গল্পের_নাম_এক_রাতের_বউ _________________৪
পর্ব_৪
রিয়া: কই আম্মুর সংসার আর তুই দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে আমার কথা কেন শুনছিলি?
রিয়া: আরে দূর তুই কি থেকে কি শুনেছোস? এখানে আয় তোকে তেল দিয়ে দেয়!
কথক: রূপা কিছু বুঝলো না,রূপা আর কিছু জিজ্ঞেস না করে। রিয়ার কাছে গিয়ে বসলো? রিয়া রূপাকে তেল দিয়ে দিলো! তার পর দুইবোন দুপুরের খাবার খেয়ে রিয়া রূপাকে নিয়ে ঘুড়তে গেলো! রাস্তা দিয়ে জন আসছিলো তখনই একটা গাড়ি রিয়া আর রূপার সামনে থামালো? রূপা রেগে গিয়ে বলল?
রূপা: ওই কানা নাকি আর একটু হলে আপুর লেগে যেতো! গাড়ি থামানোর আর জায়গা পায় না, যতসব!
কথক: রূপার কথা শেষ হলে আদিত্য বের হতে৷ রূপা আদিত্যর দিকে ঝগড়া করতে যাবে। সাথে সাথে রিয়া রূপাকে ধরে বললো?
রিয়া: রূপা বেয়াদবি করতে নিষেধ করছি, আবার বড়দের সাথে বেয়াদবি করছিস।
রূপা:আপু আমাকে ছাড়ো বেয়াদবি করবো না মানে? আর একটু হলে তোমার উপরে গাড়ি তুলে দিতো!
কথক: রূপার এমন ব্যবহার দেখে আদিত্য অনেক মজা পাচ্ছিলো! আদিত্য রূপার গাল আলত করে টিপে দিয়ে বললো?
রূপা: ইস্টুপিট ছেলে এতো বড় সাহস আমার গায়ে হাত দেন। আপনার হাত আমি ভেঙে ফেলবো!
কথক: রূপা কথাটা বলে, আদিত্যর পায়ে একটা শটমেরে ফেলে দিয়ে হাত মারতে যাবে।সাথে সাথে রিয়া ওকে ধরে বললো?
রিয়া: এই এই বোন মাথা ঠান্ডা কর, এইসব কি করছি! আরে তোকে ওনি বাজি ইঙ্গিত করে ধরে নাই।
রিয়া: ক্ষমা করে দিবেন, আসলে ওই ছোট বেলা থেকে একটু রাগি বেশি৷
আদিত্য: আরে না আমি কিছু মনে করি নাই!যাক তোমার ছোট বোন তোমার মতো এতো নরম মনের না। নিজের সস্মান বাঁচাতে নিজেই জানে!
রিয়া: ওমা আপনার হাত দিয়ে না রক্ত জড়ছে,
কথক: রিয়া সাথে সাথে ওর উড়না ছিড়ে, আদিত্য ছড়ে যাওয়া জায়গায় বেধে দিলো! রূপা অবাক হয়ে বললো?
রূপা: আপু তুমি এই বদমাইশ ছেলেকে কেন নিজের উরনা ছিড়ে বেধে দিলে!
রিয়া: চুপ, সব সময় বেশি বেশি " কত খানি ছেড়ে গেছে খেয়া ল আছে তোর।
রূপা: তোমাকে ওনি মারতে নিয়েছিলো! তুমি তার হয়ে আমাকে বকা দিলে।তোমার সাথে কথায় নাই'
কথক: রূপা চলে গেলো আদিত্য রূপাকে বললো?
আদিত্য: ওই পিচ্চি দাঁড়াও রাগ করো কে? আর এই আপনে ওকে বকা দিলেন কেন? ওর রাগ তো আমার ভালোই লাগছিলো!
রিয়া: ওর কথা ছাড়েন আপনে এখানে কি করেন?
আদিত্য: আপনে আগে বলেন? রাজশাহী থেকে ঢাকা কবে আসলেন? আর আমি আপনাকে কত খুঁজেছি! কোথাও পায় নাই!
রিয়া: আমাকে কেন আপনে খুজছেন?
আদিত্য: এমনি " আচ্ছা আপনে আমার বাসায় কি করছিলেন? আর আমার বাসায় কাজের লোক হিসাবে গেছেন বুঝলাম না। আপনে কি আমার বাসা আগে থেকে চিনতেন।
রিয়া: আজব তো আমি কিভাবে জানবো আপনে ওই বাসার ছেলে। আমাকে রহিমা আন্টি চাকরিটা নিয়ে দিয়েছে। আর আজ দেখি আপনে ওই বাড়ির ছেলে!
আদিত্য: হাহা আমাদের ভাগ্যক্রমে খালি দেখা হয়ে যাচ্ছে। আচ্ছা আপনার বাসা কোথায়?
রিয়া: আমার বাসা দিয়ে আপনে কি করবেন?
আদিত্য: না এমনি? আপনার বাসায় যেতে চাইলাম। যদি কখনো দরকার হয় তাই আর কি?
রিয়া: কোনো দরকার পড়বে না, আমি চাকরিটা ছেড়ে দিবো\
আদিত্য: কি কেন? আমার বাড়ি জন্য এমন করবেন নাকি?
রিয়া: না, এমনি ছেড়ে দিবো"
রিয়া: ওনার উপরে আমার কোনো রাগ নাই" আমি কেন ওনার উপরে রাগ করবো!
আদিত্য: তাহলে চাকরিটা ছাড়বেন না ওকে! ও আপনার বোন তো চলে গেছে আপনার বোনের রাগটা দেখি আমার ফুপির মতো। রাগ করলে নাক ফুপিয়ে কথা বলে হাহাহা।
কথক: আদিত্যর কথা শুনে রিয়া চমকে গেলো" রিয়া আদিত্যকে কথা এরিয়ে বললো?
রিয়া: আচ্ছা থাকেন আমাকে বাসায় যেতে হবে!
আদিত্য: আমি ও যাবো"
রিয়া:না"
আদিত্য: কেন আমি ও আংকেল কে দেখতে যেতে পারি।
রিয়া: আব্বু বকা দিবেন"
আদিত্য: আরে বকা দিবে কেন? বলবেন আমি আপনার ফ্রেন্ড!
রিয়া: আব্বু ভালো করে জানে আমার কোনো ছেলে বন্ধু নাই! যাই হোক থাকেন "
রহিমা: কি রে দুই বোনের কি হইছে?
রিয়া: তেমন কিছু না, ও খালা তোমার সাথে কথা ছিলো!
রহিমা: কি কথা বল?
রিয়া: আমি চাকরিটা করতে চাই না, আমাকে অন্য কোথাও চাকরি ব্যবস্তা করে দিবে।
রহিমা: কেন ওই চাকরি করতে কি সমস্যা? তোকে তো বড় ম্যাম অনেক ভালোবাসে। আর বাসার সব মানুষ অনেক ভালো রে। শুধু ম্যামের মেয়ে দুইটায় একটু বদমেজাজি। তুই ম্যামের উপরে রাগ করে এইসব বলছিস নাকি?
রিয়া: না,আমি ওইখানে কাজ করতে চাই না। আমার ওইখানে কাজ করতে ভালো লাগছে না।
রহিমা: এখন কোনো কাজ হাতে নাই, এখানে কাজকরতে হবে রে। যখন কাজ পাবো তখন তোকে জানাবো! এখন এখানে কাজ কর"
কথক: রিয়া কিছু বলার আগে রিয়ার ফোনে কল আসলো? রিয়া কলটা রিসিভ করে বললো?
রিয়া: আসসালামু আলাইকুম ম্যাম?
সালেহা চৌধুরী : ওয়া ওয়ালাইকুম সালাম, তোমাকে এখন ফোন দিয়ে বিরক্ত করার জন্য আমি দু:খিত। রিয়া তুমি কি বাসায় আসতে পারবে!
রিয়া: ম্যাম এখন?
সালেহা চৌধুরী : হুম সবাই তোমার রান্না অনেক পছন্দ করছে। তোমার রান্না সবাই খেতে চাই, কি যে করবো।
রিয়া: ও আচ্ছা, আমি আসছি"
সালেহা চৌধুরী : কিভাবে যে তোমাকে ধন্যবাদ দিবো!
রিয়া: সমস্যা নাই ম্যাম ধন্যবাদ দিতে হবে না৷ আপনারা আমার রান্নাপছন্দ করছেন৷ এইটা আমার কাছে সৌভাগ্য!
কথক: রিয়া ফোনটা রেখে রূপা রহিমা খালার থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো! বাসার ভিতরে ঢুকতে আদিত্য বললো?
আদিত্য: আরে আপনে এখানে?
রিয়া: জি"
রুমা: ওকে আপনে বলার কি আছে, তুমি তুই করে বলে তো পারোস! এতো সস্মান দিয়ে কথা বলার কি আছে!
সালেহা চৌধুরী : রিয়া এসেছো"
রিয়া: জি ম্যাম"
রুমা: ওই মেয়ে শুনো? আমাদের জন্য চা করে নিয়ে আসো তো!
রিয়া: জি আনছি"
কথক: রিয়া রান্না ঘরে গিয়ে চা বানাতে লাগলো" চা বানিয়ে সবাইকে দিতে লাগলো, আদিত্য মুখে দিয়ে বললো?
আদিত্য: চা টা অনেক সুন্দর বানাও তো" তোমার দেখি সব কিছু অনেক সুন্দর! ও শুনো? আমার রুমটা একটু গুছিয়ে দিবে!
রিয়া: জি আমি রান্না করে আপনার রুম গুছিয়ে দিয়ে আসবো!
আদিত্য: ওকে" ও শুনো? তোমার হাতে বেগুন ভর্তাটা অনেক মজা লাগছিলো। আজকে একটু বেগুন ভর্তা করো তো,আর হ্যা আলু ভাজি টাও করো!
সালেহা চৌধুরী : কি ওই তো বেগুন ভর্তা কবে খাইলে দাদু ভাই। ওই তো কখনো বেগুন ভর্তা বানায় নাই"
কথক: সবাই অবাক হয়ে আদিত্যর দিকে তাকাতে, সাথে সাথে আদিত্য কথা ঘুড়িয়ে বললো?
আদিত্য: আরে দূর তোমরা ভুল বুঝছো?যার হাতে সব রান্না মজা তার হাতে এইগুলো নিশ্চয়ই মজা হবে। তাই বললাম?
সালেহা চৌধুরী : ও আচ্ছা,
কথক: আদিত্য কথা গুলো কারো বিশ্বাস হলো না তাও কেউ কথা গুলো! আর তুললো না রিয়া রান্না ঘরে চলে গেলো! রিয়া রান্না ঘরে গিয়ে রান্না করতে লাগলো" রান্না শেষ করে সব কিছু টেবিলে গুছিয়ে দিয়ে খাবার বেড়ে দিতে গেলে! আদিত্যর আম্মু বললো?
আদিত্যর আম্মু: তুমি আদিত্যর রুমটা গুছিয়ে দিয়ে আসো! আমরা খাবার বেড়ে নিতে পারবো!
রিয়া: ছোট সাহেবের রুমটা তো আমি চিনি না!
আদিত্য: আমি খাবার খেয়ে নেয় তার পর আমি নিয়ে যাচ্ছি।
কথক: আদিত্যর কথা শুনে সবাই আদিত্যর দিকে তাকাতে আদিত্য বলল?
আদিত্য: কি ব্যাপার তাকিয়ে আসো কেন? রুমে কি কি গুছাতে হবে সেইটাও দেখানো যাবে। এমনি ওই রুমে গিয়ে কি দেখবে?
সালেহা চৌধুরী : আচ্ছা তুমি নিয়ে যাও খাওয়ার সময় কথা বলো না!
কথক: আদিত্য খাওয়া শেষ হলে রিয়াকে নিয়ে চলে যায়। রিয়া রুমে গেলে আদিত্য দরজা বন্ধ করে দেয়?
রিয়া: কি ব্যাপার দরজা বন্ধ করে দিচ্ছেন কেন?
আদিত্য: তোমাকে আদর করতে ইচ্ছে করছে?
রিয়া: এইসব কি বলেন? দেখেন কি গোছাতে হবে ওইটা দেখিয়ে দেন!
আদিত্য: আমাকে গুছিয়ে দিলে হবে" আর কিছু গুছাতে হবে না।
কথক: আদিত্য রিয়ার উপরে ঝাপিয়ে পড়লো" রিয়া আদিত্যর থেকে ছাড়ানো চেষ্টা করে পারলো না। আদিত্য রিয়ার দুই হাত চেপে ধরে বললো?
আদিত্য: তুমি কি চাও, আমি অন্য নারী সাথে এইসব করি! তুমি তো আমার বিয়ে করা বউ" তোমার সাথে আমার ডির্ভোস ও হয় নাই। তাই আমার সম্পূর্ণ তোমার উপরে আমার অধিকার আছে! তুমি আমাকে আমার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারো না!
রিয়া: আপনে তো আমাকে ১রাতের জন্য বিয়ে করেছেন। তাহলে এখনো কেন এইসব করছেন।
আদিত্য: বলেছিলাম কিন্তু আপনাকে আমি ডিভোর্স তো দেয় নাই তাই না।
রিয়া: হুম' ছাড়েন কেউ এসেছে গেলে সমস্যা হবে।
আদিত্য: আসুক গা, আমি আমার স্ত্রীকে আদর করছি। অন্য কাউকে না যে ভয় পেতে হবে!
রিয়া: একজন পতিতা মেয়েকে স্ত্রী দাবি করছেন। আপনে তো মহান ব্যক্তি দেখছি!
আদিত্য: চুপ করেন তো আমাকে আমার কাজ করতে দেন!
কথক: রিয়া আর বাধা দিলো না, কারণ এইটা আদিত্যর অধিকার। রিয়া সব কিছু সয্য করতে লাগলো" আদিত্য আদর করে ক্লান্ত হয়ে রিয়ার বুকের উপরে সুয়ে পড়তে। আদিত্য ফোনে কল আসছে, আদিত্য বিরক্ত নিয়ে ফোনটা দেখে চমকে গেলো? আদিত্য সাথে সাথে রিয়ার উপর থেকে উঠে বললো?
আদিত্য; তুমি ড্রেস ঠিক করে চলে যাও,
কথক: রিয়া উঠে ওর ড্রেস ঠিক করে, রুম থেকে বের হয়ে গেলো। রিয়া নিচে গিয়ে দেখে সবাই বসে থেকে গল্প করছে। রিয়াকে দেখে সালেহা চৌধুরী বললো?
সালেহা চৌধুরী : রিয়া কাজ শেষ হইছে তোমার?
রিয়া: জি মানে?
সালেহা চৌধুরী : আচ্ছা রিয়া তুমি একটু গেস্ট রুমটা পরিষ্কার করবে। আমার হবু নাত বউ আসবে তো"
রিয়া; আচ্ছা '
কথক: রিয়া চলে যেতে নিলো তখনই রুমা বললো?
রুমা: আম্মা এই মেয়েটাকে কাজ থেকে সরিয়ে দিয়েও তো।।এই মেয়েটার দিকে আদিত্য কেমন ভাবে যেনো তাকায়।।আর মেয়েটাকে দেখে মনেও হয় না কাজের মেয়ে।
রাফি: আসলেই দাদিমা মেয়েটাকে দেখে যে কোনো ছেলে ওর প্রেমে পড়ে যাবে।।অনেক সুন্দর মেয়েটা কেউ বলবেও না ওনি এই বাড়ির কাজের মেয়ে!
রুমা: একদম ঠিক বলছিস"
সালেহা চৌধুরী : আমি ওকে কাজের মেয়ে ভাবি না,মেয়েটাকে আমার অনেক ভালো লাগে। লক্ষি মন্ত্র একটা মেয়ে, কতটা সরল। যাহ বলা যায় তাই করে, এতো ভালো মেয়ে আমি একটাও পাবো না। ওকে কাজ থেকে ছড়ানো যাবে না,
রুমা: আবার দেখো আমাদের বাড়ির ছেলেদের মাথা না খায়!
কথক: রিয়া ওর আম্মুর মুখ থেকে এমন কথা শুনে অনেকটা খারাপ লাগলো। কিন্তু ওই সব কথা হজম করে নিলো" রিয়া গেস্ট রুমে গিয়ে পরিষ্কার করতে লাগলো! কাজ শেষ করে, রিয়া গোসল করতে চলে গেলো! পাশে একটা রুমে থাকার জায়গা করে দিয়েছে।সালেহা চৌধুরী ডাক দিলে রিয়া দৌড়ে ড্রায়ংরুমে চলে যায়!
রুমা: কি ব্যাপার মেয়ে তুমি রাত করে গোসল করছো কেন.
রিয়া: আমার ধুলোতে এলার্জি আছে তাই আর কি? ম্যাম আপনে ডাকছিলেন আমাকে?
সালেহা চৌধুরী : রিয়া আমি ঘুমাতে যাবো, আমার পা গুলো অনেক ব্যাথা করছে। একটু পা গুলো মালিশ করে দিবে!
রিয়া: আচ্ছা চলেন আমি করে দিচ্ছি!
কথক: রিয়া সালেহা চৌধুরী নিয়ে যেতে লাগলো" রাফি আড়ায় চোখে রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখতে লাগল? আর মনে মনে বলতে লাগলো?
কথক: রাফি কথা গুলো ভাবতে ভাবতে রুমে চলে গেলো! রিয়া সালেহা চৌধুরীকে সুয়ে দিয়ে পা টিপে দিতে লাগলো। সালেহা চৌধুরীকে ঘুম পারিয়ে। ওর রুমে যেতে নিবে তখনই রুমা বলল?
রুমা: `এই মেয়ে আমার মাথা একটু টিপে দিবে"
রিয়া: আপনে রুমে যান আমি আসছি!
কথক; রিয়া রুমার রুমে চলে গেলো৷ রুমা চোখ বন্ধ করে অধাশোয়া ভাবে থাকলো। রিয়া সুন্দর করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।।রিয়া ওর আম্মুর দিকে এক পলকে তাকিয়ে আছে! রিয়া খুব ইচ্ছে করছে ওর আম্মুর কোলে মাথা দিয়ে সুয়ে থাকতে। রুমা চোখটা খুলে রিয়ার দিকে তাকাতে দেখে রিয়ার চোখে পানি? রুমা কিছুটা অবাক হয়ে বললো?
রুমা: এই মেয়ে তোমাকে আমি বেশ লক্ষ করছি। তুমি আমার দিকে এতো তাকিয়ে থাকো কেন? আর সকালে আমাকে ওইভাবে জড়িয়ে ধরলে কেন? আর সময় পেলে আমার দিকে তাকিয়ে থাকো? আবার এখন কান্না করছো?
রিয়া: আসলে ম্যাম আপনাকে দেখলে আমার আম্মুর কথা মনে পড়ে! তাই আপনার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগে। কিছু মনে করবেন না,
কথক: রিয়ার কথা শুনে রুমার বুকের ভিতরটা কিছুটা মোচর দিয়ে উঠে। রুমা রিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল?
রুমা: আমাকে দেখলে তোমার মায়ের কথা মনে পড়ে। আর আমি তো তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করি। আমি তো ভেবেছি আমার উপরে রেগে আমার দিকে তাকিয়ে থাকো!
রিয়া: আপনে আমার আম্মুর মতো আমাকে মারতে বকতে পারেন। সেইখানে আমি মেয়ে হয়ে আপনার সাথে রাগ দেখাবো এইটা কেমন কথা। আপনার উপরে আমার কোনো রাগ নাই। আচ্ছা আপনে ঘুমান' অনেক রাত হয়ে গেছে!
কথক: রুমা আর কিছু বললো না, রিয়া রুমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। আর এইদিকে রুমা অনেক কিছু ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলো। আর রিয়া রুমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ঘুমিয়ে যায়! সকালে রুমার ঘুম ভাঙলে দেখে রিয়া ওর হাত টা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। রুমা নিজের অজান্তে রিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো! রিয়া ঘুম টা সাথে সাথে ভেঙে গেলো?
চলবে....!
http//wwwakratherbowstorymunalife.com
0 Post a Comment:
Post a Comment