সেই_রাতের_গল্প পর্ব---৫

 সেই_রাতের_গল্প

 পর্ব---৫



"উর্মি এবং হাসিবের মা গিয়ে দেখতে পায় মেঘা এবং হাসিবের মধ‍্যে এতোটাই ঝগড়া লেগেছে। 


'যা দেখে' রাস্তা দিয়ে পুলিশ যাওয়ার সময় ওদের দুজনের ঝগড়া দেখে উপরে ফাকা গুলি করে। যাতে দুজনে একে অপরে ছেরে দেয়।


'আর গুলি করার সঙ্গে সঙ্গে সেটাই হয়। একে অপরকে ছেরে দেয়ে। উর্মি জিঙ্গেস করলো।


'কি ব‍্যপার মেঘা তোমাদের মাঝে আবার কি এমন হলো যার জন‍্যে ঝগড়া করতেছো।


'আমি কেনো ঝগড়া  করতে যাবো। এখানে তো ঝগড়া করতে হাসিব। 


'কি নিয়ে ঝগড়া।


'ও বলতেছে মেঘা তোমার কতো টাকা লাগে আমি দিবো। তবুও DNA চেস্ট করতে যেওনা প্লিজজ।


'দেখুন আন্টি আপনার ছেলে কতোটা খারাপ? আজ টাকা পয়সা থাকার কারনে কতোটা নিছে নেমেছে। আমার মনে হচ্ছে আর DNA চেস্ট করার কোন দরকার নেই।


'এইটা শুনে হাসিব বলে উঠলো'


'দেখো মেঘা তুমি কিন্তু একটু বেশি কথা বলতেছো। আমি চাইনা তুমি আমাদের মাঝে নাক গলাও।


'কেনো উচিৎ কথা বলতেছি গায়ে লাগতেছে।


'তুমি কে উচিৎ কথা বলার।


'আমি তোমার কে সেইটা তুমি ভালো করেই জানো। কিভবছো একটি পাগলি মেয়েকে ধর্ষন করে বেছে যাবে। কখনোই না।


'এই ধর্ষনের কথা শুনে সেখানে পুলিশ বলে উঠলো'


'এই এখানে ধর্ষনের কথা উঠেছে কেনো? আসল কাহিনী কি সবাই খুলে বলো।


'ঊর্মি বলতে শুরু করলো'


'স‍্যার এই ছেলেটি নাম হচ্ছে হাসিব? রাত্রে অফিস থেকে ফেরার পথে এই পাগলি মেয়েটাকে ধর্ষন করে। আজ ১০ মাস পরে তার সন্তান এই পৃথিবীতে এসেছে। এখন সে বলতেছে সে নাকি ধর্ষন করেনি। তাই আমারা চাচ্ছি DNA চেস্ট করতে! DNA চেস্ট করলেই বুঝা যাবে কে সত্যি বলতেছে আর কে মিথ্যা বলতেছে।


'উর্মির মুখে ধর্ষনের কথা শুনে পুলিশ বলে উঠলো।


'কিইইই এই ছেলে ধর্ষন করেছে। সেটাও আবার শিখার করতেছেনা। হাবিলদার এই মুহূর্তে এটাকে জেলে নিয়ে চলো। ধর্ষনের সাস্তি হারে হারে বুঝাই দিবো।


'প্লিজজ স‍্যার ওকে নিয়ে যাবেননা। (মেঘা)


'সে নাকি তোমাকে ধর্ষন করার পরেও এই কথা বলতেছো তুমি কিভাবে।


'স‍্যার আমরা হাসপাতালে যাচ্ছি? সেখানে গিয়ে যদি DNA চেস্ট করার পরে যা হবার হবে। 


'ঠিক আছে চলো আমরাও যাবো তোমার সঙ্গে হাসপাতালে।


'পুলিশের মুখে এমন কথাটি শুনা মাত্রই হাসিব সহো ওর মায়ের মুখটা বেশ মলিন হয়ে যায়।


'শোনেন আমার ছেলে যদি এই মেয়ের সঙ্গে এমন কিছু করে থাকে তাহলে অবশ্যই তার সঙ্গে ওর বিয়ে দিবো (হাসিবের মা)


'হ‍্যা চলুন তাহলে হাসপাতালে? (মেঘা)


'এর পরে মেঘা, হাসিব, উর্মি, পুলিশ এবং হাসিবের মা সহো সবাই একটি রংপুরের ভালো হাসপাতালে চলে আসে। এবং ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে DNA চেস্ট করতে যা যা লাগে সব দিয়ে দেয়।


'তখন ডাক্তার বলে'


'আপনারা এখানে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। আমরা সব কিছু টেস্ট করে আপনাদের জানাচ্ছি।


'ঠিক আছে! (পুলিশ)


'এর পরে সবাই অতি আগ্রহে DNA টেস্টের রিপোর্টের অপেক্ষায় থাকে।


'অপেক্ষার প্রহর শেষে ডাক্তার এসে বলতেছে'


'শুনেন এই বাচ্ছাটি বাবা মি. হাসিব এবং মা হলো মিছ: মেঘা।


'এইটা শুনে হাসিব বলে'


'নাহ এইটা কখনোই হতে পারেনা। নিশ্চয়ই ডাক্তার রিপোর্ট ভূল করেছে। 


'এই বেটা চুপ করে? তোর মতো অশিক্ষিত ডাক্তার নাকি হ‍্যাঁ? (পুলিশ)


'দেখুন আমারা ভূল বলতে পারি কিন্তু রিপোর্ট কখনোই ভূল আসেনা। আপনি চাইলে অন‍্য ডাক্তারের কাছেও যেতে পারেন তারাও এই কথাটি বলবে। (ডাক্টার)


'হ‍্যা ডাক্তার একদম সত্যি টাই বলেছে। মিথ্যা কখনো লুকানো যায়না হাসিব? (উর্মি)


'প্লিজজজ হাসিব তুমি তোমার বাচ্ছাকে বাবার পরিচয় দাও। আমাকে বিয়ে করতে হবেনা।(মেঘা)


'কি চাচি এখন তো বিশ্বাস হলো আপনার সন্তান এই মেয়েটির এতো বড় ক্ষতি করেছে। আর এইটা হলো আপনার নাতি। (পুলিশ)


'পুলিশের মুখে এমন কথা শুনে হাসিব এইবার রাগান্বিত হয়ে বলে '


'আমি নিশ্চিত এই মেঘা পুলিশে , ডাক্তার কে টাকা খাওয়াইছে। যার কারনে সবাই ওর দিকেই ভোট দিচ্ছে। আমাকে সবাই ফাসাচ্ছে।


'কথাটি শুনা মাত্রই পুলিশ হাসিবকে সেখানেই মারতে থাকে ' আর সত্যি টা বলতে বলে। 

কিন্তু হাসিব কোন ভাবেই সত্যি টা বলতেছেনা। এমন সময় পুলিশ বলে উঠলো তোর মতো ধর্ষকের এই পৃথিবীতে থাকার কোন প্রয়োজন নেই। তোকে জেলে নিয়ে যাওয়ার পথেই শেষ করে দিবো।


'কাথাটি বলে যেইনা শার্টের ক্লার্ট ধরে নিয়ে যাবে। এমন সময় হাসিব বলে উঠলো।


'হ‍্যাঁ আমি এই সন্তানের বাবা? আমি সেই রাতে মেঘাকে ধর্ষক করেছিলাম। তার পরে আর কখনো খোজ খবর নেইনি।


'ঠাসসস!ঠাসস! তোর লজ্জা করলোনা একটি মেয়ের এতোটা বড় সর্বনাশ করতে। এই শিক্ষা দিয়েছিলাম তোকে। ছিইইইই!ছিইইই! হাসিব?


'মা আমার ভূল হয়েছে প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি গ্রহন করবো মেঘাও আমার সন্তান কে।


'যদি গ্রহনে করবি তাহলে এতো নাটক করলি কেনো তুই সেইটা আগে বল.?


'মান সম্মানের ভয়ে প্রকাশ করিনাই। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও।


'ভালো! আমার কাছে ক্ষমা চাইতে হবেনা। যদি ক্ষমা চাইতে হয় তাহলে মেঘার কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়েনি।  ও মাপ করলেই মাপ পাইবি।


'মেঘা আমাকে প্লিজজ ক্ষমা করে দাও। আমার ভূলটা আমি বুঝতে পেরেছি।


'ক্ষমা করতে পারি! কিন্তু তার আগে বলো আমার সন্তান কে বাবার পরিচয় দিয়ে বড় করবে। 


'হ‍্যা আমার পরিচয়েই দিবো।


'তাহলে ঠিক আছে।


'এমন টাইমে উর্মি বলে উঠলো কোথায় ঠিক থাকলো সব কিছু। যদি সব কিছু ঠিক করতেই চাও তাহলে মেঘাকেও তোমাকে বিয়ে করতে হবে।


'আরে না আমাকে বিয়ে করতে হবেনা। আমার সন্তান কে পুত্র হিসেবে গ্রহন করেছে এতেই অনেক বেশি।


'আরে হ‍্যা আমি মেঘাকেই বিয়ে করবো। সেটাও আজকে বাসায় যাওয়ার সময়।


'যাক তুমি তোমার ভূলটা বুঝতে পেরেছো এটাই অনেক বেশি পরবর্তীতে এমন কোন ভূল করিওনা।(পুলিশ)


'হ‍্যাঁ ঠিক আছে।


'তোমাদের দুজনের প্রতি অসংখ্য দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো আমাদের*! (পুলিশ)


'ধন‍্যবাদ স‍্যার। (মেঘা)


'এর পরে সবাই কথা বার্তা বলে যেইনা হাসপাতালের বাহিরে চলে আসে। ঠিক সেই সময় কিছু লোকজন এসে বলতে থাকে। 


'অনেক নাটক হয়েছে মেঘা? এখন তোমার যার্নি এখানেই শেষ। অনেক লুকোচুরি করছো আমাদের সঙ্গে।


'প্লিজ তোরা এখানে থেকে চলে যা। আমি একটু পরে নিজেই তোমাদের কাছে যাবো। (মেঘা)


'হাহাহ! হাহাহ! তোকে সেই ২ বছর ধরে খুজতেছি। কিন্তু কোথায় খুজে পাচ্ছিলাম না। এখন বলতেছিস একটু পরে আমাদের কাছে আসবি? আমাদের কি পাগল মনে হয়*?


'কথা গুলো বলা শেষ হতেনা হতেই লোক গুলা মেঘার সন্তান কে ওর কাছ থেকে ছিরিয়ে নেয় এবং সেখানেই****?


"কে এই লোক গুলা। তাদের সম্পর্কো কি মেঘার সঙ্গে/বা এই মেঘাটি কে সব জানতে হলে 

৬ষ্ঠ পর্ব লিংক 👇

https//wwwstoryhumanlifebdhoues.com

 ৭ম পর্ব লিংক 👇

https//wwwstoryhumanlifebdhoues.com

0 Post a Comment:

Post a Comment