সেই_রাতের_গল্প
পর্ব---৩
"ধর্ষন করার পরে আবার তাকে খুন করতে এসেছিস! তোর এতো বড় সাহস।
'কথাটি শুনেই পিছনে তাকিয়ে দেখি একজন মহিলা এই সব কিছু বলতেছে।
'জিঙ্গেস করলা।
'তুই কেমন করে জানিস আমি এই পাগলিকে ধর্ষন করেছি।
-সেই রাতে আমিও এখানে ছিলাম।
-মানে।
-বুঝতে পারলিনা। শোন তাহলে অফিস থেকে ফেরার পথে যখন তুই মেঘাকে নষ্ট করেছিস তখন আমি ওভার ব্রিজের উপর থেকে সব দেখেছি। কতোই না আকুতি মিনতি করছে মেয়েটা। তোর হাত থেকে বাছার জন্যে কিন্তু তোর নিষ্টুর মনে একটুও মায়া আসেনি।
-তারমানে আপনি সব জানেন।
-হ্যাঁ সব জানি।
-প্লিজজজ এই কথাটি কাউকে বলবেন না। আপনি যা চাইবেন তাই দিবো।
-সত্যি দিবি।
-হ্যাঁ দিবো! কিন্তু তার আগে এই বাচ্ছাকে মে'রে ফেলে হবে আমাদের।
-বাচ্ছাটি মেরে ফেলতে হবে কেনো।
-কারন এই বাচ্ছা থাকলে অনেক সমস্যা আছে। সেইটা আপনি বুজবেন না।
-নাহ বাচ্ছার কোন সমস্যা করা যাবেনা।
-অব্যশই করতে হবে। নাহলে আমি ফেসে যাবো তখন আমার কি হবে শুনি।
-বলছিনা বাচ্ছার কিছু করা যাবেনা। এর চেয়ে তুই এই এলাকা থেকে অনেক দুরে চলে যা? এইসব কেউ জানতে পারবেনা।
-আমি ঙ্গান নেয়া পছন্দ করিনা।
-চলে যা বলতেছি।
-অনেক ফাউ কথা বলেছি আপনার সঙ্গে। আপনি এখন এখানে থেকে চলে যাবেন। নাহলে আপনাকেও এদের সঙ্গে মে'রে ফেলবো।
-কিইইই তোর এতবড় সাহস আমাকে হুমকি দিস।
-হ্যাঁ! চলে যান এখানে থেকে আমার কাজ আমাকে করতে দিন।
-আমি কিন্তু এখন চিৎকার করবো।
-খুন করে ফেলবো কিন্তু চিৎকার করলে।
'আমার কথাটি শেষ হতে না হতেই মহিলাটি বাছাও বাছাও বলে চিৎকার শুরু করে দেয়' ক্ষনিকের ভিতরেই পরিস্থিতি খারাপ হলে লাগলে সেখানে থেকে পালিয়ে চলে আসি।
'এই দিকে মহিলাটির এমন চিল্লাচিল্লিতে মেঘার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এবং ভয়ে-ভয়ে মহিলাটির কাছে এসে জিঙ্গেস করে।
-কি ব্যপার আপনি চিৎকারের করতেছেন কেনো।
-কেনো চিৎকার করতেছি জানতে চাও।
-হ্যাঁ বলুন।
-তোমাকে যেই সয়তানটি ধর্ষ*ন করেছিলো। সে আজ তোমার সন্তান কে মারতে এসেছিলো। যদি আর একটু পরে আমি আসতাম তাহলে তোমাদের শেষ করে দিতো।
-কি বলেন এই সব।
-আমার চিৎকারের আওয়াজ শুনে পালিয়ে গিয়েছে। আচ্ছা তোমাকে একটি প্রশ্ন জিঙ্গেস করিহ
-করুন।
-তুমি কি সত্যি পাগলি? নাকি মিথ্যা নাটক করো। কারনে একটি পাগলি কখনোই এমন হতে পারেনা।
-আমি হলাম একজন************* **** **?
(মেঘার পরিচয় সবাই জানবেন পরবর্তীতে)
'মেঘার কথাটি শুনেই মহিলাটি একটু ভয় পেয়ে যায়। এবং আবার জিঙ্গেস করে।
-তুমি এই সন্তান পেটে ধরলে কেনো। নষ্ট করতে পারতে তাহলে এমটি হতোনা।
-আমি যে উনাকে ভালোবেসে ফেলছিলাম। তাই বাধা দিতে পারিনাই।
-ওহ। কিন্তু এখন তোমার ভালোবাসার মানুষ যে তোমাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে।
-সমস্যা নেই আল্লাহ্ বাছাবে।
-ঠিক আছে আমি গেলাম। আমার খুব ভয় লাগতেছে পরে আবার কথা হবে তোমার সঙ্গে।
-আরে ভয় পেওনা আমি তোমার কোন ক্ষতি করবোনা আমাকে বিশ্বাস করতে পারো।
-তবুও আমার বুক থর"থর করে কাপতেছে।
-ভয়ের কিছু নেই এখানে।
-হুমমম ঠিক আছে।
-শোন সকাল বেলায় এখানে উপস্থিত থাকবে আমি ওর ঘরের বউ হয়ে যেতে চাই।
-কিন্তু!
-কোন কিন্তু নেই যদি না আসো তাহলে তো বুজতেই পাচ্ছো কি অবস্থা হবে তোমার।
-আচ্ছা আসবো। কিন্তু এসে কি বলবো।
-বলবে যে আমি নিজের চোখে দেখেছি এই ছেলেটি মেঘাকে ধ'র্ষ'ন করেছে।
-ঠিক আছে।
-এখন আসতে পরো।
'মেঘার কথাটি শুনেই মহিলাটি দৌরে সেখানে থেকে পালিয়ে যায়।
(সবাই ভেবে দেখুন মেঘা কে হতে পারে)
'এই দিকে আমি বাসায় এসে ভাবতে লাগলাম এখন যদি এই মহিলা সবাইকে বলে দেয় আমি তাদের হত্যা কার চেষ্টা করেছি তাহলে কি হবে।
'এই সব হাজারোনা চিন্তা মাথায় যেনো একটা ঘুর্নিঝড় সৃষ্টি করলো। সেই রাতে আর কোন ভাবেই ঘুমাতে পারলাম না! সকাল বেলায় হালকা নাস্তা করে অফিসে যাচ্ছিলাম এমন সময় মা বলে উঠে।
-বাবা হাসিব আমি ও ডাক্তারের কাছে যাবো' আমাকে সঙ্গে নিয়ে যা। তোর অফিসের ওখানেই ডাক্তারের চেম্বার।
'ঠিক আছে মা চলো।
-এর পরে মাকে নিয়ে যাচ্ছিলাম সেই রাস্তা দিয়ে। যেখানে মেঘা রয়েছে।
'বেশ কিছুদুর আসার পরে দেখলাম মেঘার চার পাশে আজো অনেক মানুষ ভির জমিয়ে আছে।
'সেই দিকে লক্ষ না করে' মাকে নিয়ে যেইনা একটু তারা হুরা করে আসতে যাবো, এমন সময় মা বলে উঠলো?
-বাবা ওখানে কি হয়েছে.। এতো মানুষ কেনো?
-জানিনা?
-চলনা একটু দেখি ওখানে গিয়ে কাহিনী কি।
-আরে ওই সব দেখার তোমার দরকার নেই। তুমি ডাক্তারের কাছে চলো।
-আরে দরকার কি ওখানে।
-এমন রাগ হচ্ছিস কেনো। চলনা একটু।
'কি আর করার মায়ের কথা মতো তাকে ওখানে নিয়ে গেলাম। গিয়েই দেখি কালকের রাতের সেই মহিলাটি মেঘার পাশ জুরে বসে আছে।
'মা জিঙ্গেস করলো।
-কি হয়েছে এখানে।
'মহিলাটি সুন্দর ভাবে উত্তর দিলো'
-আপনার সন্তান এই মেয়েকে ধর্ষ*** করেছে।
-এই মেয়ে কি বল এইসব। আমার সন্তান সম্পর্কে না যেনে কোন খারাপ মন্তব্য করবেনা।
-বাহ? সত্যি কথা বললাম এখন খারাপ মন্তব্য হলো নাকি।
-মা তোমাকে এই জন্যেই বলছিলাম ওখানে আসর দরকার নেই। এইসব রাস্তার মানুষ খুবেই নোংরা।
-লজ্জা করেনা এমন কথা বলতে আপনার।
-লজ্জা করবে কেনো। আমি কোন মিথ্যা কথা বলতেছি নাকি বুঝলাম না। আচ্ছা তোমাদের এই রাস্তার মানুষের খেয়ে দেয়ে কোন কজ কর্ম নেই। ভদ্র মানুষের পিছে শুধুমাত্র লেগেই থাকেন।
'আমার কথা শুনে মেঘা বলে'
-দেখো হাসিব তোমাকে আমি অনেক সুযোগ দিয়েছি। ১০ মাস দেখেছি কিন্তু তুমি আমার কাছে একটিবার ও এসে বলোনাই মেঘা আমার ভূল হয়েছে।
'মেঘার কথায় আমার মা ভিষণ রেগে যায়'
-এই মেয়ে মুখ সামলে কথা বলবে। আর একটি বাজে কথা বললেই থাপ্পড় দিবো।
-মা চলতো এখানে থেকে।
'কথাটি বলে যখনি মাকে নিয়ে একটু সামনে আসলাম ঠিক তখনি**** (কি ঘটতে পারে কমেন্ট করুন)
"জানিনা এই পর্বটি কেমন হয়েছে। আসলে পর্ব গল্প লেখা ছেরে দিয়েছি।কারন সবাই গল্প কপি করে কিন্তু কেউ লেখকের নাম দেয়না। তাই লিখতে মন চায়না।
৪র্থ পর্ব লিংক
৫ম পর্ব লিংক
৬ষ্ঠ পর্ব লিংক
0 Post a Comment:
Post a Comment