তুমি_আমার_বউ_হবে পর্ব ৫ ও ৬

তুমি_আমার_বউ_হবে

পর্ব ৫  ও ৬

সোহানুর রহমান সোহান 




---আচ্ছা ভাইয়া কল গার্লরা তো প্রতিদিন কতজনের সাথে রাত কাটাই।তাহলে ওদের কেন বাচ্চা হয়না?

চারুর এইকথাটা শুনে সোহানের মাথাটা বনবন করে উঠলো।চারুর দিকে সে হাবলার মতো তাকিয়ে রইলো।এখন সে চারুকে কি জবাব দিবে?এই মেয়েকে কে বোঝাবে বাবা এসব ভাবতে নেই,,

---চারু আসলে ওদেরকে এমন একটা মেডিসিন দেওয়া হয়।যেটার মাধ্যমে ওদের বাচ্চা হবার কোনো সম্ভবনা থাকে না।

---ওহ এই ব্যাপার?তাহলে আমাকে তো এমন কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি ভাইয়া?

---এজন্যই তোমাকে হসপিতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

---ও ও ও।আচ্ছা আরেকটা প্রশ্ন......

---চারু একটু চুপ থাকতে পারোনা?সেই কখন থেকে বলেই যাচ্ছো একটু রাস্তাঘাট দেখে চললে হতোনা?

সোহানের কথাই চারু চুপ হয়ে রইলো।চারু ভাবতে লাগলো,,তাহলে আজকে হসপিতালে আমাকে চিকিৎসা দেওয়া হবে।উফ খারাপ হতেও দেখি অনেক ঝামেলার ব্যাপার।

ওদিকে সোহান চারু নিয়ে হসপিতালে পৌছে গিয়েছে।ডাক্তারের কেবিনে ঢুকতেই,,

---কি ব্যাপার সোহান সাহেব হটাৎ করেই চলে এলেন?

---হ্যা বন্ধু একটা জরুরি কাজে আসতে হলো।

---হটাৎ তোর এমন কি কাজ পড়লো?আর তোর সাথে মেয়েটি কে?

সোহান আর কিছু বললো না।চুপিচুপি ইশারাই ডাক্তার শাকিল কে

ইশারাই কি যেন বুঝাতেই শাকিল কিছুটা চিন্তিত হয়ে চেয়ার থেকে উঠে পড়লেন।কোন কথা না বলেই সে চারুকে নিয়ে বাইরে চলে গেলো।

---চারু তোমার অপারেশনের সময় হয়ে এসেছে।যাও ঔনি তোমাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাবে।

কথাটা শোনার পর চারু ভয়ে ভয়ে ডাক্তারের পিছন পিছন যেতে লাগলো।চারুর খুব ভয় হচ্ছিলো।যদি তার কিছু হয়ে যাই?কিন্তু সোহান চারুর চোখে স্পষ্ট জল দেখতে পেয়েছে।সে বুঝতে পেরেছে চারুর কষ্ট হচ্ছে।তবে চারুর থেকে তার বেশি চিন্তা হচ্ছে।রিপোর্ট না দেখা পর্যন্ত তার ভিতরের ব্যথাটা দুর হবেনা।

.

-

দু ঘন্টা পেড়িয়ে গিয়েছে।এখনো সোহান কেবিনে চুপচাপ বসে রয়েছে।এই শীতেও তার কপালে ঘাম জমে রয়েছে।একটু পর হটাৎ সে কারো পায়ের আওয়াজ শুনতে পেলো।সে আর বসে রইলো না।দাড়িয়ে সে শাকিলকে দেখেই,,

---কি রিপোর্ট আসছে চারুর?

শাকিলকে বেশ ঘর্মাক্ত দেখাচ্ছে।বেশ কিছুক্ষন চুপ থেকে তার সামনে ফাইলটা রেখে,,

---সোহান তুই বাবা হতে চলেছিছ।

কথাটা শোনার পরেই সোহানের মুখ থেকে কোনো কথা বেরোলো না।ফাইলটা খুলে খুজতে লাগলো।তার বিষ্ষাশ চারু একদম ঠিক আছে।হটাৎ করেই রিপোর্টটা বের করে তাকিয়ে দেখার পর গম্ভিরভাবে সে শাকিলের দিকে তাকাতেই দেখে শাকিল হাসছে,,

---তোকে দেখে আমার খুব লালসা হচ্ছে।শালা তুই বাবা হলি কেমনে?(হাসতে হাসতে)

---শাকিল তুই ও না?বল আর কি কোনো সমস্যা আছে?

---চারুর অপারেশন নেগেটিভ।সে একদম ঠিক আছে।এমন কি তার শরীরে একফোটা আচড় ও লাগেনি।

---আহ তুই আমাকে বাচালি।

---সোহান আমি যেটা ভাবছি সেটা কি ঠিক?

কথাটা বলতেই চারু রুমে ঢুকে পড়লো।চারুকে দেখামাত্র সোহান দৌড়ে গিয়ে চারুকে জড়িয়ে ধরলো।চারু কিছু ভাবার আগেই এসব ঘটতেই তার শরীর কিছুটা কেপে উঠলো।এভাবে লোকজনের ভিতর এইরকম ভাবে জড়িয়ে ধরাতে চারু লজ্জাই লাল হয়ে গেলো।সোহান আর সেখানে এক মুহূর্ত দাড়ালো না।চারুর হাতটা ধরে কেবিন থেকে বেড়িয়ে এলো।শুধু পিছনে এক পলক ফিরিয়ে শাকিলের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে বের হয়ে এলো।

রাস্তাই দুজন হাটছে।কিন্তু এখনো চারুর বুক ধরফর করছে।চুপচাপ পাশাপাশি দুজন হাটছে কিন্তু কারো মুখে কোনো কথা নেই।তবে চারুর মনে একটা প্রশ্ন জাগছে,,

---আপনি আমাকে ওতো লোকের ভিতর জড়িয়ে ধরলেন কেন?(চারু)

---তুমি সঠিক ভাবে অপারেশন করতে পেরেছো।(কিছুক্ষন পর)

---তাহলে জড়িয়ে ধরবার কি প্রয়োজন?

---চারু তুমি একটু বেশী বেশি কথা বলো।শুনো এই যে তোমার আজকে অপারেশ হলো ঠিক তেমনি আজ থেকে তূমি দু একটা ছেলের সাথে রাত কাটাতে পারবে।

চারু কথাগুলো শুনে খুব একটা খুশি হলোনা।হইতো সে চাইনি এতো তাড়াতাড়ি সোহানকে ছেড়ে যেতে।কারন সোহান কাছে থাকলে তার খুব ভালো লাগে।

সে সোহানের কথাই কোনো উত্তর না দিয়ে চুপচাপ তার সাথে বাসাই ফিরে আসলো।

-

এশার পর নামাজ শেষ করে চারু রুম থেকে বেড়িয়ে এলো।এভাবে সারাদিন রুমে থাকতে তার একদম ভালো লাগেনা।একটু আগে সোহান তাকে নামাজ পড়তে বলেছে।আচ্ছা তাহলে কি আমাকে প্রতি ঔয়াক্তে নামাজ আদাই করতে হবে?কথাগুলো ভাবতে চারু কোনো জবাব না পেয়ে ভাবলো একবার ভাইয়ার রুম থেকে একবার শুনে আসি।

সে চুপিচুপি সোহানের রুমের দিকে এগোতে লাগলো।খেয়াল করলো রুমটা খোলা রয়েছে।একটু উকিঝুকি দিয়ে দেখলো ভিতরে কেউ নেই।ভিতরে গিয়ে সোহানকে না পেয়ে সে রান্নাঘরে চলে গেলো।গিয়ে দেখে সোহান রান্নাঘরে বসে রয়েছে।চারু সোহানকে রান্না করতে দেখে বেশ অবাক হলো।ছেলেরাও রান্না করতে পারে?

এদিকে চারুকে রান্নাঘরে আসতে দেখে,,

---কি ব্যাপার এতো রাতে তূমি এখানে?

কথাটা শুনে চারু কিছুটা ভয় পেলো।হটাৎ করে কিছু শুনলে তার বেশ ভয় লাগে,,

---ইয়ে মানে কিছুনা এই একটু চারপাশটা দেখছি।

---ওহ।তাহলে ভিতরে আসো।

চারু ভিতরে গিয়ে চুপিচুপি সোহানের পাশে দাড়ালো।এভাবে রাতের বেলাই একটা ছেলের কাছে দাড়াতে তার কিছুটা

সংকোচ বোধ হলো।

---চারু?

---হ্যা বলুন?

---রান্না করতে পারো?

---জি।

---কি কি রান্না করতে পারো?

---আমাদের তো নিজেদের পরিশ্রম করে খাবার জোগাড় করতে হতো।তাই রান্নার জগতের সবকিছুই তৈরি করতে পারি।

---বাহ।তাহলে তোমাকে বউ বানালে ভালোই হবে।(দুষ্টু হাসি দিয়ে)

---কি বললেন?

---বলছি আমাকে একটু সাহায্য কর।আজকে ভুয়াটা ছুটিতে আছে তাই রান্নাটা করার কেউ নেই।

---তবে যে, আপনি রান্না করছেন?

---বাইরের খাবার আমার ততোটা ভালো লাগে না।তাই সবসময় এই বিষয়টা মাথাই রেখে রাধুনি হয়ে গিয়েছি।

---হ্যা সব ঠিক আছে তবে আপনি তরকারিতে কিন্তু ওইটা লবনের জাইগা চিনি ঢালছেন।

কথাটা শুনে সোহান কৌটার দিকে তাকিয়ে একটু মুখে দিতেই দেখে চারুর কথাটাই একদম সঠিক।কি করবে আর কি বা বলার আছে তার,,

---ইয়ে মানে এই তোমাকে যাচাই করছিলাম যে তুমি বুঝতে পারো নাকি?(আমতা আমতা করে)


Part :--- 6 


রাতের খাবার খেতে বসে সোহান আর কিছু বলতে পারলো না।রান্নাটার কোন তুলনাই হইনা।এমন একটা মেয়ে যদি তার সবসময়ের রাধুনি হয়ে থাকতো।তাহলে কতোই না ভালো হতো।খাবার গুলো খেয়ে দুজনেই ঘুমানোর জন্য নিজেদের রুমে চলে গেলো।রাতটা এভাবেই দুজনেই কেটে যেতে লাগলো।

-

-দেখতে দেখতে তিন দিন পার হয়ে গেলো।রাত ঠিক 2 টা বাজে।হটাৎ চারুর রুমের দরজাই কে যেন ঠকঠক করতে লাগলো।এতো রাতে কে তার দরজার সামনে এসে তাকে ডাকবে।চারুর মুহুর্তেই গলাটা শুকিয়ে গেলো।সন্ধাই সোহান বলেছিলো,,তাকে নাকি সকালে কিছু কাজ করতে হবে।তাহলে কি রাত না হতেই কেউ চলে এসেছে?

কথাগুলো ভাবছে আর চুপিচুপি দরজার দিকে এগোচ্ছে।খুলবে কী খুলবে না?এসব ভাবতে ভাবতেই দরজাটা খুলে ফেললো।

---ভাইয়া আপনি এতো রাতে?

---চারু তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও?

---এতো রাতে আবার কি মহা কাজ পড়লো যে, এই শীতে উঠতে হবে?

কথাগুলো বলতেই রুমের বাল্বটা জ্বালিয়ে দিলো চারু।চুলগুলো এলোমেলো হয়ে তার কাধ থেকে নেমে পড়েছে।রাতের এমন দৃশ্য দেখে সোহান কি করবে বুঝতে পারছে না।ঠোটগুলো এত্ত গোলাপি যে লিপিস্টিকের তার কোনো প্রয়োজন এই পড়েনা।শরিরে একটা রেশমি কালারের পোশাক।সব মিলিয়ে তার কেমধ যেন

একটা অনুভূতি তৈরি হলো।হটাৎ চারুর ডাকে সে বাস্তবে ফিরে এলো,,

---এই যে, ভাইয়া এমন ভাবে চুপ হয়ে আছেন কেন?

---তাড়াতাড়ি সবকিছু খুলে ফেলো?

---কিহ?(চোখ বড় বড় করে)

---সরি সরি বলছি যে, তাড়াতাড়ি পোশাক পাল্টে নাও(নিজের মুখ চেপে ধরে)

---ভাইয়া আপনি মাঝে মাঝে এমন ভাবে কথাগুলো বলেন।মনে হয় আপনি যেন আগে থেকেই সেগুলো মুখস্ত করে আসেনা।কিন্তু.....

---কিন্তু কি?

---এই ঠান্ডাই এমন কি কাজ পড়লো?

---যাও তাড়াতাড়ি ওযু করে আসো।

---ভাইয়া বুঝিনা নষ্ট হতে এসবের কি দরকার?

---বেশি কথা নয়।তোমাকে রাত জাগতে শিখতে হবে তাই তোমার জন্য এটি খুব দরকার।

---ঠিক আছে কিন্তু আমাকে তো খারাপ কিছুর ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে না।

---পতিতালয়ে বেশীরভাগ দাড়িওয়ালাই যাই।যখন তোমাকে তারা প্রশ্ন করবে তখন যাতে তুমি সহজেই উত্তর দিতে পারো সেজন্য এই কাজটা তোমাকে করতে হবে।

---ও ও।এইজন্য ভাবি হুজুরটা এতো বাটপার হয় কেন?

---যখন বুঝতে পেরেছো তখন আর দাড়িয়ে থাকার কোনো দরকার নেই।

---তাহলে ওই যে লোকজন বলে, জামাকাপড় আর কতকিছু খুলে ফেলে।এসব বিষয়ে কখন শিখাবেন?

এবারের কথাটা শুনে সোহান কিছুক্ষন নিরবতা পাল৭ করতে থাকলো।সে এই মেয়েটাকে কিভাবে বোঝাবে যে,,

চারু তুমি এখনো বাচ্চা।

তোমাকে দিয়ে এসব একদম হবেনা।

---চারু যদি তোমাকে ক্লাস ফাইবে পড়ার সময় দশম শ্রেনির প্রশ্ন দেওয়া হয় তাহলে তুমি কি করবে?

---আমিতো তখন সেটা পারবো না।কারন আমার পড়াশোনা তখনো অনেক বাকি।

---ঠিক তেমনি তোমাকে যদি একবারে শেষ প্রান্তের ট্রেনিং দেওয়া হয় তাহলে তুমি সেটা নিতে পারবে না।

কথাটা শোনাই চারু ভীষন লজ্জা পেলো।সে নিজের মাথাই আঘাত করে নিজেকে বলতে লাগলো,,

---চারু তুই একটা গাধা।তুই কেন নিজেই নিজেকে ছোট করছিছ।

সোহান কথাগুলো বলেই চলে যাবার জন্য অগ্রসর হতেই,.

---ভাইয়া নামাজটা না হয় পড়ে নিবো।তবে কালকের কাজটা যদি আজকেই একটু দেখিয়ে দিতেন?

কি মেয়ে এটা?এতো উতোলা কেন হয় মেয়েটা?সোহান ইচ্ছা করেই আবারো চারুর কাছে ফিরে গিয়ে,,

---ঠিক আছে তবে চুপচাপ দাড়িয়ে থাকবে।আর কোনো কথা বলবে না কেমন?

---ঠিক আছে।(মাথা নিচু করে)

-

সোহান এবার চারুর কিছুটা কাছে চলে আসলো।এতো রাতে চারু এমন পরিস্থিতিতে কিছুটা ভড়কে গেলো।চারু সরে যাবার আগেই নিমিষেই চারুর গোলাপি ঠোটদুটো আলতো করে চেপে ধরলো।চারু সাথে সাথে সোহানের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতেই সোহান চারুকে পিছন থেকে আবারো আটকে ধরলো,,

---ছি ছি ভাইয়া এটা কি করছেন?প্লিজ আমাকে কিছু করবেন না।

---একদম চুপ করে থাকবে।আমি যেটা করবো সেটা একদম মনোযোগ দিয়ে শিখবে।

চারু হটাৎ করে জোরাজুরি বন্ধ করে ফেললো।পিছন ফিরে সে সোহানে চোখে চোখ রাখলো।দুজনের মাঝেই কেমন যেন একটা ভালোবাসা কাজ করছিলো।চারু সোহানের ভিতর অতলেই হারিয়ে যেতে থাকলো।তার চোখেমুখে লজ্জার স্পষ্ট ছাপ ফুটে উঠেছে।বুকের ভিতরটা কেমন যেন ধরফর করছে।সোহান তার কাছে যেতেই এই শীতে তার কেমন যেন একটা শিহরন জাগলো।সোহান যখন তার কাধে হাত দুটো রাখলো তখন সে বুঝতে পারছিলো।কেন সোহান তাকে সবকিছু ধীরে ধীরে শিখাচ্ছিলো।চোখটা তার হটাৎ করেই বন্ধ হয়ে আসতে লাগলো।কিছুক্ষন পর সে সোহানের নিষ্শাশটা তার নাকের কাছে অনুভব করলো।আলতো করে তার ঠোটটা সোহান চেপে ধরতেই তার ভিতর একটা জোড়ালো নিষ্শাশ বয়ে গেলো।তার মনে হলো সে এর আগে কখনো এমন অনূভুতি টের পাইনি।ঠান্ডা ঠোটের স্পর্শটা তার কথাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।সে বুঝতে পেরেছে এটা কোনো শিখানোর ট্রেনিং না।এটা তার ভালোবাসার একটা অংশ।

কিছুক্ষন পর চারুকে সোহান নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিলো।চারুর ঠোঠগুলো থরথর করে কাপছিলো।সে বুঝতে পেরেছে জিবনে প্রথম কোনো স্পর্শ কতোটা ভুলিয়ে দিতে পারে সবাইকে।চোখদুটো বন্ধ করে চুপ করে দাড়িয়ে রইলো।হটাৎ তার কানের পাশে কে যেন বললো,,

---চারু এটা কোনো ট্রেনিং ছিলোনা।এটা ছিলো আমাদের ভালোবাসার একটা মুহুর্ত।

কথাগুলো শোনামাত্র চারুর ঠোঠগুলোতে হাসির রেখা ফুটে উঠলো।কিন্তু কথাগুলো একটু ভালোভাবে বোঝার পর চারু চোখটা বড় বড় করে চারদিকে তাকিয়ে সোহানকে খুজতে লাগলো।

কিহ তার সাথে চালাকি?ট্রেনিং এর নাম করে তাকে ব্যবহার করা?কিন্তু চারু চারপাশে কাউকে দেখতে পেলোনা।মনে মনে বলতে লাগলো,,

---কিপটে বদমাইশ ছেলে কোথাকার।যখন এতো ভালোবাসার শখ?তখন আমাকে বললেই পারতি।

পরক্ষনেই সে আবারো হেসে উঠলো।যেভাবেই হোক না কেন?প্রকাশ্যে ভালোবাসার চেয়ে চুপিচুপি প্রেম বিনিময়টাই ভালো।আর যাইহোক ছেলেটা খারাপ হলেও বেশ রোমান্টিক।হইতো এজন্য ছেলেটা এতো ফেমাস।তবে একটু পাগল টাইপের।তবে সেটা কোনো সমস্যা না।পাগল ছেলেরাই একটু বেশি রোমান্টিক হয়।তারাই শুধু ভালোবাসাটা পাগলামির মাঝে নিজের করে নেই।

হাসতে হাসতে সে ওযুখানাই বসে পড়লো।আর যাইহোক না কেন?সে এতটুকু বুঝতে পেরেছে যে, সোহান তাকে অনেকটাই ভালোবেসে ফেলেছে।আর সে নিজেই তো সেই ছেলেটাকেই ভালোবাসে।

-

ওযুখানা থেকে এসে ফ্লোরে জাইনামাজ পেড়ে নিলো।বোরখাটা পড়ে আয়নার সামনে থেকে জায়নামাজের দিকে অগ্রসর হতে লাগলো।তাকে আজকে এই ছেলেটাকে পাবার জন্য এই খোদার কাছে

মিনতি করতে হবে।


চলবে,,

---হ্যা হ্যা আমি আসার আগে থেকেই তো আপনার হাতে কৌটাটা দেখছি তাহলে আপনি সপ্নের ভিতর আমাকে যাচাই করছিলেন বুঝি?

ধরা খেয়ে আর কিছু বলতে পারলো সোহান।চুপিচুপি সেখান থেকে সরে পড়লো।কিন্তু রান্নার জিনিসের ড্রয়ারের সামনে বোতলের গায়ে তো লবন লেখা ছিলো।তারমানে রাধুনি তার থেকে কি একটা লুকিয়ে রাখে।

কিন্তু চারুর কাছে তো লজ্জাটা শেষ করেই ফেলেছে।চারুর দিকে তাকাতে খেয়াল করলো চারু একনো মিটিমিটি করে হাসছে।কি আর করবে,

শালার চিনি তুই আমারে করিয়া দিলি নুন

মনে মনে বলতে কথাগুলো বলতে বলতে লজ্জাই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো

চলবে........

৭ম পর্ব লিংক 👇

http//sevenparttumiamarbowhobe.com


0 Post a Comment:

Post a Comment