---ভাইয়া দেখুন ওইখানে কি করছে?
---কতোগুলো ছেলে মিলে একটা মেয়েকে ঘিরে মেয়েটাকে উত্তক্ত করছে আর মেয়েটার ওড়নাটা কেড়ে নিয়েছে।
সোহান চারুর কথা শুনে পাশে তাকাতেই দেখে মেয়েটার অবস্থা বেহাল।দেখেই বোঝা যাচ্ছে মেয়েটা গরীব ঘরের।এখন সে চারুর সামনে কিছু করতেও পারবে না কারন চারুর কাছে সে একটা খারাপ ছেলে হিসেবে পরিচিত।কিছু করলে তার উপর চারু সন্দেহ করবে।
---এই মেয়েটা ঠিক তোমার মতোই নতুন তাই সহজে মানিয়ে নিতে পারছে না।
---তাহলে রুমে নিয়ে যাক।রাস্তাই এভাবে কষ্ট দেওয়াটা ঠিক না।
---টাকার কাছে সবাই হার মেনে নেই।এই মেয়েটাই দেখবা দু দিন পর ছেলেদের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে।
চারু সোহানের কথাগুলো সহজেই বিষ্শাষ করে নিলো।ওদিকে সোহান ইশারাই ছেলেগুলোকে হাত নাড়াতেই সবাই ভয়ে পালিয়ে গেলো।কিন্তু যে যত ভালো হোক না কেন?তার ভিতরেও একটা নেশা কাজ করে।সোহানের ফিলিংসটা চারুর প্রতি ধীরে ধীরে বাড়তে রইলো।আশেপাশের সবকিছু ঘুড়িয়ে এনে চারুকে তার বাসাই নিয়ে আনলো।সে তার নিজের বাসাতে থাকে না।তাই ভাড়া নেওয়া তার রুমে চলে এলো।চারু খেয়াল করলো তার ফ্লাটে অনেক মেয়েরা দাড়িৎএ আছে।চার বলতে লাগলো,
---আপনার ফ্লাটে এতো মেয়ে কেন?
---সবাই তোমার মতোই ট্রেনিং নিচ্ছে।
---ও এদেরকে দেখে আমার সেটা মনে হয় না।এরা বেশ ভদ্র ঘরের মেয়ে মনে হচ্ছে।
---হ্যা তুমি ঠিক বলেছো চারু।এরা উচু বংশের মেয়ে।এখানে এসে ওরা আমাকে টাকা দিয়ে ওদের জন্য একটা করে বেছে নিয়ে ফুর্তি করে।
চারু শুধু অবাক হয়ে সবাইকে দেখছিলো।সে খেয়াল করলো সেখানে অনেক বিবাহিতাও রয়েছে।তবে তার কাছে ফ্লাট দেখে বিষ্শাষ হচ্ছে না,,
এমন একটা বিল্ডিং এ আদান প্রদানের কাজ করে?
সোহান সোজা চারুকে নিয়ে একটু ভিতর গিয়ে বেশ সুন্দর একটা রুমে চলে গেলো।রুমটা অনেক সুন্দর জিনিসে সাজানো যেটা চারু জীবনে কখনো দেখেনি।চারুর চারদিকে এমন অবাকের মতো তাকিয়ে থাকতে দেখতে সোহানের কেমন যেন লাগছিলো।এতো মেয়েকে ভালো করেছে কিন্তু কখনো কোনো মেয়েকে খারাপ উদ্দেশ্য স্পর্শ করেনি।
.
চুপিচুপি চারুর পিছনে গিয়ে দাড়িয়ে পড়লো।পিছন থেকে চারুর কোমরটা আলতো করে দু হাত দিয়ে টেনে নিয়ে তার বুকে টেনে নিলো।হটাৎ সোহানের এমন আচরন দেখে চারু বেশ ভিত হয়ে গেলো।রুমে আনতে না আনতেই শুরু করে দিয়েছে।ইচ্ছে থাকা সত্তেও ইচ্ছার বিরুদ্ধে সে নিজেকে মানিয়ে রাখলো।তাকে ভীত হলে চলবে না।তাকে খারাপ মেয়ে হতেই হবে।
কিন্তু সোহানের স্পর্শটা তাকে কেমন যেন শিহরিত করছিলো।হাতটা যখনি নাভির কাছে নিয়ে চারুর কোমরটা পুরোপুরি চেপে ধরে মুখটা গলার কাছে নিলো।চারু আর তাকে নিয়ন্তন করতে পারছিলো না।তার ভিতরে একটা জোড়ালো নিষ্ষাশ বইতে শুরু করলো।চোখটা নিমিশেই বন্ধ করে সোহানের পরম ছোয়াগুলো অনুভব করতে থাকলো।
সোহান নিজেকে একদম দমিয়ে রাখতে পারছিলো।ছেড়ে দিতে চাইছে কিন্তু তার হাত পা গুলো চারুকে ছাড়তেই চাইছে না।
চারুকে এক টানে সে ঘুরিয়ে তার বুকে টেনে নিলো।চুলগুলো দ্রুত ঘুরতেই সোহানের চোখমুখ ঢেকে দিলো।চারুর চোখের দিকে তাকিয়ে সে আর থাকতেই পারছিলো।এতো সুন্দর একটা চেহারা কিভাবে তৈরি হয়েছে?চারুর মুখে টোল পড়েছে।মুখটা চারুর ঠিক ঠোটের ১ ইন্চি দুরে রেখে চারুর নাকের নিচের তিলটা দেখছিলো।হাতটা মুখে লাগাতে না চাইতেও হটাৎ মুখটা শক্ত করে চেপে ধরে আলতো করে চারুর ঠোটটা চেপে ধরলো।
হটাৎ কিছু একটার টানে এক ঝটকাই সে চারুকে ধাক্কা দিয়ে সড়িয়ে দিলো।সোহান স্পস্ট টের পেয়েছে।কিস করাতে চারু ভয়ে কাপছিলো।যে মেয়ে তাকে এতোটা বিষ্ষাষ করেছে আর এখন তাকেই ব্যবহার করা হচ্ছে?নিজের মাথাই হাত দিয়ে চিন্তার ভিতর পঢ়ে গেলো।কিন্তু চারু কি ভাবলো?এভাবে ধাক্কা দেওয়াতে সে কি বুঝলো?
ভাবাটা শেষ না হতেই তার মনে হলো কেউ একজন আবারো তার ঠোটটা চেপে ধরেছে।চোখটা খুলতেই পারছিলো না।তবুও চোখটা খুলে চারুর চোখের দিকে তাকালো।এমন একটা পরিস্থিতিতে সোহান নিজেই ভয় পেয়ে গেলো।সে চারুর চোখে স্পষ্ট জল দেখতে পেয়েছে।হটাৎ করে চারুর কি হয়ে গেলো?নাকি চারু তাকে সত্যিই তার দেহটা ব্যবহার করতে দিবে?
চারুর থেকে নিজেকে ছারিয়ে নিলো।চারুর চোখের জলটা তার চোখটাই জল এনে দিলো।সে রুমে আর থাকতে পারলো না।নিজেকে খুব নিচু মনে হতে লাগলো চারুর কাছে।রুম থেকে বের হওয়ার সময় না তাকিয়ে বললো,,
---তোমার ভিতর প্রচুর উত্রেজনা আছে।তবে এভাবে এতো মায়াবী ভাবে তাকানো যাবে না।আর চোখে জল আনলে কিন্তু তোমাকে ট্রেনিং এ রাখা যাবেনা।
সোহান কথাটা বলে উত্তরের আশাই দাড়িয়ে রইলো।কিন্তু কোনো উত্তর না পেয়ে চলে যেতেই,,
---ভাইয়া একটু দাড়ান?(গলার ভারি করে)
কথাটা শোনামাত্র সোহান দাড়িয়ে গেলো।সে জানতো না এমন কি রয়েছে চারুর ভিতর।তবে চারুর কোন কথাই তার কাছে পৌছাতে সময় লাগেনা।
সে দাড়িয়ে থাকতেই চারু মুখটা নিচু করে পকেট থেকে খুচরা ৬০০ টাকা তার হাতে রেখে দিলো।টাকাটা হাতে পেয়ে সে চারুর চোখের দিকে তাকালো।চারুর চোখ থেকে ফোটা ফোটা জল বেরোচ্ছে।হটাৎ করে চারুর এমন আচরনে সে
বেশ অবাক হয়ে পড়লো।
---চারু আমাকে টাকা দিচ্ছো কেন?
--- .........??
---কি ব্যাপার কথা বলছো না যে?
চারুর কোনো জবাব না পেয়ে সে বুঝতে পারলো না চারু তাকে কি বোঝাতে চাইছে।টাকাগুলো সে একটু ভালো করে চেয়ে দেখলো।টাকাটা একটু ভিজে গিয়েছে যেটা দেখে তার বুঝতে বাকি রইলো না যে, চারু এই টাকাটা অনেক আগেই হাতে রেখেছিলো।কিন্তু টাকাগুলো কেন তাকে দেওয়া হলো??
চারুর কাধে হাত রেখে জানার চেষ্টা করলেও চারু বলছিলো না।রেগে গিয়ে সে চারুকে ধমক দিয়ে কয়েকটা ঝাকুনি দিতেই কান্নাভেজা কন্ঠে তার গলা থেকে বেরিয়ে এলো,,
--- ভাইয়া আমি আজ দু দিন কিছুই খাইনি।ম্যথা ব্যথাটাও শুরু করেছে।আমার কাছে আপনাকে দেবার মতো কিছুই নেই।এই টাকাগুলো সেদিন দু জনের থেকে টিউশনি করে পেয়েছি।এর চেয়ে আর ১ টাকাও বেশি দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই।আপনি যদি চান তাহলে আপনাকে আমি সব দিবো শুধু আপনি আমাকে এখানে থাকতে দিন।(ফুফিয়ে ফুফিয়ে)
.
.
এখন আর সোহান রুমে নেই।সে রাস্তাই চলে এসেছে।এই শীতেও তার গা গরমে ভিজে যাচ্ছে।তার হাত পা গুলো এখনো কাপছে।একটা মেয়ে কিভাবে এতোটা কষ্ট ভোগ করতে পারে?
সে ভাবতেও পারেনি ৬০০ টাকা দিয়ে মেয়েটি কি করতো?চোখ থেকে জলটা মুছে নিলো।তার সেই দৃশ্যটা একদম ভাবতে ইচ্ছে করছিলো না।যখন চারু টাকাগুলো দিয়ে তার পা ঝাপটে ধরে কাদতে কাদতে কথা গুলো বললো।তাহলে কি এরা,,
.
চলবে,,
Part 4
<-------------------------------------------------->
সোহানের সেই দৃশ্যটা একদম ভাবতে ইচ্ছে করছিলো না।যখন টাকাগুলো দিয়ে চারু তার পা দুটি ঝাপটে ধরে কাদতে থাকলো।তাহলে কি এরা গরীর বলে সবসময় এদেরকেই হেনস্তা হতে হবে?এদের কি কোনো অধিকার নেই?
দু দিন না খেয়ে মেয়েটি কিভাবে রইলো।নিজের মনকে সোহান ঘৃনা করতে লাগলো।যে মেয়েটি দু দিন ধরে অসুস্থ আর সেই প্রতির সে কিভাবে কুনজর দিতে পারলো।
রাস্তা দিয়ে হাটছে আর চারুর মায়াবী মুখটা বারবার তার চোখের সামনে আনছে।কিন্তু এভাবে তো চারুকে বোঝানো যাবে না।তাকে যেভাবেই হোক সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতেই হবে তবে আগে সেই ভুয়া ডাক্তারকে দেখতে হবে।যে সবকিছু মুলে রয়েছে।
.
রাত ১২ টা হটাৎ করেই একটা আওয়াজ শুনতে পাওয়া গেলো।আওয়াজটা শুনে মনে হলো কিছু একটা ভাঙার আওয়াজ।হটাৎ একটা লোক দৌড়ে এসে পাশে থাকে ছেলেপেলেদের ভিতরে একজনের পায়ে পড়ে গেলো।পায়ে পড়তেই ছেলেটা তার কলার চেপে ধরে মারতে মারতে রুমের ভিতর নিয়ে গেলো।কিন্তু এদিকে রুমে সোহানকে পাওয়া যাচ্ছে না।তাহলে কি এতক্ষন সবকিছু সেই ঘটাচ্ছিলো।আর এই ঘর দেখে তো সেই দোকানটাই মতে হলো।হ্যা এটাই সেই ঘর আর এরা তারাই যাদের এখনো অনেক কথাবার্তা বাকি আছে।
সোহান লোকটিকে মেরে মেরে রুমের এক কোনে ফেলে দিলো।লোকটি চিৎকার করে চেচাতে লাগলো।
---বল চারুকে কেন তুই নষ্ট করছিছ?শালা তোর বাসাই মা বোন নাই?
সোহানের কথা শুনে চাচার বয়সি লোকটা অদ্ভুত ভাবে চেয়ে রইলো।মুখে তার কোন কথা নেই।এতক্ষনে লোকটি বুঝতে পারলো তাকে কেন এতো অত্যাচার করা হচ্ছিলো।
ইতিমধ্যে লোকটির একটা মেয়েকে তার সামনে আনা হলো।সোহান গিয়ে সেই মেয়ে ওড়নাটা সড়িয়ে জামার এক অংশ ছিড়ে নিলো।যেটা লোকটি বাবা হয়ে আর সহ্য করতে পারলো না।চিৎকার করে কাদতে কাদতে বললো,,
---বাবা তোমার পায়ে ধরি তুমি আমার মেয়ের সাথে এমন করোনা।আমি তোমাকে সবকিছু বলছি শুধু আমার মেয়েটাকে ছেড়ে দাও।
কথাগুলো শুনে মেয়েটিকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো।সোহান লোকটির বুকের উপর পা রেখে,,
---বল কেন চারুর সাথে এমন করলি?
---বাবা এজন্য আমাকে মাফ করে দাও।কিন্তু বিষ্শাষ করো আমী মেয়েটার শরীরে কোনো পাপের চিন্হ লাগাইনি।
---তাহলে?
---আমি ঘুমের ওষুধ দিতেই মেয়েটা ঘুমিয়ে পড়ার পর আমি মেয়েটাকে বিছানাই রেখে দিই।নিজের মেয়েকে মিথ্যা বলে ওর শরির থেকে বোরকাটা খুলে ঢেকে রাখতে বলি।আমার একটু কাজ ছিলো তাই দোকানে ফিরতে দেরী হয়েছিলো।আর যখন ফিরে আসলাম তখন দেখি মেয়েটা আর নেই।বিষ্শাষ করুন মেয়েটা
কে আমি স্পর্শ করিনি।
কথাগুলো শোনামাত্র সোহান লোকটির বুক থেকে পা টা সড়িয়ে নিয়ে পথের দিকে রওনা দিলো।সে লোকটির কথা শুনে হাসবে না কাদবে সেটা একদম ভেবে পাচ্ছে না।খুশির আকারটা তার চোখে মুখে ভাসছে।
বাসায় ফিরে এসেছে আর এখন সে চারুর রুমের সামনে দাড়িয়ে রয়েছে।হাতে খাবার প্যাকেট করা আর কাধে রয়েছে কিছু কাপড়।দরজার কড়া নাড়তেই চারু দরজা খুলে ফেললো।
চারুকে জোড়বশত সেগুলো দিয়ে সে রুমটা নিজে থেকেই আটকে দিয়ে চলে এলো।মেয়েটাকে খুব তাড়াতাড়ি দুঃখ বেদনার জগত থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
.
হটাৎ রাতটা কেটে চারদিকে আযানের সুর শোনা যাচ্ছে।আর এদিকে চারুর রুমটা কে যেন খটখট করে ধাক্কা দিচ্ছে।চারু তাড়াতাড়ি উঠে গিয়ে রুমটা খুলতেই দেখে সোহান পান্জাবি গায়ে তার সামনে দাড়িয়ে রয়েছে,,
---ভাইয়া আপনি এইখানে?
---চারু এভাবে এতো অলস হলে চলবে নাতো।
---এখন আবার কি করতে হবে?
---তাড়াতাড়ি অযু করে এসো।নামাজ পড়তে হবে।
সোহানের কথা শুনে চারুর চোখদুটো লম্বা হয়ে গেলো।পতিতা হতে গেলে নামাজ পড়তে হয়?সে তো কখনো এইরকম কোনো কথা শুনেনি?
---ভাইয়া পতিতা হতে নামাজ পড়তে হবে কেন?
---চারু তুমি কিন্তু আমাকে ধমক দিচ্ছো।যাও গিয়ে অযু করে এসো।
---কিন্তু আমাকে তো জানতে হবে এসবের ভিতর আবার নামাজ আসলো কোথা থেকে?আমি তো দেখেছি পতিতারা খুব খারাপ হয়।
---চারু যখন তুমি ভালো কাজ করবে তখন তোমাকে কেঊ সন্দেহ করবে না।আর যারা শুধু খারাপ কাজ করে তাদের কে পুলিশে ধরে নিয়ে যায়।
সোহানের কথাটা চারু বিষ্ষাশ করে নিলো।সে তো নিজেই কতো এইরকম পুলিশ কেস দেখেছে।যাক বাবা তাহলে এখন থেকে নামাজ পড়লে আমাকে কেউ সন্দেহ করবে না।ভাইয়ার তো হেব্বি বুদ্ধি।
কিন্তু কিন্তু,,
---কি ব্যাপার তুমি এখনো দাড়িয়ে কেন চারু?
কথাটা শুনে চারু মাথা চুলকাতে চুলকাতে রুম থেকে বের হয়ে আসলো।চারু যেতেই সোহান চুপিচুপি হাসতে হাসতে সেখান থেকে চলে যেতে যেতে বলতে লাগলো,,
---পাগল একটা মেয়ে?
চারু অযুখানাই গিয়ে দেখে ফ্লাটের সবাই সেখানে উপস্থিত।সে ভাবলো হইতো এখানের সবাইকে এই নিয়ম মানতে হয়।চুপিচুপি একটা মেয়ের কাছে গিয়ে বসে,,
---আচ্ছা আপু তাহলে এসব সত্যিই মানতে হয়?
---এই মেয়ে কিসব বলছো?(মেয়েটি)
চারু বুঝতে পারলো না মেয়েটি এমন কেন বললো?
অযু সেরে সে নামাজ শেষ করে বেলকনিতে গিয়ে দাড়ালো।কখনো সে এমন সাধীনভাবে ফ্লাটে রাত কাটাইনি।বেলকনি থেকে ঠান্ডা হাওয়া লাগতেই তার চুলগুলো দুলতে শুরু করলো।
সকাল হতেই আবার চারু সোহানের সামনে হাজির।
---ভাইয়া আমাকে ডেকেছেন?
---হ্যা।নামাজ পড়েছো?
---জি।
---কুরআন পড়তে পারো?
---জি না।
---কাল থেকে নামাজ বাদেই পাশের রুমে কুরআন শিখতে যাবে।
---কি?(অবাক হয়ে)
---এতো অবাক হওয়ার কিছু নেই।যদি তোমাকে পুলিশ কোনো হোটেল থেকে আটক করে তখন তুমি কুরআন পড়লে ওরা তোমাকে ছেড়ে দিবে।
--- ও এই কথা?(কিছুটা বোঝার ভান করে)
---সকালে কিছু খেয়েছো?
---না।আচ্ছা ভাইয়া একটা কথা বলবো?
---হ্যা বলো?
---আচ্ছা ভাইয়া আমি একটু আগে একটা মেয়েকে এই ব্যাপারে জিগ্গেস করতেই সে আমাকে ঝাড়ি দিলো কেন?
--- কি কি কি তু তু তুমি কাকে এই কথাটা বলেছো?(অবাক হয়ে)
---এই পাশের রুমের আপুকে।
---চারু এখন থেকে আর এসব করবে না।ধরো তার কথা যদি সবাই জেনে যাই তাহলে সে লজ্জা পাবেনা?তাহলে সে কি কখনো স্বীকার যাবে নাকি?
---হ্যা ভাইয়া ঠিক বলেছেন।
---তো চারু সাহেব?এখন থেকে কিভাবে চলতে হবে?
---এখন থেকে কারো সাথে এইরকম কথা বলা যাবেনা।
---এইতো ভালো মেয়ে।এখন যাও আর গিয়ে রেডি হয়ে নাও।তোমাকে নিয়ে বেরোতে হবে।
---কোথাই যাবেন?
---তোমাকে নিয়ে একটু হসপিতালে যেতে হবে।বুঝোনা মেয়েদেরকে একটু ডাক্তার দেখানো উচিত।
চারু আর কোন কথা না বলে রুম চলে গেলো।চারুর পাগলের মতো মাথাটা দেখে সোহান আর হাসি ধরে রাখতে পারলো না।এ কেমন মেয়েরে বাবা?এতোবড় হয়েছে তবুও ভিতরে বাচ্চাদের মতো বোকাই রয়ে গিয়েছে।
হসপিতালটা খুব কাছেই তাই সোহান চারুকে নিয়ে হেটে রওনা দিলো।তাকে একটা বিষয় জানতে হবে যেটা চারুর জিবন মরনের সাথে জড়িয়ে আছে।পথে হাটার সময় চারু সোহানকে ডিস্টার্ব করা চেষ্টা করতে চাইলো কিন্তু কোনমতেই পেরে উঠছে না।তাই চারু সোহানকে বলে ফেললো,,
---ভাইয়া একটা কথা বলবো?
---হ্যা বলো?
---আচ্ছা কল গার্লরা তো প্রতিদিন কতজনের সাথে রাত কাটাই কিন্তু এদেরতো কোন বাচ্চা হয়না কেন?
কথাটা শুনে সোহান হাবলা হয়ে গেলো।এখন সে এই মেয়েকে কি জবাব দিবে
.....
চলবে.....
0 Post a Comment:
Post a Comment