'হঠাৎ রাস্তার মাঝে গাড়িটা থামানোর সঙ্গে সঙ্গে
চৈতি বলে উঠলো।
'কি ব্যপার ড্রাইভার গাড়ি ব্রেক করলে কেনো।
কোন কি সমস্যা হয়েছে।
'সামনে তাকিয়ে দেখুন।
'কথাটি শোনার সঙ্গে-সঙ্গে হাসিব ও চৈতি সামনে তাকিয়ে দেখে আব্দুল তার দল-বল নিয়ে নিয়ে
দারিয়ে রয়েছে।
'এইটা দেখা মাত্রই চৈতি হাসিব দুজনে বাহিরে আসে।
এসেই প্রশ্নো করে।
'কি ব্যপার ভাইয়া তুমি আমাদের সামনে রাস্তা দারিয়ে
আছো কেনো।
আমাদের হানিমুনে যাইতে দাও। (হাসিব)
'হাহাহাহ। হাহাহ। হাহাআ।
হাসিব সত্যি তুইও অনেক অভিনয় করতে পারিস।
কিভাবে এইটারে পটিয়ে বিয়ে করলি হ্যা।
সত্যি তুই আমার মতো হয়েছিস।
ওর ওখানে থেকে সরে দারাও।
গুলি করে ওর মাথার খুলিটা উরিয়ে দেই।
'নাহ ভাইয়া।
'না মানে।
আরে বোকা তোর কাজ ছিলো ওকে বাহিরে
নিয়ে আসা। তোর কাজ এখানে থেকেই শেষ এখন
বাকি কাজটা আমাকে করতে দে।
'আমি চৈতিকে ভালোবাসি।
ওর কিচ্ছু হতে দিবোনা।
'পাগল হইছিস হ্যা।
ওর থেকে ভালো মেয়ের সঙ্গে তোর বিয়ে দিবো আমি।
সরে আয় বলতেছি।
'সরি ভাইয়া।
আমি চৈতিকে কথা দিয়েছি যদি মরতে হয় এক সঙ্গে মরবো যদি বাচতে হয় এক সঙ্গে বাচবো।
'তুই বুজতেছিসনা এই চৈতি কতোটা ডেন্জার?
তোকে শুধুমাত্র ব্যবহার করতেছে।
পরবর্তীতে তোর কাজ শেষ হলেই তুও শেষ।
'নাহ চৈতিও আমাকে অনেক ভালোবাসে।
ও আমার কোন ক্ষতি করবেনা।
এইটা আমার বিশ্বাস আছে।
প্লিজজজ ভাইয়া আমাদের হানিমুনে যাইতে দাও
কোন বাধা দিওনা।
'এইবার কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে।
তুই সরে আসবি নাকি তুই থাকাতেই ওকে শেষ করবো।
'আমি থাকতে ওর কিচ্ছু হতে দিবোনা।
'হাসিবের এমন কথায় আব্দুল ভিষন রেগে যায়।
এবং সঙ্গে-সঙ্গে চৈতির দিকে বন্ধুক তাক করা মাত্রই হাসিব চৈতির সামনে চলে আসে।
'ভাইয়া চৈতিকে মারতে হলে আগে আমাকে
মেরে ফেলতে হবে।
'ভাইয়ের এমন পাগলামি দেখে আব্দুল তার অন্য লোক গুলাকে নির্দেশ দেয়, চৈতির কাছ থেকে যেনো হাসিব কে আলাদা করে।
'কথা মতো লোক গুলা যেইনা কাছে
আসতে যাবে এমন মুহূর্তে চৈতি তার ব্যাক থেকে একটি ছোট্ট গুলি বের করে এবং হাসিবের মাথায় ধরে।
'যা দেখা মাত্রই সেখানে সবাই নিস্তব্ধ হয়ে যায়।
'শোন তোর লোকদের বল ওরা যেনো আমার
কাছে না আসে। কাছে আসলেই কিন্তু তোর ভাইয়ের মাথা দুভাগ করে দিবো। (চৈতি)
'দেখলি তোকে বললাম না এই চৈতি তোকে
ব্যবহার করতেছে।
সময় পাইলে তোকে সোবল মারবে।
প্রমান পাইলিতো।
'আব্দুলের এমন কথায় হাসিব বলে উঠলো।
কি ব্যপার চৈতি তুমি কি সত্যি আমাকে ভালোবাসোনা।
'হাহাহহা।
খুনির ভাইকে আমি ভালোবাসতে যাবো কোন কারনে
সেইটা বল।
তর পরিবারের সবাই খুনি / মানে তুও খুনি।
তোকে শুধুমাত্র আমি ব্যবহার করেছি।
'প্লিজজজ এই কথা বলিওনা।
আমি তোমাকে সত্যি ভালোবাসি আর বিশ্বাস করি।
তুমি আমাকে ঠগাইতে পারোনা।
'আরে বোকা এই গুলাকে ভালোবাসা বলেনা।
এই গুলাকে অভিনয় বলে।
যাক বেশি কথা বলতে চাইনা? আব্দুল তুই আমার সামনে থেকে চলে যা নাহলে তোর ভাইকে এখানেই শেষ করে দিবো চিরতরে।
'ভাইয়ের এমন করুন অবস্থা দেখে আব্দুল বলে।
হ্যাঁ চলে যাচ্ছি।
কিন্তু আমার ভাইয়ের কিচ্ছুটি করবা।
'ঠিক আছে।
কিচ্ছু করবোনা।
আমাকে ২কোটি টাকা দে তোর ভাইকে ছেড়ে দিবো।
'আমি এত টাকা কোথায় পাবো।
'সেইটা তুই জানিস।
আমি যেইটা বলছি সেইটা না পাইলে তোর ভাইকে
মৃত পাবি কালকে।
'কথাটি বলেই চৈতি একটি গাড়িতে হাসিবকে
নিয়ে উঠে পরে এবং সেই স্থানটি ত্যাগ করে।
'চৈতির এমন পাগলামি দেখে।
আব্দুল ভিষণ রাগান্বিত হয়ে যায়। কিন্তু কিচ্ছু করতে
পারেনা।
'এর পরে গন্তব্য স্থানে আসলেই চৈতি এবং হাসিব
নেমে পরে।
তখন হাসিব জিঙ্গেস করে।
'চৈতি তুমি কি সত্যি আমাকে ভালোবাসোনা।
আমাকে ব্যবহার করতেছো।
তুমি কিভাবে পারলে আমার মাথায় বন্ধুকটি ধরতে।
আমি তো তোমার স্বামী।
'আরে পাগল ওটা অভিনয় ছিলো।
আমিও তোমাকে সত্যি ভালোবাসি। তোমার ভাইয়ের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্যেই এমন কাহিনী আমাকে করতে হয়েছে।
'ওহ।
তাহলে তুমি আমাকে সত্যি ভালোবাসো।
'হ্যাঁ তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
এখন চুপ চাপ আমার সঙ্গে আসো পিছন-পিছন।
'আরে আমাদের তো হানিমুনে যাওয়ার কথা।
কিন্তু তুমি আমাকে জঙ্গলে নিয়ে যাচ্ছো কেনো।
সেইটা তো বুজলাম না।
'জঙ্গলেই আমাদের কাজ আছে।
'নাহ আমাদের জঙ্গলের ভিতরে কোন কাজ নেই।
তুমি আমাকে নিশ্চয়ই মেরে ফেলবে তাইনা।
'স্বামিকে কখনো স্ত্রী মেরে ফেলে নাকি পাগল।
ভিতরে চলো।
সেখানে গেলেই দেখতে পারবে।
'চৈতির এমন কথা শুনে হাসিব আর একটি কথাও না বলে ওর পিছু পিছু যেতে থাকে।
বেশ কিছু দুর যাওয়ার সঙ্গেই।
'হাসিবকে চৈতি?
পরবর্তী পর্বের জন্যে অপেক্ষায় থাকুন।
পর্ব দিতে ধরলাম মানে এখন ১/২ দিনের মধ্যেই গল্প পাবেন।
পর্ব--২১
'জঙ্গলের মধ্যে হঠাৎ করেই চৈতি হাসিবকে
জরিয়ে ধরে কিস করতে থাকে।
'যেটার জন্যে হাসিব কোন ভাবেই প্রস্তুত ছিলোনা।
কিন্তু এখন আর কি করার।
হাসিব ও চৈতিকে সায় দেয়?
'বেশ কিছুক্ষন কিস করার পরে হাসিব বলে উঠে।
জান বলোনা আমারা কোথায় যাচ্ছি।
আমার খুব ভয় লাগতেছে।
'আরে পাগল চিন্তা করিওনা।
আমি থাকতে তোমার কিসের ভয় হ্যা। এই জঙ্গলের ভিতরে আমার একটি বাড়ি আছে।
'মানে।
'যখন আমি সমস্যায় পরি তখন সবার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্যে এই বাড়িতে চলে আসি।
আমি ছাড়া কেউ জানেনা এই বাড়ির কথা।
'তাই।
কিন্তু এখনতো আমি জানবো।
'হ্যাঁ তুমি তো আমার স্বামী তোমাকে তো জানাতেই হবে।
এছাড়া বাহিরে থাকা দুজনের পক্ষের অসম্ভব।
তোমার ভাই খুজে বের করবে।
'ওহ।
আচ্ছা চলো এখন।
'এর পরে দুজনে গল্প করতে-করতে সেই স্থানে
চলে আসে। কিন্তু হাসিব কোন ঘর বাড়ি খুজে পায়না।
তাই আবার জিঙ্গেস করে।
'চৈতি কোই তোমার বাড়ি।
এইটা তো নিস্তব্ধ স্থান।
'হাসিবের এমন কথা শুনেই চৈতি সেই স্থানের মাঠি গুলা সরিয়ে একটি গুপ্ত স্থান বের করে।
'এই এর ভিতরে ঢুকে পরো।
'আরে এইটাতো গর্ত।
এখানে কেনো ডুকবো হ্যা।
'এইটার ভিতরেই আসে আমার গুপ্ত স্থান বেশি কথা না বলে ভিতরে ডুকে পরতো।
'এর পরে হাসিব গর্তের ভিতরে ডুকার সঙ্গে-সঙ্গে বেশ
আশ্চর্য হয়ে পরে।
কারন এই গর্তের ভিতরে তো পুরাই রাজ প্রাসাদের মতো একটি বাড়ি তৈরি করা।
'আরে এইটা বাড়ি নাকি রাজ প্রাসাদ।
মাটির নিছে কিভাবে এমন বাড়ি তৈরি করলে হ্যা।
'পরে শুনিও।
আমার শরীর ভিষন ক্লান্ত আমি এখন একটু ঘুমাবো।
তুমি ও ঘুমিয়ে পরো।
'আচ্ছা আমারা এখানে খাবো কি।
খাওয়া দাওয়ার কি কোন ব্যবস্থা আছে হ্যা।
'প্লিজজজ হাসিব এই সম্পর্কে পরে কথা বলি।
এখন একটু ঘুমাই।
'ঠিক আছে জান।
'তো পরবর্তীতে দুজনেই ঘুমিয়ে পরে।
বেশ কয়েক ঘন্টা ঘুমানোর পরে। কারো চিৎকারের শব্দ পেয়ে চৈতির ঘুমটি ভেঙ্গে যায়।
'সঙ্গে-সঙ্গেঈ চৈতি সিসি ক্যামেরায় দেখতে পারে এটা আর কেউনা সয়ং আব্দুল এসেছে।
আর চিৎকার করে বলতেছে চৈতি আমার সামনে আয়। আমি জানি তুই এখানেই আছিস।
'এই সব দেখা মাত্রই চৈতি বুজে ফেলে আব্দুল এখানে গাড়িটা ট্রাক করেই এসেছে।
আব্দুলের এমন চিল্লাচিল্লি আওয়াজ শোনা মাত্রই চৈতি একটি রুমে গিয়ে বলে উঠে।
'হাহহহা। হাহাহহ। হাহাহাহ।
সাহস থাকলে আমাকে খুজে বের কর।
'চৈতির এমন কথা শোনা মাত্রই আব্দুল ও চিন্তায় পরে যায় কোন দিক থেকে আওয়াজটি আসতেছে।
কারন চৈতির আওয়াজটি চার দিক থেকেই আসতে ছিলো।
'সাহস থাকলে সামনে আয় আমার।
'তুই এক বাপেট সন্তান হলে আমাকে খুজে বের কর।
এছাড়া তোর আরো লোকজন নিয়ে আয়।
'লোকজন লাগবেনা আমি একাই যথেষ্ট তোর জন্যে।
শুধুমাত্র সামনে আয় একবার।
'আরে আমি তোর সামনেই আছি।
শুধুমাত্র খুজে বের কর।
তুইতো আমার ফাদে পা দিয়েছিস। এখন বের হবি কিভাবে এই স্থান থেকে।
'হাহাহ। হাহা। আহহাহ?
তুই আমার কিচ্ছু করতে পারবিনা।
'ঠিক আছে দেখ কি করতে পারি।
'চৈতির কথাটি শেষ হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে আব্দুলের দুইটি লোকের মাথার খুলি উরে যায়।
গুলির আঘাতে।
'যা দেখেই আব্দুল বেশ আশ্চর্য হয়।
এইটা কীভাবে সম্ভব।
'কী ভয় পেয়েছিস।
চিন্তা করিশনা তোকে আমি এখন মারবোনা। তোকে সময় দিচ্ছি তুই তোর সৈন্যদের নিয়ে আয় এখানে।
'তুই চাস কি।
'তোর মৃত্যু চাই আমি।
অনেক জালিয়েছিস আমাকে। যদি মৃত্যুটা একটু দেরিতে চাস তাহলে তোর সব লোকদের এখানে ডাক।
সঙ্গে তোর বউ-বাচ্ছাকেও ডাকবি।
'চৈতির কথা শোনা মাত্রই আব্দুল যখনি একটু সামনে এগোতে যাবে। এমন মুহূর্তে সেই স্থানে আবার গুলির শব্দ শুরু হয়।
'আর একটি পা সামনে দিলেই তুই
এখানেই শেষ হয়ে যাবি।
'আব্দুল ও ভয় ওখানেই থেমে যায়। এবং তার সব লোকদের এখানে আসতে বলে।
'বেশ কিছুক্ষন পরে লোক গুলা আসার সঙ্গে-সঙ্গেই চৈতি সবাইকে এক-এক করে মারতে থাকে।
এমনো মুহূর্তে হঠাৎ।
https://tinyurl.com/yuk48vyd
0 Post a Comment:
Post a Comment