গিয়ে বসে,আব্বু আর তাজকিয়া পুরো বাসা এমন ভাবে দেখছে, যেনো আমি কোটি কোটি ডলার রাতে চুরি করে এনে দেয়ালের চিপায় চাপায় লুকিয়েছি। হটাৎ তাজকিয়া আব্বুকে বলল,
- আঙ্কেল, আমি নিশ্চিত রিয়াজের রুমে গেলে কোনো ক্লু পাওয়া যাবে। চলুন রুমে।
🔴গল্পের মাঝে এড দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
দেখতে দেখতে শীতকাল চলে এলো এজন্য আমরা নিয়ে এসেছি ন্যায্য দামে উন্নতমানের শীতকালের জ্যাকেট(কুটি) জ্যাকেটের বিবরণ 🥰👇
Ladies Primium Winter Overcoat
চায়না উইন্টার ফেব্রিক্সের প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ওভারকোট।
দুই পাশে পকেট দেওয়া আছে।
ছবির সাথে মিল থাকবে এবং কোয়ালিটি সম্পূর্ণ হিট প্রোডাক্ট।
লং সাইজঃ ৩৬/৩৮
বডি সাইজঃ ৩৮,৪০,৪২,৪৪
লেডিস জ্যাকেট গুলো দেখতে কেমন পিক দেওয়া আছে 👇
সাইজ বর্ণনাঃ
S=34,36 (আপাতত নাই, সামনে আসবে)
L=38,40
XL=42,44
মূল্য ১২০০৳
অর্ডার করতে ইনবক্স করুন📨
আমার গল্পে ফিরে আসা যাক🤩
কথাটা শুনতেই আমার মাথায় দেড় ইঞ্চি টাইপের একটা ধাক্কা লাগে। ওরা রুমে গেলে, জামা কাপড় ওমন দেখলে নিশ্চিত আরো বড় কোনো ঘটনা সাজাবে। রাতে তখন কনড* লাগিয়েছিলাম নাকি মনেও তো নাই। যদি লাগাই,তবে তো নিশ্চিত ওটা ফ্লোরে থাকবে।সর্বনাশ,এদের রুমে যেতে দেওয়া যাবেনা। ভুলেও না।
আমি এইবার মুখ উজ্জ্বল করে একটা ভেটকি দিয়ে ওদের সামনে গিয়ে দাড়ালাম। দাত কেলিয়ে কেলিয়ে বলতে লাগলাম,
- দেখো তাজু। রুমে কেন যাবে হা হা হা। এসেছো,বসো,নাস্তা খাও। এরপর আস্তে ধীরে চেক করবে। উফফ তোমার কপালে ঘাম জমেছে। কত গরম লাগছে তোমার। সোফায় বসো আম্মুর সাথে,আমি বাতাস করে দিচ্ছি।
তাজকিয়া আমার কথা শুনে ভ্রু কুচকে আব্বুকে বলল,
- দেখেছেন আঙ্কেল? ওর মুখের হালটা দেখুন। হাসি আসতেছেনা জোর করে হেসে যাচ্ছে। আদেক্ষেতাও দেখাচ্ছে। ওর চেহারাতে চোরের চেহারা মিল খাচ্ছে। আমি নিশ্চিত রুমে কোনো গড়বড় করে রেখেছে। সব তথ্য রুমে গেলেই পাওয়া যাবে। চলুন আঙ্কেল, ভয় নেই।
- এই এই দাড়া দাড়া। তুমি আমার প্রেমিকা নাকি গোয়েন্দা। আমি কিছুই করিনি। কেন আমাকে সন্দেহ করে যাচ্ছো। তুমি আমাকে চিনোনা বলো? আমি ওমন ছেলে? আমি কোনো খারাপ কাজ করতে পারি বলো?
- ইমোশনাল ব্লাক মেইল করে লাভ নেই। আঙ্কেল চলুন,ওর রুমে যাওয়া যাক।
তাজকিয়া আমাকে ধাক্কা দিয়ে সিড়ি বেয়ে উঠতে লাগলো। আব্বুও তাজকিয়ার সাথে যাচ্ছে। মরণ আমার। বিয়ের আগেই আম্মু আব্বুকে পটিয়ে আমার সর্বনাশ করতেছে। বিয়ের পর কপালে কি আছে আল্লাহ জানে। আজ যদি রুমে কনড* পায়। বিয়েটাও বাতিল হবে মনে হয়। আজাইরা চিন্তা করে কিছু হবেনা। আমি ওদের আটকানোর চেষ্টা করি। " আব্বা" বলে চিৎকার মেরে ফ্লোরে পড়ে গেলাম। চোখ অফ করে ফেলেছি। তাজকিয়া উপর থেকে আওয়াজ দিয়ে বলল,
- অভিনয় বন্ধ করো। এসব তোমার রোজকার কান্ড।
লাভ হলোনা। আবার শোয়া থেকে উঠে ওদের পিছু নিতে লাগলাম। আমি উঠতে উঠতে আব্বু আর তাজকিয়া আমার রুমে ঢুকে গেছে। দরজার বাহিরেই ব্রেক করি আমি। সামনে আর যাওয়া যাবেনা। লুঙ্গি হইলে লুঙ্গি। গায়ে গেঞ্জি নেই তো কি হয়েছে, এক দৌড়ে এখন রনির বাসায় চলে যাবো। উল্টো দৌড় দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সাথে সাথেই আব্বু তাজকিয়াকে বলল,
- শুধু শুধু তুমি আমার ছেলেটাকে সন্দেহ করেছো। দেখেছো? কত নিষ্পাপ ছেলে আমার?
কথাটা কান খাড়া শুনেছি। হটাৎ আব্বুর রুপ বদলে গেলো কিভাবে। এক দৌড়ে আমি আমার রুমে গেলাম।
বিশ্বাস করবেন না জানি।।তবুও বলি, আমার বিছানা একদম গোছগাছ। প্যান্ট শার্ট কি সুন্দর করে গুছিয়ে রেখেছে কে যেনো। রুম থেকে এক মিষ্টি গন্ধ ভেসে আসছে। বেকুব কিভাবে হয়,কাল রাত থেকে টের পাচ্ছি। অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। রুম এতো সুন্দর করে সাজালো কে? আব্বু আর তাজকিয়া আমতা আমতা করে কি যেনো বলতে চাচ্ছিলো,আমি বুক ফুলিয়ে নাক বাকা করে বলা শুরু করি।
- চুপ যাও। অনেক হয়েছে। আমার উপর কারো বিশ্বাস নাই। আমি এই সংসারে আর থাকবো না।।বনবাসে চলে যাবো আজই।
আমার কথা শুনে আব্বু তাজকিয়াকে বলল,
- দেখেছো? ছেলেটা কত অভিমান করেছে? তুমি মানাও এখন। আমি নিছে গেলাম।
এ বলেই আব্বু রুম থেকে বের হয়ে গেলো। তাজকিয়া ওর ওড়নাটা কচলিয়ে যাচ্ছে। আমি এক পা এক পা করে ওর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ও চোখ অফ করে ফেলেছে ভয়ে। আমি ওর পেটে হাত রেখে ঠেলতে ঠেলতে দেওয়ালের সাথে পিঠ লাগিয়ে দেই। এরপর আরেক হাত দিয়ে ওর ঘাড় ধরি। তাজকিয়া ভয়ে কাপাকাপি করছে। তখনি আমার কানে স্পষ্ট একটা শব্দ এল, " ছাড় তুই"।
আমি লাফিয়ে উঠলাম। দেখি তাজকিয়ার চোখ মুখ লাল হয়ে আছে। মুখে রক্তের দাগ। দাত সব কালো হয়ে গেছে। চোখ দুটো সাদা হয়ে গেছে। হাতের নখ বড় বড় হয়ে গেছে। গলার চামড়াগুলো বুড়োদের মতো হয়ে গেছে। আর আমার গলা দিয়ে যে সাউন্ড বের হয়,সেটাও যেনো সাইলেন্ট হয়ে গেছে।
চলবে.....?
( নেক্সট পর্ব পেতে চাইলে কমেন্টে জানান,এখন কি হতে যাচ্ছে। বা ৩য় পর্ব আপনি কমেন্টে ছোট করে লিখুন তো? যারটা সুন্দর হবে, তারটা স্ক্রিনশট মেরে পরের পর্বের কমেন্টে দেওয়া হবে।)
************************************
গল্প- পিচাশ সুন্দরী ( পর্ব-০৩)লিংক 👇
https//wwwsundoriprotisthritpari.com
0 Post a Comment:
Post a Comment