গল্প- ভয়ংকর_ধর্ষণ ( পর্ব-৪)

 গল্প- ভয়ংকর_ধর্ষণ ( পর্ব-৪)




লেখক- Riaz Raj

------------------

অন্ধকারে স্পষ্ট রুম বুঝা যায়না। রিয়াজ শুধু দেখে যাচ্ছে কালো ছায়ার মত কেও রুমে দাড়িয়ে আছে। আর কিছু ভাবেনি রিয়াজ। সোজা গুলি মারতে লাগলো। তখনি রিয়াজের মনে পড়লো,কারেন্ট যাওয়ায় ওর আম্মু চলে আসেনি তো?


হাত কাঁপতে থাকে রিয়াজের। পিস্তল হাত থেকে পড়ে যায়। আর ঐ সময় দরজার ওপাশ থেকে আওয়াজ ভেসে আসে," দরজা খোল রিয়াজ। কিসের যেনো শব্দ শুনতে পেলাম"।  রিয়াজ স্থির হয়ে গেলো। তারমানে রিয়াজের মা দরজার বাহিরে।  তবে গুলি করলো কাকে। রিয়াজ আবার বলল,"না মা, কিছু হয়নি। পিস্তলটা ঝং ধরে যাচ্ছিলো,তাই টেস্ট করলাম। তুমি যাও,আমি মোবাইলের ফ্লাশ অন করতেছি"।  


স্থির হয়ে রিয়াজ বারান্দায় বসে পড়ে। বাহিরে ভিতরে সবখানে অন্ধকার। হেলান দিয়ে বসে রিয়াজ ভাবছে। কি হচ্ছে ওর সাথে। কেনো হচ্ছে এমন। রহস্য কি। ভাবনার মাঝেই ঘুমিয়ে যায় রিয়াজ। 

সকালবেলা পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙ্গে রিয়াজের। পায়ের কাছে পিস্তল পড়ে আছে। এখনো হেলান দেওয়া। শরীর প্রচণ্ড ব্যাথা ওর। এদিকে অফিসের সময় হয়ে গেছে। রিয়াজ বসা থেকে উঠে সোজা ওয়াশরুমে যায়।ঝরনা ছেটে দিয়ে ভিজাতে থাকে পুরো দেহ। ভাবনাতে ডুবে যায় আবার। এতো ভাবনা করেও বা লাভ কি,উত্তরের শব্দ একটাই। রহস্য।


(গল্প বিরতি - হ্যা আপনাকে বলছি। আপনি এখন কোন আইডিতে গল্প পড়তেছেন আমি জানিনা। তবে এই গল্পের আসল লেখক আমি রিয়াজ রাজ। আইডির নাম imtiaz Zahid।  যদি কেও অন্য আইডি বা পেজ থেকে গল্পটি পড়ে থাকেন,অথবা সব পর্ব পাচ্ছেন না। তারা Riaz Raj Official লিখে সার্চ দিন।আমার পেজ আসবে।আর ওখানেই আমার এই গল্প সাথে সব গল্পই খুঁজে পাবেন। নয়তো কপিবাজের আইডিতে বসে থাকতে হবে। কপিবাজদের জন্য আজকাল লিখালিখি করতে মন চাচ্ছেনা। পুরো ক্রেডিট তাদের নামে করে নেয়। গল্প পড়েই আমার পেজ সার্চ করুন।) 


অফিসের জন্য রেডি হয়ে রিয়াজ নিছে আসে। খাবার টেবিলে নাস্তা রেডি করা। চেয়ারে বসতেই রিয়াজের আম্মু বলল,

-রাতের খাবার না খেয়েই ঘুমিয়ে কেন পড়েছিস। 

রিয়াজ হটাৎ প্রশ্ন শুনে একটু ভয় পেয়ে যায়। আচমকা আচমকা শব্দ গুলো যেনো রিয়াজকে হটাৎ কোনো নেশার ঘোর থেকে ফিরিয়ে আনে। মাকে বুঝতে না দিয়ে রিয়াজ বলল,

- তেমন কিছু না আম্মু। খুদা লাগেনি।

- তাহলে বারান্দায় ঘুমিয়েছিস কেন? বিছানায় কেনো গেলিনা।

রিয়াজ আরো অবাক হয়। দরজা তো বন্ধ ছিলো। ওর আম্মু কিভাবে জানে সে বারান্দায় ঘুমিয়েছে। রিয়াজের আম্মু আবার বলল,

- কি এতো ভাবছিস? উত্তর দে?

- না মানে,দরজা তো বন্ধ ছিলো। তুমি কিভাবে জানলে আমি বারান্দায় ঘুমাইছি?

- কই দরজা বন্ধ ছিলো? আমি তো খোলা ফেলাম।

- রাতে তুমি নিজেই তো বলেছিলে দরজা খুলতে। ভুলে গেলে?

- রাতে? আমি? কি হয়েছে বাবা তোর? এরকম অদ্ভুত আচরণ কেনো করছিস? আমি তো রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আর উঠিনি। তোর রুমে কেনো যাবো।

- তুমি সত্যিই কাল আমার দরজার সামনে আসোনি?

- দাড়া,আমার পরিচিত একটা কবিরাজ আছে। তোকে তার কাছে নিয়ে যাবো। হে খোদা,কি হয়ে গেলো আমার ছেলের।

🔴গল্পের মাঝে এড দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। 

দেখতে দেখতে শীতকাল চলে এলো এজন্য আমরা নিয়ে এসেছি ন্যায্য দামে উন্নতমানের শীতকালের জ্যাকেট(কুটি) জ্যাকেটের বিবরণ 🥰👇

Ladies Primium Winter Overcoat


চায়না উইন্টার ফেব্রিক্সের প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ওভারকোট।

দুই পাশে পকেট দেওয়া আছে।

ছবির সাথে মিল থাকবে এবং কোয়ালিটি সম্পূর্ণ হিট প্রোডাক্ট।


লং সাইজঃ ৩৬/৩৮

বডি সাইজঃ ৩৮,৪০,৪২,৪৪

লেডিস জ্যাকেট গুলো দেখতে কেমন পিক দেওয়া আছে 👇



সাইজ বর্ণনাঃ

S=34,36 (আপাতত নাই, সামনে আসবে)

L=38,40

XL=42,44

মূল্য ১২০০৳

অর্ডার করতে ইনবক্স করুন📨

আমার গল্পে ফিরে আসা যাক🤩

কান্না জুড়ে দিলেন উনি।

- আরে মা, কি করতেছো এসব।আমার কিছুই হয়নি। সম্পূর্ণ ঠিক আছি আমি। 

কথাটা বলেই রাগ দেখায় রিয়াজ।খাবার না খেয়ে উঠে পড়ে টেবিল থেকে। রিয়াজের আম্মু কান্না করতে লাগলো। রিয়াজ মেজাজ গরম অবস্থায় বাসা থেকে বের হয়ে যায়। গাড়ি নিয়ে থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রিয়াজ। নেই কোনো ক্লু। একটা না একটা তো সূত্র খুঁজে বের করতেই হবে। কিন্তু সেটা কিভাবে।  ভাবতে ভাবতে রিয়াজ পৌছে যায় থানায়। থানায় ঢুকার সময় রিয়াজ দেখে থানার সামনে দুইটা লাশ পড়ে আছে। রিয়াজ ওটা এড়িয়ে যেতে চাইলো। এখন এসব দেখার সময় নেই। থানায় ঢুকার সময় একটা ধমকা বাতাস এসে লাশ দুটোর মুখ থেকে কাপনের কাপড় সরিয়ে ফেলে। রিয়াজের চোখ লাশ দুটোর মুখের দিকে যায়। মুখ দেখেই রিয়াজ থমকে যায়। আবার চেপে বসে নতুন রহস্য। এই দুটো হচ্ছে রোকনের দুই বন্ধুর লাশ। রিয়াজ অবাক হয়ে যায়। এরা দুজন তো ঠিকই ছিলো। দেখেও নির্দোষ মনে হয়েছিলো তার। তবে এই দুটোকে কে মারলো। রিয়াজ দারোগাকে জিজ্ঞেস করলেন,

- কিভাবে মরেছে এরা।

- স্যার, গতকাল রাতে এদের কেও খুন করেছে। 

- খুন করেছে তা তো আমিও জানি। আমি দেখতেছি তাইনা? কিন্তু কিভাবে করেছে সেটা জিজ্ঞেস করলাম।

- স্যার স্যার, রেগে যাচ্ছেন কেন? আমি বলতেছি।

- ওহ্ সরি। আসলে মাথা ঠিক নেই। চিন্তায় আছি একটু। বলো কিভাবে খুন হয়েছে।

- স্যার, গতকাল রাতে থানার সামনে এদের কেও ঝুলে রেখেছিলো। সকাল বেলা লোকজন ভিড় জমিয়েছে এখানে। আপনাকে অনেকবার কল দেয়া হয়েছে,কিন্তু ফোন অফ ছিলো। আপনার অনুমতি ছাড়া লাশ মর্গেও পাঠাইনি,আর বাড়িতেও না। 

- হুম। আমার ফোনের চার্জ ছিলোনা। যাইহোক,  ওদের বাড়িতে যাও। ওদের মা-বাবার সাথে কথা বলে দেখো শত্রু বা কোনো কারণ ছিলো কিনা। তাদের তো কেও এমনি এমনি খুন করবেনা।

- আপনি যাবেন না স্যার? 

রিয়াজ দাতে দাত কামড়াচ্ছে।  রাগ কন্ট্রোলে এনে আবার বলল,

- দেখুন মিষ্টার আরিফ সাহেব। খুন করার পিছনে  সব সময় ৩টা কারণ থাকে। টাকা,নারী,প্রতিশোধ।  এই তিনটা হচ্ছে খুন করার মূল কারণ। তিনটা জিনিষ মাথায় রেখে আপনি কাজে যেতে পারবেন না? 

- জ্বী স্যার। আমি এক্ষুনি যাচ্ছি।

- আর এই লাশগুলো পোস্টমর্টেমে পাঠাও। জানাও আমাকে।

- ওকে


রিয়াজ অফিসে প্রবেশ করে। আবার একই চিন্তা। এতক্ষণে যা বুঝলো রিয়াজ,তা হচ্ছে ফাতেমার খুনের সাথে সামিয়ার কোনো না কোনো সম্পর্ক আছেই। আবার ধর্ষকদের সাথে ফাতেমার সম্পর্ক আছে,এইটা মানা যায়। কিন্তু ফাতেমার সাথে সামিয়ার কি সম্পর্ক। আর এদের দুজনের সাথে রিয়াজের কি সম্পর্ক।  ৪ বছর আগের লাশ এখন কেনো জাগ্রত হলো। একটা ক্লুয়ের অপেক্ষায় আছে রিয়াজ। শুধুমাত্র একটা ক্লু। এরপর বাকি সব বের করে নিবে সে। সেই প্রত্যাশায় আছে। 

ভাবনার মাঝে রিয়াজের মাথায় কেও সজোরে আঘাত করে। 


সব ঝাপসা দেখতে লাগলো সে। ধীরে ধীরে জ্ঞান হারিয়ে বসে রিয়াজ।

চোখ খুলে দেখে রিয়াজ মর্গে শুয়ে আছে। সামনে দাঁড়িয়ে আছে সামিয়া আর ফাতেমা। অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে সে। এইগুলা কি। কি হচ্ছে এসব?


চলবে....? 


গল্প- ভয়ংকর_ধর্ষণ ( পর্ব-৪)


লেখক- Riaz Raj


[ ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ব্যস্ততার জন্য গল্প লেখা হচ্ছেনা। নেক্সট পর্ব বড় হবে। অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত অনেক। সময় পাচ্ছিনা। আর কাল আইডি থেকে সন্ধায় লাইভে আসবো। সবাই থাকবেন অবশ্যই।]

ঘটনা মূলক কমেন্ট করুন।আপনারা গল্প পড়ে মজা নেন,আমি কমেন্ট পড়ে।আর রিভিও দিতে ভুলবেন না কেও।

৫ম পর্ব (শেষ পর্ব লিংক) 👇

https//wwwmystorylastpart.com


0 Post a Comment:

Post a Comment