---আচ্ছা ভাইয়া কল গার্লরা তো প্রতিদিন কতজনের সাথে রাত কাটাই।তাহলে ওদের কেন বাচ্চা হয়না?
---চারু আসলে ওদেরকে এমন একটা মেডিসিন দেওয়া হয়।যেটার মাধ্যমে ওদের বাচ্চা হবার কোনো সম্ভবনা থাকে না।
---ওহ এই ব্যাপার?তাহলে আমাকে তো এমন কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি ভাইয়া?
---এজন্যই তোমাকে হসপিতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
---ও ও ও।আচ্ছা আরেকটা প্রশ্ন......
---চারু একটু চুপ থাকতে পারোনা?সেই কখন থেকে বলেই যাচ্ছো একটু রাস্তাঘাট দেখে চললে হতোনা?
ওদিকে সোহান চারু নিয়ে হসপিতালে পৌছে গিয়েছে।ডাক্তারের কেবিনে ঢুকতেই,,
---কি ব্যাপার সোহান সাহেব হটাৎ করেই চলে এলেন?
---হ্যা বন্ধু একটা জরুরি কাজে আসতে হলো।
---হটাৎ তোর এমন কি কাজ পড়লো?আর তোর সাথে মেয়েটি কে?
সোহান আর কিছু বললো না।চুপিচুপি ইশারাই ডাক্তার শাকিল কে
---চারু তোমার অপারেশনের সময় হয়ে এসেছে।যাও ঔনি তোমাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাবে।
শাকিলকে বেশ ঘর্মাক্ত দেখাচ্ছে।বেশ কিছুক্ষন চুপ থেকে তার সামনে ফাইলটা রেখে,,
---তোকে দেখে আমার খুব লালসা হচ্ছে।শালা তুই বাবা হলি কেমনে?(হাসতে হাসতে)
---শাকিল তুই ও না?বল আর কি কোনো সমস্যা আছে?
---চারুর অপারেশন নেগেটিভ।সে একদম ঠিক আছে।এমন কি তার শরীরে একফোটা আচড় ও লাগেনি।
---সোহান আমি যেটা ভাবছি সেটা কি ঠিক?
---আপনি আমাকে ওতো লোকের ভিতর জড়িয়ে ধরলেন কেন?(চারু)
---তুমি সঠিক ভাবে অপারেশন করতে পেরেছো।(কিছুক্ষন পর)
---তাহলে জড়িয়ে ধরবার কি প্রয়োজন?
সে সোহানের কথাই কোনো উত্তর না দিয়ে চুপচাপ তার সাথে বাসাই ফিরে আসলো।
এদিকে চারুকে রান্নাঘরে আসতে দেখে,,
---কি ব্যাপার এতো রাতে তূমি এখানে?
কথাটা শুনে চারু কিছুটা ভয় পেলো।হটাৎ করে কিছু শুনলে তার বেশ ভয় লাগে,,
---ইয়ে মানে কিছুনা এই একটু চারপাশটা দেখছি।
চারু ভিতরে গিয়ে চুপিচুপি সোহানের পাশে দাড়ালো।এভাবে রাতের বেলাই একটা ছেলের কাছে দাড়াতে তার কিছুটা
---আমাদের তো নিজেদের পরিশ্রম করে খাবার জোগাড় করতে হতো।তাই রান্নার জগতের সবকিছুই তৈরি করতে পারি।
---বাহ।তাহলে তোমাকে বউ বানালে ভালোই হবে।(দুষ্টু হাসি দিয়ে)
---বলছি আমাকে একটু সাহায্য কর।আজকে ভুয়াটা ছুটিতে আছে তাই রান্নাটা করার কেউ নেই।
---বাইরের খাবার আমার ততোটা ভালো লাগে না।তাই সবসময় এই বিষয়টা মাথাই রেখে রাধুনি হয়ে গিয়েছি।
---হ্যা সব ঠিক আছে তবে আপনি তরকারিতে কিন্তু ওইটা লবনের জাইগা চিনি ঢালছেন।
---ইয়ে মানে এই তোমাকে যাচাই করছিলাম যে তুমি বুঝতে পারো নাকি?(আমতা আমতা করে)
-
কথাগুলো ভাবছে আর চুপিচুপি দরজার দিকে এগোচ্ছে।খুলবে কী খুলবে না?এসব ভাবতে ভাবতেই দরজাটা খুলে ফেললো।
---চারু তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও?
---এতো রাতে আবার কি মহা কাজ পড়লো যে, এই শীতে উঠতে হবে?
একটা অনুভূতি তৈরি হলো।হটাৎ চারুর ডাকে সে বাস্তবে ফিরে এলো,,
---এই যে, ভাইয়া এমন ভাবে চুপ হয়ে আছেন কেন?
---সরি সরি বলছি যে, তাড়াতাড়ি পোশাক পাল্টে নাও(নিজের মুখ চেপে ধরে)
---এই ঠান্ডাই এমন কি কাজ পড়লো?
---ভাইয়া বুঝিনা নষ্ট হতে এসবের কি দরকার?
---বেশি কথা নয়।তোমাকে রাত জাগতে শিখতে হবে তাই তোমার জন্য এটি খুব দরকার।
---ঠিক আছে কিন্তু আমাকে তো খারাপ কিছুর ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে না।
---ও ও।এইজন্য ভাবি হুজুরটা এতো বাটপার হয় কেন?
---যখন বুঝতে পেরেছো তখন আর দাড়িয়ে থাকার কোনো দরকার নেই।
---তাহলে ওই যে লোকজন বলে, জামাকাপড় আর কতকিছু খুলে ফেলে।এসব বিষয়ে কখন শিখাবেন?
এবারের কথাটা শুনে সোহান কিছুক্ষন নিরবতা পাল৭ করতে থাকলো।সে এই মেয়েটাকে কিভাবে বোঝাবে যে,,
---চারু যদি তোমাকে ক্লাস ফাইবে পড়ার সময় দশম শ্রেনির প্রশ্ন দেওয়া হয় তাহলে তুমি কি করবে?
---আমিতো তখন সেটা পারবো না।কারন আমার পড়াশোনা তখনো অনেক বাকি।
---ঠিক তেমনি তোমাকে যদি একবারে শেষ প্রান্তের ট্রেনিং দেওয়া হয় তাহলে তুমি সেটা নিতে পারবে না।
কথাটা শোনাই চারু ভীষন লজ্জা পেলো।সে নিজের মাথাই আঘাত করে নিজেকে বলতে লাগলো,,
---চারু তুই একটা গাধা।তুই কেন নিজেই নিজেকে ছোট করছিছ।
সোহান কথাগুলো বলেই চলে যাবার জন্য অগ্রসর হতেই,.
---ভাইয়া নামাজটা না হয় পড়ে নিবো।তবে কালকের কাজটা যদি আজকেই একটু দেখিয়ে দিতেন?
কি মেয়ে এটা?এতো উতোলা কেন হয় মেয়েটা?সোহান ইচ্ছা করেই আবারো চারুর কাছে ফিরে গিয়ে,,
---ঠিক আছে তবে চুপচাপ দাড়িয়ে থাকবে।আর কোনো কথা বলবে না কেমন?
---ছি ছি ভাইয়া এটা কি করছেন?প্লিজ আমাকে কিছু করবেন না।
---একদম চুপ করে থাকবে।আমি যেটা করবো সেটা একদম মনোযোগ দিয়ে শিখবে।
---চারু এটা কোনো ট্রেনিং ছিলোনা।এটা ছিলো আমাদের ভালোবাসার একটা মুহুর্ত।
---কিপটে বদমাইশ ছেলে কোথাকার।যখন এতো ভালোবাসার শখ?তখন আমাকে বললেই পারতি।
শালার চিনি তুই আমারে করিয়া দিলি নুন
মনে মনে বলতে কথাগুলো বলতে বলতে লজ্জাই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো
http//sevenparttumiamarbowhobe.com
0 Post a Comment:
Post a Comment