সেই_রাতের_গল্প পর্ব---১৪,১৫ ও ১৬


সেই_রাতের_গল্প

পর্ব---১৪

কাহিনী ও লেখনীতে: মি_হাসিব 


'তোর কারনে আমাকে কলেজ থেকে বের করে

দিয়েছিলো মনে আছে তোর। 


'আমার কারনে তোকে কলেজ থেকে 

বের করে দিয়েছে মানে।

সব কিছু খুলে বল আমাকে প্লিজজজজজজ।


'সত‍্যি রে তুই অনেক নাটক করতে পারিস। এতো 

তারা-তারি ভূলে গেলি সব।


'প্লিজজ সব বল। 


'আচ্ছা একটী মানুষ কি অন‍্য একটি মানুষ কে পছন্দ 

করতে পারেনা। একটি ছেলেকি একটি মেয়েকে 

ভালোবাসতে পারেনা। 


'অবশ‍্যই পারে।


'তাহলে তুই আমার সঙ্গে এমন করলি কেনো"

আমাকে পছন্দ হয়নি তাহলে আমাকে বলতি 

তুই স‍্যারকে বললি কেনো। 


'কারন তুই আমাকে প্রতিদিন ডিস্টাপ করতি।

আর এইটা আমি পছন্দ করতাম না। 

এই কারনে স‍্যারকে বলছিলাম।

যাতে আর কখনো আমার পিছু না নিস।


'কেনো আমাকে বলা যেতোনা।


'হ‍্যাঁ যেতো' কিন্তু আমি স‍্যারকে বলছি কারন তোকে বলার পরেও যদি আবার আমার পিছু নিতি।

এই জন‍্যে। 


'জানিস এই সব জানার পরে স‍্যার আমাকে কি

করছিলো।


'না জানিনা।


'তোর এমন রিপোর্ট শোনার পরে স‍্যার আমাকে কলেজ

থেকে বের করে দেয়। 

এবং আমার বাবা-মাকে ফোন দিয়ে বলে আপনার ছেলে একজন ধর্ষক' রাস্তা ঘাটে বা কলেজে মেয়েদের 

ইভটিজিং করে। 

কেমন সন্তান জন্ম দিয়েছেন হ‍্যা। 


'কথাটি শুনেই আমার মা সেখানে হার্ট এটার্ক করে 

মারা যায়। 

এর পরে বাবাও আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। 


'এই টুকু ভূলের জন‍্যে আমাকে এতো বর মাশুল দিতে

হবে আমি কখনোই ভাবতে পারিনি।


'এখন সময় এসেছে প্রতিশোধ নেয়ার। আমার হাত থেকে তোকে কেউ বাছাইতে পারবেনা।


'প্লিজজ বুঝার চেষ্টা করো।

আমি যদি জানতাম আমার এই টুকু কথায় এতো কিছু হবে বিশ্বাস করো কখনো এই কথাটি বলতাম না। 

আমাকে ক্ষমা করে দাও।


'হাহা।হাহাহ।হাহা। এতোটা সহজ না আমার হাত 

থেকে রক্ষা পাবি তুই।


'কি করবা মে/রে ফেলবা আমাকে।


'দেখনা কি করি' তুই ওই রুপের কারনে আমাকে

অপোমান করছিলিনা। 

সেই রুপেই তোর শেষ করে দিবো আমি।


'মানে। 


'তোর পুরা মুখে আমি এসিড দিবো। যাতে মানুষ 

তোকে দেখলেই ভয় পায়। 

কোন পুরুষ যেনো তোর এই চেহারা দেখে কাছে 

না আসে।


'প্লিজজজ এমনটি করিওনা। 

তোমার দুটি পায়ে পরি।


'ঠিক আছে তোকে মারবো-না আমার মাকে আমার কাছে ফিরিয়ে এনে দে।


'এইটা যদি সম্ভব হইতো তাহলে অবশ্যই নিয়ে আসতাম বিশ্বাস করো।


'হাহাহ।হাহাহ।হাহ।


'হাসতেছো কেনো হ‍্যাঁ। আমি কি মিথ্যা বলেছি।


'এই অনেক কথা বলেছিস।

এখন চুপ চাপ থাক এবং আমার কাজ আমাকে 

করতে দে।


'কথাটি বলেই সিয়াম চৈতিকে ওখানে রেখেই অন‍্য একটি রুমে চলে যায়। 

তার একটু পরে রুম থেকে একটি ব্লেট' ও লবনের 

প‍্যাকেট নিয়ে আসলো। 


'যা দেখে চৈতি জিঙ্গেস করলো।

'কি করবা এই গুলা।


'তোর ওই লোভনীয় শরীরটা কাটবো এবং লবন 

লাগিয়ে দিবো। 

খুব মজা হবে তাই না।


'আরে তুমি কি পাগল হয়ে গিয়েছো। 

একটি মানুষ কখনো অন‍্য একটি মানুষে সঙ্গে এমন

কাজ করতে পারেনা।


'কেউ না পারলেও আমি পারি।


'আল্লাহ দোহাই লাগে আমার সঙ্গে এমন কাজ করিওনা

আমি মরে যাবো।


'তোকে মেরে ফেলার জন‍্যেই এমন 

কাজ করতেছি আমি। 


'এইটা বলেই সিয়াম চৈতির শরীর থেকে সব পোষ্ট 

খুলে ফেলে এবং ব্লেট দিয়ে আলতো করে 

পিঠের দিকে কাটতে থাকে। 


'সিয়ামের এমন পাগলামি দেখে চৈতি ভিষন ভয় পেয়ে যায় এবং ব‍্যথায় কান্না করতে থাকে হাউ মাউ করে।


'কান্না কর আরো জোরে। 

তোর এই কান্নার সব্দ যেনো পুরা এলাকা বাসি 

শুনতে পারে। 


'কান্না ভেজা কন্ঠে চৈতি বললো "সিয়াম তোমার যা 

লাগবে সব কিছু আমি দিবো। প্লিজ তবুও আমার 

শরীর এইভাবে কাটিওনা। 

আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে বুঝার চেষ্টা করো।


'একটু কাটলাম তাতেই এমন অবস্থা। 

এখনো তো লবন দিলামনা। 

একটু ধৈর্য্য ধর লবন দিতেছি।


'সিয়ামের এমন কাহিনী দেখে চৈতি মনে মনে ভাবতে 

থাকে এই ছেলেতো আব্দুলের থেকেও বেশি 

ভয়ংকর। 


'শোন তোমার যদি ইচ্ছে হয় আমাকে মেরে ফেলো

তবুও এমন জ্বালা আমাকে দিওনা।


'চৈতির এমন বার বার কথা শুনে সিয়াম সোজা এবার চৈইতির গালে ব্লেটটি লাগিয়ে দিয়ে দেয় একটি টান।

যার কারনে চৈতের গাল বেয়ে রক্ত বৃষ্টির মতো ঝড়তেছে।


'এই দিকে চৈতি নিজের এমন অবস্থা দেখে কান্না করতে-করতে শেষ।

এরি মুহূর্তে সিয়াম লবনের প‍্যাকেট থেকে এক মুঠ

লবন নিয়ে চৈতির পিঠে এবং গালে লাগিয়ে দেয়। 


'আর সঙ্গে সঙ্গেই চৈতি অঙ্গান হয়ে যায়। 

তার কোন হুশ নেই।


'এমনটা দেখে সিয়াম আবার হাহা।হাহহা। হাহহা। করে 

হাসতে থাকে আর বলে।

আমি সাস্তি দিয়েছি মা ওকে সাস্তি দিয়েছি। 


'কথাটি বলেই সিয়াম সেই রুমের দরজা বন্ধ করে 

আবার সেই আব্দুলের কাছে চলে যায়। 


'যাওয়া মাত্রই'


'কিরে সিয়াম শেষ করে দিয়েছিস ওকে। (আব্দুল)


'হ‍্যাঁ স‍্যার শেষ করে দিয়েছি। 

ওকে ৭ হাত গর্তের ভিতরে ঢুকে দিয়েছি।


'বাহ অনেক সুন্দর কাজ করেছিস। 

আমি অনেক খুশি হয়েছি। 


'আপনি খুশি হলেই আমি খুশি।


'আচ্ছা তুই যে চৈতিকে মাঠিতে পুতে রাখলি কিন্তু 

তোর শরীরে কোন ধুলা বালি নেই কেনো।


'আরে স‍্যার আমি পোষাক খুলে এই সব কাজ 

করছিলাম তাই নেই। 


'ওহ। 


'কিন্তু তোর কথায় কেমন জানি মনে হচ্ছে 

তুই চৈতির কিচ্ছু করিশনাই।


'কি যে বলেন স‍্যার আপনি। 

আমি আপনার গুন গান করেই চলি। কিভাবে ভাবলেন

আপনাকে ঠগাবো আমি।


'সেটাও ঠিক। 


'আচ্ছা স‍্যার একটি কথা বলি।


'বল।


'আপনার কাছে যেই বাচ্ছাটি আছে ওকে এখন পযন্ত 

মেরে ফেল্লেন-না কেনো। 

আমরা তো এতো সময় দেইনা তাদের।


'আমি কি করবো না করবো এই সব কি তোর কাছে

শুনতে হবে আমাকে।


'সরি স‍্যার ক্ষমা করবেন। 


'তুই যেই ভূল করেছিস তোর ক্ষমা নেই। 


'প্লিজজজ স‍্যার আর কখনো জিঙ্গেস করবোনা 

আপনাকে। 

এইবারের মতো মাপ করে দিন।


'তুই মাপ পাওয়ার যোগ্য না। 

আমি তোকে শেষ করে দিবোই আজকে।কথাটি মাথায় রাখিস কিন্তু।


'স‍্যার আমি আরো কতো বর ভূল করতেছি তখন 

কিছু বলেননি। এখন একটু কি বললা না বললাম তাতেই এতো ক্ষেপে গেলেন।


'তাই-না!


'অবশ‍্যই স‍্যার।


'তোকে কেনো মেরে ফেলবো জানিস। 

নাকি বলবো।


'আপনি বলেন।


'তুই কিভাবে

চৈতিকে তোর বাড়িতে নিয়ে গেলি সেইটা 

আগে আমাকে বল। 


'কথাটি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিয়াম নিজের পিস্তুলটি বের করে আব্দুলের দিকে ধরে। 

যা দেখে আব্দুল হহাহা।হাহাহ।।হাহাহ। 

করে হাসতে থাকে। 


'বাহ তোর সাহসতো অনেক হয়েছে।

যার প্লেটে খাস তার বুকেই লাত্থি মারতেছিস। 


'হ‍্যাঁ। তোকে আজ আমি শেষ করেই ফেলবো। 

আর তোর স্থানে আমি যাবো। 


'তাই। 


'তোর মৃত্যুর আগে একটি কথা বল আমাকে। তুই 

কিভাবে জানলি আমি চৈতিকে আমার বাসায় রেখেছি।

সত্যি টা বলবি। 


'যদি না বলি।


'তাহলে এই মুহূর্তে তোকে শেষ করে দিবো আমি।


'এতোটা সস্তা আব্দুল কে মারা?

আব্দুলকে মারতে হলে আবার তোকে জন্ম নিতে হবে। 


'হহাআহাহ। হাহা। তোর মৃত্যু আমার হাতে সেইটা 

আমি স্পর্শ ভাবে দেখতে পাচ্ছি।


'চেষ্টা করে দেখতে পারিশ।


'আব্দুলের এমন কথায় সিয়াম বেশ রাগান্বিত হয়ে

যেইনা আব্দুল কে মারতে যাবে এমন 

মুহূর্তে। 

আব্দুল নিজের পিস্তল টা বের করেই সিয়ামের পায়ে

গুলি করে। আর সেখানেই সিয়াম মাঠিতে 

লুটিয়ে পরে। 


'কিরে মারবিনা আমাকে।

এই নে পিস্তল মে/রে ফেল আমাকে। 


'আমি ভূল করে ফেলছি। আমাকে মারবেন না 

প্লিজ স‍্যার। 


'ঠিক আছে মারবোনা?

তোর বাসায় চল যেখানে চৈতি আছে। 


'ঠিক আছে চলুন তাহলে।

এর পরে আব্দুল সিয়ামকে নিয়ে ওর বাসায় চলে আসে

বাসায় এসে রুমে ভিতরে ঢুকা মাত্রই দেখতে পায় যে চৈতি..........



পর্ব---১৫



#writer_md_ri_rakib 


'রুমে এসেই দেখে চৈতি নিখোজ! 

কোথায়ও খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এইটা দেখে আব্দুল

সিয়াম কে আবার জিঙ্গেস করে?


'সত‍্যি করে বল চৈতিকে কোথায় রেখেছিস।

আমি কিন্তু মিথ্যা কথা এক দমেই

পছন্দ করিনা।


'বিশ্বাস করুন স‍্যার আমি চৈতিকে এখানেই বেধ রেখেছিলাম কিন্তু কোথায় গেলো বুজতেছিনা। আমার 

মনে হয় ও পালিয়ে গিয়েছে।


'আবার মিথ্যা বলিশ। 


'স‍্যার আমার মরা মায়ের দিব্বি আমাকে বিশ্বাস করুন 

আমি ওকে এখানে বেধে রাখছিলাম।


'যদি এখানেই বেধে রাখতি তাহলে 

কোথায় হারিয়ে গেরো। 


'হয়তো-বা বাধন খুলে পালিয়ে গিয়েছে। 


'ঠাসসস। ঠাসসস। আমাকে কি তোর বোকা মনে হয়।

হাত পা বাধা একটী মেয়ে কিভাব 

পালাবে শুনি। 


'সেটা তো জানিনা।


'বুজলাম পলিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তুই চৈতিকে এখানে কেনো নিয়ে এসেছিলি। মাটিতে পুতে কেনো 

ফেল্লিনা সেইটা বল।


'আসলে স‍্যার চৈতিকে আমি ভালোবাসি?

সেই কলেজ লাইফ থেকে।


'কিইইইইই বললি তুই। 


'হ‍্যাঁ স‍্যার। আমি কলেজের ভিতরে চৈতিকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলছিলাম।

কিন্তু কখনো বলার সহস পাইনি। তাই প্রত‍্যেক দিন ওকে ডিস্টাপ করতাম। 


'ডিস্টাপ করতি কেনো।


'কারন ওকে আমি এটাই বুঝাইতে চেয়েছি যে! চৈতি

আমি তোকে অনেক ভালোবাসি। 

তোকে নিয়ে সুখের নীর তৈরি করতে চাই।


'ওহ।


'কিন্তু হঠাৎ একদিন তাকে প্রপোজ করি।

তার পরে সে কলেজের স‍্যারকে বলে দেয়। এই কারনে আমাকেও কলেজ থেকে বের করে দেয়।

এই কথাটি শুনে আমার মা হার্ট এটার্ক করে মারা যায়।


'ওহ আচ্ছা। 


'হ‍্যাঁ সেই দিনেই প্রতিঙ্গা করি আমি প্রতিশোধ নিবো।


'বাজে কথা বন্ধ করে এখন বল।

তুই এখানে চৈতিকে নিয়ে এসে কি কি করেছিস।


'স‍্যার কিচ্ছু করিনাই। 

শুধুমাত্র বেধে রাখছিলাম আমি।


'সিয়ামের কথাটি শুনে আব্দুল আবার কশে একটি থাপ্পড় দেয় এবং বলে ''যদি কিচ্ছু না করে থাকিস 

তাহলে এখানে লবন-ব্লেট কেনো?

আবরা দেখতেছি চার দিকে তাজা রক্ত। 


'আসলে স‍্যার। 


'কোন কথা শুনতে চাইনা।

সত্যি টা বল।


'চৈতিকে এখানে নিয়ে এসে ওর চার-হাত পা চার দিকে 

বেধে রাখছিলাম।

এর পরে ব্লেট দিয়ে ওর পিঠ কেটেঠি সঙ্গে লবন ও 

লাগিয়ে দিয়েছি।

যাতে চিৎকার করে কান্না করে' এবং এক সময়

মারা যায়।


'এই সব শুনে আব্দুল বলে'' কিরে তুইতো দেখি আমার 

থেকেও যর্ঘন‍্য খারাপ।

এমন কাজ করতে তোর হাত একটিবারের জন‍্যেও 

কাপলো না।


'হাহাহ। হাত কাপ্পে কেনো। 

আমি চাইছিলাম এই ভাবে কষ্ট দিয়ে দিয়ে ওকে 

মেরেই ফেলবো কিন্তু কোথায় পালিয়ে গেলো সেইটা

বুঝলাম না।


'কিন্তু ওর আগে যে তোর মৃত্যু আমি দেখতে পাচ্ছি। 

কি করা যায় বল। 


'আমাকে ক্ষমা করে দিন স‍্যার।

এই ভুল আমি কখনোই করবোনা আপনাকে কথা

দিচ্ছি।


'হাহাহাহ।হাহাহ।হাহা।

আমার আদালতে ক্ষমা বলতে কিচ্ছু নেই। 

ভূল করেছিস তোকে সাস্তি পেতেই হবে এটাই নিয়ম।


'প্লিজজ স‍্যার।


'ক্ষমা করবো এখনো সময় আছে। কিন্তু তোকে বলতে

হবে চৈতি কোথায় এখন। 


'সত‍্যি আমি জানিনা স‍্যার। 

জানলে অবশ্যই বলতাম আপনাকে। 


'সিয়ামের মুখে এই কথাটি শোনা মাত্রই আব্দুল তাকে

গুলি করে একিবারে মে'রে ফেলে!

আর সেই স্থান থেকে চলে যায়।


'এমনো মুহূর্তে আব্দুলের ফোন কল আসে একটি অচেনা নাম্বার থেকে। 

প্রথমতো ফোনটি রিসিভ না করলেও বার-বার যখন 

ফোন আসতে থাকে তখন ফোনটি রিসিভ করে। 


'হ‍্যালো কে? (আব্দুল)


'হাহাহহা।হাহাহ।হাহাহ। এতো তাড়া তারি ভূলে গেলি আমাকে। 

তোকে বলছিনা আমি খুব শিগ্রই ফিরবো তার কাছে। 


'এই তুই কোথায় সাহস থাকলে 

আমার সামনে আয়।


'তোর সামনেই আমি আছি।

পারলে খুজে বের কর আমাকে। ওহ হ‍্যাঁ সিয়ামকে শেষ 

করে দিলি চিরতরে।


'শুধুমাত্র সিয়ামকে না। তোকেও শেষ করে দিবো 

শুধুমাত্র আমার সামনে এসে দেখ।


'শোন আমার সন্তান কে উদ্ধার করতে যাচ্ছি। 

যদি পারিশ আমাকে আটকিয়ে দেখাও।


'কথাটি বলেই ফোনটি কেটে দেয় চৈতি'


'এই দিকে আব্দুল চৈতির এমন কথায় একটু আশ্চর্য 

হয় কারন চৈতি এতো সাহস?

এছাড়া আমার সন্তানের সন্ধান 

পেল কিভাবে। 

যেইটা আমি ছারা কেউ জানেনা।


'যখন হাজারো চিন্তা মাথায়ঘুর পাক 

খাচ্ছিলো তখন


'এই সব চিন্তা বাদ দিয়ে তারা তারি গন্তব্য স্থানে যাওয়ার জন‍্যে রহনা দেয় যেখানে বাচ্ছাটি 

রাখা হয়েছে।


'এই দিকে চৈতি ''হাসিব কে জিঙ্গেস করে! হাসিব তুমি আমাকে বাছালে কেনো। 

(তার মানে সিয়ামের হাত থেকে চৈতিকে হাসিবেই 

বাছিয়েছে)


'শোন চৈতি আমি তোমাকে কেনো বাছিয়েছি 

সেইটা জানিনা। 

তবে তোমার জন‍্যে আমার অনেক কষ্ট হয়।


'মানে?


'জানিনা এই সব মানের উত্তর 

কোথায় আছে।


'শোন তুমি এখন চলে যাও এখানে থেকে। কারন তোমার ভাই যদি জানে তুমি আমাকে সাহায্য করতেছো

তাহলে তোমাকেও শেষ করে দিবে।


'সমস‍্যা নেই। 

আমি তোমাকে ছেরে যাবোনা। কারন তুমি অনেক 

অসুস্থ। যেকেনো সময় সমস্যা হতে পারে।


'আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা। 

আমি ঠিক আছি।


'তুমি সব সময় বেশি কথা বলো। তোমার যদি কিচ্ছু হয়

তাহলে বাচ্ছাটির কি হবে শুনি?

তোমার বাচ্ছাকে মায়ের ভালোবাসা কে দিবে।


'আচ্ছা তুমি কি চাচ্ছো সেইটা বলতো। 

কারন তুমি ও এতোটা ভালো না।


'আমার মনে কোন খারাপ উদ্দেশ্যে নেই।

আমি শুধুমাত্র তোমাকে সাহায্য করতে চাই এটাই। 


'ভালো।


'আমি জানি আমি ও খারাপ।

কিন্তু আমি ভালো হতে চাই। সুন্দর ভাবে বাচতে চাই।


'যদি এটাই চাও তাহলে এই মুহূর্তে 

আমার সামনে থেকে চলে যাও।


'আমি চলে গেলে তুমি খুশি।


'হ‍্যা।


'ঠিক আছে চলে যাচ্ছি। কিন্তু একটি কথা মনে রাখিও

তোমার সামনে আরো অনেক বিপদ। 

যেখানে যাচ্ছো সেখানে থেকে ফিরে আসতে আর পারবে কিনা জানিনা।


'আমার চিন্তা করতে হবেনা।


'এর পরে হাসিব আর একটি কথাও না বলে সেখানে 

থেকে চলে যায়। 

আর এই দিকে চৈতি একাই আব্দুলের ভয়ংকর স্থানে

চলে যায়। নিজের সন্তান কে উদ্ধার করতে।


'সেখানে গেলে দেখতে পায় পুরা বাড়িতে পাহাড়াদার 

একটু উচ-নিচ হলেই সমস্যা হবে।

তাই চৈতি সবার চোখ ফাকি দিয়ে আব্দুলের সেই গোপন রুমে ঢুকে যায়। 

এবং সেখানে দেখতে পায় একটি মহিলা বাচ্ছাটির যত্ন 

নিচ্ছে সেখানে।


'চৈতি মহিলাটিকে উদ্দেশ্য বলে'

শোন তোর যদি নিজের প্রানের মায়া থাকে তাহলে বাচ্চাটিকে এখানে রেখে চুপ

চাপ এখানে থেকে বাহিরে যা। নয়তো এখানেই শেষ

করে দিবো। 


'আশ্চর্য আপনি কে। 

আর আমার সন্তান কে আমি কোথায় যাবো। এছাড়া 

এতো সিকিউরিটি থাকার পরে আপনি কিভাবে আমার রুমে আসলেন।


'তার আগে তুই বল এই সন্তান তোর কিভাবে হলো।


'সন্তান কিভাবে হয় মানে। 

তুমি একটি মহিলা হয়ে যানোনা সন্তান কিভাবে হয়।


'এই বেশি কথা বলিশনা। 

যা বলতেছি তার উত্তর দে সুন্দর ভাবে।


'চৈতির কথায় মহিলাটি একটু ভয় পেয়ে বলে'

আচ্ছা বলুন?


'তর স্বামীর নাম কি।


'আমার স্বামীর নাম হলো আব্দুল! উনি একজন বিজনেসম‍্যান।


'ওহ! এই বাচ্চাটি কবে হয়েছে।


'কবে আবার প্রায় এক মাস হবে। আচ্ছা আপনার গালে এই গুলা কিসের দাগ। 

মনে হচ্ছে ব্লেট দিয়ে কেউ কেটে দিয়েছে। 


'শোন তোর স্বামী একজন কুক্ষাত খুনি। 

তোর সাথে মিথ্যে পরিচয়ে থাকে। 


'হাহাহ।হাহা।হাহহা। আপনি বললেন আর আমি মানলাম নাকি। 

আমার স্বামীর মতো ভালো মানুষ এই পৃথিবীতে নেই 

বুজেছেন আপনি।


'ওহ তাই।

তোমার স্বামী কোথায় বতর্মান।


'আমার স্বামী অফিসের কাজের জন‍্যে একটু 

বাহিরে গিয়েছে।

আচ্ছা আপনি কে আমার স্বামীর নামে এমন মিথ্যা 

বানোয়াট কথা বলতেছেন।


'এমন মুহূর্তে পিছন থেকে আব্দুল বলে উঠলো

আরে ওটা আমার চাচাতো বোন চৈতি। 

ওর মাথায় একটু সমস্যা আছে। প্লিজজজ তুমি ওর

কথায় কিছু মনে করিওনা বউ?


'আব্দুলের এমন কথা শুনে চৈতি ভাবতে থাকে

আশ্চর্য আব্দুল বউয়ের সামনে 

এতো ভালো সাজতেছে কেনো 

কাহিনী কী? 


'আসল কাহিনী জানতে হলে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

পরবর্তীতে সব কাহিনী ফাস হবে। 

আব্দুল কেনো বউয়ের সামনে

ভদ্র সাজলো🐸.....

পর্ব---১৬


'এই সন্তান নাকি আমার না! তোমার বোন এই কথাটি 

বলতেছে বার-বার?

এইটা কেমন মজা হ‍্যাঁ।


'আরে পাগলি ও একটু দুষ্টু প্রকৃতির মেয়ে 

তাই তোমার সঙ্গে একটু মজা 

নিয়েছে বুজছো।


'হ‍্যাঁ বুজছি। কিন্তু তোমার বোনকে বলে দিবা পরবর্তীতে 

যেনো আমার সন্তান নিয়ে এমন মজা না করে।

এটা আমার কলিজার টুকরা সন্তান।


'তুমি চিন্তা করিওনা।

ওর কখনো তোমাকে এই কথা বলবেনা। 


'মনে থাকে যেনো।

(কথাটি বলেই আব্দুলের বউ একটি রুমে চলে যায়)


'তখন চৈতি জিঙ্গেস করে "এতো খারাপ মানুষটাও তার

বউয়ের কাছে এটতটা ভদ্র হতে পারে।

ভাবতেই পাচ্ছিনা।


'চল বাহিরে চল।(আব্দুল)


'বাহিরে যাবো কেনো। আমি তো এসেছি আমার সন্তান 

কে ফিরিয়ে নিতে। 

এতো সহজেই চলে যাবো আমি।


'তোর কতো টাকা চাই এই সন্তানের বদলে 

সেইটা আমাকে খুলে বল।


'কেনো?


'কারন এই সন্তান আমি লালন-পালন করতে চাই। 

তুই ভূলে যা। 


'হাহাহ।হাহাহা।আহহাহাহ।


'হাসতেছিস কেনো। কতো টাকা লাগবে আমাকে বল

সবটা দিয়ে দিবো।


'আমার টাকা চাইনা।


'তাহলে কি চাই।


'আমার সন্তান কে আমি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই। 

বিনিময়ে আমাকে যা করতে হবে

তাই করবো।


'এইটা কখনোই সম্ভব না।


'এই চৈতির কাছে অসম্ভব বলতে কিচ্ছুনেই।

সব কিছুই আমার কাছে সম্ভব। 


'দেখ চৈতি আমি সত্যি ভদ্র ভাবে বলতেছি। তুই টাকা

নিয়ে এখানে থেকে চলে যা। 

নাহলে?


'নাহলে কি।


'তোকে এখানেই শেষ করে দিবো।


'এইটা কখনোই সম্ভবনা। কারন চৈতি জানে আব্দুল তার বাড়িতে কখনোই হত‍্যা করেনা।

কারন সে তার বউকে ভয় পায়।


'তুই এইটা জানলি কিভাবে বল।


'যেনেছি কোন এক ভাবে। 

এখন বল তুই তোর বউয়ের সামনে এমন হাজি সেজে থাকার নাটক করিশ কেনো।


'তোকে বলার প্রয়োজন মনে করিনা। এখন তুই যাবি

কিনা সেইটা বল আমাকে।


'যাবো কিন্তু আগে বল বউকে ভয় পাস কেনো। 


'সত‍্যি যাবিতো।

নাকি পরবর্তীতে কাহিনি করবি।


'যাবো।


'আসলে আমার বউয়ের নাম হলো মিথিলা ওর বাবা

বতর্মান আমাদের দেশের তথ‍্য মন্ত্রী।

এই মিথিলা মেয়েটি এতোটাই ভালো আর সৎ যা বলার মতোন না। 

তাই আমি ওকে সন্মান এবং ভালোবাসি।


'ওহ। এর জন‍্যেই বুজি ওর সামনে ভালো সাজার 

নাটক করিশ।


'হ‍্যাঁ।


'শুধুমাত্র এই জন‍্যে না। আরো কাহিনী আছে।

সেইটা এখন আমার মুখে শুনবি।


'মানে। 


'তুই যে তথ‍্য মন্ত্রীর মেয়েকে কেনো বিয়ে করেছিস

সেইটা আমি জানি। 


'কি জানিস। 


'তুই এবং মিথিলার বাবা দুজনেই খারাপ কাজ করিশ।

আর সেই গুলা যদি মিথিলা জানে তাহলে 

মুহূর্তেই তোর মুখে পারা দিয়ে চলে যাবে।


'বাহ তোর মাথায় সত‍্যি ট‍্যালেন্ট আছে। 

এখন বাসা থেকে চলে যা।


'নাহ এখন তো চলে যাবোনা।


'কিন্তূ তুইতো বলেছিলি চলে যাবি। সব কিছু শুনে।


'অবশ‍্যই চলে যেতাম।

কিন্তু তুই আমাকে মিথ্যা বলেছিস। যার কারনে এখন 

আর চলে যাবোনা আমি।


'শোন আমার মাথায় রাগ উঠাসনা কিন্তু।


'উঠলেও তুই আমার কিচ্ছুই করে পারবিনা। যতোক্ষন 

এই বাড়িতে আছি আমি।


'তোর গাল' পিঠে যেভাবে ব্লেট দিয়ে কেটে লবন দিয়েছে। ঠিক সেই ভাবে কেটে আমি এইবার

মরিচের গুরা দিবো।


'চেষ্টা করে দেখনা।


'চৈতির এমন কথায় আব্দুল বেশ রাগান্বিত হয়ে যেইনা মারতে যাবে এমন মুহূর্তে চৈতিও বুদ্ধি করে। 


'মিথিলা ভাবি বলে ডাক দেয় " সেই ডাক শোনার সঙ্গেই

মিথিলাও চলে আসে।

এসেই"


'এই কি হয়েছে। কে ডাকলো আমাকে।


'ভাবি আমি ডেকেছি আপনাকে।

ভাইয়া ডাকতে বললো।


'ওহ।

বলো কি বলবা। আমার সন্তানকে ঘুম পাড়াবো।


'দেখোনা ভাবি সবে মাত্র আসলাম অসুস্থ শরীর নিয়ে।

ভাইয়া বলতেছে এখনি চলে যা।

আমিতো এখানে এসেছি থাকার জন‍্যে।


'আরে-না তোমার ভাইয়া এমনি ফাজলামি করছে। 

তুমি আসো আমার সঙ্গে। 


'কথাটি শুনেই চৈতি সুযোগে সৎ ব‍্যবহার করে।

মিথিলার সঙ্গে চলে যায়।


'যা দেখে আব্দুল থ হয়ে দারিয়ে থাকে।

কিন্তু কিচ্ছু বলতে পারেনা।


'এই দিকে চৈতি মিথিলার সঙ্গে রুমে এসেই জিঙ্গেস করে "ভাবি আপনি-না অনেক সুন্দর।

আমার ভাইয়া যে তোমাকে কিভাবে পেলো।


'তাই পরেশুনিও ওই সব।

এখন ফ্রেশ হয়ে আসো দেখি। 


'ঠিক আছে'

কিন্তু ওয়াশ রুমটি কোন দিকে।


'এইতো এই দিকে'

সামনে গিয়ে বাম পাশে।


'মিথিলার মুখে কথাটি শুনে চৈতি ওয়াশ রুমে 

চলে আসে। তো ওয়াশ রুমে এসে যেইনা শরীর থেকে পোশাক গুলা খুলে।

যেইনা একটু পানি দিয়েছে। আর সাথে সাথেই কাটা 

যায়গা গুলা শির-শিরিয়ে উঠতেছে।


'তবুও অনেক কষ্ট করে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে চলে আসে।

আবার বাহিরে এসে মিথিলাকে জিঙ্গেস করে। 


'ভাবি আপনি আপনার সন্তান কে এতো ভালোবাসেন 

কেনো জানতে পারি। 


'কেনো ভালোবাসি সেইটা তোমার ভাই 

তোমাকে বলেনি কখনো।


'নাহতো কখনোই বলেছি।

বলুন না আপনি।


'আসলে ডাক্তার বলেছিলো আমি কখনোই মা হতে 

পারবোনা। কিন্তু হঠাৎ করে কিছুদিন আগে মাথা ঘুড়ে পরে যাই। এর পরে আমার যখন ঙ্গান ফিরে তখন দেখতে পাই এই সন্তানটি আমার কাছে। 

তখন তোমার ভাইকে জিঙ্গেস করি এই সন্তান কার।

কোথা থেকে আসলো। 

তখন তোমার ভাইয়া বলে এই সন্তান নাকি আমার।

জিঙ্গেস করলাম আমি তো কখনো মা হতে 

পারবো না তাহলে। এই সন্তান আমার কি করে হলো।

তখন সে বললো এই বাচ্ছাটি হওয়ার সময় ওর মা 

মারা গিয়েছে তাই আমরা দত্তক নিয়েছি।

এখন থেকে আমরাই নিজের সন্তানের মতো মানুষ করবো। বুঝছো এখন তুমি।


'হ‍্যাঁ বুজতে পেরেছি। 

সত‍্যি ভাবি আপনি অনেক ভালো। 


'আরেনা- আমার থেকেও বেশি তোমার ভাইয়া ভালো।যাকে বলে মানবতার ফেরিওয়ালা।

তোমার ভাই সব সময় গরিব দুঃখীদের পাশে দারায়। 

ওদের ঘর বাড়ি তৈরি করে দেয়।

সত‍্যি বলতে তোমার ভাইয়ার মতো জীবন সঙ্গী পেয়ে 

আমার জীবনটা সাত্থক।


'ওহ। (শুধুমাত্র আমার পোরা কপার) মনে মনে?


'কিছু বললা।


'আরে না কি বলবো।

তবে একটি কথাই বলতে চাই আমার ভাইয়া ভাবি দুজনেই অনেক ভালো।


'তুমিও অনেক ভালো?


'ভাবি আমি কিন্তু তোমাদের সঙ্গে অনেক দিন থাকবো

আমাকে যাইতে বলবানা। 

আমার যেইদিন মন চাইবে সেই দিন যাবো।


'পাগলি মেয়ে একটা! 

তোমার যেইদিন ইচ্ছে হয় ঠিক সেই দিনেই যেও। তার আগে তোমাকে কেউ যাইতে বলবেনা।


'যদি ভাইয়া বলে তাহলে।


'আমি তোমার ভাইয়াকে বারন করবো সমস্যা নেই। 

ওহ তোমাকে কিচ্ছু বলবেনা।


'ধন‍্যবাদ ভাবি।

আচ্ছা আমি কি বাচ্ছাকে কোলে নিতে পারি।


'অবশ‍্যই নিবা। 

কিন্তু এখন ও ঘুমাইতে পরে নিও। 


'কথাটি শেষ হওয়ার সঙ্গেই আব্দুল রুমের ভিতরে প্রবেশ করে। 


'তা দেখে চৈতি বলে'

ভাইয়া তোর বাচ্ছাটী কিন্তু বেশ সুন্দর। 

ঠিক দেখতে আমার মতোন। 


'একটু বাহিরে যা। তোর ভাবির সঙ্গে আমার কিছু 

কথা আছে।


'আমি থাকলে কী হবে। 

আমিতো পর-না। তোমার বোন লাগি।


'বেশি কথা বলিশনা। তোকে যেইটা বলছী সেইটা কর।


'দেখছো ভাবি।

তোমার স্বামী আমাকে দেখতেই পাচ্ছেনা। 


'চৈতির কথাটি শুনে ওর ভাবি বললো "এই থাকনা 

ওতো আমাদের নিজের লোক। 


'এতো কথা পছন্দ করিনা। 

বলছিনা বাহিরে যেতে বাহিরে যা।


'আচ্ছা তুমি বাহিরে যাও। তোমার ভাইয়া কি বলে তোমাকে পরে বলবোনি।


'ঠিক আছে ভাবি।

'কথাটি বলেই চৈতি বাহিরে চলে আসে। 


'এই দিকে আব্দুল মিথিলাকে বলে?

শোন মিথিলা তুমি এই চৈতির থেকে দুরে থাকবে।


'আশ্চর্য কেনো দুরে থাকবো।

মেয়েটা অনেক ভালো। এছাড়া তোমার বোন হয়।


'আমার যাই হোকনা কেনো।

তোমাকে দুরে থাকতে বলেছি তুমি দুরে থাকবা।


'কখনোই না। 


'প্লিজজজ বোঝার চেষ্টা করো। ওই মেয়েটি তেমন 

সুবিধার না।

আমাদের যেকোন সময় ক্ষতি হতে পারে।


'তুমি চিন্তা করিওনা। 

আমি সব কিছু সামলিয়ে নিবো।


'কথাটি যেনো মনে থাকে। 

পরবর্তীকালে কীছু হলে আমাকে দায়ি করতে পারবেনা


'বুঝতে পেরেছি।

তুমি চিন্তা মুক্ত থাকতে পারো।


'ওকে।


'কথাটি বলে আব্দল বাহিরে এসে দেখে 

হাসিব এসেছে।


'হাসিব তুই কখন আসলি ভাই।(আব্দুল)


'এইতো ভাইয়া মাত্রই আসলাম। 

কিন্তু আমাদের বাড়িতে আমাদের শত্রু কি করতেছে।

সেইটা আগে বলো।


'তোকে পরে সব কিছু খুলে বলবো।

কিন্তু তার আগে এই শত্রুকে বাড়ির বাহিরে বের করার 

ফন্ডী আটেক? 

(কথা গুলো চৈতির সামনেই বলতেছে)


'তোমরা দুই ভাই আমাকে কখনোই এই বাড়ির বাহিরে 

বের করতে পারবেনা। 

এইটা আমার চ‍্যালেন্স?


'তুই বের হবি নাকি হবিন। 

সেইটা আমি দেখতেছি। ভাইয়া তুমি চিন্তা করিওনা।


'ঠিক আছে। 


'তো চৈতি তখন কোন কথা না বাড়িয়ে সোজা মিথিলা রুমে চলে আসে। 

মিথিলা চৈতীকে দেখে একটু ইগনোর করার চেষ্টা করে। 

কারন আব্দুল একটু আগে সতর্ক থাকতে বলেছে।


'তো এর পরে এইভাবে ২দিন কেটে যায়। 

কিন্তু চৈতি আর কোথাও যায়না। 

সব সময় মিথিলার সঙ্গেই থাকে।


'এই দিকে মিথিলাও স্বামীর কথা বাদ দিয়ে চৈতিকে

বিশ্বাস করতে শুরু করে।

কারন চৈতির কথা বার্তা ব‍্যবহার মিথিলাকে

মুগ্ধ করেছে।


'৩দিনের মাথায় দুপুর বেলা অতিরিক্ত গরম লাগার 

কারনে মিথিলা চৈতিকে বললো।


'চৈতি বাচ্ছাটিকে একটু দেখিও 

আমি গোসল করে আসতেছি কোথাও যেওনা আবার।


'ঠিক আছে ভাবি চিন্তা করবেন না।

আপনার সন্তান কে আমি আগলে রাখবো।


'হ‍্যাঁ জানি।


'কথাটি বলেই মিথিলা চৈতির হাতে সন্তানকে দিয়ে 

গোসল করার জন‍্যে ওয়াশ রুমে চলে যায়। 


'এর পরে!

'প্রায় ২০ মিনিট পরে গোসল করে ওয়াশ রুম থেকে

বাহিরে এসে দেখে চৈতি নেই?

এদিক ওদিক খুজতে থাকে কিন্তু কোথাও 

খুজে পায়না।


'এমন মুহূর্তে হাসিব মিথিলার সামনে এসে 

বলে এই বাচ্ছাটি......

১৮ পর্ব লিংক 👇

http//wwwhasibstoryserathegolpo


0 Post a Comment:

Post a Comment