"পাগলিটার ইজ্জত শেষ করে এখন মিথ্যা অভিনয় করতো তুমি হাসিব?
'তোমার মুখে আমার এই উর্মি নামটা কখনোই শুনতে চাইনা হাসিব।
'প্লিজজজ আমাকে বিশ্বাস করো।
'তোমাকে বিশ্বাস করবো আমি' সেটা আর কখনোই না? আল্লাহ্ জানে তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে হলে কি হতো।
'তুমিও রাস্তার পাগলিটার কথায় আমাকে অবিশ্বাস করতেছো এই তোমার ভালোবাসা।
'এমন সময় কাল রাতের সেই মহিলাটি সেখানে এসে উপস্থিত হয় এবং বলে।
'শোন হাসিব তুমি যদি নিজের ভালো চাও তাহলে অবশ্যই মেঘাকে বিয়ে করো।
'এই আপনি চুপ করুন। আমাদের মাঝে আপনাকে কে আসতে বললো শুনি?
'তোমার ভালোর জন্যেই এসেছি। এখন আমার কথা না শুনলে পরবর্তীতে পস্তাতে হবে তোমাকে।
'সে যাই হোকনা কেনো তাতে আমার কিছু যায় আসেনা। প্লিজজ এখনে থেকে চলে যান।
'কথাটি বলেই মহিলাটি সেখানে থেকে চলে যায়?
'এই দিকে সবার মুখে এমন কথা শুনে হাসিবের মা বলে উঠলো।
'আচ্ছা হাসিব তুই কি সত্যি এই মেয়েটাকে নষ্ট করেছিস। যা বলবি সত্যি বলবি।
'তাহলে সবাই কি মিথ্যা বলতেছে। চল মেয়েটার কাছে ওখানেই সব সত্যি বের হবে।
'আরে মা তুমিও ওদের কথায় সায় দিচ্ছো।
'চল বলতেছি।
'এর পরে কি আর করার মায়ের কথা মতো হাসিব সেখানে যায়।
'সেখানে এসেই হাসিবের মা সবার সামনে মেঘাকে জিঙ্গেস করে।
'আচ্ছা সত্যি কি এই সন্তানের বাবা হাসিব নাকি তুমি মিথ্যা বলতেছো।
'মিথ্যা বলবো কেনো। আমি সত্যি বলতেছি এই সন্তানের বাবা আপনার ছেলে।
'ওহ! সেই রাতে কী ঘটেছিলো।
'আমি প্রতিদিনের মতো সেই রাতেও ঘুমিয়ে ছিলাম। এমন সময় অনুভব করলাম কেউ একজন আমার শরীরের উপরে। সঙ্গে সঙ্গে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখতে পারি আপনার ছেলে যে কিনা আমাকে ধর্ষন করার চেষ্টা করতেছে।
'এইটা দেখে তাকে অনেক বাধা দেয়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু সে কোন ভাবেই আমাকে ছারবেনা। যখন অনেক জোরা জুরিতেও ওর সঙ্গে পাচ্ছিলাম না তখন বাদ্ধ হয়ে নিজের শরীর টা বিলিয়ে দিতে হয়।
'হ্যাঁ বুঝলাম। কিন্তু একটি প্রশ্ন আবার উঠে আসে।
'কি প্রশ্ন?
'তুমি এতোদিন এই কথাটি বলোনাই কেনো? ২য়তো তুমি কেনো পাগলির বেশে থাকো এখানে। সব কাহিনী খুলে বলো।
'আমি ধর্ষনের পরের দিনেই বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু যদিও কথাটি বলতাম কেউ আমার কথা বিশ্বাস করতো কি। কখনোই করতোনা কারন আমি পাগলি?
'কিন্তু তুমিতো পাগলি না।
'হ্যাঁ আমি পাগলিনা। এটার অনেক কারন আছে।
'যেমন কি কারন?
'আমি এই সব সবার সামনে বলতে পারবোনা। যদি শুনতে চান তাহলে একান্তই শুনতে হবে আপনাকে!
'ওহ। কিন্তু কেনো জানি আমার মনে হচ্ছে তুমি এইসব সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের শুনাচ্ছো।
'না আমি সত্যি বলতেছি।
'মেঘা ও হাসিবের মায়ের কথার মাঝে হাসিবের Girlfriend উর্মি বলে উঠেলো।
'শোনেন একটি সমাধান আছে আমার কাছে।
'হাসিবের মা" বলো কি সমাধান আছে তোমার কাছে।
'আমরা এই বাচ্ছাটির DNA চেস্ট করি তাহলেই বুঝা যাবে এই বাচ্ছার আসল বাবা কে?
'হ্যা ঠিক বলছেন আপনি (মেঘা)
'আরে এই DNA চেস্ট সব মিথ্যা। এই সব করে কখনোই লাভ হবেনা। আপনার বিশ্বাস করুন এই সন্তান আমার না।
'যদি তোমার সন্তান নাই হয় তাহলে এমন ভয় পাচ্ছো কেনো তুমি?(উর্মি)
'আশ্চর্য ভয় কেনো পাবো।
'উর্মির কথা শুনে সেখানে সব লোকজন বলে উঠে হ্যা DNA চেস্ট করাও তাহলেই সমাধান হবে।
'এর পরে কি আর করার উর্মির কথা মতোই সবাই রাজি হয়ে গেলো। যেইনা হাসপাতালে উদ্দেশ্যে রহনা দিবে এমন টাইমে হাসিব বললো।
'আমি একটু আলাদা ভাবে মেঘার সঙ্গে কথা বলতে চাই প্লিজজজ।
'হাসিবের কথা বলো দুজনকে আলাদা ভাবে কথা বলার ব্যবস্তা করে দেয়া হলো।
'মেঘা তোমার কতো টাকা দরকার আমাকে বলো। প্লিজজ হাসপাতালে যেওনা।
'আমার কোন টাকার দরকার নেই। আমি চাই তুমি আমার সন্তানেকে বাবার পরিচয় দাও।
'আরে আমি তোমাকে সত্যি এমনটা করিনাই।
'হাহহা আহা সুন্দর নাটক করো।
'কি করলে বিশ্বাস করবা আমি সব সত্যি কথা বলতেছি তোমাকে বলো।
'হাসপাতালে চলো DNA চেস্ট করলেই বুঝা যাবে। আসল সত্যি কাহিনী!
'তার মানে তুই আমার কথা শুনবিনা।
'এর পরে এইভাবে একথায় দুই কথায় দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়।
httpwwwxystorypartgolpohoues.com
httpwwwstoryhumangolophoues.com
0 Post a Comment:
Post a Comment