গল্পের নাম এক রাতের বউ পর্ব:-৩

গল্পের_নাম_এক_রাতের_বউ 

পর্ব:-৩



সালেহা চৌধুরী : তোমার নাম টা জেনো কি? 


রিয়া: জি আমার নাম রিয়া" 


 সালেহা চৌধুরী: ও আচ্ছা, রিয়া আমার রুমে গিয়ে টেবিলের উপরে একটা ফাইল আসছে। ওইটা নিয়ে আসো তো"


 রিয়া: জি "


 কথক: রিয়া  সালেহা চৌধুরী কথা মতো চলে গেলো! রিয়া তার রুমে গিয়ে ফাইল হাতে নিয়ে ড্রায়ংরুমে চলে আসলো! রিয়া সালেহা চৌধুরী হাতে দিলো" তখনই সালেহা চৌধুরী বললো?


 সালেহা চৌধুরী : রিয়া আমার সাথে চলো"


 কথক: রিয়া কিছু বললো না" তার হাতে যেতে লাগলো" রিয়া গাড়ির দরজা খুলে দিলে সালেহা চৌধুরী বসলো! তার পর রিয়াকে বসতে বলে" রিয়া বসে।  তার পর দুইজন বের হয়ে যায়"   একটা বাসার সামনে গাড়ি থামালো"  তার পর দুইজন নেমে। বাড়ির ভিতরে চলে গেলো"   সালেহা চৌধুরী  বসে থেকে কিছুজনের সাথে কথা বলে।  ফাইল গুলো দিয়ে পরে চলে আসছে! রিয়া আর সালেহা চৌধুরী গাড়ির ভিতরে বসে আসছে? রিয়া তখন বললো?


 রিয়া: ম্যাম একটা কথা বলবো?


 সালেহা চৌধুরী : হ্যা বলো?


 রিয়া: ওনি আপনার বড় মেয়ে ' 


 সালেহা চৌধুরী : হ্যা কেন?


 রিয়া: আপনার মেয়ে আপনার সাথে ভালো করে কথা বলতে চাইলো না কেন? আপনে কত সুন্দর  ব্যবহার করলেন। আর ওনি কেমন আপনার সাথে  বিরক্ত নিয়ে কথা বলছিলো?  


 সালেহা চৌধুরী : এই টুকু ভিতরে এইটাও খেয়াল করেছো!  


 রিয়া: না মানে ম্যাম? কেমন যেনো  অদ্ভুত   লাগলো" 


 সালেহা চৌধুরী :  আমার মেয়ে একটু আমার উপরে রেগে আছে। এইটায় তা ছাড়া যা ভাবছো আমার মেয়ে তেমন না।  সামনে থেকে কঠোর দেখা যায়' ভিতর টা অনেক নরম ওর।


 রিয়া: ও আচ্ছা' 


 কথক: রিয়া একটা জিনিস খেয়াল করলো" সালেহা চৌধুরী চোখ পানি গুলো টল মল করছে! রিয়া কিছু জিজ্ঞেস করতে গিয়েও করলো না" বাসায় আসলে রিয়া আর সালেহা চৌধুরী   বাসায় এসেছে।  রিয়া সালেহা চৌধুরী সাথে রুমে যায়"  সালেহা চৌধুরী বললো?


 সালেহা চৌধুরী : রিয়া আমার জন্য এক চা বানিয়ে নিয়ে আসবে!


রিয়া:  আমি এখনই বানিয়ে নিয়ে আসছি"


 কথক: রিয়া রুম থেকে বের হয়ে' রান্না ঘরে চলে গেল। চা বানাতে   চা বানিয়ে সালেহা চৌধুরী দিয়ে দিলো!  চা খেতে খেতে ওনি রিয়াকে তার পা টা  হালকা করে চেপে দিতে বললো? রিয়া ওনার কথা মতো কাজ করতে লাগলো!   ওনার সাথে এভাবে সারাদিন থাকতে লাগলো? এভাবে  ১মাস কেটে গেলো!  এই ১মাসে রিয়া অনেকটা ক্লোজ হয়ে গেছে। এই বাড়ির সবার সাথে " রিয়া  ঘুম থেকে উঠে,  রিয়া বাড়ির সবার সাথে কাজে লেগে গেলো!  আজ সালেহা চৌধুরী    ছেলে মেয়ে সবাই  তাদের ফ্যামিলি নিয়ে আসবে৷ সবাই  সবার রুম পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখতে ব্যস্ত হয়ে গেছে। আর এদিকে রিয়া আর কয়েকটা কাজের ভুয়া মিলে রান্না করতে লাগলো! রান্না শেষ হলে টেবিলের উপরে সাজিয়ে রাখলো?  রিয়া সালেহা চৌধুরী  রুমে গিয়ে দেখে সেই আজ অনেক খুশি।  রিয়া তাকে খুশি দেখে বললো?


রিয়া: আজ প্রথম আপনাকে এই খুশি দেখতে পাচ্ছি। ১মাস আপনাকে আমি এতোটা আনন্দিত দেখি নাই।


 সালেহা চৌধুরী : খুশি হবো না, আমার ছেলে মেয়ে নাতি নাতনি  আসবে।   ওরা সবাই এখানে থাকবে"এইটা ভেবে অনেক আনন্দ হচ্ছে আমার। 


 রিয়া: আপনার বড় মেয়ে ওনারা আসবে না"


সালেহা চৌধুরী : হ্যা ওই আসবে আমার নাতি  আছে। ওই নিয়ে চলে আসবে' ওর কথা কেউ ফেলতে পারে না।


 রিয়া: ও আচ্ছা,  ওনারা আসার সময় হয়ে গেছে। চলেন তাহলে ড্রায়ংরুমে  "


 কথক: সালেহা চৌধুরী  রিয়া দুইজন মিলে ড্রায়ংরুমে চলে গেলো! রিয়া দাঁড়িয়ে আছে তখনই রিয়ার ফোন বেজে উঠলো? রিয়া কিছুটা দূরে গিয়ে ফোনটা রিসিভ করলো? 


 রিয়া:  হ্যা রূপা কেমন আছি  বোন আব্বু কেমন আছে!


 রূপা: আপু তোমার না আজ আসার কথা কখন আসবে!


 রিয়া:  আজ তো অনেক মানুষজন আসবে। আজ যেতে পারবো না রে অনেক কাজ আছে!


 রুপা: ও তাহলে আর আসবে না"


 রিয়া: সময় পেলে দেখা করতে  যাবো তোর সাথে চিন্তা করিস না! আচ্ছা বোন ফোন রাখ ওনারা মনে হয় চলে এসেছে।গাড়ি আসার শব্দ পাচ্ছি"


 কথক: রিয়া ফোনটা রেখে  পিছনে ঘুড়ে  অবাক হয়ে গেলো! রিয়া বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে"  রিয়া সামনে তাকিয়ে দেখে আদিত্য সালেহা চৌধুরীকে জড়িয়ে ধরে আসছে। আর রিয়া সাথে সাথে  পিছনে ঘুড়ে মুখ ঢেকে নিলো!  


আদিত্য: দাদিমা  কেমন আছো? উফফ মাই   সুইটহার্ট ।  তোমাকে আজ দারুন লাগছে!


  সালেহা চৌধুরী : তাই নাকি? আমি তো জানি আমার বর সাহেব আসবে। তাই আগে থেকে সুন্দর করে রেডি হয়ে নিয়েছি।


 আদিত্য:  তাই" আচ্ছা দাদিমা থাকো ফ্রেশ হতে  যায়! জার্নি করে ক্লান্ত লাগছে, 


 সালেহা চৌধুরী : ওকে যাও" 


 কথক: রিয়া  রান্না ঘরের দিকে চলে গেলো" আদিত্য নিজের রুমে  চলে গেলো। আর সালেহা চৌধুরী  এইদিকে ওর ছেলে মেয়ে আর বাকি নাতি নাতনিদের সাথে কথা বলতে লাগলো! আর রিয়া এইদিকে রান্না ঘরে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলো?


 রিয়া: হায় আল্লাহ আমি এখন কি করবো? কাজের ভুয়া হিসাবে শেষ মেষ কিনা৷  নিজের শ্বশুর বাড়িতে চলে আসলাম!   


রহিমা: কি রে রিয়া কি ভাবিস,  তাড়াতাড়ি  চল খাবার খাওয়াতে হবে তো নাকি?ওনাদের কি লাগে ওইদিকে খেয়াল রাখতে হবে তো নাকি?  


 রিয়া: খালা আমি বাড়িতে যাবো, আমার তো আজ ছুটি।  আর এখানে থেকে আমি কি করবো!


 রহিমা: আজ কোনো ছুটি নাই"  ওনারা যত দিন থাকবে। কোনো ছুটি নাই' তাড়াতাড়ি চল"


কথক: রহিমা খালা রিয়াকে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো " হঠাৎ করে রিয়া কারো সাথে ধাক্কা খেলো।ধাক্কা খেয়ে রিয়া সোজা ফ্লোরে পড়ে গেলো!  রিয়া ফ্লোর থেকে উঠতে উঠতে বললো?


রিয়া: স্যারি স্যরি আমি  বুঝতে পারি নাই"


কথক: রিয়া কথাটা বলে সামনে ধাক্কা খাওয়া ব্যক্তিটা রিয়াকে  আর কিছু বলার সুযোগ দেওয়ার আগে ঠাস ঠাস করে থাপ্পড় মারলো?  রিয়া  সামনের থাকার ব্যক্তি দিকে তাকিয়ে যেনো হুস উড়ে গেলো! রিয়া চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়তে লাগলো? আর ধাক্কা খাওয়া ব্যক্তিটা বললো?


  রুমা: ফালতু মেয়ে চোখে দেখিস না" কিভাবে হাটা চলা করিস! আর একটু হলে  পড়ে যেতাম'  কানার মতো চলোস ।  চোখে কি দেখতে পারোস না"


কথক: রিয়া কি বলবে বুঝতে পারছে না চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ছে।  সালেহা চৌধুরী  বললো?


 সালেহা চৌধুরী :  রুমা থাম ওই  ইচ্ছে করে দেয় নাই। তুই সেই অল্পতে রেগে যাওয়া   অভ্যাস গেলো না!   


 রুমা: আম্মা তুমি কথা বলো না" তুমি কাজের মেয়েদের বেশি প্রচায় দিয়ে মাথায় তুলে ফেলছো!আর এই মেয়ে সামনে থেকে তুই যাবি নাকি? আমার মেজাজ আরো গরম করিস না।


কথক: রহিমা খালা রিয়াকে সরিয়ে নিয়ে যেতে নিবে৷ তখনই রিয়া রুমাকে জড়িয়ে ধরে, সবাই অবাক হয়ে যায়। রুমা যেনো অবাক হয়ে গেলো" আদিত্য নিচে এসেছে রিয়াকে দেখে চমকে গেলো!   রুমা রিয়াকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে। রিয়া আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,   রহিমা রিয়াকে জোর করে  রিয়াকে রুমার থেকে সরিয়ে নেয়!


 রহিমা:  ক্ষমা করে দেন ম্যাম, ওই ছোট মানুষ কখন কি করে। ওই নিজেও বুঝতে পারে না" এই রিয়া তুই কি পাগল হয়ে গেছোস।


 কথক: রিয়া ভাবনার জগত থেকে বের  হয়ে স্বাভাবিক হয়ে বললো?


 রিয়া:  স্যরি ম্যাম ক্ষমা করে দেন" আমি আপনাকে ভুল করে জড়িয়ে ধরে ফেলছি! 


কথক: রিয়া কথাটা বলে ওইখান থেকে চলে আসলো! সালেহা চৌধুরী কাছে গিয়ে বললো?


 রিয়া; ম্যাম আমাকে প্লিজ আজকে বাড়িতে যেতে দিবেন।আজ তো আমার ছুটির দিন,   আমি সন্ধ্যায় চলে আসবো"


 সালেহা চৌধুরী : আচ্ছা যাও, আর আজকে থেকে আসো গা! 


 রিয়া: ধন্যবাদ ম্যাম" কিন্তু দুপুরের রান্না করে দিয়ে যাবো!


 সালেহা চৌধুরী : সমস্যা নাই, আমার বড় বউমা সব সামলিয়ে নিবে!


 আদিত্যর আম্মু:  তুমি যেতে পারো" 


 রিয়া: ওকে, 


 কথক: রিয়া চলে যেতে নিবে তখনই আদিত্য বললো?


 আদিত্য: দাদিমা এইটা কি তোমার পার্সোনাল লোক নাকি.?


 সালেহা চৌধুরী : হুম মেয়েটা অনেক ভালো।  ১মাসে সব দিক  কত সুন্দর করে  গুছিয়ে নিয়েছে।


 আদিত্য: ও আচ্ছা, 


 কথক: রিয়া ওইখান থেকে চলে যেতে নিলো"  রিয়া একটারিক্সা নিয়ে চলে যেতে লাগলো! রিয়ার মাথায় কিছু কাজ করছে না! রিয়া বুঝতে পারছে না, ওই মহিলাটা আসলে কে?  হুবুহু একদম ওর আম্মুর মতো দেখতে। কিন্তু ওর আম্মু তো মারা গেছে তাহলে ওনি কে হতে পারে। রিয়া ফল মুল আর রূপার জন্য কিছু চকলেট  কিনে বাসায় চলে গেলো। বাসায় গিয়ে রুপা  আর রিয়াকে দেখে জড়িয়ে ধরলো? 


 রূপা: আপু তুমি এসেছো।


রিয়া: হুম,  আব্বু কোথায় খাইছোস তোরা'


 রূপা: আব্বু ঘরে আসছে' তুমি খাইছো?


রিয়া: না, আচ্ছা রান্না করছোস?


রূপা: হ্যা আসো খেয়ে নিবে"


 কথক: রিয়া  হাত মুখ ধুয়ে  ওর আব্বুর সাথে দেখা করতে গেলো। দেখে ওর আব্বু খাটের উপরে বসে আছে?  রিয়া ওর আব্বু পাশে বসলো?


 রিয়া; আব্বু কেমন আছো?


 রিয়ার আব্বু:  ভালো মা তুই কখন আসলি?


 রিয়া: এই তো কিছুক্ষন আগে এসেছি" আচ্ছা আব্বু তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো?


 রিয়ার আব্বু: হ্যা বল? 


 রিয়া: রূপা তুই  একটু বাহিরে যাহ তো"


 কথক: রূপা বাহিরে গেলে রিয়া দরজা টা লাগিয়ে দিয়ে ওর আব্বুর কাছে এসেছে বললো?


 রিয়ার আব্বু:কি বলবি রূপাকে সরিয়ে দিলি যে?


 রিয়া: আচ্ছা আব্বু আম্মু কি সত্যি মারা গেছে?


 কথক:রিয়ার কথা শুনে রিয়ার আব্বু চমকে গেলো?  রিয়ার আব্বু  বললো?


 রিয়ার আব্বু: হ্যা কেন? হঠাৎ আজ এমন কথা কেন বলছিস?


 রিয়া: আচ্ছা আব্বু আমার নানা বাড়ি কোথায়? আর আমার দাদি বাড়ি বাহ কোথায়?  


 রিয়ার আব্বু: এইসব জেনে কি করবি?


 রিয়া: আমার জানার খুব ইচ্ছে হইছে?  সবার তো নানু বাড়ি দাদুর বাড়ি থাকে?  আমার ও নিশ্চয়ই আছে!


 রিয়ার আব্বু: কেউ নাই তোর যাহ এখন থেকে? এইসব বিষয়ে কথা বলতে চাই না।


 রিয়া: কেন বলবে না" আব্বু আমাকে আজ সব সত্যি বলবে?  আমার কসম আব্বু আমাকে আজ সব বলবে?


 রিয়ার আব্বু: এইসব কি বলিস যাহ এখন  থেকে আমি কিছু বলতে চাই না।


 রিয়া: ওকে বলো না? কিন্তু আব্বু আমার আম্মু মারা যায় নাই। ওনি বেঁচে আছে তাই না"


রিয়ার আব্বু: না মারা গেছে?


 রিয়া: তুমি মিথ্যা বলছো আমার মাথায় হাত দিয়ে বললো?


 কথক: রিয়া ওর আব্বুর হাত ওর মাথায় রেখে বললো?


 রিয়া: এখন বলো আম্মু মারা গেছে?


 রিয়ার আব্বু: রিয়া বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু" হাত ছাড় আমার। কি জানতে চাস হ্যা" হ্যা তোর আম্মু মারা যায় নাই বেঁচে আছে।


 কথক: রিয়া কয়েক পা পিছিয়ে গেলো" রিয়া ওর আব্বুকে বললো?


রিয়া: তাহলে কেন বলছো আমাদের আম্মু মারা গেছে! আব্বু তোমরা তো পালিয়ে বিয়ে করছিলে তাই না! তাহলে তোমরা দুইজন কেন আলাদা? 


 রিয়ার আব্বু: শুনতে চাস, কেন আমরা আলাদা তাহলে শুন? আমি আর তোর আম্মু ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম।  তোর আম্মু আমার আব্বু বান্ধবীর মেয়ে ছিলো!  আমরা এক সাথে পড়াশোনা করতাম" আমরা কেউ জানতাম না যে।  রুমার বড় বোন সাথে আমার বিয়ে ঠিক করছে।  বাসায় আসলে দুইজন জানতে পারি পরে উপায় না পেয়ে বিয়ে দিন আমি আমার আব্বু আম্মুকে বুঝিয়ে বলেছিলাম। তাড়া রাজি হয় নাই, তাড়া রুমার বড় বোনকে পছন্দ ছোট বোনের সাথে বিয়ে দিতে পারবে না। কারণ রুমার বড় বোন আমাকে অনেক ভালোবাসে" ছোট বেলা থেকে আমাকে স্বামি হিসাবে মেনে এসেছে। যাহ আমি জানতাম ও না, আমি বিয়েটা না করে আব্বুকে বলে দেয়। আমাকে জোর করে বিয়ে দিতে চাইলে আমি আর রুমা পালিয়ে যাবো! আব্বু আমাকে দুইটা অপশন দিয়েছিলো এক রুমার বোনকে বিয়ে করলে ।  ওই বাড়িতে থাকতে পারবো আর যদি পালিয়ে যায়। তাহলে আমাকে ত্যাজ পুত্র করে দিবে" কোনোদিন যদি আমি ওই বাড়িতে ফিরে যায়। তাহলে আব্বুর মরা মুখ দেখতে হবে।  বাট আমি তখন কারো কথা না ভেবে তোর আম্মুকে নিয়েপালিয়ে যায়!    দুইজন পালিয়ে একটা গ্রামে গিয়ে বিয়ে করে নেয়! তার পর ওইখানে আমি একটা জব নেয়! ভালোই যাচ্ছিলো দিন কাল প্রথম প্রথম  আমাদের ঘরের প্রথম যখন তুই আসলি! খুশিতে আত্নহারা হয়ে যায়।  সংসার আরো   আনন্দ ময় হয়ে যায়" কিন্তু রূপা হওয়ার পর থেকে তোর আম্মুর ব্যবহার চেঞ্জ হয়ে যেতে লাগে। তোর নানা বাড়ির সাথে আবার সম্পর্ক  জোড়া লাগাতে লাগলো। আর এইদিকে আমার  চাকরিটা চলে যায়। আরো তোর আম্মু ব্যবহার চেঞ্জ হয়ে যায়' প্রতিদিন ঝগড়াঝাঁটি হইতো" পরে সয্য করতে না পড়ে৷  তোর আম্মুকে ডির্ভোস দিয়ে দে! তোদের নিয়ে যেতে চাইলে আমি দেয় নাই! পরে ওর আম্মু আব্বু এসেছে ওকে নিয়ে যায়! আর আমরা  ওইখান থেকে   রাজশাহী চলে গেছিলাম! যাতে তোদের কে নিয়ে যেতে না পারে"  তার পর আর কোনো যোগাযোগ রাখি নাই! তুই  তোর আম্মুর কথা জিজ্ঞেস করলে  বলতাম তোর আম্মু মারা গেছে! 


কথক: রিয়ার আব্বু কথা গুলো বলে কান্না করতে লাগলো! রিয়া  চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, রিয়া ওর আব্বুকে কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে গেলো! রূপা রিয়াকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললো?


 রূপা: আপু কি হইছে? তুমি কান্না করছো কেন?


 রিয়া: কিছু হই নাই" 


 রূপা: আপু চলো  খাবার খেয়ে নিবে?  


 রিয়া: ক্ষুধা নাই রে বোন" 


 কথক: রিয়া রূপাকে  বুকে জড়িয়ে কপালে চুমু দিয়ে বলল?


রিয়া: তোর পড়াশোনা কেমন চলছে?


রূপা: ভালো আপু"তোমার কি হইছে এমন করছো কেন? আর কান্না বাহ কেন করছো?


 রিয়া:  কই কান্না করছি চোখে কিছু একটা পড়ছে মনে হয়।আচ্ছা চল  তোকে মাথায় তেল দিয়ে দেয়!


রূপা: খাবার খেয়ে নেও আগে, খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে! 


 রিয়া: আচ্ছা তুই যাহ আমি আসছি"


কথক: রূপা সাথে রিয়া গিয়ে হালকা খেয়ে রুমে চলে আসলো। ছোট একটা ডায়েরি ভিতর থেকে ওর আম্মু ছবি বের করে।  বুকে জড়িয়ে কান্না করতে করতে বললো?


 রিয়া: আম্মু তোমাকে এতো কাছে পেয়েও, তোমাকে বলতে পারলাম না৷ আমি তোমার সেই ছোট রিয়া, আম্মু আমাকে বুকে জড়িয়েও নাও না। বড্ড তোমার আদর খেতে ইচ্ছে করছে আম্মু! আম্মু তুমি তো নতুন সংসার স্বামী সন্তান নিয়ে সুখে আছো। কিন্তু আম্মু তোমার আর দুইটা সন্তান কেমন আছে৷ তা তো জানো ও না, হইতো তুমি আমাদের ভুলে গেছো!  যাই হোক আম্মু আমি চাই না, তুমি আমাদের মনে রাখো' আমাদের ভুলে গিয়ে সুখে থাকো আম্মু! 


 কথক: রিয়া কথা গুলো বলে কান্না ভেঙে পড়লো" রূপা রিয়ার কথা শুনে বললো?


রূপা: আপু আম্মু নতুন সংসার মানে? 


কথক: রিয়া রূপার কথা শুনে সাথে সাথে  ছবিটা ডায়েরির ভিতরে লুকিয়ে লক করে রেখে চোখ মুছে বললো?


চলবে...

৪র্থ পর্ব লিংক 👇

https//munwww.tattagstorycuthut.com

৫ পর্ব লিংক👇

https//munwww.tattagstorycuthut.com


0 Post a Comment:

Post a Comment