শধু_তোমারি_জন্য.. পার্ট (৫)..

 শধু_তোমারি_জন্য..

পার্ট (৫)..




আমার স্বামী বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে..

আর চারজন আমার দিকে আসছে ধর্ষণের জন্য..

তাদের চোখ দেখেও ভয় করতেছে..

তাদের সবার চোখ দেখে বুঝা যাচ্ছে তারা খুব ক্ষুধার্ত.. 

.

.

তারা আসতে আসতে আমার কাছে চলে আসে..

আমার ভয়ে যেনো হাত পা কাপছে..

.

এক পর্যায়ে তারা আমার খুব কাছে চলে এলো... 

.

একজন এসে আমার ওড়নাতে হাত দিয়েও দিছে..

.

এর পর কি হইছে আমার আর কিচ্ছু মনে নেই..

.

.

যখন আমার চোখ খুলে তখন ফারহান আমার পাশে বসা..

.

হঠাৎ আমার রাতের কথা মনে পরলো..

আমি উঠে বসতে নেই..তখন ই ফারহান বলে উঠে..

.

কেউ তোকে কিচ্ছু করে নি..শালাদের হাত অনেক আগেই ভেংগে দিছি..

.

মানে??(আমি)

>মনে আছে শপিং মলের কথা??কিছু গুন্ডা তোর দিকে খারাপ নজরে তাকিয়ে ছিলো..

.

>কই না তো..

>তুই না দেখলেও আমি দেখছি..

.।তাদের একজনের মন্তব্য ছিলো..

>ইসশ এরে যদি পাইতাম..

.

তাই তাদের ইচ্ছা পূরন করার লোভ দেখাই আমি..

.

.

ওরা সত্যি ভেবে চলে আসে এই বাড়িতে.. 

.

আর তারপর...বাকিটা ওইখানে দেখো..

.

আমি পাশে তাকাতেই দেখি ৪জন মাটিতে পরে আছে...খুব মারা হয়েছে তাদের দেখেই বুঝা যাচ্ছে..

.

আমার মুখে না চাইতেও হাসি ফুটে উঠলো..যেই মানুষটাকে এতো দিন খারাপ ভাবলাম..

সে আজ প্রমাণ করে দিলো সেও মানুষ..

.

.

ফারহান সেখান থেকে উঠে যায়..

সে নিজেও জানে না যে কেনো সে এই কাজটা করলো..কেনো যারা আনিয়ার দিকে খারাপ নজর দিছে তাদের এভাবে মারলো..

.

ফারহান কিচ্ছু বুঝতেছে নাহ..কেনো আয়ানের সাথে আনিয়াকে দেখে এতো রাগ হলো ফারহানের..কেনো..সে তো মেয়েদের ঘৃণা করে..শুধু খেলার পাত্র ভাবে তাহলে কেন এমন হচ্ছে??

.

.

ফারহান সিগারেট ধরিয়ে সিগারেট খেতে থাকে.

.

সন্ধ্যার সময় আনিয়া বিছানা থেকে উঠে যায়..

তার আয়ানের কথা মনে পরতেছে.

.

এমন সময় ফারহান রুমে ঢুকে..সে দেখে আনিয়া কি যেনো ভাবছে..

না আনিয়াকে তো ফারহান এমন চিন্তা মগ্ন কখনও থাকতে দেখে নি..

.

ফারহানের রাগ উঠে যায়. 

সে সোজা গিয়ে আনিয়ার গালে চড় মারে..

.

আনিয়ার মাথা গিয়ে বারি খায় খাটের হাতলে..

.

মাথা দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করে..

.

তোর সাহস তো কম নাহ..আমার বাড়িতে থেকে তুই অন্য ছেলের কথা ভাবছিশ?? খুব ভালো লাগছে ওরে তাই নাহ??

>আনিয়া কাদছে

>আজ থেকে যতোক্ষন না তুই ওই ছেলেটা ভুলবি তোকে আমি নতুন নতুন আঘাত দিতে থাকবো..

.

.

.

ফারহান এসে আনিয়াকে ব্যান্ডেজ করে শুয়িয়ে দেয়৷ 

.

আনিয়া এখনও কাদছে. 

.

এদিকে আয়ানের আনিয়ার কথা খুব মনে পরতেছে..

.

তার যে করেই হোক আনিয়ার সাথে দেখা করতেই হবে..

.

.

তাই সে সিদ্ধান্ত নেয় যে আনিয়ার সাথে দেখা করবে সে..

.

.

[এই গল্পের আগের সব পার্ট আমার প্রোফাইলে আছে.]

.

.


যেই ভাবা সেই কাজ..সে এখন আনিয়ার বাসার সামনে..

.

.

সেখানে একটা পাইপ ছাড়া উঠার মতো আর কিছুই দেখতে পায় নাহ..

.

আল্লাহ বাচায়ো বলে সে উঠতে শুরু করে...

.

.

উঠে জানালা দিয়ে তাকাতেই দেখে আনহা.. 

.

সে তারাতারি পাশের পাইপ এ চলে যায়..

.

.

ছাদে উঠে আরেক পাইপ দিয়ে নামা শুরু করে.এবার সে আনিয়াকে দেখে..

.

.

আনিয়াকে দেখে যেনো তার চোখে পানি চলে আসে..

.

জানালা খোলা থাকাতে সহজেই ভিতরে চলে যায় সে..

.

.

আনিয়া আয়ান কে দেখে শক..

>আয়ান তুমি??

>তোমার এই অবস্থা কে করছে??

>আয়ান কিছু হয় নি?

>বলবা তুমি নাকি আমি ফারহান কে ডাক দিবো??

>না আয়ান..😨😨আসলে আমি বাথ্রুমে পরে গেছিলাম..

>কি??

>হে..

.

>এতো বড় মেয়ে তাও বাথরুমে পরে যাও??

>ক্লান্ত ছিলাম তো তাই..

.

>খুব মিস করতেছিলাম তোমায় আনিয়া..

.

>আমিও.. 

.

আয়ান আনিয়ার মাথার কাছে বসে. 

.

ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে..এবং কপালে চুমু একে দেয়..

.

এমন সময় দরজা খুলে যায়..

.

.

আয়ান আনিয়াকে চুমু খাচ্ছে দৃশ্য টা স্পষ্ট দেখে ফেলে ফারহান. 

.

.

এবং আয়ান এবং আনিয়ার দিকে এগুতে থাকে..

.

.

.

#চলবে..

0 Post a Comment:

Post a Comment