সেই রাতের গল্প পর্ব:-৬

সেই রাতের গল্প

  পর্ব:-৬




"মেরে ফেলবো তোর বাচ্ছাকে! এখন যদি তুই আমাদের সঙ্গে না যাস?


'প্লিজজজ আমার সন্তানকে ছেরে দিন। আপনার যা বলবেন আমি তাই করবো। (মেঘা)


'মেঘা ও লোকটির এমন কথা শুনে হাসিব বলে 

উঠলো" আশ্চর্য আপনি আমার সন্তান কে কেড়ে নিলেন কেনো। এছারা আপনার কার।


'আমরা কারা তোমার বউকে জিঙ্গেস করো।


'কি ব‍্যাপার মেঘা এই লোক গুলা কে? আর আমাদের সামনে এমন গুলি নিয়ে দারিয়ে আছে কেনো।


'মেঘা নিশ্চুপ'


'চুপ করে থেকোনা সব সত্যিটা বলো মেঘা?


'সব কিছু জানার পরে তুমি কি আমাকে আপন করে নিবা আর কখনো।


'একবার যখন আপন করে নিয়েছি ছাড়ার কোন প্রশ্নই আসেনা বলো তুমি।


'আমি একজন মোস্ট ওয়ানটেড কিরমিনাল? আমার সত্যিকার নাম হলো "চৈতি খানম" এই রংপুর শহরের সব থেকে বড় মাফিয়া? আজ থেকে ৩ বছর আগে ২০টা বিজনেসম‍্যানকে হত‍্যা করেছি। যারা গরিবের হক মেরে খায়। এর পড় থেকেই পুলিশ আমার পিছনে লেগেই আছে। তাই পাগলি সেজে আত্তগোপন করে রাস্তায় বসোবাস করি।


"মেঘার মুখে এমন কথা শুনামাত্রই সেখানে সবাই ভয়ে থর থর করে কাপতে থাকে"


'কিইইইই তুমি সেই চৈতি যার ভয়ে থর থর করে কাপতে থাকে' যার কথা শুনলে মানুষের পেটের ভাত হজম হয়না। (হাসিব)


'হ‍্যাঁ আমি সেই চৈতি।


'তার মানে আমার বউ একজন কিরমিনাল?


'বিশ্বাস করো হাসিব আমার পেটে সন্তান আসার পরে আমি সব কিছু ভূলে গিয়ে নতুন করে বাছার চেষ্টা করতেছি কিন্তু?


'কিন্তু কী।


'এখন আর সেইটা হবেনা?


'কেনো হবেনা।


'কারন এরা আমাকে নিয়ে যেতে এসেছে। যদি না যাই তাহলে জানিনা আমার সন্তান কে কি করবে। 


'এই সব শুনে হাসিব সবাইকে উদ্দেশ্যে কর বল!


'শোনেন একটি মেয়ে তার অতিত ভুলে সুন্দর একটি জীবন জাপন করতে চায়। আপনারা প্লিজ তার কোন ক্ষতি করবেন না।


'হাহা! হাহহা! হাহাহ! আমরা তো ক্ষতি করতে আসিনাই। আমরা একে নিয়ে যাওয়ার কারনেই এসেছি।


'কিন্তু কেনো?


'একে ধরিয়ে দিতে পারলেই আমরা পুরুষ্কার পাবো। তাতে আমাদের জীবনের চাকা ঘুরে যাবে।


'কতো টাকা লাগবে আপনাদের বলুন।


'৫০ কোটি টাকা লাগবে। যদি তুমি দিতে পারো তাহলে একে এখানেই ছেরে যাবো।


'এতো টাকা কোথায় পাবো বলেন। 


'তাহলে চুপ চাপ থাকো। এই চৈতি আমাদের সঙ্গে চল নাহলে তুর সন্তান কে গুলি করে মেরে ফেলবো।


'হ‍্যাঁ আমি যাবো। কিন্তু তোমরা আমার সন্তান কে আগে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও। 


'আমরা পাগল নাকি। 


'কেনো।


'তোর বাচ্ছাকে তোর কাছে দিলেই তো আমরাও শেষ হবো এখানে।


'আমি কিচ্ছু করবোনা। তোমরা চাইলে আমাকে বেধে রাখতে পারো।


'মেঘা যার অরজিনাল নাম হলো চৈতি আমরা এখন তাকে চৈতি নামেই ডাকবো গল্পে " তো চৈতির এবং সন্ত্রাসীর এমন কথা বার্তা শুনে সেখানকার পুলিশ, উশা এবং হাসিবের মায়ের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পরলো। সাবাই শুধুমাত্র তাদের দিকে নিশ্চুপ হয়ে থাকিয়ে আছে। কিন্তু কিচ্ছু করতে পাচ্ছেনা।


'এই তোরা সবাই চৈতি হাত এবং চোখ ভালো ভাবে বাধ  কোন ভাবেই যেনো পালাতে না পারে। আর চৈতি তুমি যদি একটু চালাকি করো তাহলে তোমার সন্তান কিন্তু এখানেই শেষ হবে।


'ঠিক আছে।


'এর পরে দুইজন লোক চৈতির হাত এবং চোখ বেধে ফেলে। তখন চৈতি বলে।


'প্লিজ এখন আমার সন্তান কে ওর বাবার কাছে ফিরিয়ে দাও।


'চৈতির কথা মতো সন্তানটিকে তার বাবার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হলে চৈতি বলে।


'হাসিব আমাকে ক্ষমা করে দিও। এতো কিছু লুকানোর জন‍্যে। কিন্তু বিশ্বাস করো সব ভূলে আমি তোমার সঙ্গে নতুন করে বাচতে চেয়েছিলাম। সেইটা আর হলোনা। আমার সন্তানটিকে দেখে রাখিও তাকে কষ্ট দিওনা। একটি কথা আমি তোমাকে ভিষন ভালোবাসি। তুমি যেইদিন আমাকে ধর্ষন করছিলে না সেইদিন চাইলেই আমি তোমাকে ' মেরে ফেলতে পারতাম কিন্তু তোমাকে মারিনি কেনো জানো, কারন তার আগে থেকেই আমি তোমার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। " শাশুড়ি মা আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন!


'এই ভাবে বলিওনা। তুমি খারাপ কাজ করোনাই। যারা খারাপ কাজ করে তুমি তাদের নিজের হাতেই সাস্তি দিয়েছো। (হাসিবের মা)


'মা তবুও এটা আইনের চোখে অপরাধ? আপনি আমার সন্তানটিকে দেখিয়েন আমি ফিরে আসবো।


'হ‍্যাঁ অবশ্যই দেখবো। আমার একটি মাত্র নাতি।


'এই অনেক কথা বলেছিস এখন চল আমাদের সঙ্গে নাহলে এখানে সব লন্ড-ভন্ড করে ফেলবো।


'হ‍্যাঁ যাচ্ছি।


'হাসিব আবারও বলতেছি আমি ফিরে আসবো। তুমি আমার জন‍্যে একটু অপেক্ষা করিও।


'তোমার জন‍্যে আমি চিরকাল অপেক্ষায় থাকবো। 


'খুশি হলাম।


'কথাটি বলেই কান্না করতে করতে চৈতি সেখান থেকে লোক গুলির সঙ্গে একটি মাইক্রবাসে চলে যায়।


'চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের লোক গুলা বলতে থাকে' এতো গুলা সন্ত্রাসী আমাদের চোখের সামনেই ধুলো দিয়ে চলে গেলো আর আমরা কিচ্ছুই করতে পেলাম না। তাতেই আবার সেই চৈতিকে আমরা সাহায্য করলাম? কথা গুলা বলেই তারা আবসোচ করতে থাকে?( একটু বিনদনের জন‍্যে বললাম )


'চৈতি যায়ার পরে হাসিব সবাইকে নিয়ে বাসায় চলে আসে এবং ভাবতে থাকে কি করবে এখন সে?


'বেশ কিচ্ছুক্ষন চিন্তা ভাবনার পড়ে উর্মি বলে উঠলো?

শোন হাসিব চিন্তা করিওনা। 


'আরে চিন্তা করবোনা তাহলে কি করবো। 


'সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে' আল্লাহ্ যা করে ভালোর জন‍্যেই করে বুঝছো। তুমি তো একটু আগে চাইছিলে চৈতির হাত থেকে রক্ষা পেতে। এখন যখন রক্ষা পেলে তখন আবার চিন্তা করছো কেনো শুনি।


'আরে আমার সন্তানের এখন কি হবে।


'কি আবার হবে আমি তো আছি নাকি। তোমাকে ছেরেতো যাচ্ছিনা।


'তুমি পারবে আমার সন্তানকে মায়ের ভালোবাসা দিয়ে মানুষ করতে। পারবে তাকে সন্তানের মতো দেখতে।


'হ‍্যাঁ পারবো।


'তাহলে তুমি আজ থেকে আমাদের বাসায় থেকে ওর যত্ন নিবে নিজের হাতে।


'ঠিক আছে। 


'এমন সময় হাসিবের মা এসে বলতে লাগলো" দেখো উর্মি তোমার সঙ্গেই হাসিবের বিয়ে হবে। 


'কথাটি শুনে উর্মি বলে উঠলো" কি বলেন আন্টি? হাসিব তো চৈতিকে বিয়ে করবে।


'তুমি পাগলি নাকি? আমার ছেলের সঙ্গে একটি সন্ত্রাসী মেয়ের বিয়ে দিবো তুমি কাভাবে ভাবলে।


'হাসিব তুমি কি বলো এই সম্পর্কে! 


'মা যেটা বললো সেটাই হবে!


'তাহলে তোমরা যে চৈতিকে কথা দিলে। ও ফিরে আসলে সব ঠিক হয়ে যাবে।


'আরে পাগলি পরিস্থিতি যেমন সেখানে তেমনি কথা বলা বুদ্ধিমানের কাজ।(হাসিবের মা)


'এই সন্তানের কি হবে এখন। 


'সন্তান যখন আমাদের তখন তো আমাদের দেখতে 

হবে তাইনা কি।


'হ‍্যাঁ সেটা ঠিক বলছো তুমি। আমার আবার ভয় করতেছে যদি চৈতি ফিরে এসে সব জানে তখন।


'আরে পাগল নাকি। ওরাতো চৈতিকে মেরে ফেলার জন‍্যেই নিয়ে গিয়েছে বুজছো।


'তুমি কেমনে জানলে ওরে মেরে ফেলবে।


'চৈতিকে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি ছেলে কাকে জানি ফোন দিয়ে বললো " বস কাজ হয়েছে আমরা 

একে মে/রে ফেইলেই তোমার কাছে যাবো।


'বাহ। 


'শোন আমাদের যেই তারিখে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো ওই তারিখেই হবে তোমার বাসায় জানাই দিও।


'ঠিক আছে।


'এই দিকে চৈতিকে তারা একটি নির্জন জায়গাই 

নিয়ে যায় সেখানে গিয়ে তার চোখের বাধন খুলে দেয়ার সঙ্গে চৈতি দেখতে পায় তার নিজের বাবা গুলি নিয়ে একটি চেয়ারে বসে আছে।


'চৈতি জিঙ্গেস করলো " বাবা তুমিইইই?


'কথাটি বলা মাত্রই ওর বাবা' সেখানেইইইইইইইই চৈতিকে?


পরবর্তী পর্বের লিংক 👇

htttp//wwwseventpartstory.com


0 Post a Comment:

Post a Comment