সেই_রাতের_গল্প পর্ব--১৭,১৮ ও ১৯

সেই_রাতের_গল্প 

পর্ব--১৭,১৮ ও ১৯

কাহিনী ও লেখনীতে: মি_হাসিব Golpo




'ভাবি এই সন্তানটি আপনার না। 

এই সন্তানটি হলো চৈতির! তাই ওর সন্তান নিয়ে ও 

পালিয়ে গিয়েছে।


'তুমি এই সব কি বলতেছো হাসিব।

এই সন্তান আমার।

(মিথিলা বলতে আব্দুলের বউ কথাটি বললো)


'সত‍্যি ভাবি।


'আর একবার এই কথাটি উচ্চারন করলে আমার থেকে খারাপ কিন্তু কেউ হবেনা।


'সত‍্যিটা মেনে নিলে আপনার সমস্যা কোথায়।

বিশ্বাস না হলে ভাইয়াকে 

জিঙ্গেস করিয়েন। 


'কথাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে মিথিলা হাসিবকে কশে 

একটি থাপ্পড় দেয়।


'ঠাসসস।ঠাসসস। 

তোমার লজ্জা থাকা উচিৎ। তোমার ভেবেছিলাম অনেক ভালো একটি ছেলে কিন্তু তুমি।


'মিথিলার কথাটার মধ‍্যেই পিছন থেকে 

কেউ একজন বলে উঠলো।

ভাবি আমার গোসল করা কি শেষ হলো।


'কথাটি শুনেই পিছনে ঘুরে দেখে চৈতি বাচ্ছাটিকে কোলে নিয়ে আছে। 

যা দেখে মিথিলা বলে।


'চৈতি তুমি কোথায় গিয়েছিল।

আমার সন্তান কে নিয়ে।


'এইতো ভাবি একটু সাদের উপরে গেয়েছিলাম। ভাবলাম আপনি গোসল করতেছেন।

তাই বাচ্ছাটিকে একটু ঘুরে দেখাই।


'আমাকে বলে যাবেনা তুমি।


'আসলে আপনি গোসল করছিলেন তাই বলিনাই।

আচ্ছা এই জন‍্যে সরি।


'ঠিক আছে 

মাপ চাইতৈ হবেনা। 


'ধন‍্যবাদ ভাবি।


'দেখেছো হাসিব চৈতি মেয়েটা কতোটা ভালো।

আর তুমি বলেছো আমার সন্তান কে নিয়ে 

পালিয়ে গিয়েছে।


'সরি। 


'শোন এই সন্তান হলো আমার।

তোমার ভাইয়ের নিজের সন্তান আমাদের বংশের 

প্রদিপ। আর কখনো এমন খারাপ মন্তব্য করবেনা।


'কি হয়েছে ভাবি।

হাসিব আপনাকে কি বলেছে।


'থাক বাদ দাও এই সব।চৈতি তুমি আমার সঙ্গে ভিতরে 

আসো কিছু কথা আছে। 


'মিথিলার কথাটি শুনে 

চৈতি পিছে পিছে চলে যায় ওদের রুমে। 

তো রুমে পৌছানোর সঙ্গে সঙ্গে মিথিলা বলে উঠে।


'আচ্ছা চৈতি তোমাকে একটি প্রশ্ন করি' আশা করি সত্যটা বলবা।


'হ‍্যাঁ ভাবি বলুন। 


'এই বাচ্ছাটি কি সত্যি তোমার নাকি আমার।


'হঠাৎ এমন অদ্ভুত প্রশ্নের 

কারন কী ভাবি।


'তোমাকে যা বলছি শুধুমাত্র তারি উত্তর দিবা।

অন‍্য কোন কথা শুনতে চাইনা।


'ভাবি এই বাচ্ছাটি সত্যি আপনার।

আমার তো এখন পযর্ন্ত বিয়েই হয়নি তাহলে বাচ্চা হবে

কীভাবে বলুন।


'তাহলে সেই দিন তুমি বললে এই বাচ্ছাটি তোমার।

আবার আজ হাসিব বলতেছে এই 

বাচ্ছাটি তোমার। 

সত্যি বলতে আমি কিচ্ছুই বুজতে পাচ্ছিন।


'আরে ভাবি আমি এবং হাসিব দুজনেই আপনার সঙ্গে 

মজা করেছি। 

আপনি বুজতেই পারলেন না। 

হাহহা।হাহাহ।হাহাহ।


'সত‍্যি মজা করছো তো।


'হ‍্যাঁ সত‍্যি মজা করছি আমি। তবে একটি কথা আমি এবং হাসিব দুজন দুজনে ভালোবাসি।


'কিইইইইই?


'হ‍্যাঁ ভাবি! প্লিজজজ আপনি একটু আব্দুল ভাইয়াকে 

মানিয়ে নেন না। 

উনি রাজি হলেই আমাদের বিয়েটা হবে।


'তোমাদের সম্পর্কটি কতো দিনের। 


'এইতো প্রায় ৬ বছর হবে।

এখন ভাবতেছি বিয়ে করবো কিন্তু আব্দুল ভাইয়া

রাজি হচ্ছেনা।


'এই সব কিছু আবার হাসিব বাহির থেকে শুনতেছিলো।

আর ভাবতেছিল চৈতি আমাকে 

ভালোবাসে বুজলাম।

কিন্তু ৬ বছরের সম্পর্ক এইটা কেমনে কি। 

নাকি ওর মনে কোন প্লান চলতেছে ভাইয়াকে নিয়ে।


'ঠিক আছে তোমাদের ভাইয়াকে আজকেই 

আমি রাজি করাবো এবং কাল তোমাদের বিয়ে হবে।


'সত‍্যি বলতেছেন ভাবি আপনি।


'হ‍্যাঁ সত্যি বলতেছি।


'ধন‍্যবাদ আমার লক্ষি ভাবিটা।

আমাদের এক করে দেয়ার জন‍্যে।


'আরে ধন্যবাদ দিতে হবেনা। বিয়ের পরে শুধুমাত্র তুমি এখানে থাকলেই হবে।


'এই কথা শুনে চৈতি মনে মনে বলতে থাকে।

আরে আমিতো এটার জন‍্যেই হাসিব কে বিয়ে করতেছি


'কী হলো চৈতি কি বির-বির করতেছো।


'নাহ ভাবি একটি জিনিস ভাবতেছি। তোমাদের সঙ্গে 

থাকতে পেলে নিজেকে ভাগ‍্যবান মনে করবো।

কিন্তু আব্দুল ভাইয়া জানি কি করে।


'তুমি টেনশন করিওনা।

তোমার ভাইয়াকে মানার দায়িত্ব আমার।


'ঠিক আছে।

আমি এখন একটু বাহিরে যাই। 


'হুম।


'এর পরে চৈতি রুমের বাহিরে আসতেই দেখতে পায় 

হাসিব এখনো কান পেতে আছে।

যা দেখে চৈতি জিঙ্গেস করে।


'কি ব‍্যপার এমন কান পেতে কী শুনছো।


'সত‍্যি কি চৈতি তুমি আমাকে ভালোবাসো। নাকি মিথ্যা 

অভিনয় করতেছো।


'স‍ত‍্যি তোমাকে ভালোবাসি। 

তোমার মাঝে মনুষ্যত্ব আছে যেটা তোমার ভাইয়ের 

কাছে নেই। 

এই জন‍্যে আমি চাই তোমাকে নিয়ে সারাটি জীবন 

কাটাতে। 


'আমার না সত্যি বিশ্বাস হচ্ছেনা। 

মনে হচ্ছে স্বপ্নের সাগরে ভেসে যাচ্ছি।


'স্বপ্ন না এইটা।

বাস্তব কাহিনী বুজলে।


'সবি বুজলাম কিন্তু আমাকে তো এখনো সম্পর্ক হয়নি 

তাহলে ভাবিকে কেনো বললে আমাদের 

৬ বছরের সম্পর্ক। 


'আরে পাগল এইটা না বললে কি ভাবি রাজি হতো নাকি  আমাদের বিয়ে দিতে।


'ওহ তাইতো।


'শোন আমি যা যা বলবো তুমি  সব কিছুতেই হ‍্যা 

বলবে।

এতে সবাই বুজবে নিশ্চয়ই আমাদের মধ‍্যে গভির 

সম্পর্ক আছে। 


'ঠিক আছে। 


'তো এর পরে সকাল গরিয়ে দুপুর হলো, দুপুর গরিয়ে আবার রাত হলো. রাত যখন ১১টা বাজে এমন মুহুর্তে 

আব্দুল তার রুমে আসে। 

এসেই মিথিলাকে জিঙ্গেস করে।


'মিথিলা কেমন আছে আমার 

সন্তান। 


'আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছে। 

আচ্ছা সারা দিন কোথায় থাকো তুমি  হ‍্যা। কোন খোজ

খবর নেই তোমার।


'আরে কাজে ব‍্যস্ত ছিলাম। 

কেনো কিছু সমস্যা হয়েছে নাকি সেইটা বলো। 


'সমস‍্যা তো হয়েছে একটি।

তুমি চাইলেই তার সমাধান হবে।


'আশ্চর্য আমি চাইলে সমাধান হবে মানে। কি বলতে 

চাও তুমি।


'তুমি কি জানো হাসিব এবং চৈতি একে অপর 

কে ভালোবাসে ৬ বছর ধরে।

এখন তারা বিয়ে করতে চাচ্ছে কিন্তু তোমার ভয়ে সেইটা করতে পাচ্ছেনা। 


'কি বলো এই সব তুমি?


'হ‍্যা গো হ‍্যা সব সত্যি বলতেছি। বিশ্বাস না হলে ওদের মুখেই শুনিও তুমি।


'আচ্ছা বাদ দাও এই সব।


'শোন চৈতি মেয়েটা কিন্তু খুবেই ভালো।

নমরো ভদ্র দেখলেই বুজা যায়। আমি চাচ্ছি তুমি কাল 

ওদের দুজনের বিয়ে দিবা। 


'এইটা কখনোই সম্ভব না।


'কেনো সম্ভব না সেইটা আগে বল।

ওরা দুজনেই দুজনের জন‍্যে পারফেক্ট বুজলে।


'তবুও। 


'এতো কিছু জানতে চাইনা। আমি বলছি ওদের কাল বিয়ে দিবে তো বিয়ে দিবে।

এইটা আমার শেষ কথা বুজলে।


'তুমি এমন করো কেনো মিথিলা।


'বেশি কথা বলতে পারবোনা। 

আমি যেটা বলেছি সেটাই করবে। আর হ‍্যা বিয়ের পরে 

ওরা আমাদের সঙ্গেই থাকবে 


'না।


'ঠিক আছে কালকেই আমি বাবার বাড়িতে চলে যাবো।

তখন মজা বুজবে।


'বউয়ের মুখে এমন কথাটি শুনে।

সঙ্গে সঙ্গেই আব্দুল বলে উঠে।


'বউ চিন্তা করিওনা।

তুমি যেইটা চাচ্ছো সেইটা হবে।

তবুও চলে যেওনা আমাকে ছেরে। তোমার বড্ড বেশি 

ভালোবাসি আমি।


'এইতো আমার লক্ষি স্বামী টা উম্্হাহাহ।


'তুমি খুশি হয়েছো মিথিলা।


'হ‍্যাঁ অনেক খুশি হয়েছি।

জানো ওরা দুজনে বাড়িতে এসে মনে হচ্ছে বাড়িটা 

পরিপুর্ণতা পেয়েছে। 


'ঠিক আছে কালকেই ওদের বিয়ে দিবো।

কাজি অফিসে নিয়ে গিয়ে। 

এখন ঘুমিও পরো তুমি।


'ঠিক আছে স্বামী।


'এর পরে দুজনে ঘুমিয়ে পরে। 

পরের দিন সকাল বেলায় আব্দুল চৈতি এবং হাসিব কে একত্রিত করে বলে।


'চলো কাজী অফিসে।


'এই কথা শোনা মাত্রই চৈতি বলে উঠলো।

নাহ আমি কাজি অফিসে যাবোনা।

কাজিকেই এখানে আনা হোক।এই বাড়িতেই বিয়েটা হবে আমাদের।


'কাজি এখানে আসবেনা।

চলো দুজনে কাজি অফিসে। এখানে থেকে 

বেশি দুরেনা। 


'বললাম তো যাবোনা।


'চৈতির এমন কথা শুনে মিথিলা বলে "শোন চৈতি এমন

পাগলামি করলে কখনোই নিজের মানুষটিকে আপন করে কাছে পাবেনা।

আমি ও বলতেছি কাজি অফিসে গিয়ে বিয়েটা সম্পুর্ণ করে আসো।


'কিন্তু।


'কোন কিন্তু নেই তোমাকে যেইটা বলছি ওটাই করো। 

এই মুহূর্তে। 


'চৈতি মনে মনে ভাবতে থাকে এই বাড়ির বাহিরে গেলে আর কখনোই এই বাড়িতে আমার আসা হবেনা।

কারন রাস্তায় এরা আমাকে শেষ করে ফেলবে।


'তবুও চৈতি একটি রিক্স নিয়েই নেয়। 


'হ‍্যা ঠিক আছে চলুন?


'এর পরে আব্দুল কিছু লোক নিয়ে হাসিব এবং 

চৈতিকে নিয়ে বাড়িতে থেকে বেরিয়ে কাজি অফিসের দিকে রহনা দেয়। 


'তো কিছুদুর যাওয়ার পরে একটি ফাকা স্থানে গাড়ি গুলা হঠাৎ ব্রেক করে। 


'চৈতি জিঙ্গেস করে। 


'গাড়িটা এখানে থামানো হলো কেনো। 

কোন কি সমস্যা হয়েছে। 


'চৈতির কথাটি শেষ হওয়া মাত্রই আব্দুল......


 

  পর্ব--১৮


'এই কু'ত্তা'র বাচ্ছা গাড়ি থেকে নাম। 

তুই কি ভেবেছিস তোকে হাসিবের সঙ্গে বিয়ে দিবো।


'আশ্চর্য ভাইয়া তুমি এমন বিহিব 

করছো কেনো আমার সঙ্গে-সেইটা আগে বলো।


'ভাইয়া বললে লজ্জা করেনা।

এই তোর আমি কিসের ভাইয়া হ‍্যা।


'আল্লাহ নিজের চাচাতো বোনকে কেউ এইভাবে 

বলে নাকি হ‍্যা।


'কিসের বোন তুই আমার।


'এই কথাটি শুনে চৈতি হঠাৎ করেই বলে উঠে 

'দেখছো ভাবি ভাইয়া আমাকে কিভাবে 

অপোমান করেছে।


'ভাবি কথাটি শুনেই আব্দুল চমকে উঠে।


'ভাবি মানে।

এই তুই কাকে ভাবি বলতেছিস এখানে। আমার বউ

মিথিলা তো বাড়িতে।


'হ‍্যাঁ কিন্তু আমরা ভিডিও কলে কথা বলতেছি।

তোমার সব কথা ভাবি শুনতেছে।


'কথাটি শোনা মাত্রই 

আব্দুল বলতে থাকে। "চৈতি বোন আমার- আমার নাটকটি কেমন লাগলো তোর। 


'হ‍্যা ভালো লেগেছে। 

এই নাও ভাবির সঙ্গে কথা বলো। 


'কথাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আব্দুল ফোনটি হাতে 

নিয়ে বলে "আরে মিথিলা তুমি ভিডিও কলে।


'হ‍্যা আমি ভিডিও কলে। 

তুমি একটু আগে কী বললে চৈতিকে। 


'আরে আমি এমনি ফাজলামি করছি। 

আমার বোন যদি আমি একটু দুষ্টুমি করি না করি তাহলে কে দুষ্টুমি করবে। 


'তাই বলে এই ভাবে।

আমি তো ভয়েই পেয়েছিলাম।


'আরে ভয়ের কিচ্ছু নেই। 

এই নাও চৈতির সঙ্গে কথা বলো। 


'শোন পুরো বিয়েটা আমি এই ভিডিও কলে দেখবো।

ফোন যেনো কাটা না হয়।


'ঠিক আছে।


'কথাটি বলেই আব্দুল ফোনটি চৈতিকে দিয়ে দেয়। 


'ধন‍্যবাদ ভাবি ভাইয়াকে এইভাবে শাসন করার জন‍্যে

আর একটু হলেই তো আমি শেষ হতাম।


'ভয় পেওনা আমি আছি তোমার সঙ্গে ভিডিও কলে।


'ঠিক আছে ভাবি। 


'এর পরে আব্দুল বাদ্ধ ছেলের মতো কাজি অফিসে নিয়ে যায় হাসিব এবং চৈতিকে। 


'তো কাজি অফিসে আসার পরে আব্দুল এবং হাসিব একটু বাহীরে এসে কথা বলে। 


'ভাইয়া এখন কি হবে। 


'শোন কাজি অফিসে যখন এসেই গিয়েছি 

তাহলে তুই চৈতিকে বিয়েটা করেই ফেল। এর পরে বাড়িতে গিয়ে বাকি কাজ হবে। 


'কীন্তু ভাইয়া।


'কোন কিন্তু নেই।

তোর ভাবি যদি শুধুমাত্র কলটি কেটে দিতো তাহলেই

এই সয়তান টাকে এখানেই শেষ করে দিতাম।


'কেনো তুমি ভাবিকে ভয় পাও। 


'ভয় পাইনা।

কিন্তু ওর বাবা একজন মন্ত্রী। ওর বাবার পাওয়ারের জন‍্যে আমি এখন পযর্ন্ত টিকে আছি।

এই জন‍্যে কিছু বলিনা ওকে। এছাড়া আমি যে এতো খারাপ কাজ করি সে এই সবের কিচ্ছুটি জানেনা।


'ওহ।


'হ‍্যা তুই কিচ্ছু মনে করিশনা। খুব শিগ্রই এই সয়তানটাকে শেষ করে অন‍্য কোথাও তোর বিয়ে দিবো।


'ঠিক আছে ভাইয়া। 


'এর পরে দুই ভাই প্লান করে ভিতরে চলে আসে। 

এবং এসে দেখতে পায় চৈতি এখনো ভিডিও কলে মিথিলার সঙ্গেই কথা বলতেছে।


'তো কোন উপায় না পেয়ে আব্দুল চৈতির এবং হাসিবের বিয়েটা সম্পূর্ণ করে কাজি অফিসেই।


'এর পরে গাড়ি নিয়ে সোজা বাড়িতে চলে আসে। 

এসেই চৈতি মিথিলা কে জরিয়ে ধরে বলে থাকে।


'ভাবি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ 

আমার প্রিয় মানুষটাকে আমার করে দেয়ার জন‍্যে।


'আরে থাক আর বলতে হবেনা। 

অনেক রাত হয়ে এসেছে এখন ঘুমাইতে যা। তোদের দুজনের জন‍্যে সুন্দর করে বাসর ঘর সাজানো হয়েছে।


'কী বলো ভাবি।


'হুমমম। 

চল এখন আমার সঙ্গে রুমে নিয়ে যাই।


'হাসিবকে ডাক দেই।

তার পরে দুজনে এক সঙ্গে বাসর ঘরে ডুকবো।


'বা-বাহ কি মহব্বত স্বামীর জন‍্যে।

বিয়ে হতে না হতেই এক সঙ্গে ছাড়া ঢুকবেনা 

বাসর ঘরে। 

যাও তোমার নাগর কে ডাক দাও আমি 

অপেক্ষায় আছি।


'কথাটি শুনেই চৈতি বাহিরে এসে হাসিব- হাসিব বলে চিৎকার করে। 

মুহূর্তেই হাসিব উপস্থিত হয়ে বলে।


'হ‍্যা বলো কী হয়েছে।

এমন চিৎকার করে ডাকছো কেনো।


'চলো বাসর ঘরে।

ভাবি আমাদের জন‍্যে অপেক্ষায় করতেছে। 


'কিসের বাসর ঘর হ‍্যা। 


'আরে আমাদের তো আজ বাস ঘর চলো দুজনে আজ 

ভালোবাসায় পাগল হয়ে যাবো। 


'চৈতির এমন কথা শুনে পাশ থেকে আব্দুল এসে

বলতে থাকে "শোন তুই যতোই কাহিনী বা অভিনয় করনা কেনো আমাদের কিচ্ছু করতে পারবিনা। 


'হাহা।হৃহাহ।হাআহ। কিচ্ছু করতে পারি কি 

পারিনা সেইটা সময় বলে দিবে। 

তোর ভাইয়কে শুধুমাত্র বিয়ে করলাম এখনো অনেক 

খেলা বাকি।

তুই বুজতেই পারবিনা তোর সঙ্গে কি হতে যাচ্ছে।


'আচ্ছা সেটাই দেখা যাবে। 

তুই আমার কি করিশ।


'তোর দিন খুব তারা তারি শেষ হতে যাচ্ছে। 

আমার সন্তান কে তোর বউকে দিয়ে বলেছিস এইটা আর সন্তান।

আমাকে ধর্ষন করেছিস।

অন‍্য পুরুষের দারায় শরীর কাটিয়ে লবন দিয়েছিস।

কিভেবেছিস সব কীছু আমি মুহূর্তেই ভুলে যাব।


'ইশশশ সোনা-গো আমার?

এইটুকুতেই এতো কাহিনি এখন পযর্ন্ত আমার আসল চেহারাই তো দেখতে পারিসনি।


'দেখা যাকে কে জিতে কে হারে। 


'আমার চোখের সামনে থেকে দুর হয়ে যা বেয়াদব মেয়ে কোথাকার।

লজ্জা করেনা অন‍্যের বাড়িতে থাকতে খাইতে।

এই টুকু শিক্ষা তোর পরিবারের লোক দেয়নি।


'হাহহা তুই যতোই আমাকে তিক ধরা কথা বলনা 

কেনো আমি এই বাড়ি সেই মুহূর্ত পযর্ন্ত ছারবোনা যেই মুহূর্ত পযর্ন্ত তোর মতো খুনিকে 

এই পৃথিবী ছাড়াতে না পাচ্ছি। 


'তো এমন তর্কা তর্কিতে সেখানে মিথিলা এসে 

উপস্থিত হয়। 


'কি ব‍্যপার চৈতি আমি তোদের জন‍্যে সেই কখন থেকে 

অপেক্ষা করতেছি।

কিন্তু তুমি এখানে তোমার ভাইয়ার সঙ্গে তর্ক 

করতেছো। 


'দেখোনা ভাবি ভাইয়া হাসিবকে বাসর ঘরে 

যেতেই দিচ্ছেনা। 


'এই চৈতি তুমি আমার দোশ দিচ্ছো কেনো আমি তো একটু মজা করছিলাম মাত্র।


'অনেক মজা হয়েছে হাসিব তুমি তোমার বউকে নিয়ে রুমে যাও।

আমি নিজ হাতেই তোমাদের বাসর ঘর সাজিয়েছি। 


'তো মিথিলার কথা মতো হাসিব এবং চৈতি দুজনেই তাদের বাসর ঘরের দিকে চলে যায়।


'তা দেখে মিথিলা বলে'


'স্বামি অনেক সুন্দর মানিয়েছে হাসিব এবং 

চৈতিকে তাই না।


'হ‍্যা সুন্দর মানিয়েছে।


'দোয়া করি আল্লাহ্ যেনো তাদের অনেক 

সুখে রাখে।

কখনো যেনো বিপদ তাদের পাশেই না আসে।


'হ‍্যা। 


'চলো এখন আমরা দুজনে ঘুমাই।


'এর পরে হাসিব এবং চৈতি রুমের ভিতরে ঢুকা 

মাত্রই দেখতে পায় পুরা রুমটি অনেক সুন্দর করে 

সাজানো হয়েছে ফুল দিয়ে। 


'যা তারা ভাবতেই পারেনি। 


'এমন মুহূর্তে হাসিব বলে উঠে "চৈতি তুমি কি সত্যি 

আমাকে স্বামী হিসেবে কবুল করছো।

নাকি শুধুমাত্র আমাকে ব‍্যবহার করার জন‍্যে 

এমন করছো।


'তোমার কী মনে হাসিব। আমি তোমাকে নিয়ে খেলা করতেছি।


'জানিনা। 

তবে সত্যি বলতেছি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি 

চৈতি আমাকে কষ্ট দিওনা। 


'আমার জন‍্যে তোমার পরিবারের সবাইকে 

ত‍্যাগ করতে পারবে। 


'হ‍্যাঁ পারবো। 

কারন এমন খারপ পরিবারের সঙ্গে থাকার চেয়ে

আত্মহত্যা করে নিজের জীবন শেষ করা অনেক ভালো 


'ওহ।

জানো তোমার ভাই আমাকে ধর্ষন করেছে। 


'হ‍্যা সব জানি। 

তোমার সব অতিত জানার পরেও আমি তোমাকে ভালোবাসতে চাই। তোমার হাতে হাতটি রেখে চিরকাল পার করতে চাই।


'বুজলাম।

কিন্তু আমি তোমার ভাইয়াকে সাস্তি দিবো এইটা তুমি 

মানতে পারবে। 


'জ্বী পারবো। পাপ কখন বাপকেও ছাড়েনা।

যে পাপ করেছে তার সাজা তাকে অবশ্যই পেতে হবে।


'ঠিক বলছো। 


'এখন কি করবা।


'কেনো স্বামী স্বামী বাসর ঘরে কি করে জানোনা।

নাকি শিখাই দিতে হবে বলো।


'নাহ শিখাইতে হবেনা। 


'কথাটি বলা মাত্রই হাসিব চৈতিকে কাছে টেনে নেয়।

এবং আলতো করে তার ঠোঁট দুটিতে আপন মনে কিস করতে থাকে।


'বেশ কিছুক্ষন কিস করার পরে 

যেইনা হাসিব চৈতির শরীর থেকে পোশাক খুলতে যাবে এমন মুহূর্তে?


(খারাপ মাইন্ডে নিবেন না)



পর্ব---১৯




'শরীর থেকে যেইনা পোশাকটি খুলতে যাবে 

এমন মুহূর্তে হাসিব লক্ষ করে 

চৈতির পিঠে অনেক ক্ষত স্থান যেই গুলা এখন পযর্ন্ত 

ভালো করে শুখাইনি।


'কি ব‍্যপার চৈতি।

তোমার শরীরে এমন ক্ষতের দাগ কেনো।


'আরে বাদ দাও।

এমন রোমান্টিক মুহূর্তে এমন কথা না বলাই ভালো হবে


'প্লিজজ 

আমি জানতে চাই। আমার বউয়ের এমন অবস্থা 

কে করলো।


'জানলে তাকে কি করবা।


'মে/রে ফেলবো তাকে আমি।

তার মনে কি একটুও মহব্বত নেই।


'তোমার ভাই আব্দুল আমার এই অবস্থা করেছে। 

আমার শরীরের অংশ কেটে কটে 

লবন দিয়েছিলো।

যার কারনে কিছু স্থান এখন পযর্ন্ত শুখাইনি।


'কিইইই আমার ভাইয়া

তোমার এই অবস্থা করেছে।  সরি ও আমার আর 

ভাই না।


'কেনো।


'যেই মানুষটা এতোটা খারাপ কাজ করে।

আর যাই হোক সে আমার ভাই হতে পারেনা কখনো।


'এই বাদ দাও।

আজ আমাদের বাসর রাত।

আর তুমি কি শুরু করছো এখন।


'আচ্ছা বাদ দিলাম।


'হাসিবের কথাটি শেষ হওয়ার আগেই চৈতি তার ঠোঁট দুটি হাসিবের ঠোঁটের সঙ্গে এক করে দেয়। 


'বেশ কিছুক্ষন কিস করার পরে।

হাসিব আলতো করে চৈতির গালে,কপালে, গলায় চুম্মন দিতে থাকে।

এই দিকে চৈতি এমন ঠোঁটের স্পর্শ পেয়ে যেনো 

পাগল হয়ে যাচ্ছে ভালোবাসায়।


'এর পরে হাসিব দুষ্টুমি করে চৈতির 

নাভিতে আলতো করে কিস করে। আর সঙ্গে - সঙ্গেই

চৈতির শরীরের লোম দারিয়ে যায়।

আর নিষ্সাষ ভারি হয়ে আসতে থাকে।


(থাক বেশি গভিরে না যাই। পরে বলবেন হাসিব ভাই আপনি অনেক খারাপ)


'তো পরের দিন চৈতি সবার আগে উঠে গোসল করে 

রান্না কাজে লেগে পরে।

সবাইকে সার প্রাইজ দেয়ার জনে।


'পরবর্তীতে চৈতি রান্না করে ডাইনিং টেবিলে 

সবার জন‍্যে সব কিছু রেডি করে রাখে।

পরে সবাই মিলে যখন খাইতে বসে।

এমন মুহূর্তে চৈতি বলে উঠে।


'আজ রান্নাটি আমি করেছি।

কেমন হয়েছে সবাই একটু বলবেন প্লিজজ। 


'কথাটি শোনা মাত্রই 

আব্দুল গল-গল করে সেখানেই বমি করে ফেলে।

যেটা দেখে সবাই বেশ আশ্চর্য হয়।


'কি হলো তোমার।

হঠাৎ বমি করতেছো কাহিনী কি।


'ভাবি মনে হয় আমার হাতের খাবার গুলা

ভাইয়ার ভালো লাগেনি।

তাই বমি করলো। 


'আরে না বিশ্বাস করো তোমার হাতের খাবার গুলি 

অনেক ভালো হয়েছে।

এছাড়া তোমার ভাইয়াও খাইতেছে।

আমি দেখলাম তো। 


'আরে-না। 

খাবারে কোন সমস্যা নেই। হঠাৎ করেই আজকে কেনো

জানি আমার বমি আসলো।

কিচ্ছু বুজলাম না। 


'সমস‍্যা নেই ভাইয়া 

আপনি ফ্রেশ হয়ে এসে আবার খেয়ে নিন।

আমরা আপনার জন‍্যে অপেক্ষা করতেছি।


'না তোমরা খাও।

আমি এখন আর খাবোনা। দুপুর বেলায় আবার খাবো।


'এমন মুহূর্তে 

হাসিব বলে উঠলো।


'ভাইয়া সত্যি কি আমার বউয়ের হাতের খাবার তোমার 

পছন্দ হয়নি নাকি অন‍্য বিষয় আছে।


'আরে পাগল তোর বউয়ের হাতের রান্না 

বেশ ভালো।


'ওহ।


'তো আব্দুলের এমন কাহিনি দেখে চৈতি বুজতে পারে 

সে কেনো খাচ্ছেনা আর।

কারন চৈতি তাকে মারার জন‍্যে যদি খাবারে বিষ মেশায় এই জন‍্যে।


'তো আব্দুল ওয়াশ রুমে 

যাওয়ার সঙ্গেই মিথিলা বলে উঠে।

কি ব‍্যাপার দেবর বাসর রাত কেমন কাটলো দুজনের।


'ভাবি বলিয়েন না আর।

আপনার দেবর খুবেই দুষ্টুমি করছে আজ।


'ওহ তাই।

হ‍্যা বউয়ের সঙ্গেই তো দুষ্টুমি করবে তাইনা। 


'সেটা ঠিক বলছেন ভাবি। 


'শোন তোমরা দুজনে হানিমুনের জন‍্যে কোথাও 

ঘুরতে যাও।

আমি তোমার ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলে সব কিছু 

ঠিক করে দিতেছি।


'থাক ভাবি 

কোথাও যাওয়া লাগবেনা। আমরা এখানেই ঠিক আছি।


'বেশি কথা বলিওনা চৈতি।

আমি যেইআ বলছি সেইটাই করতে হবে।


'তো মিথিলার এমন কথা শুনে 

চৈতি আর কিচ্ছু বলেনা। কিন্তু চৈতির মনে ভয় ডুকে যায় যদি বাড়ির বাহিরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আব্দুল কোন ক্ষতি করে তাহলে কি হবে।


'কি ভাবছো।


'নাহ ভাবি ঠিক আছে আপনি যেটা বলবেন

সেটাই হবে।


'এইতো লক্ষি মেয়ে।

আচ্ছা তোরা দুজনে খাওয়া দাওয়া করে ভিতরে যা 

আমি তোদের ভাইয়াকে ম‍্যনেজ করতেছি।


'তো কথাটি বলে মিথিলা যেইনা 

চলে গেলো।

ঠিক তখনি হাসিব বলে উঠলো। 


'জান কোথায় যাবে হানিমুনে।

সিলেক্ট করলে কি।


'এইইই আমি এখানে হানিমুন করতে আসিনি।

আমি প্রতিশোধ নিতে এসেছি।

এছাড়া বাড়ির বাহিরে গেলে তোমার ভাই আমাদের 

ক্ষতিও করতে পারে।


'তাহলে এখন 

আমাদের উপায়।


'শোন আমরা অবশ্যই হানিমুনে যাবো।

কিন্তু তোমার ভাইয়াকে সঙ্গে নিবোনা।


'মানে।


'মানে হলো আমরা গাড়ি ড্রাইভ করে যাবো।

তোমার ভাইয়ার কোন হেল্প নিবোনা।

কারন তোমার ভাইয়া সঙ্গে থাকলেই যে কোন একটি সমস্যা হতে পারে আমি সিওর।


'এই তোমার ঠোঁটে কোনে রক্ত 

বের হচ্ছে মনে হয়।


'রক্ত বের হবেনা আবার। 

যতো জোরে কামর দিছো ঠোঁটে রক্ত তো বের হবেই।


'কাছে আসো 

আর একটু কিস করে সব ঠিক করে দেই।


'নাহ বাবা আমার দরকার নেই।

আর ১মাস আমার কাছেও আসার চেষ্টা করবেনা।


'নাগো বউ

এমন কথা বলোনা।

তোমার ভালোবাসা না পেলেযে পাগল হয়ে যাবো।


'ইশশ ঢং দেখলে বাছিনা।

হয়েছে এখন তারা তারি খেয়ে নাওতো।


'ওকে 

লক্ষি বউ।


'এর পরে হাসিব ও চৈতি খাওয়া দাওয়া করে 

রুমের ভিতরে আসা মাত্রই।

মিথিলাও সেখানে চলে আসে।


'এই খাওয়া শেষ 

হলো তোদের দুজনের।


'হ‍্যাঁ শেষ।


'এই নাও ১০লক্ষ টাকার চেক। 

পুরা এক মাস হানিমুন করার পরে বাসায় ফিরবি দুজনে। পরবর্তীতে যদি আরো টাকা লাগে আমাকে ফোন দিস আমি পাঠাই দিবনি।


'এতো টাকা লাগবেনা ভাবি। 

এছাড়া ভাইয়ার এই গুলা কষ্টের টাকা। 


'চৈতি তোমার ভাইয়াই বললো

যদি আরো টাকা লাগে সেইটাও দিবে। তবুও তোমরা 

সুন্দর ভাবে হানিমুন করো।


'মিথিলার এই কথায় চৈতি বুজতে পারে আব্দুল 

কেনো এতো ভালোবাসা দেখাচ্ছে।

আব্দুল চাচ্ছে কোন ভাবে আমি যেনো এই বাড়ির বাহিরে যাই। 


'কি বিন-বিন করছো হ‍্যা। 


'নাহ ভাবি ভাবতেছি ভাইয়ার মনটা কতো বড়।

সত্যি আমর লাকি এমন একজন 

ভাইয়া পেয়ে।


'হাসিব টাকাটি ব‍্যাংকে উঠাই নিও। 

তোমাদের ভাইয়া কোথায় যেন গেল মিটিং এ।

তোমরা অন‍্য একটি গাড়ি নিয়ে হানিমুনে যা।


'আচ্ছা। 


'বাচ্চা কান্না করতেছে

তোরা রেডি হয়ে নি আমি আসতেছি।

কথাটি বলেই মিথিলা নিজের রুমে চলে যায়।


'এর পরে চৈতি ও হাসিব দুজনে রেডি হয়ে মিথিলার কাছে বিদায় নিয়ে।

হানিমুনে আসার জন‍্যে রহনা দেয়।


'প্রায় ৩০ মিনিট পরে।

হঠাৎ করেই একটি গাড়ি তাদের গাড়ির সামনে এসে ব্রেক করে আর। গাড়ি থেকে*****


পরবর্তী পর্বের লিংক👇

http//www.nextpartsedinergolpo.com


0 Post a Comment:

Post a Comment