গল্পের_নাম_এক_রাতের_বউ পর্ব_৬,৭(শেষ পর্ব)

গল্পের_নাম_এক_রাতের_বউ লেখিকা_সাইমা_ইসলাম_হ্যাপি 

পর্ব_________________6 



 আদিত্য: ছি তুই এতো নিচে নেমে গেছোস" রিয়ার গায়ে হাত দেওয়ার সাহস কোথায় পাস তূই। তোর হাত আমি ভেঙে ফেলবো!


 কথক: রাফির হাত ভাঙতে যাবে তখনই র

তুলি এসেছে ধরে ফেলে। তুলি আদিত্যকে ধাক্কা দিয়ে বললো?


 তুলি; ওই মেয়ের জন্য  তুমি নিজের ভাইকে কেন মারছো। ওই মেয়েটার  নজর খারাপ আমি দেখেছি। মেয়েটা   সব সময় রাফির ঘরে আশে পাশে ঘুড়াঘুড়ি করতে।


 রাফি: ভাবি আপনে বলেন? ভাইয়া আমাকে এই মেয়েটার জন্য মারছে। এই মেয়েটাহ আমার সাথে জোরজবরদস্তি করছিলো! আর ভাইয়া আমাকে ভুল বুঝে আমাকে মারছে।


 আদিত্য: একদম চুপ রিয়ার নামে একটা বাজে কথা বলবি না। আমি জানি রিয়া কেমন তোর মুখ থেকে ওর সম্পর্কে জানতে হবে না। শুন তোকে একটা কথা স্পষ্ট ভাবে বলে দিচ্ছি? তোকে যেনো রিয়ার আশে পাশে ও দেখি না! 


 কথক:  আদিত্য রাফিকে ছেড়ে দিয়ে রিয়ার হাত ধরে রুম থেকে বের হয়ে গেলো! তুলি আর রাফি অনেকটা রেগে গেলো?


 রাফি: ভাবি একটা জিনিস খেয়াল করছেন? ভাইয়া এই মেয়েটার প্রতি বেশি ভালোবাসা দেখাচ্ছে না। আমার কেন জানি মনে হয় ওরা একে উপরকে অনেক আগে থেকে চেনে!   ওদের মধ্যে কোনো  সম্পর্ক  আছে"


তুলি: একদম আমি ও খেয়াল করছি' আমার ও মনে হয় কোনো না কোনো কালেকশন ওদের মাঝে আছে। যাই হোক  শুনো? ওই মেয়েটাকে এই বাড়ি থেকে বের করতেই হবে!  না হলে অনেক বড় সমস্যা হয়ে যাবে।


 রাফি:  আমি ভেবে তোমাকে জানাবো কীভাবে ওকে সড়ানো যায়! 


 তুলি: ওকে "


 কথক: দুইজন  রিয়াকে ছড়ানোর বুদ্ধি বের করতে থাকে! আর এদিকে আদিত্য রাগি লুক নিয়ে রিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো?


আদিত্য: রাফি আপনাকে কবে থেকে ডিস্টার্ব করে?


 রিয়া:যেদিন থেকে আমাকে দেখছে সেইদিন থেকে আমার পিছু নিয়েছে।  


আদিত্য:  আমাকে আগে কেন বলেন নাই? আর একটু হলে কি হতো! 


রিয়া: বলে কি হবে " আমি তো একটা পতিতা।  আমার সাথে আর ভালো কি আশা করা যায়! 


 কথক: রিয়ার কথা শুনে আদিত্য রাগ উঠে গেলো! রিয়াকে  মারতে গিয়ে ওমারলো না" আদিত্য বললো?


 আদিত্য: এই আমার সামনে থেকে যান না হলে খুব খারাপ হয় যাবে।


 কথক: রিয়া আদিত্যর রুম থেকে বের হয়ে আসলো? রিয়া নিজের চোখ মুছে নিচে চলে গেল?   


রহিমা খালা: রিয়া  তাড়াতাড়ি কাজ কর অনেক কাজ বাকি আছে! মেহমান আসা শুরু হয়ে গেছে" আর তোকে খুজে পাওয়া যায় না!


 কথক:  রিয়া রহিমা খালার কোনো কথা না শুনে কাজ করতে লাগলো! আদিত্য আর তুলির বিয়ের জন্য  সবার আত্নীয় স্বজন আসা শুরু হয়ে গেছে। ৩দিন পর  তুলি আর  আদিত্যর বিয়ে৷  রিয়া  যত কথা গুলো ভাবছে ততো বুকটা ফেটে যাবে এমন অনুভাব করতে লাগলো!  রিয়া কাজ করতে লাগলো"  সন্ধ্যার দিকে  হস্পিটালে গিয়ে আবার রাতে চলে আসলো? রূপা আগের  দিন দিন বেশি খারাপ অবস্থায় চলে যাচ্ছে। রিয়া একদিকে আদিত্যর বিয়ে টেনশনে আর অন্যদিকে ছোটবোনের এই অবস্থা। রিয়া  যেনো বুঝতে পারছে না কি করবে! রিয়া  বিয়ের কাজ করতে লাগলো ,  হঠাৎ করে রিয়ার আব্বু  কল আসলে রিয়া রিসিভ করলো?


 রিয়ার আব্বু:  রিয়া তুই কোথায় এখনই হস্পিটালে চলে আয়! রূপার জ্ঞান ফিরেছে,  তাড়াতাড়ি আয় রূপা ছটফট করছে খুব!


 কথক: রিয়া কথা শুনে দৌড়ে  হস্পিটালে উদ্দেশ্য রওনা দেয়!  রিয়া হস্পিটালে গিয়ে রূপার ক্যাবিনে ঢুকে। রূপার কাছে গিয়ে যায়' রূপার সাথে কথা বলতে লাগলো?  রূপা চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ছে। রূপা অনেক কষ্টে বলে উঠলো.?


 রূপা:  আপু রে আমি মনে হয় আর বাঁচবো না" আপু আমার শেষ ইচ্ছেটা পূর্ণ করবে। আপু আমি না মেরে যাওয়ার আগে আমার আম্মুকে এক নজর দেখতে চাই।আমি তো সেই ছোটবেলা থেকে আম্মুর আদর পায় নাই। তাকে কেমন দেখতে আমি তাও জানি না"আপু প্লিজ আমার শেষ ইচ্ছেটা পূর্ণ করে দেও।


রিয়া: দূর পাগলি তোর কিছু হবে না,  


 কথক: রূপা জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে লাগলো" রিয়া চিৎকার করে ডাক্তার ডাকতে লাগলো? ডাক্তার  এসেছে রূপাকে দেখতে লাগলো। ডাক্তার বললো রূপা ওর মাকে দেখতে চাই৷ যে ভাবে হোক ওর মাকে যেনো নিয়ে আসছে! রিয়া উপায় না পেয়ে বাহিরে চলে আছে" রিয়ার আব্বু বলল?


 রিয়ার আব্বু:  রিয়া তোর আম্মুর সাথে আমি ও দেখা করতে চাই।


রিয়া: না আব্বু আম্মু অনেক ভালো আছে,  আমি তাকে নিয়ে আসবো,  কিন্তু তোমাকে যেতে হবে না। আমাদের জন্য তার সুখের সংসার নষ্ট হোক এইটা আমি চাই না।  


  কথক: রিয়া আর এক মুহুর্ত দেড়ি না করে।  একটা রিক্সা নিয়ে  আদিত্যদের বাসায় চলে গেলো! বাসায় গেলে  রাফি রিয়াকে দেখিয়ে বললো?


 রাফি:  দাদিমা তোমার আদরের   রিয়া এসেছে গেছে! 


 কথক: রিয়া কিছু বুঝে উঠার আগেই  রিয়ার গালে ঠাস ঠাস করে থাপ্পড় মেরে দিলো সালেহা চৌধুরী!  রিয়া গালে হাত দিয়ে বললো?


 রিয়া:ম্যাম আমি কি করছি আমি জানি না, আমাকে কেন মারছেন আমি সেইটাও জানি না। ম্যাম আমি ভুল করে থাকলে আমাকে পরে মারেন।  আমাকে  প্লিজ বলবেন  আপনার ছোট মেয়ে কোথায়


 রাফি: চুপ এতো নাটক করবি না' তুই গতকাল রাতে আমার সাথে কি কি করছোস। সব কিছু আমি সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছি!


রিয়া:মানে? 


 রাফি: মানে বুঝোস না' আর ভাইয়া তুমি আমাকে ভুল বুঝে আমাকে মারলে। এই পিক গুলো নিজেই দেখলে তো এখন কি বলবে? প্রায় সময় আমাকে রিয়া এমন বাজে ইঙ্গিত দিতো! প্রতিদিন চা  দেওয়ার নামে আমার রুমে এসেছে। আমার সাথে এমন করতো আর আমি ছেলে মানুষ কত দিন  নিজেকে ধরে রাখবো! 


কথক: রাফি সবাইকে উদ্দেশ্য  কিছু ছবি দেখালো! যেখানে একদম বুঝা যাচ্ছে রিয়া রাফির সাথে জোর করে  শারীরিক সম্পর্ক করতে চাচ্ছে!   রিয়া ছবি গুলো দেখে মাথা ঘুড়ে পড়ে যাব এমন অবস্থা! রিয়া আদিত্যর দিকে তাকিয়ে বললো?


 রিয়া: বিশ্বাস করেন,  আমি এমনটা কোনোদিন করি নাই! আমি এমন টা করতে পারি না, আমি রাফিকে নিজের ছোট ভাইয়ের মতো দেখি! 


 কথক:  আদিত্য কিছু বললো না'  তুলি রিয়ার চুল ধরে ঠাস ঠাস করে থাপ্পড় মেরে বললো?


 তুলি: চুপ মিথ্যা বাদি একদম মিথ্যা কথা বলবি না। বামন হয়ে চাদে হাত দিতে চাস!  


রুমা: ছি আমি ভাবতে পারছি না, তুমি এমনটা করবে তোমাকে আমি বিশ্বাস করতাম, আর তুমি কিনা ছি।


 রিয়া: আম্মু বিশ্বাস করো আমি এমন কাজ করি নাই! আম্মু এই ছবিটা কিভাবে ওনি তুলো আমি নিজেও জানি না।আম্মু আমি ওনাকে চা দিতে গেলে ওনি আমার সাথে অসভ্যতামি করতো! আমি অনেকবার ওনাকে বুঝানোর চেষ্টা করছি।    


 কথক:  রিয়ার মুখ থেকে আম্মু ডাক শুনে সবাই হয়ে গেলো!  তুলি রিয়ার চুলের মুঠো ধরে   ঠাস ঠাস করে থাপ্পড় দিয়ে বললো?


 তুলি:  বেয়াদব মেয়ে এতো বড় সাহস তুই ফুপিকে আম্মু বলে ডাকিস! তোর কোন সম্পর্কে আম্মু হয় হ্যা" 


 কথক:রিয়া তুলিকে ধাক্কা দিলে তুলি পড়ে  যায়। তুলি  রেগে   উঠে   তুলি বললো?


তুলি: How dare you push মে


কথক: রিয়া  রেগে তুলি বলতে লাগলো? 


রিয়া:Khabar Dar, if you put your hand on me, I will break your hand. I am sorry for your bad behavior! Or do I have no respect because I work in this house? 


কথক: রিয়াকে ইংরেজিতে কথা বলতে দেখে সবাই অবাক হয়ে গেল! রিয়া নিজেকে কন্ট্রোল করে রুমার কাছে গিয়ে বললো?


 রিয়া:  স্যরি আপনাকে আম্মু বলার জন্য" প্লিজ আমার সাথে আপনে একটু হস্পিটালে যাবেন। আপনাকে বড্ড প্রয়োজন! আপনাকে বলেছিলাম না আমার আম্মুকে দেখতে আপনার মতো। আমার বোনকে আপনাকে দেখিয়ে বলবো আপনে আমাদের আম্মু! প্লিজ আমার এই রিকোয়েস্ট রাখেন। আমার বোনের অবস্থা বেশি ভালো নাই" প্লিজ আপনে আমার সাথে চলেন আমি আপনার পায়ে ধরছি! 


 রুমা:  তোমার মতো নোংরা মেয়ের কথা আমি বিশ্বাস করি না।  আমি কোথাও যেতে পারবো না, এখন থেকে চলে যাও। তোমাকে যেনো আমি আর আমাদের বাড়ির আশে পাশে না দেখি! 


 কথক: রিয়া রুমার পায়ে ধরে বললো?


 রিয়া: দেখেন আমি খুব খারাপ একটা মানুষ! আমি জানি আমার মতো জঘন্য তম একটা মানুষ ও নাই! আমাকে যাহ শাস্তি দিবেন আমি মাথা পেতে নিবো। দয়া করে প্লিজ আমার সাথে আপনে চলেন!  আমার বোনের অবস্থা খুব খারাপ, আম্মু আম্মু করে ওর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে।প্লিজ চলেন?  


 রাফি: খবরদার ফুপি এই মিথুকের কথা বিশ্বাস করবে না। ওই  তোমাকে ইমোশনাল ব্যাকমেইল করে৷  সবার সামনে ভালো সাজার চেষ্টা করছে! ফুপি দাদিমা ওকে এখনই চাকরি থেকে বের করে দেও। আর এই বাড়ি  থেকে বের করে দেও।  তাহলে এইসব মেয়েরা ঠিক হবে৷ জীবনে কখনো যেনো  বড়লোক ছেলেদের ফাঁসাতে না পারে!


 কথক: রিয়া রাফির কথা গুলো সয্য হলো না রিয়া রেগে  রাফির  কাচে গিয়ে ঠাস ঠাস করে থাপ্পড় মেরে বললো?


 রিয়া:  তুই ছেলে বলে যাহ মুখে আসবে তাই আমাকে বলবি। আর সেইটা আমি হজম করে নিবো, আমাকে চুপচাপ তোর অন্যায় গুলো সয্য করতে দেখে৷ আমাকে   যদি নরম ভেবে থাকোস তাহলে জীবনের সব থেকে বড় ভুল করছোস।   আমার ধৈর্য  সিমা অতিক্রম করিস না। এ-র ফল কিন্তু ভালো হবে না,   তাই এখনো সময় আছে ভালো হয়ে যাহ।মেয়েদের সস্মান করতে শিখেক"  শুন? তোকে আমি আমার ছোট ভাইয়ের মতো ভালোবাসি। তোর এতো অন্যায় কেন সয্য করছি জানিস। আমার আশা ছিলো তুই ভালো হয়ে যাবি! আমি চাইলে সবাইকে অনেক আগেই সব বলে দিতে পারলাম।কিন্তু কাউকে বলি নাই, আমি চাই নাই। তুই বাড়ির সবার সামনে ছোট হয়ে যাহ!   আমার সরলতাকে দুর্বলতা হিসাবে নিস না! 


 কথক: রিয়ার কথা শুনে রাফি চুপ হয়ে গেলো! রিয়া আবার ও রুমার কাছে গিয়ে হাত জোর করতে লাগলো! রুমা রিয়ার কথা  গুলো বিশ্বাস করলো না! রিয়া  অসহায় হয়ে জোরে জোরে কান্না করতে লাগলো! রিয়া ওই বাসা থেকে বের হয়ে চলে আসলো। হস্পিটালে গিয়ে  ওর আব্বুর সামনে গিয়ে বললো?


 রিয়া: আব্বু আমি আম্মুকে আনতে পারি নাই" আব্বু আম্মু আমার কথা বিশ্বাস করলো না!   আব্বু আমি এখন কি করবো " বলো না আব্বু! 


 রিয়ার আব্বু: আর কিছু করতে হবে না" রূপা আর এই দুনিয়াতে বেঁচে নাই! ওই আমাদের ছেড়ে  অনেক দূরে চলে গেছে!  


 কথক: রিয়া  যেনো থমকে গেলো" রিয়ার আব্বু কান্না করতে করতে  হাটু গেড়ে বসে পড়লো!   রিয়া  দৌড়ে গিয়ে  রূপাকে দেখতে পায় সাদা কাপুড়ে মুড়ে  রেখে দিয়েছে। রিয়া  রূপার লাশ ধরে চিৎকার দিয়ে কান্না করতে লাগলো? আর এদিকে রহিমা  রুমাকে বললো?


রহিমা: ম্যাম রিয়া আপনাকে মিথ্যা বলে নাই"  ওর বোন আসলেই অনেক অসুস্থ "  মেয়েটা বড্ড মা মা করছে " আমি দেখতে গেছিলাম"


 রুমা:  কি রিয়া সত্যি বলছিলো? 


 রহিমা: হ্যা' 


রুমা: ওর বোন কোন হস্পিটালে আমাকে নিয়ে যাবে! আমার বুকের ভিতরে কেমন যেনো একটা অনুভাব হচ্ছে।বুকের ভিতরে  চাপা কষ্ট অনুভাব হচ্ছে! 


 কথক: রুমা কিছু বলতে যাবে, তখনই   রহিমার ফোনে কল আসছে! রিয়া র কল দেখে তাড়াতাড়ি রিসিভ করে নেয়৷  


 রহিমা : রিয়া কান্না করিস কেন? রূপা ঠিক আছে!


 রিয়া: খালা  রূপা?


 রহিমা: কি হইছে রুপার?


 রিয়া: খালা রূপা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে"  


 কথক: রিয়া কথাটা বলে কান্না করতে লাগলো" আর  রহিমা কান থেকে ফোনটা পড়ে গেলে রুমা বললো?


রুমা; কি হইছে রহিমা   কান্না করছো কেন?


 রহিমা: রূপা মারা গেছে" ছোট মেয়েটা এই অকালে চলে গেলো!  ভাবতে কেমন কষ্ট হচ্ছে"   


 আ দিত্য: কি রূপা মারা গেছে' এইটা আমি বিশ্বাস করি না!  ওই টুকু মেয়ে কিভাবে সবাইকে ছেড়ে চলে যেতে পারে।


 কথক: আদিত্য কথাটা বলে দৌড়ে যেতে নিবে  রুমা বললো?


 রুমা: আদিত্য আমি ও যাবো তোর সাথে "


 কথক:   রুমা আদিত্য সাথে সবাই ওদের সাথে যেতে লাগলো!   রহিমার বাড়িতে গেলে রুমা দেখতে পায়।  রিয়া  লাশের খাটিয়ে ধরে চিৎকার করে কান্না করছে। রিয়া কান্না দেখে সবার চোখের পানি চলে এসেছে।  রিয়ার আব্বু এক সাইডে বসে আছে একদম বরফের মতো জমে আছে!  রুমা রিয়াকে ধরতে যাবে  সাথে সাথে রিয়া রুমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বললো?


 রিয়া: আপনে এখানে কেন এসেছেন? কি দেখতে এসেছেন। আরে আপনে চলে যান আপনাকে আর দরকার নাই! যখন দরকার ছিলো তখন তো আসলেন না। এখন কেন আসলেন " আরে আপনাকে দরকার নাই। এখনই এখন থেকে চলে যান" আমার বোনের আর আপনাকে দরকার নাই!  আমার বোন চলে গেছে তো, ওর শেষ ইচ্ছেটা পূর্ণ করতে পারি নাই। একটু আমার কথা বিশ্বাস করলে কি হতো? 


 রুমা: রিয়া আমি বুঝতে পারি নাই" ‌যে তুমি সত্যি বলছো?  রাফি কথা শুনে এমনিতে অনেক রাগ উঠেছিলো। এই জন্য তোমার কথাগুলো শুনতে ভালো লাগছিলো না। আমি ভেবেছিলাম তুমি  মিথ্যা নাটক করছো?  


 রিয়া: হ্যা হ্যা আমি নাটক করছি,  নাটকের ফলাফল দেখতে তো পারছেন। দেখেন  রুমা চৌধুরী আপনে এখান থেকে চলে যান!  আপনাকে সত্যি আর দরকার নাই" আপনে আপনার মতো থাকেন।  আমরা অনেক ভালো আছি চলে যান! আপনাকে বিরক্ত করার জন্য দু:খীত "  


কথক: আদিত্য রূপার কাছে গিয়ে বললো?


 আদিত্য: রিয়া  তুমি শান্ত হও " এই  রুপা উঠো এভাবে ঘুমিয়ে আসো কেন? এই রূপা দেখো তোমাকে আমি ধরছি। তুমি আমাকে মারবে না এই রূপা উঠো না এভাবে সুয়ে থেকো না, রূপা উঠো!  


কথক: আদিত্য কথাটা বলে জোরে জোরে কান্না কর‍্তে লাগলো!  আদিত্য রিয়াকে ধরে বললো?


 আদিত্য:  রিয়া প্লিজ শান্ত হও, আমরা সত্যি মানতে পারছি না। রূপা আমাদের ছেড়ে এভাবে চলে যাবে!


 রিয়া: আপনারা না মানলে কি যায় আছে, আমার বোন তো চলে গেছে!    যান আপনার ফুপিকে নিয়ে চলে যান! বিশ্বাস করেন আপনাদের সাথে দেখা না হলে। আমার  বোনটাকে হারাতে হতো না!  আপনারা চলে যান প্লিজ" 


  কথক: রিয়ার চিৎকার শুনে রিয়ার আব্বু  মানুষের ভিড় ঠেলে  ভিতরে ঢুকতে৷  রুমা তার ফ্যামিলিকে দেখতে পায়!  রিয়ার আব্বু রিয়ার কাছে আসলে রুমা  সালেহা চৌধুরী  অবাক হয়ে যায়! রুমা কয়েক পা পিছিয়ে যায়? রিয়া এ-র আব্বুকে জড়িয়ে ধরে বললো?


 রিয়া: আব্বু ওই মহিলাকে চলে যেতে বলো? আমার আর ওনাকে সয্য হচ্ছে না শুধু মাত্র ওর জন্য আমার  ছোটবোনের শেষ ইচ্ছেটা পূর্ণ করতে পারি নাই! আমার ছোট বোনটা একটা আক্ষেপ নিয়ে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলো?


  রুমা:  রূপা রিয়া তোমার সন্তান "


কথক: রুমা   রূপার লাশ ধরে চিৎকার করে কান্না করতে লাগলো! রূপার মুখ দেখে বুকে জড়িয়ে ধরে বললো?


 রুমা:রুপা মা আমাকে ক্ষমা করে দে রে মা! আমি তোর সাথে শেষ দেখা ও করতে পারলাম না।ওই রুপা   উঠেক দেখ তোর আম্মু তোর কাছে ফিরে এসেছে।এই রুপা উঠেক না মা একবার আমাকে আম্মু বলে ডাক না রে।  এই রুপা এভাবে চুপ করে থাকিস না! একবার আমাকে মা বলে ডাক না"  এই রুপা  তোর আম্মু তোদের অনেক খুজেছে।  তোদের অনেক ভালোবাসে রে, তোদের আম্মু। এই রুপা উঠেক না রে মা,  তোর আম্মুকে একবার আম্মু বলে ডাক না রে!  


চলবে...

৭(শেষ) পর্ব👇

https://tinyurl.com/mr34vfcz




0 Post a Comment:

Post a Comment