তুমি_আমার_বউ_হবে Part :- 7, 8 https://tinyurl.com/yuk48vyd

তুমি_আমার_বউ_হবে

Part :- 7, 8

সোহানুর রহমান সোহান

<--------------------------------------->

ওযুখানা থেকে এসে ফ্লোরে জাইনামাজ টা পেড়ে নিলো।বোরখাটা পড়ে আয়নার সামনে থেকে নামাজের দিকে অগ্রসর হতে লাগলো।তাকে আজকে এই ছেলেটাকে পাবার জন্য খোদার কাছে মিনতি করতে হবে।

এতো রাতে আগে কখনো উঠার অভ্যাস নেই তাই নামাজ শেষ করে সে বিছানাই গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো

-

সকাল হতেই হটাৎ চারুর চোখে রোদ লাগতেই তার চোখদুটো খুলে গেলো।তাকাতেই দেখে সোহান তার কাছে হাজির।

---এখনো ঘুমিয়ে আছো?ঘড়িতে কতো বাজে সেটা দেখেছো?(সোহান)

---আপনি একটু সাড়া দিলেই উঠে যেতাম।তো বলুন এখন আমাকে কি করতে হবে?

---আজকে তোমাকে পতিতালয় ভ্রমন করতে নিয়ে যাবো।

---কি?সত্যি আমাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে?

---হ্যা তুমি ঘুম থেকে উঠে দেখ একটা কাপড় রাখা আছে।সেটা পড়ে বাইরে চলে এসো।

কথাটা বলে সোহান রুম থেকে বের হয়ে গেলো।চারুর মন খুশিতে ভরে গেলো।তার ইচ্ছাটা আজকে পূরন হতে যাচ্ছে।টেবিলের উপর তাকিয়ে দেখে তার জন্য একটা পোশাক রাখা আছে।প্যাকেট থেকে পোশাক বের করে বুঝতেই পারছে না এটা কিভাবে পরিধান করে?

পাশে খেয়াল করে দেখলো তার জন্য ও সোহান ব্যবস্থা করে রেখেছে।পোশাকটা পড়ে আয়নার সামনে যেতে সে নিজের মুখ নিজেই ঢেকে নিলো।

এটা কি?তার শরীরের প্রায় অংশই তো দেখা যাচ্ছে।নিজেকে তার খুব খারাপ লাগছিলো।কিন্তু সোহান পড়তে বলেছে বিধাই সে সেটাই পড়ে বাইরে বের হয়ে এলো।চুপিচুপি চারু গাড়ির ভিতরে বসে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছে।সোহান চারুর এমন কান্ড দেখে মুচকি মুচকি হাসি দিচ্ছে।

সোহান জানে চারু একবার সেখানে যাবার পর আর ভুলেও এইরকম পরিকল্পনা করবে না।

তবে চারুকে দেখতে বেশ হয়েছে।কিন্তু চারুর দিকে তাকাতে পারছে না।চুপচাপ হাসিটা থামিয়ে রেখে গাড়িটা নিয়ে রওনা দিলো।

-

পতিতালয়ের গেটে সোহান গাড়িটা থামাতেই চারপাশের ছেলেপেলে গুলো কিছু একটা আচ করতে পেরেই চুপচাপ এক কোনাই গিয়ে দাড়িয়ে রইলো।গাড়ি থেকে সোহান নামতেই খেয়াল করলো চারপাশটা একদম ফাকা।সে পিছনে তাকাতেই দেখে তার পিছনে ১৫ টা গাড়ি দাড়ানো।সোহান একটা হাসি দিয়ে চুপচাপ ভিতরে চলে গেলো।

চারু গাড়ি থেকে নামছে আর চারপাশটা বারবার দেখছে।মনে মনে বলতে লাগলো,,

---ছি কি বিচ্ছিরি পোশাক।ওড়নাটাও নেই।কোমর আর হাটু এভাবে বের হয়ে থাকলে লোকজন তাকে দেখে কি ভাববে?

গেটের ভিতরে যেতেই চারুর চোখদুটো বড় হয়ে গেলো।কি সব হচ্ছে এখানে?যে যেখানে পারছে সেখানে কিসব আজেবাজে কাজ করছে।পাশের রুম থেকে আওয়াজ আসতেই চারু এক চিৎকার দিয়ে দৌড়ে দুরে চলে

এলো।চারদিকের মেয়েদের গায়ে তার থেকেও বিচ্ছিরি পোশাক।কেউ কেউ আবার নিজেই ছেলেদেরকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

হটাৎ তার এক পাশে নজর যেতেই কিছুটা এগিয়ে গিয়ে রুমে একটু উকি দিতেই এক ঝটকায় মাটিতে পড়ে গেলো।এখানে কি করা হচ্ছে মেয়েদের সাথে।

চারুর পাশের মেয়েটাকে হটাৎ করে কয়েকটা ছেলে এসে উচু করে নিয়ে চলে গেলো।মেয়েটা অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে বাচাতে পারলো না।তার মনে একটা প্রশ্ন জাগলো?

তার পাশ থেকে মেয়েটাকে নিয়ে গেলো।কিন্তু তাকে কেন কেউ কিছু বললো কেন?কথাটা ভাবতেই হটাৎ তার বুকের দিকে খেয়াল করতেই দেখে একটা কার্ড লাগানো।

চারু একটু ভালো করে লক্ষ করে দেখে সেখানে একটা পুলিশ লাইসেন্স কার্ড লাগানো।

চারদিকে এমন অবস্থা দেখে চারপাশটা তার কাছে আধারের মতো লাগছিলো।পাশের একটা গেট থেকে দেখে একটা উলঙ্গ মেয়েকে কয়েকজন ধরে আবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।চারুর বুঝতে বাকি রইলো না, মেয়েটাকে এখানে পাচার করা হয়েছে।

-

এক দৌড়ে চারু বাইরে বেড়িয়ে গাড়িতে উঠে পড়লো।গাড়িটা আর সেখানে এক মুহুর্ত দাড়ালো না।সোজা বাসার সামনে থেমে গেলো।

গাড়ি থেকে চারু নেমে দৌড়ে রুমে চলে গেলো।সোহান বুঝতে পেরেছে চারু সবটুকুই বুঝে নিয়েছে।সে জানতো চারুকে পুরো বোঝানোর দরকার নেই।

সেজন্য চারুকে শুধু পতিতালয়ের কেনাবেচার জাইগাটাই দেখিয়েছে।আসল ভোগের জাইগাটা তাকে দেখাই নি।

.

রাতে দুজনেই ছাদে বসে রয়েছে।পাশাপাশি বসে দুজনেই কফি হাতে নিয়ে তাদের সামনে থাকা চাদটা দেখছে।পাশ থেকে কেউ একজন বলে উঠলো,,

---ভাইয়া আজকালেও মেয়েরা এতো নির্যাতিত?

---এটাই সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যা।যেটার বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়না।

---ভাইয়া একটা কথা বলবো?

---হ্যা বলো?

---আপনি এই পেশাই কত দিন আছেন?

---প্রায় ১০ বছর।

---আপনি তো অনেক মেয়েকে সেখানে পাঠান।কখনো কারো প্রতি আপনার আপনার মায়া লাগেনি?

কথাটা শুনে সোহান কিছুক্ষন নিরব রইলো।

---একটা মেয়ে যদি তার নিজের জীবন নিজে থেকেই বিপদের দিকে ঠেলে দেই।তখন আমার কিছু করার থাকেনা।যদি কেউ কখনো আমাকে বলতো,ভাইয়া আমি এসব পথে যাবোনা।তাহলে তাকে তক্ষুনি ছেড়ে দিতাম।কিন্তু জানিনা এসব মেয়েরা কখনো সে পথ থেকে আর ফিরে আসতে চাইনা।

---ভাইয়া এটার জন্য কি শুধু আমাদেরকেই দায়ী করলে ঠিক হবে?

---চারু তোমাকে একটা প্রশ্ন করবো?

---হ্যা করেন।

---যখন তুমি আমার দেওয়া পোশাক পড়ে বের হয়েছিলে।তখন লোকজনের তোমার প্রতি কেমন আকর্ষন হয়েছিলো?

---আমি যখন চারপাশটা দেখছিলাম।সবাই আমাকে বারবার দেখছিলো।

---মেয়েদের এই একটাই সমস্যা যেটা তারা তাদের পোশাকের মধ্যে প্রচার করে বেড়াই।অনেকে বলে তাহলে শিশুরা কেন নির্যাতিত হয়?

আসলে এই কথাটার কোনো ভিত্তিই নেই।কারন খারাপ কাজ মানে খারাপ।যেটা তুমি ওদেরকে দেখাচ্ছো সেটা তারা তোমার থেকে নিতে না পেরে শিশুদের উপর প্রভাব ফেলছে।

---সবাই তাদের নিয়তির শিকার।(একটা ঘন নিষ্শাষ নিয়ে চারু)

---তো আজকের কাহিনীর পর তোমার ডিশিসন কি হলো?

---সেটা এখনো ভাবিনি।আচ্ছা আমাকে আর কতোদিন থাকতে হবে এখানে?

কথাটা শুনে সোহান কিছুটা গম্ভির হয়ে গেলো।তার ভিতর কি চলছে সেটা সে নিজেও বুজতে পারছে না।

মেয়েটাকে সে তার কথাটা বোঝাতে পারছে না।সোহান চারুর পাশে গিয়ে চারুর হাতটা ধরে,,

---চারু আকাশের ওই চাদটা দেখছো?

---জি।(কিছুটা ভিত আর চমকে গিয়ে)

---এই চাদকেই আমরা রাতের সবচেয়ে সোন্দয্য ভাবি।কিন্তু এই চাদের সুন্দর প্রতিভাটা কোথা থেকে আসে?সেটা আসে সুর্য আছে সেটার জন্য।আর ঠিক তেমনি একটা মানুষের জন্য দরকার আরেকটা হাত।যেটা তাকে বাচতে শেখাবে আর তার হাতদুটো সবসময় ধরে রাখবে।

কথাটাগুলো চারুর ভিতরে শিহরিত হতে শুরু করলো।চারুর চোখে চোখ রেখে দাড়িয়ে পড়লো সোহান।সে চারুর চোখে কিছু একটা লক্ষ তাকালো।হইতো আজ দুজনেরই কিছু একটা ফিল হচ্ছে।

চারুর হাতদুটো উচু করে,,

---এই হাতদুটো দেখছো ?এটা তুমি তোমার ইচ্ছাতে সবদিকেই নিতে পারবে।ঠিক তেমনি সেখানে যাওয়াটা তোমার উপর নির্ভর করবে।শুধু একটু বুদ্ধি দিয়ে ভেবে দেখো।

কথাটা বলেই পাশ থেকে সোহান হেটে হেটে চলে গেলো।

.

চলবে,,


part :- 8



কথাগুলো চারুর কানে বাজতে লাগলো।সে কিভাবে বোঝাবে, সোহান আমি শুধু তোমাকেই চাই।

রাতের ঠান্ডা হাওয়াটা তার শরীরে লাগছে।শরীরটা তার বারবার কাপুনি দিয়ে উঠছে।

হাতদুটো গুটিয়ে সে রুমে গিয়ে বালিশে মাথা রাখলো।আজকে তাকে আর বসে থাকলে হবেনা?এ কদিনে সে সোহানকে যে ভালোবেসে ফেলেছে তার ভালোবাসা কথাগুলো কালকে তাকে জানাতেই হবে।

রাতটা গভির হয়ে এসেছে।চারু ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছে।আর সোহান চুপটি করে সোফাই ঘুমিয়ে রয়েছে।রাতের এই সময়গুলো তার সোফাতেই কাটাতে ভালোলাগে।

-

সকাল হতেই চারু ঘুম থেকে উঠে পড়লো।চুপিচুপি ফ্রেশ হয়ে এসে চারপাশে উকি দিয়ে সে সোহানকে খুজতে লাগলো।কিন্তু তাকে যে পাওয়াই যাচ্ছে না।তাই চুপিচুপি চারু সোহানের রুমে গিয়ে উকি দিলো।

রুমের ভিতর তাকিয়ে দেখলো কেউ নেই।সে চুপিচুপি রুমের ভিতর প্রবেশ করলো।রুমে যেতেই সে বেশ অবাক হলো।বাহ রুমটা তো বেশ সুন্দর।

চারপাশটা ঘুরে ঘুরে দেখতে দেখতে হটাৎ তার টেবিলের উপর নজর পড়লো।টেবিলের উপর রাখা আছে বিভিন্ন ধরনের বই আর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন কিছু কাগজ।চারু সেখান থেকে একটা কাগজ উঠাতে খেয়াল করলো সেটা তার নামেই রেজিস্টার আছে।কথাটা ভাবতেই খেয়াল হলো সেদিনের সেই অপারেশনের কথা।

কাগজটা খুলে সে বেশ অবাক হলো।কাগজে তো অন্যকিছু দেখাচ্ছে।তাহলে সোহান যে বললো,,তাকে একটা মেডিসিন দেওয়া হবে?

কাগজটা ভালো করে পড়ে সে বিষ্শাশ করতে পারছিলো না এই রিপোর্টটা সত্য?তাহলে সোহান আগে থেকেই জানতো সে একদম ঠিকঠাক আছে।

পাশ থেকে একটা আওয়াজ পেতেই সে দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে এলো।বেলকনিতে দাড়িয়ে সে খুশিতে হাসতে লাগলো।সে যে কতোটা খুশি ছিলো?সেটা কাউকেই বোঝাতে পারছে না।

এখন তার নিজেকে বলতে ইচ্ছে করছিলো,,

---চারু তুই পারবি।আজ তোকে কথাটা বলতেই হবে।

রুমে এসে সুন্দর করে একটা চিঠি লিখলো।সে এখন বুঝতে পারছে সোহান কেন তাকে কখনো একলা ছাড়েনি।

চিঠিটা হাতে নিয়ে বাইরে যেতেই দেখে সোহান দাড়িয়ে রয়েছে।সে এক দৌড়ে গিয়ে সোহানের বুকে ঝাপিয়ে পড়লো।

---আরে আরে চারু তুমি এসব কি করছো?(চারুকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)

---আমার জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছা করেছে তাই ধরেছি।আপনি একদম চুপচাপ দাড়িয়ে থাকুন।

---কিন্তু এভাবে ঝাপিয়ে পড়ার কারনটাতো বলবে?

---এর আগে আপনিও আমাকে অনেক বার জড়িয়ে ধরেছিলেন।তখন আমি কিছুই বলেনি তাই এখন আপনি চুপচাপ দাড়িয়ে থাকুন।

সোহান চুপ করে দাড়িয়ে একটু রোমান্টিকভাবে চারুর কোমরে আলতো করে ছুয়ে দিলো।চারুকে দেখলেই শুধু তার এই একটাই দুষ্টুমি

মাথাই ভর করে।

চারু একটু নড়েচড়ে উঠলো।সে বুঝতে পারছে এটা সোহান ইচ্ছা করে তার সাথে মজা করছে।বেয়াদব ছেলেটা একটুও ফিলিংস বোঝেনা।সবসময় শুধু তার সাথে দুষ্টামি করে।

---এই শুনছেন?

---হ্যা বলো?

---কোমর থেকে একটু হাতটা সরানো যাবে?

---ইয়ে মানে?(তারাতারি করে হাতটা সড়িয়ে)

---একটা কথা বলার আছে?

---কথা বলবা নাকি কিছু করবে?যেরকম জড়িয়ে রেখেছো, তাতে আমারতো কিছু শুনতে ইচ্ছে করছে না।একটু ঘুমানোর শখ জাগছে।

চারু সোহানকে এক ধাক্কাই সড়িয়ে দিয়ে লজ্জাই মুখটা লুকিয়ে নিলো।

---একটু একটু ফিলিংস হচ্ছে।যাইহোক চারু তুমি কিছু একটা বলতে চাইছিলে?

---হ্যা।আচ্ছা আমি যে আপনাকে ছেড়ে যাচ্ছি।এতে আপনার কষ্ট হবেনা?(মুখটা নিচু করে)

---চারু মুখ থেকে কখনো এমন কথা বের করবা না।তুমি কখনো আমার থেকে যাবেই না।

---কেন?

---আমিতো তোমার সাথেই সবসময় থাকবো।

---ভাইয়া আপনাকে একটা কথা বলার আছে?

---হ্যা বলো।

চারু পিছন থেকে যেই চিঠিটা বের করতে যাবে?ঠিক তখনি সোহানের ফোন বেজে উঠলো।সোহান ফোন হাতে নিয়ে খেয়াল করলো বাসা থেকে বাবা ফোন করেছে।চারু চোখটা বন্ধ করে চিঠিটা সোহানের সামনে রাখতেই সে ফোনটা কানে নিয়ে পিছন ফিরে একটা দুরে চলে গেলো।

অনেক্ষন হতে চারু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে সোহান তার পাশে নেই।খেয়াল করলো একটু দূরে সোহান কার সাথে যেন কথা বলছে।

চারুর মনটা ভিষন খারাপ হয়ে গেলো।চিঠিটা তার আর দেওয়া হবেনা দেখে চিঠিটা লুকিয়ে নিলো।

বেশ অভিমানের দৃষ্টিতে সে সোহানের দিকে তাকিয়ে রইলো।কিছুক্ষন পর সোহান কথা শেষ করে খেয়াল করলো চারু তার দিকে অন্যরকম ভাবে তাকিয়ে রয়েছে।চারুর পাশে এসে,,

---কিছু মনে করোনা।বাসা থেকে বাবা ফোন করেছিলো।

---কি জন্য?

---সবসময় বাসার বাইরে থাকি।সেজন্য বাবা আমার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে চাইছে।(মুচকি হেসে)

---বাহ তাহলে তো আপনাকে শুভেচ্ছা জানাতেই হচ্ছে।

---হুম।চারু তুমি কিছু একটা বলতে চেয়েছিলে?

---কই নাতো।

---মিথ্যা বলবে না?

---যেটা বলতে এসেছিলাম সেটা এখন মনে নেই।পরে মনে পড়লে তখন জানাবো।(মুখ চাপা দিয়ে)

---চারু তুমিও না?একদম বোকা একটা মেয়ে।

---হ্যা পাগল ছেলের বোকা পাগলি।(আসতে আসতে)

---পাগল বললে মনে হলো?

---আরে বললাম যে, খাবার সময় হয়ে গিয়েছে।চলুন আপনার খাবারটা বেড়ে দিতে হবেতো।

সোহান চারুর কথাই বোকা হয়ে সেখান থেকে চলে গেলো।

চারু চুপিচুপি হাসছে।ছেলেটা বুদ্ধিমান হলেও একসের পাগল।একটা কথাও একটু ভালো করে শুনেনা।

চারু মনে মনে ভাবছে,,সোহানকে তার বাবা বিয়ের চাপ দিচ্ছে।তাহলে সোহান অবশ্যই একটু চাপে থাকবে।এই সুযোগেই আমি সোহানকে আমার করে নিবো।যেভাবেই হোক সোহানকে আমার মনের কথা জানাতেই হবে।কারন আমি জানি,,ছেলেটা মেয়েদের থেকেও লজ্জা বেশী পায়।তাই সে বুড়া হয়ে গেলেও আমাকে তার ভালোবাসার কথাটা বলবে না।

-

-

অনেক্ষন ধরে হোটেলে একা একা বসে রয়েছে।সেই যে কখন সোহান তাকে এখানে বসিয়ে রেখে গিয়েছে।চারপাশের সবাই তারদিকে তাকাচ্ছে।তার খুব ভয় করছে।এখানে সোহান তাকে এনেছে কারো সাথে দেখা করার জন্য।

পানির বোতল হাতে নিতেই খেয়াল করলো সোহান তার পাশে বসলো।

---ওই আপনি তো বেশ অদ্ভুত?আমাকে একা রেখে কোথায় চলে গিয়েছিলেন?

---চারু আমি দুঃখিত।কিন্তু একটা কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলাম।(চারদিকে তাকিয়ে)

---এভাবে হবে না?মাফ চান।

---ঠিক আ আ আ....

সোহানের কথা থেমে যেতেই চারু অবাক হয়ে সোহানের চোখের দৃষ্টিটা লক্ষ্য করলো।বাইরের দিকে তাকাতেই খেয়াল হলো একটা ছোট্ট ৪ বছরের বাচ্চা তাদের দিকেই এগিয়ে আসছে।বাচ্চাটা এগিয়ে আসতেই সোহান দৌড়ে গিয়ে বাচ্চাটিকে কোলে তুলে নিলো।সোহানে এর কোলে বাচ্চা দেখে চারু অবাক হয়ে গেলো।

সোহান চারুর পাশে এসে বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে বসলো।সোহানের মুখে ফুটে উঠেছে ভালোবাসার হাসি।যেটা চারুকে চিন্তার অঘোরে ফেলে দিলো।হটাৎ পাশ থেকে শুনছো...কথাটা শুনে চারু মুখ তুলে তাকাতেই দেখে একটা যুবতী মেয়ে।তবে মেয়েটিকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে মেয়েটি বিবাহিত।

চারুর আর বুঝতে বাকি রইলো না এদের কাহীনিটা।নিজের অজান্তেই তার চোখ দিয়ে জল বেড়িয়ে এলো।সোহান তার সাথে প্রতারনা করেছে।সে তাকে মিথ্যা বলেছে।নিজের চোখের জলটা লুকিয়ে নিলো।

---চারু তোমাকে ওদের জন্যই বসিয়ে রেখেছিলাম।এই যে এটি হলো আমার ছোট্ট খোকা আর ও হলো রিতু।

রিতু হাতটা বাড়াতেই চারুর বুকটা ধক করে উঠলো।নিজের ভালোবাসাটা অন্যর কাছে এটা ভাবতেই হাতদুটো কাপতে লাগলো।পরিচিত হওয়ার পর খেয়াল করলো সোহান শুধু রিতুর সাথেই কথা বলে যাচ্ছে।একটা আহাকার তার ভিতর কাজ করতে শুরু করলো।কান্নাটা আর তার পক্ষে চেপে রাখা সম্ভব হচ্ছিলো না।সোহানকে একটু ওয়াশরুমে যাবার কথা বলে হোটেল থেকে বেড়িয়ে এলো।

চুপ করে একটা ফাকা যাইগা দিয়ে সে হাটছে।টপটপ করে তার চোখ থেকে জল পড়ছে।নিজেকে তার খুব অসহায় মনে হচ্ছিলো।গরীব বলে সোহান তার সাথে এতোটা নোংরামি করতে পারলো?একটা মেয়েকে বিয়ে করে আরেকটা মেয়ের দিকে লালসার হাত বাড়িয়ে দিলো?

.

রাস্তার লোকজন হইতো তাকে পাগল ভাবছে।কিন্তু চারু ঠিক করে নিয়েছে।আর সে এখানে থাকবে না।একটা প্রতারকের সাথে সে কিছুতেই থাকতে পারবে না।

কান্না করতে করতে সে নিজের বাড়িতে ফিরে যাবার জন্য রওনা দিতে আরম্ভ করলো।

.

চলবে,,

(শেষ) পর্ব লিংক 👇

https://tinyurl.com/yuk48vyd






সেই_রাতের_গল্প পর্ব---২০,২১

সেই_রাতের_গল্প

পর্ব---২০,২১

কাহিনী ও লেখনীতে:মি_হাসিব


'হঠাৎ রাস্তার মাঝে গাড়িটা থামানোর সঙ্গে সঙ্গে

চৈতি বলে উঠলো।


'কি ব‍্যপার ড্রাইভার গাড়ি ব্রেক করলে কেনো।

কোন কি সমস্যা হয়েছে।


'সামনে তাকিয়ে দেখুন।


'কথাটি শোনার সঙ্গে-সঙ্গে হাসিব ও চৈতি সামনে তাকিয়ে দেখে আব্দুল তার দল-বল নিয়ে নিয়ে

দারিয়ে রয়েছে।


'এইটা দেখা মাত্রই চৈতি হাসিব দুজনে বাহিরে আসে।

এসেই প্রশ্নো করে।


'কি ব‍্যপার ভাইয়া তুমি আমাদের সামনে রাস্তা দারিয়ে 

আছো কেনো।

আমাদের হানিমুনে যাইতে দাও। (হাসিব)


'হাহাহাহ। হাহাহ। হাহাআ। 

হাসিব সত‍্যি তুইও অনেক অভিনয় করতে পারিস।

কিভাবে এইটারে পটিয়ে বিয়ে করলি হ‍্যা।

সত‍্যি তুই আমার মতো হয়েছিস।

ওর ওখানে থেকে সরে দারাও।

গুলি করে ওর মাথার খুলিটা উরিয়ে দেই।


'নাহ ভাইয়া।


'না মানে।

আরে বোকা তোর কাজ ছিলো ওকে বাহিরে 

নিয়ে আসা। তোর কাজ এখানে থেকেই শেষ এখন 

বাকি কাজটা আমাকে করতে দে।


'আমি চৈতিকে ভালোবাসি।

ওর কিচ্ছু হতে দিবোনা।


'পাগল হইছিস হ‍্যা।

ওর থেকে ভালো মেয়ের সঙ্গে তোর বিয়ে দিবো আমি।

সরে আয় বলতেছি।


'সরি ভাইয়া।

আমি চৈতিকে কথা দিয়েছি যদি মরতে হয় এক সঙ্গে মরবো যদি বাচতে হয় এক সঙ্গে বাচবো।


'তুই বুজতেছিসনা এই চৈতি কতোটা ডেন্জার?

তোকে শুধুমাত্র ব‍্যবহার করতেছে।

পরবর্তীতে তোর কাজ শেষ হলেই তুও শেষ।


'নাহ চৈতিও আমাকে অনেক ভালোবাসে।

ও আমার কোন ক্ষতি করবেনা।

এইটা আমার বিশ্বাস আছে।

প্লিজজজ ভাইয়া আমাদের হানিমুনে যাইতে দাও 

কোন বাধা দিওনা। 


'এইবার কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে।

তুই সরে আসবি নাকি তুই থাকাতেই ওকে শেষ করবো।


'আমি থাকতে ওর কিচ্ছু হতে দিবোনা।


'হাসিবের এমন কথায় আব্দুল ভিষন রেগে যায়।

এবং সঙ্গে-সঙ্গে চৈতির দিকে বন্ধুক তাক করা মাত্রই হাসিব চৈতির সামনে চলে আসে।


'ভাইয়া চৈতিকে মারতে হলে আগে আমাকে 

মেরে ফেলতে হবে।


'ভাইয়ের এমন পাগলামি দেখে আব্দুল তার অন‍্য লোক গুলাকে নির্দেশ দেয়, চৈতির কাছ থেকে যেনো হাসিব কে আলাদা করে।


'কথা মতো লোক গুলা যেইনা কাছে 

আসতে যাবে এমন মুহূর্তে চৈতি তার ব‍্যাক থেকে একটি ছোট্ট গুলি বের করে এবং হাসিবের মাথায় ধরে।


'যা দেখা মাত্রই সেখানে সবাই নিস্তব্ধ হয়ে যায়।


'শোন তোর লোকদের বল ওরা যেনো আমার 

কাছে না আসে। কাছে আসলেই কিন্তু তোর ভাইয়ের মাথা দুভাগ করে দিবো। (চৈতি)


'দেখলি তোকে বললাম না এই চৈতি তোকে 

ব‍্যবহার করতেছে।

সময় পাইলে তোকে সোবল মারবে।

প্রমান পাইলিতো।


'আব্দুলের এমন কথায় হাসিব বলে উঠলো।

কি ব‍্যপার চৈতি তুমি কি সত্যি আমাকে ভালোবাসোনা।


'হাহাহহা।

খুনির ভাইকে আমি ভালোবাসতে যাবো কোন কারনে 

সেইটা বল।

তর পরিবারের সবাই খুনি / মানে তুও খুনি।

তোকে শুধুমাত্র আমি ব‍্যবহার করেছি।


'প্লিজজজ এই কথা বলিওনা।

আমি তোমাকে সত্যি ভালোবাসি আর বিশ্বাস করি।

তুমি আমাকে ঠগাইতে পারোনা।


'আরে বোকা এই গুলাকে ভালোবাসা বলেনা।

এই গুলাকে অভিনয় বলে।

যাক বেশি কথা বলতে চাইনা? আব্দুল তুই আমার সামনে থেকে চলে যা নাহলে তোর ভাইকে এখানেই শেষ করে দিবো চিরতরে।


'ভাইয়ের এমন করুন অবস্থা দেখে আব্দুল বলে।

হ‍্যাঁ চলে যাচ্ছি।

কিন্তু আমার ভাইয়ের কিচ্ছুটি করবা।


'ঠিক আছে।

কিচ্ছু করবোনা। 

আমাকে ২কোটি টাকা দে তোর ভাইকে ছেড়ে দিবো।


'আমি এত টাকা কোথায় পাবো।


'সেইটা তুই জানিস।

আমি যেইটা বলছি সেইটা না পাইলে তোর ভাইকে

মৃত পাবি কালকে।


'কথাটি বলেই চৈতি একটি গাড়িতে হাসিবকে 

নিয়ে উঠে পরে এবং সেই স্থানটি ত‍্যাগ করে।


'চৈতির এমন পাগলামি দেখে।

আব্দুল ভিষণ রাগান্বিত হয়ে যায়। কিন্তু কিচ্ছু করতে 

পারেনা।


'এর পরে গন্তব্য স্থানে আসলেই চৈতি এবং হাসিব 

নেমে পরে। 

তখন হাসিব জিঙ্গেস করে।


'চৈতি তুমি কি সত্যি আমাকে ভালোবাসোনা।

আমাকে ব‍্যবহার করতেছো।

তুমি কিভাবে পারলে আমার মাথায় বন্ধুকটি ধরতে।

আমি তো তোমার স্বামী।


'আরে পাগল ওটা অভিনয় ছিলো।

আমিও তোমাকে সত্যি ভালোবাসি। তোমার ভাইয়ের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন‍্যেই এমন কাহিনী আমাকে করতে হয়েছে।


'ওহ।

তাহলে তুমি আমাকে সত্যি ভালোবাসো।


'হ‍্যাঁ তোমাকে অনেক ভালোবাসি।

এখন চুপ চাপ আমার সঙ্গে আসো পিছন-পিছন।


'আরে আমাদের তো হানিমুনে যাওয়ার কথা।

কিন্তু তুমি আমাকে জঙ্গলে নিয়ে যাচ্ছো কেনো।

সেইটা তো বুজলাম না।


'জঙ্গলেই আমাদের কাজ আছে।


'নাহ আমাদের জঙ্গলের ভিতরে কোন কাজ নেই।

তুমি আমাকে নিশ্চয়ই মেরে ফেলবে তাইনা।


'স্বামিকে কখনো স্ত্রী মেরে ফেলে নাকি পাগল।

ভিতরে চলো।

সেখানে গেলেই দেখতে পারবে।


'চৈতির এমন কথা শুনে হাসিব আর একটি কথাও না বলে ওর পিছু পিছু যেতে থাকে।

বেশ কিছু দুর যাওয়ার সঙ্গেই।


'হাসিবকে চৈতি?


পরবর্তী পর্বের জন‍্যে অপেক্ষায় থাকুন।

পর্ব দিতে ধরলাম মানে এখন ১/২ দিনের মধ‍্যেই গল্প পাবেন। 


 

  পর্ব--২১


'জঙ্গলের মধ‍্যে হঠাৎ করেই চৈতি হাসিবকে 

জরিয়ে ধরে কিস করতে থাকে।


'যেটার জন‍্যে হাসিব কোন ভাবেই প্রস্তুত ছিলোনা।

কিন্তু এখন আর কি করার।

হাসিব ও চৈতিকে সায় দেয়?


'বেশ কিছুক্ষন কিস করার পরে হাসিব বলে উঠে।

জান বলোনা আমারা কোথায় যাচ্ছি।

আমার খুব ভয় লাগতেছে।


'আরে পাগল চিন্তা করিওনা।

আমি থাকতে তোমার কিসের ভয় হ‍্যা। এই জঙ্গলের ভিতরে আমার একটি বাড়ি আছে।


'মানে।


'যখন আমি সমস্যায় পরি তখন সবার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন‍্যে এই বাড়িতে চলে আসি।

আমি ছাড়া কেউ জানেনা এই বাড়ির কথা।


'তাই।

কিন্তু এখনতো আমি জানবো।


'হ‍্যাঁ তুমি তো আমার স্বামী তোমাকে তো জানাতেই হবে।

এছাড়া বাহিরে থাকা দুজনের পক্ষের অসম্ভব।

তোমার ভাই খুজে বের করবে।


'ওহ।

আচ্ছা চলো এখন।


'এর পরে দুজনে গল্প করতে-করতে সেই স্থানে 

চলে আসে। কিন্তু হাসিব কোন ঘর বাড়ি খুজে পায়না।

তাই আবার জিঙ্গেস করে।


'চৈতি কোই তোমার বাড়ি।

এইটা তো নিস্তব্ধ স্থান।


'হাসিবের এমন কথা শুনেই চৈতি সেই স্থানের মাঠি গুলা সরিয়ে একটি গুপ্ত স্থান বের করে।


'এই এর ভিতরে ঢুকে পরো।


'আরে এইটাতো গর্ত।

এখানে কেনো ডুকবো হ‍্যা।


'এইটার ভিতরেই আসে আমার গুপ্ত স্থান বেশি কথা না বলে ভিতরে ডুকে পরতো।


'এর পরে হাসিব গর্তের ভিতরে ডুকার সঙ্গে-সঙ্গে বেশ 

আশ্চর্য হয়ে পরে।

কারন এই গর্তের ভিতরে তো পুরাই রাজ প্রাসাদের মতো একটি বাড়ি তৈরি করা।


'আরে এইটা বাড়ি নাকি রাজ প্রাসাদ।

মাটির নিছে কিভাবে এমন বাড়ি তৈরি করলে হ‍্যা।


'পরে শুনিও।

আমার শরীর ভিষন ক্লান্ত আমি এখন একটু ঘুমাবো।

তুমি ও ঘুমিয়ে পরো।


'আচ্ছা আমারা এখানে খাবো কি।

খাওয়া দাওয়ার কি কোন ব‍্যবস্থা আছে হ‍্যা। 


'প্লিজজজ হাসিব এই সম্পর্কে পরে কথা বলি।

এখন একটু ঘুমাই।


'ঠিক আছে জান।


'তো পরবর্তীতে দুজনেই ঘুমিয়ে পরে।

বেশ কয়েক ঘন্টা ঘুমানোর পরে। কারো চিৎকারের শব্দ পেয়ে চৈতির ঘুমটি ভেঙ্গে যায়।


'সঙ্গে-সঙ্গেঈ চৈতি সিসি ক‍্যামেরায় দেখতে পারে এটা আর কেউনা সয়ং আব্দুল এসেছে।

আর চিৎকার করে বলতেছে চৈতি আমার সামনে আয়। আমি জানি তুই এখানেই আছিস।


'এই সব দেখা মাত্রই চৈতি বুজে ফেলে আব্দুল এখানে গাড়িটা ট্রাক করেই এসেছে।

আব্দুলের এমন চিল্লাচিল্লি আওয়াজ শোনা মাত্রই চৈতি একটি রুমে গিয়ে বলে উঠে।


'হাহহহা। হাহাহহ। হাহাহাহ।

সাহস থাকলে আমাকে খুজে বের কর।


'চৈতির এমন কথা শোনা মাত্রই আব্দুল ও চিন্তায় পরে যায় কোন দিক থেকে আওয়াজটি আসতেছে।

কারন চৈতির আওয়াজটি চার দিক থেকেই আসতে ছিলো।


'সাহস থাকলে সামনে আয় আমার।


'তুই এক বাপেট সন্তান হলে আমাকে খুজে বের কর।

এছাড়া তোর আরো লোকজন নিয়ে আয়।


'লোকজন লাগবেনা আমি একাই যথেষ্ট তোর জন‍্যে।

শুধুমাত্র সামনে আয় একবার।


'আরে আমি তোর সামনেই আছি।

শুধুমাত্র খুজে বের কর।

তুইতো আমার ফাদে পা দিয়েছিস। এখন বের হবি কিভাবে এই স্থান থেকে।


'হাহাহ। হাহা। আহহাহ?

তুই আমার কিচ্ছু করতে পারবিনা।


'ঠিক আছে দেখ কি করতে পারি।


'চৈতির কথাটি শেষ হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে আব্দুলের দুইটি লোকের মাথার খুলি উরে যায়।

গুলির আঘাতে।


'যা দেখেই আব্দুল বেশ আশ্চর্য হয়।

এইটা কীভাবে সম্ভব।


'কী ভয় পেয়েছিস।

চিন্তা করিশনা তোকে আমি এখন মারবোনা। তোকে সময় দিচ্ছি তুই তোর সৈন‍্যদের নিয়ে আয় এখানে।


'তুই চাস কি।


'তোর মৃত্যু চাই আমি।

অনেক জালিয়েছিস আমাকে। যদি মৃত্যুটা একটু দেরিতে চাস তাহলে তোর সব লোকদের এখানে ডাক।

সঙ্গে তোর বউ-বাচ্ছাকেও ডাকবি।


'চৈতির কথা শোনা মাত্রই আব্দুল যখনি একটু সামনে এগোতে যাবে। এমন মুহূর্তে সেই স্থানে আবার গুলির শব্দ শুরু হয়।


'আর একটি পা সামনে দিলেই তুই 

এখানেই শেষ হয়ে যাবি।


'আব্দুল ও ভয় ওখানেই থেমে যায়। এবং তার সব লোকদের এখানে আসতে বলে। 


'বেশ কিছুক্ষন পরে লোক গুলা আসার সঙ্গে-সঙ্গেই চৈতি সবাইকে এক-এক করে মারতে থাকে।

এমনো মুহূর্তে হঠাৎ। 


পরবর্তীতে পর্বেই লিংক 👇

https://tinyurl.com/yuk48vyd

তুমি_আমার_বউ_হবে পর্ব ৫ ও ৬

তুমি_আমার_বউ_হবে

পর্ব ৫  ও ৬

সোহানুর রহমান সোহান 




---আচ্ছা ভাইয়া কল গার্লরা তো প্রতিদিন কতজনের সাথে রাত কাটাই।তাহলে ওদের কেন বাচ্চা হয়না?

চারুর এইকথাটা শুনে সোহানের মাথাটা বনবন করে উঠলো।চারুর দিকে সে হাবলার মতো তাকিয়ে রইলো।এখন সে চারুকে কি জবাব দিবে?এই মেয়েকে কে বোঝাবে বাবা এসব ভাবতে নেই,,

---চারু আসলে ওদেরকে এমন একটা মেডিসিন দেওয়া হয়।যেটার মাধ্যমে ওদের বাচ্চা হবার কোনো সম্ভবনা থাকে না।

---ওহ এই ব্যাপার?তাহলে আমাকে তো এমন কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি ভাইয়া?

---এজন্যই তোমাকে হসপিতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

---ও ও ও।আচ্ছা আরেকটা প্রশ্ন......

---চারু একটু চুপ থাকতে পারোনা?সেই কখন থেকে বলেই যাচ্ছো একটু রাস্তাঘাট দেখে চললে হতোনা?

সোহানের কথাই চারু চুপ হয়ে রইলো।চারু ভাবতে লাগলো,,তাহলে আজকে হসপিতালে আমাকে চিকিৎসা দেওয়া হবে।উফ খারাপ হতেও দেখি অনেক ঝামেলার ব্যাপার।

ওদিকে সোহান চারু নিয়ে হসপিতালে পৌছে গিয়েছে।ডাক্তারের কেবিনে ঢুকতেই,,

---কি ব্যাপার সোহান সাহেব হটাৎ করেই চলে এলেন?

---হ্যা বন্ধু একটা জরুরি কাজে আসতে হলো।

---হটাৎ তোর এমন কি কাজ পড়লো?আর তোর সাথে মেয়েটি কে?

সোহান আর কিছু বললো না।চুপিচুপি ইশারাই ডাক্তার শাকিল কে

ইশারাই কি যেন বুঝাতেই শাকিল কিছুটা চিন্তিত হয়ে চেয়ার থেকে উঠে পড়লেন।কোন কথা না বলেই সে চারুকে নিয়ে বাইরে চলে গেলো।

---চারু তোমার অপারেশনের সময় হয়ে এসেছে।যাও ঔনি তোমাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাবে।

কথাটা শোনার পর চারু ভয়ে ভয়ে ডাক্তারের পিছন পিছন যেতে লাগলো।চারুর খুব ভয় হচ্ছিলো।যদি তার কিছু হয়ে যাই?কিন্তু সোহান চারুর চোখে স্পষ্ট জল দেখতে পেয়েছে।সে বুঝতে পেরেছে চারুর কষ্ট হচ্ছে।তবে চারুর থেকে তার বেশি চিন্তা হচ্ছে।রিপোর্ট না দেখা পর্যন্ত তার ভিতরের ব্যথাটা দুর হবেনা।

.

-

দু ঘন্টা পেড়িয়ে গিয়েছে।এখনো সোহান কেবিনে চুপচাপ বসে রয়েছে।এই শীতেও তার কপালে ঘাম জমে রয়েছে।একটু পর হটাৎ সে কারো পায়ের আওয়াজ শুনতে পেলো।সে আর বসে রইলো না।দাড়িয়ে সে শাকিলকে দেখেই,,

---কি রিপোর্ট আসছে চারুর?

শাকিলকে বেশ ঘর্মাক্ত দেখাচ্ছে।বেশ কিছুক্ষন চুপ থেকে তার সামনে ফাইলটা রেখে,,

---সোহান তুই বাবা হতে চলেছিছ।

কথাটা শোনার পরেই সোহানের মুখ থেকে কোনো কথা বেরোলো না।ফাইলটা খুলে খুজতে লাগলো।তার বিষ্ষাশ চারু একদম ঠিক আছে।হটাৎ করেই রিপোর্টটা বের করে তাকিয়ে দেখার পর গম্ভিরভাবে সে শাকিলের দিকে তাকাতেই দেখে শাকিল হাসছে,,

---তোকে দেখে আমার খুব লালসা হচ্ছে।শালা তুই বাবা হলি কেমনে?(হাসতে হাসতে)

---শাকিল তুই ও না?বল আর কি কোনো সমস্যা আছে?

---চারুর অপারেশন নেগেটিভ।সে একদম ঠিক আছে।এমন কি তার শরীরে একফোটা আচড় ও লাগেনি।

---আহ তুই আমাকে বাচালি।

---সোহান আমি যেটা ভাবছি সেটা কি ঠিক?

কথাটা বলতেই চারু রুমে ঢুকে পড়লো।চারুকে দেখামাত্র সোহান দৌড়ে গিয়ে চারুকে জড়িয়ে ধরলো।চারু কিছু ভাবার আগেই এসব ঘটতেই তার শরীর কিছুটা কেপে উঠলো।এভাবে লোকজনের ভিতর এইরকম ভাবে জড়িয়ে ধরাতে চারু লজ্জাই লাল হয়ে গেলো।সোহান আর সেখানে এক মুহূর্ত দাড়ালো না।চারুর হাতটা ধরে কেবিন থেকে বেড়িয়ে এলো।শুধু পিছনে এক পলক ফিরিয়ে শাকিলের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে বের হয়ে এলো।

রাস্তাই দুজন হাটছে।কিন্তু এখনো চারুর বুক ধরফর করছে।চুপচাপ পাশাপাশি দুজন হাটছে কিন্তু কারো মুখে কোনো কথা নেই।তবে চারুর মনে একটা প্রশ্ন জাগছে,,

---আপনি আমাকে ওতো লোকের ভিতর জড়িয়ে ধরলেন কেন?(চারু)

---তুমি সঠিক ভাবে অপারেশন করতে পেরেছো।(কিছুক্ষন পর)

---তাহলে জড়িয়ে ধরবার কি প্রয়োজন?

---চারু তুমি একটু বেশী বেশি কথা বলো।শুনো এই যে তোমার আজকে অপারেশ হলো ঠিক তেমনি আজ থেকে তূমি দু একটা ছেলের সাথে রাত কাটাতে পারবে।

চারু কথাগুলো শুনে খুব একটা খুশি হলোনা।হইতো সে চাইনি এতো তাড়াতাড়ি সোহানকে ছেড়ে যেতে।কারন সোহান কাছে থাকলে তার খুব ভালো লাগে।

সে সোহানের কথাই কোনো উত্তর না দিয়ে চুপচাপ তার সাথে বাসাই ফিরে আসলো।

-

এশার পর নামাজ শেষ করে চারু রুম থেকে বেড়িয়ে এলো।এভাবে সারাদিন রুমে থাকতে তার একদম ভালো লাগেনা।একটু আগে সোহান তাকে নামাজ পড়তে বলেছে।আচ্ছা তাহলে কি আমাকে প্রতি ঔয়াক্তে নামাজ আদাই করতে হবে?কথাগুলো ভাবতে চারু কোনো জবাব না পেয়ে ভাবলো একবার ভাইয়ার রুম থেকে একবার শুনে আসি।

সে চুপিচুপি সোহানের রুমের দিকে এগোতে লাগলো।খেয়াল করলো রুমটা খোলা রয়েছে।একটু উকিঝুকি দিয়ে দেখলো ভিতরে কেউ নেই।ভিতরে গিয়ে সোহানকে না পেয়ে সে রান্নাঘরে চলে গেলো।গিয়ে দেখে সোহান রান্নাঘরে বসে রয়েছে।চারু সোহানকে রান্না করতে দেখে বেশ অবাক হলো।ছেলেরাও রান্না করতে পারে?

এদিকে চারুকে রান্নাঘরে আসতে দেখে,,

---কি ব্যাপার এতো রাতে তূমি এখানে?

কথাটা শুনে চারু কিছুটা ভয় পেলো।হটাৎ করে কিছু শুনলে তার বেশ ভয় লাগে,,

---ইয়ে মানে কিছুনা এই একটু চারপাশটা দেখছি।

---ওহ।তাহলে ভিতরে আসো।

চারু ভিতরে গিয়ে চুপিচুপি সোহানের পাশে দাড়ালো।এভাবে রাতের বেলাই একটা ছেলের কাছে দাড়াতে তার কিছুটা

সংকোচ বোধ হলো।

---চারু?

---হ্যা বলুন?

---রান্না করতে পারো?

---জি।

---কি কি রান্না করতে পারো?

---আমাদের তো নিজেদের পরিশ্রম করে খাবার জোগাড় করতে হতো।তাই রান্নার জগতের সবকিছুই তৈরি করতে পারি।

---বাহ।তাহলে তোমাকে বউ বানালে ভালোই হবে।(দুষ্টু হাসি দিয়ে)

---কি বললেন?

---বলছি আমাকে একটু সাহায্য কর।আজকে ভুয়াটা ছুটিতে আছে তাই রান্নাটা করার কেউ নেই।

---তবে যে, আপনি রান্না করছেন?

---বাইরের খাবার আমার ততোটা ভালো লাগে না।তাই সবসময় এই বিষয়টা মাথাই রেখে রাধুনি হয়ে গিয়েছি।

---হ্যা সব ঠিক আছে তবে আপনি তরকারিতে কিন্তু ওইটা লবনের জাইগা চিনি ঢালছেন।

কথাটা শুনে সোহান কৌটার দিকে তাকিয়ে একটু মুখে দিতেই দেখে চারুর কথাটাই একদম সঠিক।কি করবে আর কি বা বলার আছে তার,,

---ইয়ে মানে এই তোমাকে যাচাই করছিলাম যে তুমি বুঝতে পারো নাকি?(আমতা আমতা করে)


Part :--- 6 


রাতের খাবার খেতে বসে সোহান আর কিছু বলতে পারলো না।রান্নাটার কোন তুলনাই হইনা।এমন একটা মেয়ে যদি তার সবসময়ের রাধুনি হয়ে থাকতো।তাহলে কতোই না ভালো হতো।খাবার গুলো খেয়ে দুজনেই ঘুমানোর জন্য নিজেদের রুমে চলে গেলো।রাতটা এভাবেই দুজনেই কেটে যেতে লাগলো।

-

-দেখতে দেখতে তিন দিন পার হয়ে গেলো।রাত ঠিক 2 টা বাজে।হটাৎ চারুর রুমের দরজাই কে যেন ঠকঠক করতে লাগলো।এতো রাতে কে তার দরজার সামনে এসে তাকে ডাকবে।চারুর মুহুর্তেই গলাটা শুকিয়ে গেলো।সন্ধাই সোহান বলেছিলো,,তাকে নাকি সকালে কিছু কাজ করতে হবে।তাহলে কি রাত না হতেই কেউ চলে এসেছে?

কথাগুলো ভাবছে আর চুপিচুপি দরজার দিকে এগোচ্ছে।খুলবে কী খুলবে না?এসব ভাবতে ভাবতেই দরজাটা খুলে ফেললো।

---ভাইয়া আপনি এতো রাতে?

---চারু তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও?

---এতো রাতে আবার কি মহা কাজ পড়লো যে, এই শীতে উঠতে হবে?

কথাগুলো বলতেই রুমের বাল্বটা জ্বালিয়ে দিলো চারু।চুলগুলো এলোমেলো হয়ে তার কাধ থেকে নেমে পড়েছে।রাতের এমন দৃশ্য দেখে সোহান কি করবে বুঝতে পারছে না।ঠোটগুলো এত্ত গোলাপি যে লিপিস্টিকের তার কোনো প্রয়োজন এই পড়েনা।শরিরে একটা রেশমি কালারের পোশাক।সব মিলিয়ে তার কেমধ যেন

একটা অনুভূতি তৈরি হলো।হটাৎ চারুর ডাকে সে বাস্তবে ফিরে এলো,,

---এই যে, ভাইয়া এমন ভাবে চুপ হয়ে আছেন কেন?

---তাড়াতাড়ি সবকিছু খুলে ফেলো?

---কিহ?(চোখ বড় বড় করে)

---সরি সরি বলছি যে, তাড়াতাড়ি পোশাক পাল্টে নাও(নিজের মুখ চেপে ধরে)

---ভাইয়া আপনি মাঝে মাঝে এমন ভাবে কথাগুলো বলেন।মনে হয় আপনি যেন আগে থেকেই সেগুলো মুখস্ত করে আসেনা।কিন্তু.....

---কিন্তু কি?

---এই ঠান্ডাই এমন কি কাজ পড়লো?

---যাও তাড়াতাড়ি ওযু করে আসো।

---ভাইয়া বুঝিনা নষ্ট হতে এসবের কি দরকার?

---বেশি কথা নয়।তোমাকে রাত জাগতে শিখতে হবে তাই তোমার জন্য এটি খুব দরকার।

---ঠিক আছে কিন্তু আমাকে তো খারাপ কিছুর ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে না।

---পতিতালয়ে বেশীরভাগ দাড়িওয়ালাই যাই।যখন তোমাকে তারা প্রশ্ন করবে তখন যাতে তুমি সহজেই উত্তর দিতে পারো সেজন্য এই কাজটা তোমাকে করতে হবে।

---ও ও।এইজন্য ভাবি হুজুরটা এতো বাটপার হয় কেন?

---যখন বুঝতে পেরেছো তখন আর দাড়িয়ে থাকার কোনো দরকার নেই।

---তাহলে ওই যে লোকজন বলে, জামাকাপড় আর কতকিছু খুলে ফেলে।এসব বিষয়ে কখন শিখাবেন?

এবারের কথাটা শুনে সোহান কিছুক্ষন নিরবতা পাল৭ করতে থাকলো।সে এই মেয়েটাকে কিভাবে বোঝাবে যে,,

চারু তুমি এখনো বাচ্চা।

তোমাকে দিয়ে এসব একদম হবেনা।

---চারু যদি তোমাকে ক্লাস ফাইবে পড়ার সময় দশম শ্রেনির প্রশ্ন দেওয়া হয় তাহলে তুমি কি করবে?

---আমিতো তখন সেটা পারবো না।কারন আমার পড়াশোনা তখনো অনেক বাকি।

---ঠিক তেমনি তোমাকে যদি একবারে শেষ প্রান্তের ট্রেনিং দেওয়া হয় তাহলে তুমি সেটা নিতে পারবে না।

কথাটা শোনাই চারু ভীষন লজ্জা পেলো।সে নিজের মাথাই আঘাত করে নিজেকে বলতে লাগলো,,

---চারু তুই একটা গাধা।তুই কেন নিজেই নিজেকে ছোট করছিছ।

সোহান কথাগুলো বলেই চলে যাবার জন্য অগ্রসর হতেই,.

---ভাইয়া নামাজটা না হয় পড়ে নিবো।তবে কালকের কাজটা যদি আজকেই একটু দেখিয়ে দিতেন?

কি মেয়ে এটা?এতো উতোলা কেন হয় মেয়েটা?সোহান ইচ্ছা করেই আবারো চারুর কাছে ফিরে গিয়ে,,

---ঠিক আছে তবে চুপচাপ দাড়িয়ে থাকবে।আর কোনো কথা বলবে না কেমন?

---ঠিক আছে।(মাথা নিচু করে)

-

সোহান এবার চারুর কিছুটা কাছে চলে আসলো।এতো রাতে চারু এমন পরিস্থিতিতে কিছুটা ভড়কে গেলো।চারু সরে যাবার আগেই নিমিষেই চারুর গোলাপি ঠোটদুটো আলতো করে চেপে ধরলো।চারু সাথে সাথে সোহানের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতেই সোহান চারুকে পিছন থেকে আবারো আটকে ধরলো,,

---ছি ছি ভাইয়া এটা কি করছেন?প্লিজ আমাকে কিছু করবেন না।

---একদম চুপ করে থাকবে।আমি যেটা করবো সেটা একদম মনোযোগ দিয়ে শিখবে।

চারু হটাৎ করে জোরাজুরি বন্ধ করে ফেললো।পিছন ফিরে সে সোহানে চোখে চোখ রাখলো।দুজনের মাঝেই কেমন যেন একটা ভালোবাসা কাজ করছিলো।চারু সোহানের ভিতর অতলেই হারিয়ে যেতে থাকলো।তার চোখেমুখে লজ্জার স্পষ্ট ছাপ ফুটে উঠেছে।বুকের ভিতরটা কেমন যেন ধরফর করছে।সোহান তার কাছে যেতেই এই শীতে তার কেমন যেন একটা শিহরন জাগলো।সোহান যখন তার কাধে হাত দুটো রাখলো তখন সে বুঝতে পারছিলো।কেন সোহান তাকে সবকিছু ধীরে ধীরে শিখাচ্ছিলো।চোখটা তার হটাৎ করেই বন্ধ হয়ে আসতে লাগলো।কিছুক্ষন পর সে সোহানের নিষ্শাশটা তার নাকের কাছে অনুভব করলো।আলতো করে তার ঠোটটা সোহান চেপে ধরতেই তার ভিতর একটা জোড়ালো নিষ্শাশ বয়ে গেলো।তার মনে হলো সে এর আগে কখনো এমন অনূভুতি টের পাইনি।ঠান্ডা ঠোটের স্পর্শটা তার কথাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।সে বুঝতে পেরেছে এটা কোনো শিখানোর ট্রেনিং না।এটা তার ভালোবাসার একটা অংশ।

কিছুক্ষন পর চারুকে সোহান নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিলো।চারুর ঠোঠগুলো থরথর করে কাপছিলো।সে বুঝতে পেরেছে জিবনে প্রথম কোনো স্পর্শ কতোটা ভুলিয়ে দিতে পারে সবাইকে।চোখদুটো বন্ধ করে চুপ করে দাড়িয়ে রইলো।হটাৎ তার কানের পাশে কে যেন বললো,,

---চারু এটা কোনো ট্রেনিং ছিলোনা।এটা ছিলো আমাদের ভালোবাসার একটা মুহুর্ত।

কথাগুলো শোনামাত্র চারুর ঠোঠগুলোতে হাসির রেখা ফুটে উঠলো।কিন্তু কথাগুলো একটু ভালোভাবে বোঝার পর চারু চোখটা বড় বড় করে চারদিকে তাকিয়ে সোহানকে খুজতে লাগলো।

কিহ তার সাথে চালাকি?ট্রেনিং এর নাম করে তাকে ব্যবহার করা?কিন্তু চারু চারপাশে কাউকে দেখতে পেলোনা।মনে মনে বলতে লাগলো,,

---কিপটে বদমাইশ ছেলে কোথাকার।যখন এতো ভালোবাসার শখ?তখন আমাকে বললেই পারতি।

পরক্ষনেই সে আবারো হেসে উঠলো।যেভাবেই হোক না কেন?প্রকাশ্যে ভালোবাসার চেয়ে চুপিচুপি প্রেম বিনিময়টাই ভালো।আর যাইহোক ছেলেটা খারাপ হলেও বেশ রোমান্টিক।হইতো এজন্য ছেলেটা এতো ফেমাস।তবে একটু পাগল টাইপের।তবে সেটা কোনো সমস্যা না।পাগল ছেলেরাই একটু বেশি রোমান্টিক হয়।তারাই শুধু ভালোবাসাটা পাগলামির মাঝে নিজের করে নেই।

হাসতে হাসতে সে ওযুখানাই বসে পড়লো।আর যাইহোক না কেন?সে এতটুকু বুঝতে পেরেছে যে, সোহান তাকে অনেকটাই ভালোবেসে ফেলেছে।আর সে নিজেই তো সেই ছেলেটাকেই ভালোবাসে।

-

ওযুখানা থেকে এসে ফ্লোরে জাইনামাজ পেড়ে নিলো।বোরখাটা পড়ে আয়নার সামনে থেকে জায়নামাজের দিকে অগ্রসর হতে লাগলো।তাকে আজকে এই ছেলেটাকে পাবার জন্য এই খোদার কাছে

মিনতি করতে হবে।


চলবে,,

---হ্যা হ্যা আমি আসার আগে থেকেই তো আপনার হাতে কৌটাটা দেখছি তাহলে আপনি সপ্নের ভিতর আমাকে যাচাই করছিলেন বুঝি?

ধরা খেয়ে আর কিছু বলতে পারলো সোহান।চুপিচুপি সেখান থেকে সরে পড়লো।কিন্তু রান্নার জিনিসের ড্রয়ারের সামনে বোতলের গায়ে তো লবন লেখা ছিলো।তারমানে রাধুনি তার থেকে কি একটা লুকিয়ে রাখে।

কিন্তু চারুর কাছে তো লজ্জাটা শেষ করেই ফেলেছে।চারুর দিকে তাকাতে খেয়াল করলো চারু একনো মিটিমিটি করে হাসছে।কি আর করবে,

শালার চিনি তুই আমারে করিয়া দিলি নুন

মনে মনে বলতে কথাগুলো বলতে বলতে লজ্জাই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো

চলবে........

৭ম পর্ব লিংক 👇

http//sevenparttumiamarbowhobe.com


সেই_রাতের_গল্প পর্ব--১৭,১৮ ও ১৯

সেই_রাতের_গল্প 

পর্ব--১৭,১৮ ও ১৯

কাহিনী ও লেখনীতে: মি_হাসিব Golpo




'ভাবি এই সন্তানটি আপনার না। 

এই সন্তানটি হলো চৈতির! তাই ওর সন্তান নিয়ে ও 

পালিয়ে গিয়েছে।


'তুমি এই সব কি বলতেছো হাসিব।

এই সন্তান আমার।

(মিথিলা বলতে আব্দুলের বউ কথাটি বললো)


'সত‍্যি ভাবি।


'আর একবার এই কথাটি উচ্চারন করলে আমার থেকে খারাপ কিন্তু কেউ হবেনা।


'সত‍্যিটা মেনে নিলে আপনার সমস্যা কোথায়।

বিশ্বাস না হলে ভাইয়াকে 

জিঙ্গেস করিয়েন। 


'কথাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে মিথিলা হাসিবকে কশে 

একটি থাপ্পড় দেয়।


'ঠাসসস।ঠাসসস। 

তোমার লজ্জা থাকা উচিৎ। তোমার ভেবেছিলাম অনেক ভালো একটি ছেলে কিন্তু তুমি।


'মিথিলার কথাটার মধ‍্যেই পিছন থেকে 

কেউ একজন বলে উঠলো।

ভাবি আমার গোসল করা কি শেষ হলো।


'কথাটি শুনেই পিছনে ঘুরে দেখে চৈতি বাচ্ছাটিকে কোলে নিয়ে আছে। 

যা দেখে মিথিলা বলে।


'চৈতি তুমি কোথায় গিয়েছিল।

আমার সন্তান কে নিয়ে।


'এইতো ভাবি একটু সাদের উপরে গেয়েছিলাম। ভাবলাম আপনি গোসল করতেছেন।

তাই বাচ্ছাটিকে একটু ঘুরে দেখাই।


'আমাকে বলে যাবেনা তুমি।


'আসলে আপনি গোসল করছিলেন তাই বলিনাই।

আচ্ছা এই জন‍্যে সরি।


'ঠিক আছে 

মাপ চাইতৈ হবেনা। 


'ধন‍্যবাদ ভাবি।


'দেখেছো হাসিব চৈতি মেয়েটা কতোটা ভালো।

আর তুমি বলেছো আমার সন্তান কে নিয়ে 

পালিয়ে গিয়েছে।


'সরি। 


'শোন এই সন্তান হলো আমার।

তোমার ভাইয়ের নিজের সন্তান আমাদের বংশের 

প্রদিপ। আর কখনো এমন খারাপ মন্তব্য করবেনা।


'কি হয়েছে ভাবি।

হাসিব আপনাকে কি বলেছে।


'থাক বাদ দাও এই সব।চৈতি তুমি আমার সঙ্গে ভিতরে 

আসো কিছু কথা আছে। 


'মিথিলার কথাটি শুনে 

চৈতি পিছে পিছে চলে যায় ওদের রুমে। 

তো রুমে পৌছানোর সঙ্গে সঙ্গে মিথিলা বলে উঠে।


'আচ্ছা চৈতি তোমাকে একটি প্রশ্ন করি' আশা করি সত্যটা বলবা।


'হ‍্যাঁ ভাবি বলুন। 


'এই বাচ্ছাটি কি সত্যি তোমার নাকি আমার।


'হঠাৎ এমন অদ্ভুত প্রশ্নের 

কারন কী ভাবি।


'তোমাকে যা বলছি শুধুমাত্র তারি উত্তর দিবা।

অন‍্য কোন কথা শুনতে চাইনা।


'ভাবি এই বাচ্ছাটি সত্যি আপনার।

আমার তো এখন পযর্ন্ত বিয়েই হয়নি তাহলে বাচ্চা হবে

কীভাবে বলুন।


'তাহলে সেই দিন তুমি বললে এই বাচ্ছাটি তোমার।

আবার আজ হাসিব বলতেছে এই 

বাচ্ছাটি তোমার। 

সত্যি বলতে আমি কিচ্ছুই বুজতে পাচ্ছিন।


'আরে ভাবি আমি এবং হাসিব দুজনেই আপনার সঙ্গে 

মজা করেছি। 

আপনি বুজতেই পারলেন না। 

হাহহা।হাহাহ।হাহাহ।


'সত‍্যি মজা করছো তো।


'হ‍্যাঁ সত‍্যি মজা করছি আমি। তবে একটি কথা আমি এবং হাসিব দুজন দুজনে ভালোবাসি।


'কিইইইইই?


'হ‍্যাঁ ভাবি! প্লিজজজ আপনি একটু আব্দুল ভাইয়াকে 

মানিয়ে নেন না। 

উনি রাজি হলেই আমাদের বিয়েটা হবে।


'তোমাদের সম্পর্কটি কতো দিনের। 


'এইতো প্রায় ৬ বছর হবে।

এখন ভাবতেছি বিয়ে করবো কিন্তু আব্দুল ভাইয়া

রাজি হচ্ছেনা।


'এই সব কিছু আবার হাসিব বাহির থেকে শুনতেছিলো।

আর ভাবতেছিল চৈতি আমাকে 

ভালোবাসে বুজলাম।

কিন্তু ৬ বছরের সম্পর্ক এইটা কেমনে কি। 

নাকি ওর মনে কোন প্লান চলতেছে ভাইয়াকে নিয়ে।


'ঠিক আছে তোমাদের ভাইয়াকে আজকেই 

আমি রাজি করাবো এবং কাল তোমাদের বিয়ে হবে।


'সত‍্যি বলতেছেন ভাবি আপনি।


'হ‍্যাঁ সত্যি বলতেছি।


'ধন‍্যবাদ আমার লক্ষি ভাবিটা।

আমাদের এক করে দেয়ার জন‍্যে।


'আরে ধন্যবাদ দিতে হবেনা। বিয়ের পরে শুধুমাত্র তুমি এখানে থাকলেই হবে।


'এই কথা শুনে চৈতি মনে মনে বলতে থাকে।

আরে আমিতো এটার জন‍্যেই হাসিব কে বিয়ে করতেছি


'কী হলো চৈতি কি বির-বির করতেছো।


'নাহ ভাবি একটি জিনিস ভাবতেছি। তোমাদের সঙ্গে 

থাকতে পেলে নিজেকে ভাগ‍্যবান মনে করবো।

কিন্তু আব্দুল ভাইয়া জানি কি করে।


'তুমি টেনশন করিওনা।

তোমার ভাইয়াকে মানার দায়িত্ব আমার।


'ঠিক আছে।

আমি এখন একটু বাহিরে যাই। 


'হুম।


'এর পরে চৈতি রুমের বাহিরে আসতেই দেখতে পায় 

হাসিব এখনো কান পেতে আছে।

যা দেখে চৈতি জিঙ্গেস করে।


'কি ব‍্যপার এমন কান পেতে কী শুনছো।


'সত‍্যি কি চৈতি তুমি আমাকে ভালোবাসো। নাকি মিথ্যা 

অভিনয় করতেছো।


'স‍ত‍্যি তোমাকে ভালোবাসি। 

তোমার মাঝে মনুষ্যত্ব আছে যেটা তোমার ভাইয়ের 

কাছে নেই। 

এই জন‍্যে আমি চাই তোমাকে নিয়ে সারাটি জীবন 

কাটাতে। 


'আমার না সত্যি বিশ্বাস হচ্ছেনা। 

মনে হচ্ছে স্বপ্নের সাগরে ভেসে যাচ্ছি।


'স্বপ্ন না এইটা।

বাস্তব কাহিনী বুজলে।


'সবি বুজলাম কিন্তু আমাকে তো এখনো সম্পর্ক হয়নি 

তাহলে ভাবিকে কেনো বললে আমাদের 

৬ বছরের সম্পর্ক। 


'আরে পাগল এইটা না বললে কি ভাবি রাজি হতো নাকি  আমাদের বিয়ে দিতে।


'ওহ তাইতো।


'শোন আমি যা যা বলবো তুমি  সব কিছুতেই হ‍্যা 

বলবে।

এতে সবাই বুজবে নিশ্চয়ই আমাদের মধ‍্যে গভির 

সম্পর্ক আছে। 


'ঠিক আছে। 


'তো এর পরে সকাল গরিয়ে দুপুর হলো, দুপুর গরিয়ে আবার রাত হলো. রাত যখন ১১টা বাজে এমন মুহুর্তে 

আব্দুল তার রুমে আসে। 

এসেই মিথিলাকে জিঙ্গেস করে।


'মিথিলা কেমন আছে আমার 

সন্তান। 


'আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছে। 

আচ্ছা সারা দিন কোথায় থাকো তুমি  হ‍্যা। কোন খোজ

খবর নেই তোমার।


'আরে কাজে ব‍্যস্ত ছিলাম। 

কেনো কিছু সমস্যা হয়েছে নাকি সেইটা বলো। 


'সমস‍্যা তো হয়েছে একটি।

তুমি চাইলেই তার সমাধান হবে।


'আশ্চর্য আমি চাইলে সমাধান হবে মানে। কি বলতে 

চাও তুমি।


'তুমি কি জানো হাসিব এবং চৈতি একে অপর 

কে ভালোবাসে ৬ বছর ধরে।

এখন তারা বিয়ে করতে চাচ্ছে কিন্তু তোমার ভয়ে সেইটা করতে পাচ্ছেনা। 


'কি বলো এই সব তুমি?


'হ‍্যা গো হ‍্যা সব সত্যি বলতেছি। বিশ্বাস না হলে ওদের মুখেই শুনিও তুমি।


'আচ্ছা বাদ দাও এই সব।


'শোন চৈতি মেয়েটা কিন্তু খুবেই ভালো।

নমরো ভদ্র দেখলেই বুজা যায়। আমি চাচ্ছি তুমি কাল 

ওদের দুজনের বিয়ে দিবা। 


'এইটা কখনোই সম্ভব না।


'কেনো সম্ভব না সেইটা আগে বল।

ওরা দুজনেই দুজনের জন‍্যে পারফেক্ট বুজলে।


'তবুও। 


'এতো কিছু জানতে চাইনা। আমি বলছি ওদের কাল বিয়ে দিবে তো বিয়ে দিবে।

এইটা আমার শেষ কথা বুজলে।


'তুমি এমন করো কেনো মিথিলা।


'বেশি কথা বলতে পারবোনা। 

আমি যেটা বলেছি সেটাই করবে। আর হ‍্যা বিয়ের পরে 

ওরা আমাদের সঙ্গেই থাকবে 


'না।


'ঠিক আছে কালকেই আমি বাবার বাড়িতে চলে যাবো।

তখন মজা বুজবে।


'বউয়ের মুখে এমন কথাটি শুনে।

সঙ্গে সঙ্গেই আব্দুল বলে উঠে।


'বউ চিন্তা করিওনা।

তুমি যেইটা চাচ্ছো সেইটা হবে।

তবুও চলে যেওনা আমাকে ছেরে। তোমার বড্ড বেশি 

ভালোবাসি আমি।


'এইতো আমার লক্ষি স্বামী টা উম্্হাহাহ।


'তুমি খুশি হয়েছো মিথিলা।


'হ‍্যাঁ অনেক খুশি হয়েছি।

জানো ওরা দুজনে বাড়িতে এসে মনে হচ্ছে বাড়িটা 

পরিপুর্ণতা পেয়েছে। 


'ঠিক আছে কালকেই ওদের বিয়ে দিবো।

কাজি অফিসে নিয়ে গিয়ে। 

এখন ঘুমিও পরো তুমি।


'ঠিক আছে স্বামী।


'এর পরে দুজনে ঘুমিয়ে পরে। 

পরের দিন সকাল বেলায় আব্দুল চৈতি এবং হাসিব কে একত্রিত করে বলে।


'চলো কাজী অফিসে।


'এই কথা শোনা মাত্রই চৈতি বলে উঠলো।

নাহ আমি কাজি অফিসে যাবোনা।

কাজিকেই এখানে আনা হোক।এই বাড়িতেই বিয়েটা হবে আমাদের।


'কাজি এখানে আসবেনা।

চলো দুজনে কাজি অফিসে। এখানে থেকে 

বেশি দুরেনা। 


'বললাম তো যাবোনা।


'চৈতির এমন কথা শুনে মিথিলা বলে "শোন চৈতি এমন

পাগলামি করলে কখনোই নিজের মানুষটিকে আপন করে কাছে পাবেনা।

আমি ও বলতেছি কাজি অফিসে গিয়ে বিয়েটা সম্পুর্ণ করে আসো।


'কিন্তু।


'কোন কিন্তু নেই তোমাকে যেইটা বলছি ওটাই করো। 

এই মুহূর্তে। 


'চৈতি মনে মনে ভাবতে থাকে এই বাড়ির বাহিরে গেলে আর কখনোই এই বাড়িতে আমার আসা হবেনা।

কারন রাস্তায় এরা আমাকে শেষ করে ফেলবে।


'তবুও চৈতি একটি রিক্স নিয়েই নেয়। 


'হ‍্যা ঠিক আছে চলুন?


'এর পরে আব্দুল কিছু লোক নিয়ে হাসিব এবং 

চৈতিকে নিয়ে বাড়িতে থেকে বেরিয়ে কাজি অফিসের দিকে রহনা দেয়। 


'তো কিছুদুর যাওয়ার পরে একটি ফাকা স্থানে গাড়ি গুলা হঠাৎ ব্রেক করে। 


'চৈতি জিঙ্গেস করে। 


'গাড়িটা এখানে থামানো হলো কেনো। 

কোন কি সমস্যা হয়েছে। 


'চৈতির কথাটি শেষ হওয়া মাত্রই আব্দুল......


 

  পর্ব--১৮


'এই কু'ত্তা'র বাচ্ছা গাড়ি থেকে নাম। 

তুই কি ভেবেছিস তোকে হাসিবের সঙ্গে বিয়ে দিবো।


'আশ্চর্য ভাইয়া তুমি এমন বিহিব 

করছো কেনো আমার সঙ্গে-সেইটা আগে বলো।


'ভাইয়া বললে লজ্জা করেনা।

এই তোর আমি কিসের ভাইয়া হ‍্যা।


'আল্লাহ নিজের চাচাতো বোনকে কেউ এইভাবে 

বলে নাকি হ‍্যা।


'কিসের বোন তুই আমার।


'এই কথাটি শুনে চৈতি হঠাৎ করেই বলে উঠে 

'দেখছো ভাবি ভাইয়া আমাকে কিভাবে 

অপোমান করেছে।


'ভাবি কথাটি শুনেই আব্দুল চমকে উঠে।


'ভাবি মানে।

এই তুই কাকে ভাবি বলতেছিস এখানে। আমার বউ

মিথিলা তো বাড়িতে।


'হ‍্যাঁ কিন্তু আমরা ভিডিও কলে কথা বলতেছি।

তোমার সব কথা ভাবি শুনতেছে।


'কথাটি শোনা মাত্রই 

আব্দুল বলতে থাকে। "চৈতি বোন আমার- আমার নাটকটি কেমন লাগলো তোর। 


'হ‍্যা ভালো লেগেছে। 

এই নাও ভাবির সঙ্গে কথা বলো। 


'কথাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আব্দুল ফোনটি হাতে 

নিয়ে বলে "আরে মিথিলা তুমি ভিডিও কলে।


'হ‍্যা আমি ভিডিও কলে। 

তুমি একটু আগে কী বললে চৈতিকে। 


'আরে আমি এমনি ফাজলামি করছি। 

আমার বোন যদি আমি একটু দুষ্টুমি করি না করি তাহলে কে দুষ্টুমি করবে। 


'তাই বলে এই ভাবে।

আমি তো ভয়েই পেয়েছিলাম।


'আরে ভয়ের কিচ্ছু নেই। 

এই নাও চৈতির সঙ্গে কথা বলো। 


'শোন পুরো বিয়েটা আমি এই ভিডিও কলে দেখবো।

ফোন যেনো কাটা না হয়।


'ঠিক আছে।


'কথাটি বলেই আব্দুল ফোনটি চৈতিকে দিয়ে দেয়। 


'ধন‍্যবাদ ভাবি ভাইয়াকে এইভাবে শাসন করার জন‍্যে

আর একটু হলেই তো আমি শেষ হতাম।


'ভয় পেওনা আমি আছি তোমার সঙ্গে ভিডিও কলে।


'ঠিক আছে ভাবি। 


'এর পরে আব্দুল বাদ্ধ ছেলের মতো কাজি অফিসে নিয়ে যায় হাসিব এবং চৈতিকে। 


'তো কাজি অফিসে আসার পরে আব্দুল এবং হাসিব একটু বাহীরে এসে কথা বলে। 


'ভাইয়া এখন কি হবে। 


'শোন কাজি অফিসে যখন এসেই গিয়েছি 

তাহলে তুই চৈতিকে বিয়েটা করেই ফেল। এর পরে বাড়িতে গিয়ে বাকি কাজ হবে। 


'কীন্তু ভাইয়া।


'কোন কিন্তু নেই।

তোর ভাবি যদি শুধুমাত্র কলটি কেটে দিতো তাহলেই

এই সয়তান টাকে এখানেই শেষ করে দিতাম।


'কেনো তুমি ভাবিকে ভয় পাও। 


'ভয় পাইনা।

কিন্তু ওর বাবা একজন মন্ত্রী। ওর বাবার পাওয়ারের জন‍্যে আমি এখন পযর্ন্ত টিকে আছি।

এই জন‍্যে কিছু বলিনা ওকে। এছাড়া আমি যে এতো খারাপ কাজ করি সে এই সবের কিচ্ছুটি জানেনা।


'ওহ।


'হ‍্যা তুই কিচ্ছু মনে করিশনা। খুব শিগ্রই এই সয়তানটাকে শেষ করে অন‍্য কোথাও তোর বিয়ে দিবো।


'ঠিক আছে ভাইয়া। 


'এর পরে দুই ভাই প্লান করে ভিতরে চলে আসে। 

এবং এসে দেখতে পায় চৈতি এখনো ভিডিও কলে মিথিলার সঙ্গেই কথা বলতেছে।


'তো কোন উপায় না পেয়ে আব্দুল চৈতির এবং হাসিবের বিয়েটা সম্পূর্ণ করে কাজি অফিসেই।


'এর পরে গাড়ি নিয়ে সোজা বাড়িতে চলে আসে। 

এসেই চৈতি মিথিলা কে জরিয়ে ধরে বলে থাকে।


'ভাবি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ 

আমার প্রিয় মানুষটাকে আমার করে দেয়ার জন‍্যে।


'আরে থাক আর বলতে হবেনা। 

অনেক রাত হয়ে এসেছে এখন ঘুমাইতে যা। তোদের দুজনের জন‍্যে সুন্দর করে বাসর ঘর সাজানো হয়েছে।


'কী বলো ভাবি।


'হুমমম। 

চল এখন আমার সঙ্গে রুমে নিয়ে যাই।


'হাসিবকে ডাক দেই।

তার পরে দুজনে এক সঙ্গে বাসর ঘরে ডুকবো।


'বা-বাহ কি মহব্বত স্বামীর জন‍্যে।

বিয়ে হতে না হতেই এক সঙ্গে ছাড়া ঢুকবেনা 

বাসর ঘরে। 

যাও তোমার নাগর কে ডাক দাও আমি 

অপেক্ষায় আছি।


'কথাটি শুনেই চৈতি বাহিরে এসে হাসিব- হাসিব বলে চিৎকার করে। 

মুহূর্তেই হাসিব উপস্থিত হয়ে বলে।


'হ‍্যা বলো কী হয়েছে।

এমন চিৎকার করে ডাকছো কেনো।


'চলো বাসর ঘরে।

ভাবি আমাদের জন‍্যে অপেক্ষায় করতেছে। 


'কিসের বাসর ঘর হ‍্যা। 


'আরে আমাদের তো আজ বাস ঘর চলো দুজনে আজ 

ভালোবাসায় পাগল হয়ে যাবো। 


'চৈতির এমন কথা শুনে পাশ থেকে আব্দুল এসে

বলতে থাকে "শোন তুই যতোই কাহিনী বা অভিনয় করনা কেনো আমাদের কিচ্ছু করতে পারবিনা। 


'হাহা।হৃহাহ।হাআহ। কিচ্ছু করতে পারি কি 

পারিনা সেইটা সময় বলে দিবে। 

তোর ভাইয়কে শুধুমাত্র বিয়ে করলাম এখনো অনেক 

খেলা বাকি।

তুই বুজতেই পারবিনা তোর সঙ্গে কি হতে যাচ্ছে।


'আচ্ছা সেটাই দেখা যাবে। 

তুই আমার কি করিশ।


'তোর দিন খুব তারা তারি শেষ হতে যাচ্ছে। 

আমার সন্তান কে তোর বউকে দিয়ে বলেছিস এইটা আর সন্তান।

আমাকে ধর্ষন করেছিস।

অন‍্য পুরুষের দারায় শরীর কাটিয়ে লবন দিয়েছিস।

কিভেবেছিস সব কীছু আমি মুহূর্তেই ভুলে যাব।


'ইশশশ সোনা-গো আমার?

এইটুকুতেই এতো কাহিনি এখন পযর্ন্ত আমার আসল চেহারাই তো দেখতে পারিসনি।


'দেখা যাকে কে জিতে কে হারে। 


'আমার চোখের সামনে থেকে দুর হয়ে যা বেয়াদব মেয়ে কোথাকার।

লজ্জা করেনা অন‍্যের বাড়িতে থাকতে খাইতে।

এই টুকু শিক্ষা তোর পরিবারের লোক দেয়নি।


'হাহহা তুই যতোই আমাকে তিক ধরা কথা বলনা 

কেনো আমি এই বাড়ি সেই মুহূর্ত পযর্ন্ত ছারবোনা যেই মুহূর্ত পযর্ন্ত তোর মতো খুনিকে 

এই পৃথিবী ছাড়াতে না পাচ্ছি। 


'তো এমন তর্কা তর্কিতে সেখানে মিথিলা এসে 

উপস্থিত হয়। 


'কি ব‍্যপার চৈতি আমি তোদের জন‍্যে সেই কখন থেকে 

অপেক্ষা করতেছি।

কিন্তু তুমি এখানে তোমার ভাইয়ার সঙ্গে তর্ক 

করতেছো। 


'দেখোনা ভাবি ভাইয়া হাসিবকে বাসর ঘরে 

যেতেই দিচ্ছেনা। 


'এই চৈতি তুমি আমার দোশ দিচ্ছো কেনো আমি তো একটু মজা করছিলাম মাত্র।


'অনেক মজা হয়েছে হাসিব তুমি তোমার বউকে নিয়ে রুমে যাও।

আমি নিজ হাতেই তোমাদের বাসর ঘর সাজিয়েছি। 


'তো মিথিলার কথা মতো হাসিব এবং চৈতি দুজনেই তাদের বাসর ঘরের দিকে চলে যায়।


'তা দেখে মিথিলা বলে'


'স্বামি অনেক সুন্দর মানিয়েছে হাসিব এবং 

চৈতিকে তাই না।


'হ‍্যা সুন্দর মানিয়েছে।


'দোয়া করি আল্লাহ্ যেনো তাদের অনেক 

সুখে রাখে।

কখনো যেনো বিপদ তাদের পাশেই না আসে।


'হ‍্যা। 


'চলো এখন আমরা দুজনে ঘুমাই।


'এর পরে হাসিব এবং চৈতি রুমের ভিতরে ঢুকা 

মাত্রই দেখতে পায় পুরা রুমটি অনেক সুন্দর করে 

সাজানো হয়েছে ফুল দিয়ে। 


'যা তারা ভাবতেই পারেনি। 


'এমন মুহূর্তে হাসিব বলে উঠে "চৈতি তুমি কি সত্যি 

আমাকে স্বামী হিসেবে কবুল করছো।

নাকি শুধুমাত্র আমাকে ব‍্যবহার করার জন‍্যে 

এমন করছো।


'তোমার কী মনে হাসিব। আমি তোমাকে নিয়ে খেলা করতেছি।


'জানিনা। 

তবে সত্যি বলতেছি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি 

চৈতি আমাকে কষ্ট দিওনা। 


'আমার জন‍্যে তোমার পরিবারের সবাইকে 

ত‍্যাগ করতে পারবে। 


'হ‍্যাঁ পারবো। 

কারন এমন খারপ পরিবারের সঙ্গে থাকার চেয়ে

আত্মহত্যা করে নিজের জীবন শেষ করা অনেক ভালো 


'ওহ।

জানো তোমার ভাই আমাকে ধর্ষন করেছে। 


'হ‍্যা সব জানি। 

তোমার সব অতিত জানার পরেও আমি তোমাকে ভালোবাসতে চাই। তোমার হাতে হাতটি রেখে চিরকাল পার করতে চাই।


'বুজলাম।

কিন্তু আমি তোমার ভাইয়াকে সাস্তি দিবো এইটা তুমি 

মানতে পারবে। 


'জ্বী পারবো। পাপ কখন বাপকেও ছাড়েনা।

যে পাপ করেছে তার সাজা তাকে অবশ্যই পেতে হবে।


'ঠিক বলছো। 


'এখন কি করবা।


'কেনো স্বামী স্বামী বাসর ঘরে কি করে জানোনা।

নাকি শিখাই দিতে হবে বলো।


'নাহ শিখাইতে হবেনা। 


'কথাটি বলা মাত্রই হাসিব চৈতিকে কাছে টেনে নেয়।

এবং আলতো করে তার ঠোঁট দুটিতে আপন মনে কিস করতে থাকে।


'বেশ কিছুক্ষন কিস করার পরে 

যেইনা হাসিব চৈতির শরীর থেকে পোশাক খুলতে যাবে এমন মুহূর্তে?


(খারাপ মাইন্ডে নিবেন না)



পর্ব---১৯




'শরীর থেকে যেইনা পোশাকটি খুলতে যাবে 

এমন মুহূর্তে হাসিব লক্ষ করে 

চৈতির পিঠে অনেক ক্ষত স্থান যেই গুলা এখন পযর্ন্ত 

ভালো করে শুখাইনি।


'কি ব‍্যপার চৈতি।

তোমার শরীরে এমন ক্ষতের দাগ কেনো।


'আরে বাদ দাও।

এমন রোমান্টিক মুহূর্তে এমন কথা না বলাই ভালো হবে


'প্লিজজ 

আমি জানতে চাই। আমার বউয়ের এমন অবস্থা 

কে করলো।


'জানলে তাকে কি করবা।


'মে/রে ফেলবো তাকে আমি।

তার মনে কি একটুও মহব্বত নেই।


'তোমার ভাই আব্দুল আমার এই অবস্থা করেছে। 

আমার শরীরের অংশ কেটে কটে 

লবন দিয়েছিলো।

যার কারনে কিছু স্থান এখন পযর্ন্ত শুখাইনি।


'কিইইই আমার ভাইয়া

তোমার এই অবস্থা করেছে।  সরি ও আমার আর 

ভাই না।


'কেনো।


'যেই মানুষটা এতোটা খারাপ কাজ করে।

আর যাই হোক সে আমার ভাই হতে পারেনা কখনো।


'এই বাদ দাও।

আজ আমাদের বাসর রাত।

আর তুমি কি শুরু করছো এখন।


'আচ্ছা বাদ দিলাম।


'হাসিবের কথাটি শেষ হওয়ার আগেই চৈতি তার ঠোঁট দুটি হাসিবের ঠোঁটের সঙ্গে এক করে দেয়। 


'বেশ কিছুক্ষন কিস করার পরে।

হাসিব আলতো করে চৈতির গালে,কপালে, গলায় চুম্মন দিতে থাকে।

এই দিকে চৈতি এমন ঠোঁটের স্পর্শ পেয়ে যেনো 

পাগল হয়ে যাচ্ছে ভালোবাসায়।


'এর পরে হাসিব দুষ্টুমি করে চৈতির 

নাভিতে আলতো করে কিস করে। আর সঙ্গে - সঙ্গেই

চৈতির শরীরের লোম দারিয়ে যায়।

আর নিষ্সাষ ভারি হয়ে আসতে থাকে।


(থাক বেশি গভিরে না যাই। পরে বলবেন হাসিব ভাই আপনি অনেক খারাপ)


'তো পরের দিন চৈতি সবার আগে উঠে গোসল করে 

রান্না কাজে লেগে পরে।

সবাইকে সার প্রাইজ দেয়ার জনে।


'পরবর্তীতে চৈতি রান্না করে ডাইনিং টেবিলে 

সবার জন‍্যে সব কিছু রেডি করে রাখে।

পরে সবাই মিলে যখন খাইতে বসে।

এমন মুহূর্তে চৈতি বলে উঠে।


'আজ রান্নাটি আমি করেছি।

কেমন হয়েছে সবাই একটু বলবেন প্লিজজ। 


'কথাটি শোনা মাত্রই 

আব্দুল গল-গল করে সেখানেই বমি করে ফেলে।

যেটা দেখে সবাই বেশ আশ্চর্য হয়।


'কি হলো তোমার।

হঠাৎ বমি করতেছো কাহিনী কি।


'ভাবি মনে হয় আমার হাতের খাবার গুলা

ভাইয়ার ভালো লাগেনি।

তাই বমি করলো। 


'আরে না বিশ্বাস করো তোমার হাতের খাবার গুলি 

অনেক ভালো হয়েছে।

এছাড়া তোমার ভাইয়াও খাইতেছে।

আমি দেখলাম তো। 


'আরে-না। 

খাবারে কোন সমস্যা নেই। হঠাৎ করেই আজকে কেনো

জানি আমার বমি আসলো।

কিচ্ছু বুজলাম না। 


'সমস‍্যা নেই ভাইয়া 

আপনি ফ্রেশ হয়ে এসে আবার খেয়ে নিন।

আমরা আপনার জন‍্যে অপেক্ষা করতেছি।


'না তোমরা খাও।

আমি এখন আর খাবোনা। দুপুর বেলায় আবার খাবো।


'এমন মুহূর্তে 

হাসিব বলে উঠলো।


'ভাইয়া সত্যি কি আমার বউয়ের হাতের খাবার তোমার 

পছন্দ হয়নি নাকি অন‍্য বিষয় আছে।


'আরে পাগল তোর বউয়ের হাতের রান্না 

বেশ ভালো।


'ওহ।


'তো আব্দুলের এমন কাহিনি দেখে চৈতি বুজতে পারে 

সে কেনো খাচ্ছেনা আর।

কারন চৈতি তাকে মারার জন‍্যে যদি খাবারে বিষ মেশায় এই জন‍্যে।


'তো আব্দুল ওয়াশ রুমে 

যাওয়ার সঙ্গেই মিথিলা বলে উঠে।

কি ব‍্যাপার দেবর বাসর রাত কেমন কাটলো দুজনের।


'ভাবি বলিয়েন না আর।

আপনার দেবর খুবেই দুষ্টুমি করছে আজ।


'ওহ তাই।

হ‍্যা বউয়ের সঙ্গেই তো দুষ্টুমি করবে তাইনা। 


'সেটা ঠিক বলছেন ভাবি। 


'শোন তোমরা দুজনে হানিমুনের জন‍্যে কোথাও 

ঘুরতে যাও।

আমি তোমার ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলে সব কিছু 

ঠিক করে দিতেছি।


'থাক ভাবি 

কোথাও যাওয়া লাগবেনা। আমরা এখানেই ঠিক আছি।


'বেশি কথা বলিওনা চৈতি।

আমি যেইআ বলছি সেইটাই করতে হবে।


'তো মিথিলার এমন কথা শুনে 

চৈতি আর কিচ্ছু বলেনা। কিন্তু চৈতির মনে ভয় ডুকে যায় যদি বাড়ির বাহিরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আব্দুল কোন ক্ষতি করে তাহলে কি হবে।


'কি ভাবছো।


'নাহ ভাবি ঠিক আছে আপনি যেটা বলবেন

সেটাই হবে।


'এইতো লক্ষি মেয়ে।

আচ্ছা তোরা দুজনে খাওয়া দাওয়া করে ভিতরে যা 

আমি তোদের ভাইয়াকে ম‍্যনেজ করতেছি।


'তো কথাটি বলে মিথিলা যেইনা 

চলে গেলো।

ঠিক তখনি হাসিব বলে উঠলো। 


'জান কোথায় যাবে হানিমুনে।

সিলেক্ট করলে কি।


'এইইই আমি এখানে হানিমুন করতে আসিনি।

আমি প্রতিশোধ নিতে এসেছি।

এছাড়া বাড়ির বাহিরে গেলে তোমার ভাই আমাদের 

ক্ষতিও করতে পারে।


'তাহলে এখন 

আমাদের উপায়।


'শোন আমরা অবশ্যই হানিমুনে যাবো।

কিন্তু তোমার ভাইয়াকে সঙ্গে নিবোনা।


'মানে।


'মানে হলো আমরা গাড়ি ড্রাইভ করে যাবো।

তোমার ভাইয়ার কোন হেল্প নিবোনা।

কারন তোমার ভাইয়া সঙ্গে থাকলেই যে কোন একটি সমস্যা হতে পারে আমি সিওর।


'এই তোমার ঠোঁটে কোনে রক্ত 

বের হচ্ছে মনে হয়।


'রক্ত বের হবেনা আবার। 

যতো জোরে কামর দিছো ঠোঁটে রক্ত তো বের হবেই।


'কাছে আসো 

আর একটু কিস করে সব ঠিক করে দেই।


'নাহ বাবা আমার দরকার নেই।

আর ১মাস আমার কাছেও আসার চেষ্টা করবেনা।


'নাগো বউ

এমন কথা বলোনা।

তোমার ভালোবাসা না পেলেযে পাগল হয়ে যাবো।


'ইশশ ঢং দেখলে বাছিনা।

হয়েছে এখন তারা তারি খেয়ে নাওতো।


'ওকে 

লক্ষি বউ।


'এর পরে হাসিব ও চৈতি খাওয়া দাওয়া করে 

রুমের ভিতরে আসা মাত্রই।

মিথিলাও সেখানে চলে আসে।


'এই খাওয়া শেষ 

হলো তোদের দুজনের।


'হ‍্যাঁ শেষ।


'এই নাও ১০লক্ষ টাকার চেক। 

পুরা এক মাস হানিমুন করার পরে বাসায় ফিরবি দুজনে। পরবর্তীতে যদি আরো টাকা লাগে আমাকে ফোন দিস আমি পাঠাই দিবনি।


'এতো টাকা লাগবেনা ভাবি। 

এছাড়া ভাইয়ার এই গুলা কষ্টের টাকা। 


'চৈতি তোমার ভাইয়াই বললো

যদি আরো টাকা লাগে সেইটাও দিবে। তবুও তোমরা 

সুন্দর ভাবে হানিমুন করো।


'মিথিলার এই কথায় চৈতি বুজতে পারে আব্দুল 

কেনো এতো ভালোবাসা দেখাচ্ছে।

আব্দুল চাচ্ছে কোন ভাবে আমি যেনো এই বাড়ির বাহিরে যাই। 


'কি বিন-বিন করছো হ‍্যা। 


'নাহ ভাবি ভাবতেছি ভাইয়ার মনটা কতো বড়।

সত্যি আমর লাকি এমন একজন 

ভাইয়া পেয়ে।


'হাসিব টাকাটি ব‍্যাংকে উঠাই নিও। 

তোমাদের ভাইয়া কোথায় যেন গেল মিটিং এ।

তোমরা অন‍্য একটি গাড়ি নিয়ে হানিমুনে যা।


'আচ্ছা। 


'বাচ্চা কান্না করতেছে

তোরা রেডি হয়ে নি আমি আসতেছি।

কথাটি বলেই মিথিলা নিজের রুমে চলে যায়।


'এর পরে চৈতি ও হাসিব দুজনে রেডি হয়ে মিথিলার কাছে বিদায় নিয়ে।

হানিমুনে আসার জন‍্যে রহনা দেয়।


'প্রায় ৩০ মিনিট পরে।

হঠাৎ করেই একটি গাড়ি তাদের গাড়ির সামনে এসে ব্রেক করে আর। গাড়ি থেকে*****


পরবর্তী পর্বের লিংক👇

http//www.nextpartsedinergolpo.com