সেই_রাতের_গল্প পর্ব---৯

সেই_রাতের_গল্প

পর্ব---৯




"আমার পিতৃত্বের ঠিক নেই। চেয়েছিলাম আমার সন্তানের অত্যন্ত পিতৃপরিচয় থাকবে।


'কিন্তু তোরা আমার সন্তানটাকেই শেষ দিলি।

তোদের মনে কি একটুও মায়া জন্ম নেয়নি এই ফুটফুটে

বাচ্ছাটির জন‍্যে।


'হঠাৎ এমন কথাটি শোনা মাত্রই সেখানে থমকে গেলো

সবাই। কারন কি বলছে এই সব চৈতি?


'হাসিব বললো " কি চৈতি এমন কথা বলতেছো কেনো


'তোরা আমাকে ঘরের বউ হিসেবে মেনে নিবিনা সেইটা 

মানলাম 'কারন আমি একজন খারাপ মেয়ে।

কিন্তু আমার নিসপাপ সন্তান কে হত্যা করলি কেনো।

কি ছিলো তার দোশ।

সেতো ছিলো নিসপাপ?


'কি আমার সন্তান কে মে/রে ফেলছে।


'হ‍্যাঁ তোর এই মা আমার সন্তান কে এই পৃথিবীতে থাকতে দেয়নি। 

ওর হরিণের মতো দুটি তুলে ফেলছে" কিডনি বের 

করে নিয়েছে।


'চৈতির মুখে এমন বেদনা দায়ক কথা শুনে সবার

চোখের কোনে পানি চলে আসলো।


'মা তুমি কি সত্যি আমার সন্তানের সঙ্গে এমন করছো!

নাকি চৈতি মিথ্যা বলতেছে।


'হাসিবের কথা শোনার পরেও সে নিশ্চুপ হয়েই আছে?

না দিচ্ছে কোন উত্তর।


'মা তোমার এই নিশ্চুপ থাকাটা কি সত‍্যি এটাই বুঝায়

তুমি আমার সন্তান কে হত্যা করছো।


'হ‍্যাঁ আমি হ‍ত‍্যা করেছি" কিন্তু এইটা তোর সন্তান না।

এই সন্তানের আসল বাবা হচ্ছে*****

(প্রিয় পাঠক পাঠিকা লোডিং রাখলাম সময় হলেই সব কিছু সামনে আসববে)


'নাহ এইটা আমার সন্তান।


'বলছিনা এইটা তোর সন্তান না। এতো কথা 

বলিশ কেনো হ‍্যা।


'তাহলে কি ডাক্তার সেইদিন রিপোর্ট ভূল দিয়ে 

ছিলো আমাদের।


'হ‍্যাঁ?


'কিন্তু একটি ডাক্তার কিভাবে ভূল রিপোর্ট দিতে পারে 

আমাদের শুনি।


'আমি ডাক্তার কে টাকা খাওয়াই ছিলাম এই কারনে

সে আমার কথা মতো রিপোর্ট দিয়েছে।


'কিইইই! কিন্তু কেনো এমনটা করলে তুমি।


'কারন বাচ্চাদের কিডনি' চোখ 'রক্ত এই গুলা একটু

বেশি দামে বিক্রি হয়। 


'ওহ তার মানে চৈতি সব সত‍্যি কথাই বলেছে। সেই দিন

তুমি চৈতিকে কিডন‍্যাপ করছিলে। 


'হ‍্যা।


'হাসিব এবং ওর মায়ের এমন কথা শুনে চৈতি বেশ

রেগে যায়?


'এই তোরা নাটক বন্ধ কর। তোরা দুজনেই যে নাটক

করতেছিস সেইটা আমি ভালো করেই জানি।


'আরে নাটক করবো কেনো চৈতি।


'যদি নাটক না করিশ তাহলে তোর মায়ের কথায় কি বুজাচ্ছে বুঝতে পেরেছিস "ওই সন্তান তোরনা।

ডাক্তার ভূল রিপোর্ট দিয়েছে। ওই সন্তানের বাবা অন‍্য কেউ। 

এই সব কথায় একটি জিনিস বোঝা যাচ্ছে ''সেই দিন 

তুই আমাকে ধর্ষন করিশ নাই।

আচ্ছা বুঝলাম রিপোর্ট ভূল কিন্তু তুই যদি আমাকে 

ধর্ষন নাই করে থাকিস তাহলে কিভাবে আমাকে মেনে 

নিলি আমার সন্তান কে মেনে নীলি।

আবার কেনোই বা বললি আমি চৈতিকে ধর্ষন করেছি'

এই সন্তান আমার?

উত্তর দে আমাকে।


'কোন উত্তর নেই আমার কাছে। তবে একটি কথা আমি প্রায় রাতে মদ‍্য-পান 'নেশা করে বাড়িতে ফিরতাম। হয়তো সেই নেশার ঘোড়ে তোমাকে ধর্ষন করেছিলাম।


'নাহ সেই দিন তুই নেশার ঘোড়ে ছিলিনা। 


'তুমি কিভাবে বুজলে সেটা।


'নেশার করে থাকলে তোর শরীরে নেশার ঘন্ধ থাকতো

কিন্তু সেইটা তোর শরীরে ছিলোনা।

তুই একদম ঠিক ছিলি।


'আমি নেশার ঘোরে না থাকলে এমন কাজ কখনোই

করতে পারবোনা। 

এইটা আমার নিজের প্রতি বিশ্বাস আছে।


'তোর কথা শুনে মনে হচ্ছে আমি মিথ্যা কথা বলতেছি

তুই সত‍্যি কথা বলতেছিস।

আসলে তুই চাসটা কি।


'প্লিজজজ চৈতি একটু চুপ করো "আগে আমার মায়ের

সঙ্গে কিছু কথা বলতে দাও প্লিজজজজজ।

আমি জানতে চাই কেনো এমন করলো

আমার মা।


'ঠিক আছে জিঙ্গেস কর।


'মা আমাদের টাকা পয়সার ঠিক নেই। অনেক টাকা-অনেক পয়সা। তুমি কেনো এমন কাজ করো।


'এই সব বলতে পারবোনা। 


'নাহ তোমাকে বলতেই হবে আজকে। সত্যি টা সবার 

সামনে আনতেই হবে। প্লিজজজ মা 

সত‍্যিটা বলো। 


'সন্তানের এমন আকুটি মিনতি শোনার পরে 

সে রাজি হয়ে বলতে শুরু করে।


'শোন তোর বাবা এবং আমি দুজনেই ছিলাম বেশ গরিব 

দুইবেলা দুইমুঠো ভাত খাইতে পারতাম না।

আনেক কষ্টে যাচ্ছিলো আমাদের জীবনটা। হঠাৎ একদিন তোর বাবা আমাকে জিঙ্গেস করল।


'জমিলা এই ভাবে চললে তো আমার কিছদিন পরে মারা যাবো। আমাদের কিছু করা দরকার।

যেকোন ভাবে কোটিপতি হতে হবে।


'উত্তরে বললাম' কি করবে বলো।


'শোন আমি চুরি করবো এখন থেকে। কারন এই চুরি ছারা কখনোই সম্ভব না কোটিপতি হওয়া।


'সেইটা ঠিক বলছো।


'এর পরবর্তী থেকে তোর বাবা চুরি করতে লাগলো

এতে আমাদের সংসার বেশ ভালোই যাচ্ছিলো।

কিন্তু আমাদের তো শুধুমাত্র ভালো গেলেই হবেনা আমাদের কোটিপতি হতে হবে। 

এর পরে শুরু হলো গরিব দুঃখিদের বুকে লিত্থি মেরে টাকা পয়সা নেয়া।


'বেশ কয়েক বছর পরে আমরা অনেক টাকার মালিক হলাম এরপরে তোরা আসলি এই পৃথিবীতে ( তোরা কথাটি সবাই মাথায় রাখিয়েন)


'একদিন রাতে শুয়েছিলাম তোর বাবা এবং আমি। তখন তোর বাবা আমাকে বললো। 


'শোন তোমার জন‍্যে একটি কাজ নিয়েছি। কাজটি খুবেই সহজ।


'বললাম কি কাজ গো স্বামী।


'আমার কিছু লোক ছোট্ট বাচ্চাদের কিডন‍্যাপ করবে তুমি সেই গুলাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে।

ওদের চোখ' কিডনি ' রক্ত সব কিছু বের করে নিয়ে 

অন‍্য দেশে বিক্রি করবে। 

এই গুলাতে বেশি টাকা।


'তোর বাবার এমন কথা শুনে আমি ও টাকার লোভে পরে গেলাম এবং এই কাজ করতে লাগলাম।

তার পর থেকে এই পযর্ন্ত লেগেই আছি।

এর মাঝে হঠাৎ তোর বাবাকে খু'ন করা হয়। 

সেই খুনটী এই চৈতি করেছিলো।

যা আমি আগে থেকেই জানতা।


'যার কারনে হাসপাতালে ওকে আমি কিডন‍্যাপ করাছিলাম। তোরা সবাই ওকে মেঘা নামে চিনলেও আমি চৈতি নামেই ওকে চিনতাম। 

ভেবেছিলাম কিডন‍্যাপাররা ওকে মেরে ফেলবে এতে আমার স্বামীর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়া হবে।

কিন্তু কিভাবে যে বেছে গেলো বুঝতেই পারলাম না।


'তাই ওর সন্তান কে কৌশলে আমাদের কাছে নিয়েছিলাম এবং পরবর্তীতে শেষ করে দিয়েছি 

আমাদের লোক মিলে।


'এই হচ্ছে আসল কাহিনী?


'হাসিবের মায়ের মুখে এমন কথা গুলা শুনে উর্মি যাকে দিয়ে হাসিবের বিয়ে হচ্ছিলো সে বলে উঠলো!


'এই বিয়ে আমি করবনা। এতো খারাপ মানুষ পৃথিবীতে বেছে আছে ভাবতেই পাচ্ছিনা আমি। হাসিব

আমাকে মাপ করে দিও। এই বিয়েটা আর হবেনা। 

জেনে শুন একটি খারাপ মানুষ ছেলেকে আমি বিয়ে করতে পারবোনা।


'ছিইইইই মা ছিইইইই তোমরা এতোটা খারাপ মানুষ।

ভাবতেই লজ্জা লাগতেছে আমার। 

না জানি কতো নিরিহ মানুষের জীবন তোমারা শেষ 

করে দিয়েছো। 

তুমি আমার সন্তানটাকে ও এই পৃথিবীতে থাকতে দাওনি। ফুলের মতো নিসপাপ শিশুটিকে মেরে ফেলছো।


'তোকে বলছী না ওই সন্তানটি তোরনা " 

ওই সন্তানটি হলো**?


'থামলে কেনো বলো ওই সন্তানটি কার। 

কে তার আসল বাবা।


'জানিনা আমি!


'এতো টাকা পয়সা থাকার পরেও এমন কাজ কেনো

করো তুমি মা।

প্লিজজজ উত্তর দাও।


'কারন আছে যেইটা তুই বুঝবিনা।


'আশ্চর্য আমি কি বাচ্ছা নাকি যে বুঝবো না। 

আমাকে খুলে বলো সব কিছু।


'বললাম না বলতে পারবোনা। 


'ভালো খুব ভালো! চৈতি একটি কথা বিশ্বাস করো।

আমি নেশার ঘোরে না থাকরলে কখনোই তোমাকে 

ধর্ষন করতাম না। 

সত‍্যি আমি সেই দিন নেশার ঘোরে ছিলাম।


'না তুই সেইদিন কোন নেশা করিশনি।

আমার স্পষ্ট মনে আছে।


'তাহলে আমি তোমাকে ধর্ষন করিনি। হয়তো আমার মতো দেখতে অন‍্য কেউ আছে।


'আমি সব পছন্দ করি কিন্তু নাটক পছন্দ 

করিনা একদম?

তোরা যে কি প্লান করেছিস সেইটা আমি ভালো করেই 

জানি বুজেছিস।


'সত‍্যি কোন প্লিন করিনাই।


'ওয়েট একটি জিনিস দেখাচ্ছী "কথাটি বলেই 

চৈতি তার ব‍্যগ থেকে একটি জিনিস বের করে।

য.....


চলবে....

0 Post a Comment:

Post a Comment