গল্প- পিশাচ সুন্দরী ( পর্ব-০৪)
লেখক- রিয়াজ রাজ
--------------------------------
আমি মেয়েটার পিছন থেকে দেখছি। উল্টো দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে সে। চুল গুলো পুরো ফ্লোর অব্দি নেমেছে। পিছন থেকে চুল ছাড়া আমি মেয়েটার কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা। মেয়েটা ধীরে ধীরে পিছু ফিরতে লাগলো। আমি শুধু ভাবছি ওর মুখটা কতটা ভয়ংকর হতে পারে। মেয়েটা ঘুরে অবশেষে তার মুখ দেখালো আমাকে।
আমার জীবনে আমি এরকম একটা সুন্দর মেয়েকে দেখিনি। আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা,এইটা কোনো পিশাচ। ওর মায়াভরা টানটান চোখ, চোখের চারপাশে কালো ঘাড় কাজল মনমুগ্ধ করার মতো। ওর চুল,সত্যিই অবিশ্বাস্য। এতো সুন্দর ঘনকালো চুল কখনো দেখিনি। সামান্য বাতাসেও চুলগুলো এমন ভাবে হেলছে,যেনো বাতাস ছাড়াই চুলগুলো উড়াউড়ি করে বেড়াচ্ছে। ওর ঠোঁটের প্রসংশা করার মতো নয়। কারণ এই ঠোঁটের ব্যাখ্যা করার মলতো শব্দ তৈরি করতে আমাকে আরো ৭ বার জন্ম নিতে হবে। আর ওর ফিগার। সেটা আর আমি বলছি না। আপনিই বুঝে নিন। কারণ এমন ফিগার নিয়ে কেও সোস্যাল মিডিয়ার সামনে এলে আমি নিশ্চিত এই মেয়েকেই বিশ্ব সুন্দরী বলে গন্য করা হবে। আমি হারিয়ে গেছি ওর রুপের দরিয়ায়। আমি ঢুবে গেছি তার আখিধারে।আমি ভেসে গেছি তার নাভিতলে।
হটাৎ আমার কল্পনাকে নাড়া দিয়ে পিশাচটা বলল," আমাকে কেমন লাগছে?"। আমি ওর প্রশ্নের উত্তর ভেবে দেইনি। অটোমেটিক আমার মুখ থেকে বের হতে লাগলো," তুমি সেই নারী যার রুপে হেসে প্রাণ দিবে হাজার পুরুষ। তুমি সেই নারী যার একটি শব্দে যুদ্ধে মেতে উঠবে কোটি যুবক। তোমার তুলনা হয়না,তোমার তুলনা তুমি নিজেই। আমি তোমাকে স্পর্শ না করেও,দেখে দেখে কাটিয়ে দিতে পারবো আজীবন। সত্যিই, তোমার তুলনা হয়না"। আমার কথায় সে মুচকি হাসলো। হেসে তার চুলগুলো একটা ঝাড়া দিলো,সাথে সাথে পুরো রুমে একটা মায়াবী সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ে। এর চুলের মাঝে এমন কি আছে,যা একজন সুস্থ ব্যাক্তিকেও মাতাল করে দিতে পারে। তার প্রেমে মাতাল।
সম্মানিত পাঠক শ্রোতা। এতক্ষণ রিয়াজের মুখে শুনলেন পুরো ঘটনা। চলুন এইবার আমি লেখক মশাই আপনাদের বাকি ঘটনা বলি। কারণ ক্যারেক্টর সব গুলোই এখন ব্যস্ত। শুধুমাত্র আমি আছি ঘটনা বলার জন্য।চলুন শুরু করি।
🔴গল্পের মাঝে এড দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
দেখতে দেখতে শীতকাল চলে এলো এজন্য আমরা নিয়ে এসেছি ন্যায্য দামে উন্নতমানের শীতকালের জ্যাকেট(কুটি) জ্যাকেটের বিবরণ 🥰👇
Ladies Primium Winter Overcoat
চায়না উইন্টার ফেব্রিক্সের প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ওভারকোট।
দুই পাশে পকেট দেওয়া আছে।
ছবির সাথে মিল থাকবে এবং কোয়ালিটি সম্পূর্ণ হিট প্রোডাক্ট।
লং সাইজঃ ৩৬/৩৮
বডি সাইজঃ ৩৮,৪০,৪২,৪৪
লেডিস জ্যাকেট গুলো দেখতে কেমন পিক দেওয়া আছে 👇
সাইজ বর্ণনাঃ
S=34,36 (আপাতত নাই, সামনে আসবে)
L=38,40
XL=42,44
মূল্য ১২০০৳
অর্ডার করতে ইনবক্স করুন📨
আমার গল্পে ফিরে আসা যাক🤩
রিয়াজ পিশাচকে দেখে এক প্রকার বশ হয়ে যায়। পিশাচ তার আসল রুপ দেখিয়ে এক মুহূর্তে ঘায়েল করে দেয় রিয়াজের হাজারো বিভ্রান্তি। পিশাচটা ধীরে ধীরে রিয়াজের দিকে এগিয়ে আসে। রিয়াজ মুগ্ধ হয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে পিশাচের দিকে। পিশাচটা রিয়াজের বিছানায় শুধু একটা পা তুলে দেয়। রিয়াজ সাথে সাথে মাথা নিচু করে পিশাচটার পায়ে চুম্বন দিতে শুরু করে। কুকুরের মতো আচরণ করে যাচ্ছে সে। পিশাচটা যখন রিয়াজের মাথায় হাত রাখে, রিয়াজ তাড়াহুড়ো করে গেঞ্জি আর প্যান্ট খুলে বিছানায় শুয়ে পড়ে।পিশাচও চট করে তার গায়ের শাড়িটা ফেলে দেয়। রিয়াজ আরো বেশি মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে পিশাচ তার সব কাপড় খুলে ফেলে দেয়। কিছুক্ষণ পর পিশাচটা ধীরে ধীরে রিয়াজের কোমরের উপর বসে। তারপর রিয়াজের গলায় হাত দিয়ে পিশাচটা রিয়াজকে চুমু দিতে লাগলো। রিয়াজ নিজের দুই হাত তুলে সোজা পিশাচের স্থনে স্পর্শ করে বসে। এইভাবে কিছুক্ষণ যাওয়ার পর পিশাচটা রিয়াজের গোপন অঙ্গ তার মাঝে বিলিয়ে দেয়। চাদটা ঢুবে গেছে,রুমটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। কিন্তু তার মাঝে মিলন চলছে একটা পিশাচ ও মানুষের।
সকাল ৮টা।
ভোর করে উঠলেও, তাজকিয়া বাসায় রিয়াজের জন্য পিঠা বানাতে বসে। যেগুলো বানাতে বানাতে ৮ টা বেজে গেলো। গতকাল রিয়াজকে প্রচুর টর্চার করেছে। আজ আর তা করবেনা। কারণ রিয়াজের মা সহই সেদিন প্ল্যান করেছে রিয়াজকে টর্চার করবে। শীতকাল, গরম গরম পিঠা তৈরি করে তাজকিয়া রিয়াজদের বাসায় আসে। ততক্ষণে ৯টা বেজে গেলো। রিয়াজের আম্মু দরজা খুলেই দেখে তাজকিয়া। উনি পিঠার বক্সটা হাতে নেয়। এরপর তাজকিয়া বলল,"
- আন্টি,রিয়াজ কোথায়? ঘুমাচ্ছে এখনো? ।
- কেনো, আজকেও টর্চার করবে নাকি আমার ছেলেকে। তবে যাই বলো,কাল অনেক মজা পেয়েছি হাহাহা"।
- না,আজকে আর জ্বালাবো না। কাল প্রচুর বিরক্ত হয়েছে।
- তাও ঠিক। আচ্ছা যাও, উপরের ঘরে আছে। ঘুমাচ্ছে এখনো। পিটিয়ে তুলবা ঠিক আছে?
- ওকে আন্টি।
তাজকিয়া নাচতে নাচতে রিয়াজের রুমের দিকে যায়। দরজার সামনে গিয়ে ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেলো। মনে মনে তাজকিয়া অবাক হয়। রিয়াজ তো দরজা লক করা ছাড়া ঘুমায়না কখনো। যাইহোক, ভুলে গেছে হয়তো ভেবে তাজকিয়া রুমে ঢুকে। প্রচন্ড রকমের একটা বিশ্রী গন্ধ পায় তাজকিয়া। প্রায় বমি করার মতো। তাজকিয়া রিয়াজের দিকে তাকিয়ে দেখে,রিয়াজ উলঙ্গ হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। তাও আবার হাত পা ছড়িয়ে দিয়ে। তাজকিয়া হুট করে আবার পিছনে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়। বেকুব হয়ে যায় তাজকিয়া। রিয়াজ এমনভাবে শুয়ে আছে কেন। তাজকিয়া দৌড়ে রিয়াজের কাছে যায়। রিয়াজের পাশে বসে। এরপর গাল ধরে রিয়াজকে ডাকাডাকি শুরু করে। রিয়াজ গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে আছে। ডাকাডাকির কারণে হুট করে রিয়াজ লাফিয়ে উঠে। দেখে তাজকিয়া বসে আছে পাশে। রিয়াজ আচমকা রেগে গিয়ে তাজকিয়াকে জোরে একটা চড় মারে। তৎক্ষনাৎ তাজকিয়া বিছানা থেকে ফ্লোরে পড়ে যায়। ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হচ্ছে তাজকিয়ার। রিয়াজ উলঙ্গ অবস্থায় বিছানা থেকে নেমে প্যান্ট পড়ে নেয়। তাজকিয়ার দিকে তাকাচ্ছেও না। তাজকিয়া ফ্লোর থেকে উঠে কান্না করতে করতে আবার রিয়াজের কাছে গিয়ে বলল," কি হয়েছে তোমার সোনা। এমন করতেছো কেন? "। রিয়াজ এইবার তাজকিয়াকে এমন জোরে এক ধমক দেয়। তাজকিয়া নিমিষেই ভয়ে জমে বরফ হয়ে যায়। এদিকে রিয়াজের বাবা মা দৌড়ে আসে। বাহির থেকে দরজা পেটাচ্ছে ওরা। তাজকিয়া দৌড়ে দরজা খুলতে যাবে,তখনি রিয়াজ তাজকিয়ার চুলের মুঠি ধরে জোরে ফ্লোরে আছাড় মেরে দেয়।
চলবে.......?
0 Post a Comment:
Post a Comment