"বাবা তুমি আমাকে হত্যা করার জন্যে কিডন্যাপ করছো?
'চৈতির কথাটি শেষ হওয়ার আগেই ওর বাবা একটি গুলি করে। যেটা চৈতির হাত ছেদ করে চলে যায়।
'ছিইইই বাবা ছিইই! তোমাকে দেখে আমি সত্যি ঘৃনা হচ্ছে নিজের মেয়েকে কেউ এইভাবে মারতে পারে।
'কেনো আমি তোমার মেয়ে' চৈতি আমাকে চিনতে পাচ্ছোনা বুঝি।
'তুই আমার মেয়েনা।
'মানে।
'হাহা! হাহা! হাহা! হাহহা! আহহা!
'হাসতেছো কেনো বাবা তুমি।
'শোন তোকে আমি ছোট্ট থাকায় রাস্তার পাশে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম।
'হাহাহা! যেই মানুষটি একবার এই লাইনে আসে "সে কখনোই আর ভালো পথে যেতে পারেনা। ঠিক তুইও পারবিনা কখনো।
'জানো বাবা আমার সন্তান আছে একটি' দেখতে
'এই সব শোনার জন্যে তোকে এখানে নিয়ে আসিনি। বল আমার সঙ্গে কেনো বিশ্বাস ঘাতকতা করলি।
'তুই আমাকে কিচ্ছু না বলে কেনো আত্তগোপনে চলে গেলি? জানিস আমার ব্যবসায় কতোটা লস হয়েছে তোর জন্যে।
'আমি ভালো হতে চেয়েছি। জানো তোমার লোকজন আমাকে এখানে নিয়ে না আসলে আজকে আমার বিয়ে হতো।
'বাহ! বিয়ের আগেই জা/র/জ সন্তান নিয়েছিস। এইটা তোর কাছে আশা করিনাই।
'বাবা প্লিজজ আমাকে যেতে দাও। আমার সন্তান কান্না করতেছে মনে হয়।
'প্লিজজজ বাবা আমাকে মে/রোনা। আমি মারা গেলে আমার সন্তান স্বামীর কি হবে বলো তুমি।
'তোরে একটি কাজ দিবো' সেই কাজটি যদি তুই সম্পূর্ণ করতে পারিশ তাহলেই মুক্তি পাবি।
'তোকে একজনকে মে/রে ফেলতে হবে। যদি মারতে পারিশ তাহলেই তুই মুক্তি পাবি।
'প্লিজজ মেরে ফেলার কথা বলিওনা। কারন এই সব আর ভালো লাগেনা।
'তাহলে এখন তোকে শেষ করে। "তোর সন্তান কে শেষ করে দিবো আমরা।
'বাবা তুমি এমন কেনো। একটুও কি দয়া মায়া নেই তোমার মনে হ্যাঁ।
'এই বাজে কথা বন্ধ কর। আর শোন তোকে কি
'ঠিক আছে আমার লোকজন তোর সেই জা/র/জ সন্তান কেই তাহলে মেরে ফেলুক।
'কথাটি শুনেই চৈতি তার পালিতো বাবার পা ধরে কান্না করে করে সন্তানের জীবন ভিক্ষা চায়'
'বাবার মুখে এমন কথা শুনে "নিজের সুখের জন্যে চৈতি রাজি হয়ে যায় কাজে?
'তোর শাশুড়িকে মে/রে ফেলতে হবে। বলতে হাসিবের মাকে মারতে হবে।
'হ্যাঁ এটাই করতে হবে তোকে। এক সপ্তাহের ভিতরে।
'নাহ এইটা কখনোই সম্ভব না। উনি আমার শাশুড়ি মা।অনেক ভালো একজন মানুষ!
'এতো কিছু জানতে চাইনা আমি। হ্যাঁ / না?
'আগে বলো হাসিবের মায়ের সঙ্গে তোমার কিসের শত্রুতা আছে।
'এতো কিছু জানার দরকার নেই তোর।
'সময় হলে সব জানতে পারবি তুই। এখন যেটা করতে বলছি সেইটা কর ওকে।
'কারন উনি আমার স্বামীর-মা? ওনাকে মেরে নিজের সংসার নিজে ভাংতে পারবোনা আমি।
'ঠিক তখনি চৈতির পালিত বাবা বলে উঠলো'
'তুই যে হাসিবের বাবা আজাহার চৌধুরী কে মেরে ফেলেছিস এইটা যদি হাসিব জানে তাহলে কি সংসার হবে।
'মান? আমি কবে ওর বাবা-কে মারলাম?
'কয়েক বছর আগে যেই ২০ জনকে হত্যা করেছিস তার মধ্যে একজন হাসিবের বাবাও ছিলো।
'নাহ! এইটা আমি বিশ্বাস করিনা। আমি কখনোই ওর বাবাকে হত্যা করতে পারিনা।
'সব কিছুর প্রমান আছে আমার কাছে। এখন যদি তুই হাসিবের মাকে হত্যা না করিশ তাহলে সব কিছুই ওরে বলে দিবো।
'বাবা তুমি কি আমাকে ব্লাকমেইল করতেছো।
'ঠিক আছে ওর মাকে হত্যা করবো" কিন্তু ওর মায়ের দোশ কাহিনী টা কি। সেইটা আগে বলো আমাকে।
'কথাটি শুনেই চৈতি কেমন জানি আকাশ থেকে মাঠিতে পড়ে গেলো।
'আর একটি কথা তোর এই বাবা কখনো ভালো মানুষ কে পৃথিবীর থেকে সরিয়ে দেয়না।
'আমার বিশ্বাস হয়না' তুমি মনে হয় কোথাও ভূল করতেছো। ওর মা ভিশন সহজ সরল একটি মানুষ।
'বেশি দেরি করিশনা' এমনটাও হতে পারে তোর সন্তানের জীবন বিপদের মধ্যে আছে।
'ওরা কখনোই ওদের নাতির সঙ্গে এমনটা করতে পারেনা। যতোই হোক ওটা ওনাদের নাতি।
'বেশি বুঝা আমি পছন্দ করিনা। আজ বাসায় চলে যা আমার লোকদের সঙ্গে কাল আবার কথা হবে।
'চৈতির বাবার কথা মতো আবার তারা চৈতিকে হাত-পা বেধে বাসায় নিয়ে যায়'
'হাসিব তোমার বাচ্ছাটি কোথায় দেখতেছিনা।
'আমার মা ওর ব্যবস্থা করছে। তোমাকে এই সব নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা।
'এই ভাবে ২টি দিন কেটে যাওয়ার পরে চৈতির বাবা চৈতিকে এসে জানায়।
'শোন চৈতি হাসিবের বিয়ে শুক্রবার। ওই দিনেই ওর মাকে মেরে ফেলতে হবে।
'হাসিবের বিয়ে উর্মি নামের একটি মেয়ের সঙ্গে।
'তুই তো কিচ্ছুই বিশ্বাস করিশা। যখন সত্যিটা নিজের চোখে দেখবি সেই দিন ঠিকেই বুঝবি।
'হাসিব আমার সঙ্গে এমনটা করতে পারেনা বাবা?
'সেটা শুক্রবারেই দেখতে পাবি' রেডি হয়ে নি সামনেই শুক্রবার।
'কথাটি বলেই চৈতির বাবা চলে যায়' আর চৈতি ভাবতে থাকে কি হচ্ছে এই গুলা তার সঙ্গে।
https://mgu7.blogspot.com/2024/10/blog-post_21.html
৯ পর্ব 👇
https://mgu7.blogspot.com/2024/10/blog-post_66.html
0 Post a Comment:
Post a Comment