'মাক্সটি সরাতেই সবাই বেশ আশ্চর্য হয়ে যায়। কারন ছেলেটি অবিকল হাসিবের মতো দেখতে।
'এইটা দেখে হাসিব জিঙ্গেস করলো।
'আরে এই ছেলেতো পুরাই আমার মতো দেখতে।
'হাহাহ।হাহাহা।হাহহা। আমি কে সেটা তোমার
মাকেই জিঙ্গেস করোনা।
উত্তর পেয়ে যাবে।
'হাসিব তার মাকে জিঙ্গেস করলো।
মা ছেলেটি কে। আমার মতোই বা দেখতে কেনো।
'ও হলো তোর জমজ ভাই আব্দুল।
জন্মের পরে ওকে আমি অন্য জায়গাই রেখেছিলাম।
শুধুমাত্র সন্ত্রাসী বানাতে।
'কিইইইইইই।
'হ্যাঁ।
'তাহলে এতোদিন আমাকে সেই কথাটি
লুকিয়ে রাখছো কেনো।
'এর অনেক কারন আছে। সব কিছু তোকে পরবর্তীতে
খুলে বলবো চিন্তা করিশনা বাবা আমার।
'এদের এমন কথা শুনে চৈতি বলে উঠলো' "
শোন এই সহ কথা জেলে গিয়ে বলিশ।
এখন সুন্দর ভাবে পুলিশের সঙ্গে
হাজতে যা।
'আব্দুলকে ধরা এতোটা সহজ কাজনা। যতোটা
তোরা ভেবে রাখেছিস।
'ফান্দে পরলে সবাই এমন কথাই বলে।
যদি সাহস থাকে আমাদের হাত থেকে পালিয়ে দেখাও।
তাহলে বুঝবো তোর দম আছে। (চৈতি)
'শোন এই আব্দুলকে আজ পযর্ন্ত কেউ কোথাও
আটকিয়ে রাখতে পারিনি।
আর তোরা তো সামান্য।
'এই তোমরা চুপ করো' আমার কথার উত্তর চাই
আগে প্লিজজজজজজ। (হাসিব)
'কি জানতে চাস বল?(আব্দুল)
'তুমি কি চৈতিকে ধর্ষণ করেছিলে সেই রাতে।
'হ্যাঁ আমি ধর্ষন করেছিলাম।
আর দোশ হয়েছে তোর তাই তো।
'অবশ্যই! তুমি কাজটি ঠিক করোনাই।
'কোনটা ঠিক আর কোনটা ভূল সেইটা আমি ভালো
করেই জানি। আমাকে বুঝাতে
হবেনা তোকে।
'ভালো খুব ভালো।
'এখন চল আমার সাথে। ধীরে ধীরে সব জানতে
পারবি তুই।
'কোথায় যাবো আমি।
'আমাদের বাড়িতে যাবি। যেখানে এর আগে
তুই যাসনি।
'হাহাহ।হাহাহ।হাহা। তোমাকে এখন পুলিশ ধরে
নিয়ে যাবে।
আর তুমি বলতেছো বাড়িতে যাবে।
'এই পুলিশ আমার কিচ্ছু করতে পারবেনা।
চল আমার সঙ্গে।
'আব্দুলের কথা শুনা মাত্রই চৈতি বলে উঠলো'
'হাবিল্দার এই যদি একটু নরা চরা করে তাহলে
এখানেই গুলি করে শেষ করবা।
'yes ম্যাডাম?
(এখানে হাবিল্দর চৈতিকে ম্যাডাম কেনো বলতেছে
একটু পরেই জানতে পারবেন)
'শোন চৈতি তোর এই পুলিশ আমার কিচ্ছু
করতে পারবেনা।
তুই কে সেইটা আমি ভালো করেই জানি।
'ওহ আমার সম্পর্কে তাহলে তুই জানিস।
খুশি হলাম আমার সঙ্গে জানিস এইটা ভেবে।
'এদের কথায় সেখানে উপস্থিত থাকা সব মানুষের
মাথা গোল-মাল হয়ে গিয়েছে।
কি হচ্ছে কেউ বুজতেছেনা।
এমন মুহূর্তে উর্মি বলে উঠলো।
'তোমাদের কাহিনী টা কি একটু খুলে বলবা
প্লিজজজ। আমার খুব জানার ইচ্ছে হচ্ছে?
'তোমরা যেই মেয়েটাকে মাফিয়া ডন ভাবতেছো
তার আসল পরিচয় কি জানো তোমরা! (আব্দুল)
'কে চৈতির?
'হ্যাঁ।
'আমরা সবাই জানি সে মাফিয়া।
সে একজন সন্ত্রাসী?
'তোমরা সবাই ভূল জানো। ওর আরো একটি পরিচয়
আছে সেইটা হলো*************?
'আব্দুলের মুখে কথাটি শুনে
সবাই যেনো আকাশ থেকে মাঠিতে পরলো।
'হ্যাঁ আমি একজন পুলিশের কর্মকর্তা।
আমি সেবেলে কাজ করি। সবাই আমাকে জানে আমি
একজন মাফিয়া।
কিন্তু কেউ জানেনা আমি একজন পুলিশ।
'সত্যি তুমি পুলিশ চৈতি। (হাসিব)
'হ্যাঁ আমি পুলিশ।
'আবার আব্দুল বলে"
সেই দিন আমি ওকে ধর্ষন করার পরেও কেনো
আমাকে কিচ্ছু করেনি জানো।
কারন ও চাইছিলো আমাকে এমন অবস্থায় ধরবে
যেনো আমি কখনো জেল থেকে বাহিরে
আসতে না পাড়ি।
এই কারনে ১০ মাস কষ্ট করে আমার সন্তান পেটে
ধারন করছিলো।
কিন্তু আমি সব খেলা ক্ষনিকের ভিতরেই শেষ করে
দিয়েছি হাহাহাহ। হাহাহ। হহাহা।
'তোর এই হাসিটা বেশি ক্ষন থাকবেনা।
চিন্তা করিশনা।
'তুই আমার কিচ্ছু করতে পারবিনা।
যদি পারিশ করে দেখাও।
(এখানে আমরা বুজলাম এই চৈতির ও অনেক কাহিনী আছে যেটা আস্তে আস্তে বুঝবো।
বুজতে পারলাম এই চৈতি শুধুমাত্র আব্দুলকে ধরার
জন্যে কতোটা প্লান করেছে)
'দেখ কি করতে পারি'
'তুই শুধুমাত্র আমাকে ধরার জন্যে ধর্ষন হলি।
গর্ভে সন্তান ধারন করলি।
আবার প্লান করে আমাকে এখানে নিয়ে আসলি।
বাহ-বাহ-বাহ।
এইবার তোকে আমি গন ধর্ষন করাবো। চিন্তা করিশনা।
'এই কথা শুনে চৈতি রাগান্বিত হয়ে
আব্দুলকে গিয়ে থাপ্পড় দেয়'
থাপ্পড় টি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই বেশ আশ্চর্য হয়।
কারন ' এইটাতো আব্দুল না'
(বুঝলেন না তো বুঝিয়ে বলতেছি)
'চৈতি থাপ্পড় দেয়ার সঙ্গে আব্দুলের মুখের উপর থেকে
একটি মাক্স আবারো সরে যায়।
যে মাক্সটি দেখতে প্রায় হাসিবের মতোই ছিলো।
'এইইই তুই কে?
'কেনো আমি আব্দুল। আমাকে কি চেনা যাচ্ছেনা।
'নাহ তুই আব্দুল না।
'হাহহাহা। হাহহা। হাহহা। হাহহা।
ভাবলাম আরো কিছুক্ষন মজা করি কিন্তু হলোনা।
'সত্যি করে বল তুই কে।
'আমি হলাম আব্দুল স্যারের লোক! যে কিনা হুবুহু
স্যারের সব কথা স্টাইল নকল করতে পারি।
শুধুমাত্র চেহারা ছারা।
এই জন্যে স্যারের মতো দেখতে একটি মুখোশ পরে
এসেছি।
যাতে কেউ চিনতে না পাড়ে।
'এত বড় ধোকা' তোকে এই মুহুর্তে গুলি করে
মেরে ফেলবো আমি।
'আমাকে একটু পড়ে মারুন।
তার আগে আপনার ফোনটি বাজতেছে রিসিভ করুন।
'লোকটির কথা মতো চৈতি ফোনটি হাতে নিয়ে দেখে কেউ একজন ভিডিও কল করেছে।
সেটা দেখে চৈতি ফোনটি রিসিভ করা মাত্রই দেখতে
পায় যে****
'ভিডিওটি দেখা মাত্রই সেখানে
মাথা ঘুড়ে পরে যায় চৈতি।
'ঙ্গান ফেরার পরে চৈতি দেখতে পায় যে তাকে
আব্দুল**?
(আপনাদের অনেক অভিযোগ আমার প্রতি। আসলে
আমি একটি কাজ করতেছি বতর্মান তাই সময় পাইনা
গল্প লিখতে। সত্যি বলতে গল্প লিখে আমার কোন ইনকাম নেই শুধুমাত্র আপনাদের ভালোবাসা ছারা।....
#সেই_রাতের_গল্প
পর্ব---১২
কাহিনী ও লেখনীতে: #মি_হাসিব
#writer_md_ri_rakib
'চৈতির ঙ্গান ফিরতেই দেখতে দেখতে পায় সে একটি অন্ধকার রুম। আশ্চর্যের বিষয় হলো তার শরীরে
কোন পোষাক নেই।
'যাকে বলে উলঙ্গ অবস্থায় রাখা হয়েছে।
এইটা দেখেই চৈতি
চিৎকারের করে বলতে থাকে "সাহস থাকলে আমার
সামনে আয়। এমন ইদুরের মতো লুকিয়ে না থেকে।
'কথাটি শেষ হওয়া মাত্রই রুমের সব বাল্প জ্বলে
উঠলো এবং আওয়াজ আসতে লাগলো।
'তোকে বলছিলাম না গন ধর্ষন করাবো।
দেখ তোকে আমি কি করি।
'হাহাহহা। হাহাহ। ইদুরের মতো পিছন থেকেই শুধুমাত্র
কথা বলতে পারবি।
এক বাপের বেটা হইলে আমার সামনে আয়।
দেখবো তোর কতো সাহস।
'চৈতির এমন কথাটি আব্দুলের ইগোতে লেগে যায়।
যার কারনে আব্দুল বলে।
'ধৈর্য ধর যাচ্ছি।
'হ্যা আয়।
'কথাটি বলার প্রায় ৫ মিনিট পরে আব্দুল সেই রুমে
এসে উপস্থিত হয়।
'আব্দুল রুমে আসলেই চৈতি বলে "ওহ তুই সেই
আব্দুল যাকে মানুষ এতোটা ভয় পায়।
'হ্যাঁ।
'আমার পোশাক কোথায়। এছাড়া আমাকে উলঙ্গ
করে রেখেছিস কেনো জানতে পারি।
'সেটা একটু পরেই জানতে পারবি।
'আমার সন্তান কোথায় বল। দয়া করে এপলক
দেখতে দে আমাকে প্লিজজজজ।
(তার মনে কি চৈতির সন্তান এখনো বেছে আছে' সেটা কিভাবে সবাই আস্তে আস্তে বুঝবেন)
'তোর সন্তান হেফাজতেই আছে।
বেশি বাড়া বাড়ি করলে শেষ করে দিবো।
'প্লিজজজ ওর কিচ্ছু করিশ না।
(সবাই ভাবতে পারেন কি এমন হলো যার কারনে
চৈতি মাথা ঘুরে পরে গেলো। আসলে তখন যে ভিডিও কলটি এসেছিলো সেই কলটি আব্দুল দিয়েছিলো। এবং বলেছিলো তোর সন্তান বেছে আছে এই দেখ। তুই যদি বেশি বাড়া বারি করিশ তাহলে মে/রে ফেলা হবে
তাকে। সন্তানের এমন করুন অবস্থা দেখে চৈতি ওখানেই মাথা ঘুরে পরে গিয়ে ছিলো)
'আহহাহাহ। হাহাহ। হাহাহ নিশ্চয়ই কিচ্ছু করবোনা।
কারন তোর সঙ্গে আমার অনেক হিসাব নিকাশ আছে।
'কিসের হিসাব-নিকাশ।
'ভুলে গেলি? আমার বাবা কে মেরে ফেল্লি আবার আমার মায়ের পায়ে গুলি করলি।
আবার আমার পিছনে এইভাবে লেগে আছিস।
এই গুলার হিসাব নিকাশ।
'তুই যেমন খারাপ তোর বাবা ও এর থেকে বেশি
খারাপ ছিলো।
'তাই বলে তুই হত্যা করবি একটি লোককে।
নাহ তুই এইটা করতে পারিশনা।
'শোন আমার কাজেই হলো এই গুলা।
তোদের মতো আর্বজনা এই সমাজ থেকে দুর করা।
'দেখা যাক কে কাকে শেষ করে।
'নিশ্চই।
'তুই শুধুমাত্র মুখে মুখে কথা বলতেই পারবি।
কোন কাজ করতে পারবিনা।
'আমার সন্তান কে আমার কাছে ফিরিয়ে দে।
বিনিময়ে তুই যা চাইবি তাই পাবি।
'বা-বা এতো ভালোবাসা সন্তানের প্রতি।
'তুই কি বুজবি ভালোবাসা।
এই সন্তান শুধুমাত্র আমার একার না। এই সন্তানের
বাবা হচ্ছিস তুই।
'ওমা তাই।
জানিস আমি কতো মেয়েকে ধর্ষন করেছি।
কতো সন্তান এই পৃথিবীতে এনেছি।
'এতো কীছু আমি জিনতে চাইনি।
আমি শুধুমাত্র এটাই জানতে চেয়েছি আমার সন্তান কে
ফিরিয়ে দিবি নাকি দিবিনা।
'হ্যা দিবো। কিন্তু তার আগে তোর সঙ্গে এমন কিছু
হবে যার জন্যে তুই মোটেও প্রস্তুত নেই।
'তুই কি করবি সেইটা আমি ভালো করেই জানি।
তোর কাছে অন্য কিছু আশা করিনা আমি।
'সত্যি তোর সাহস অনেক।
তুই আব্দুলের সামনে এই ভাবে কথা বলতেছিস।
'সাহসের কিচ্ছু দেখিসনি।
ধীরে ধীরে দেখবি।
'হাহাহহা।হাহাহ।হহাহা।
'আচ্ছা তোর লজ্জা লাগতেছেনা একটি মেয়েকে উলঙ্গ
অবস্থায় রেখেছিস।
আবার তার দিকে তাকিয়ে কথা বলতেছিস।
তুই কি জা/র/জ সন্তান নাকি।
'চৈতির মুখে এমন কথা শোনা মাত্রই আব্দুল ওর গলাটি
চেপে ধরে এবং বলতে থাকে" শুধুমাত্র উলঙ্গ করে
রেখেছি এইভাব ভোগ করবো।
'কথাটি বলেই পাগলা কু/ত্তা/র মতো চৈতির শরীর
টাকে ভোগ করতেছে।
যা দেখে চৈতী নিশ্চুপ মুক্তির মতো হয়ে আছে।
কারন সে জানে এখানে যতোই কিছু করিন কেনো এই
রাক্ষসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবেনা।
'প্রায় বেশ কয়েক মিনিট আব্দুল চৈতির সঙ্গে এমন
খারাপ কাজ করে তাকে ছেরে দেয়।
এবং আবারো বলে।
এখন আমি তোর সঙ্গে এমন করেছি। এখন আমার লোক তোর সঙ্গে এমন করবে।
'সব শোনার পরেও চৈতির একটি কথা।
'তোর যা ইচ্ছে হয় আমার সঙ্গে কর কিন্তু আমার সন্তান কে একটি নজর দেখাও প্লিজজজজ।
'তোর এই মনের আশা কখনোই পুর্ণ হবেনা।
কারন তুই একটু পরে অটোমেটিক মা/রা যাবি। তোর
এই সন্তান কে আমি বড় করবো।
আমার মতো সন্ত্রাসী বানাবো। হাহাহ।হাহহা।হাহা।
'আমি বেছে থাকতে তোর মনের আশা কখনোই
পুর্ণ হবেনা।
'কথাটি বলেই আব্দুল সেখানে থেকে বাহিরে চলে আসে এবং একজনকে বলে " সিয়াম এই শা"লিকে আমাদের সব লোক দিয়ে ধর্ষন করিয়ে মেরে ফেলবি।
এর যেনো অসিস্থ না থাকে।
'বস চিন্তা করবেন না। আমাদের কাজ
আমার করতেছি।
'সেটাই।
'এর পরে সিয়াম রুমের ভিতরে এসে চৈতিকে দেখা
মাত্রই বলে উঠে।
আরে চৈতি তুইইইই এখানে।
চলবে...
#সেই_রাতের_গল্প
পর্ব---১৩
কাহিনী ও লেখনীতে: #মি_হাসিব
#writer_md_ri_rakib
'চৈতি তুই এখানে সেটাও আবার উ'ল'ঙ্গ অবস্থায়। কাহিনী কি তোর আব্দুল স্যারের সঙ্গে।
'ভাগ্যের পরিহাসে আজ আমি এখানে।
তুইও আব্দুলের মতো যর্ঘন্য কাজ করে বেরাস সিয়াম।
'হ্যাঁ-রে কিচ্ছু করার নেই।
আমি ও পরিস্থিতি শিখার হয়ে এই পথে এসেছি।
'ওহ ভালো।
'কিন্তু তুই এখানে কেনো। আমাকে সব কিছু খুলে
বল প্লিজজজ।
'শোন আমি একজন পুলিশ আবার গোয়েন্দাও বলতে
পারিশ আমার কাজ হচ্ছে এই সমাজের খারাপ
মানুষ গুলাকে শেষ করা।
'ওহ কিন্তু আব্দুল স্যারের সঙ্গে কি সমস্যা।
'আমি ওর বাবাকে হত্যা করেছি।
কারন ওর বাবা একটি খারাপ লোক ছিলো।
'বুজলাম। কিন্তু তুই এখন পযর্ন্ত এই পৃথিবীতে বেছে
আছিস কিভাবে সেইটা বল।
'কেনো।
'কারন আব্দুল স্যারের বাবা-মাকে যদি কেউ একটি
গালি দেয়। সেখানেই তার মৃত্যু চলে আসে।
কিন্তু তুই ওনার বাবাকে মে/রে ফেলার পরেও তোকে বেছে রেখেছে এটাই ভাবনার বিষয়।
'ওহ।
'তুই জানিস এই রুমে আমাকে কেনো পাঠানো হয়েছে।
'নাহ জানিনা।
'তোকে ধর্ষন করার করার জন্যে আমাকে
এই রুমে পাঠানো হয়েছে। আবার ধর্ষনের পরে তোকে
মে/রে ফেলতেও বলেছে?
'কি বলিশ এই সব।
'হ্যাঁ।
(প্রিয় পাঠক পাঠিকা অনেকেই ভাবতে পারেন
এই সিয়াম টা আবার কে? সে কিভাবে চৈতিকে চিনে।
আসলে সিয়াম ও চৈতি একোই কলেজে
পরাশোনা করেছে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো তারা best friend ও ছিলো।
এই অনুপাতে একে আপরকে চিনে! আশা করি
সবাই বুজতে পেরেছেন)
'সিয়ামের কথাটি শুনে চৈতি সিয়ামকে
জিঙ্গেস করলো "সিয়াম তুইকি আমাকে এখন ধর্ষণ করবি?
'আরে-না কি বলিশ এই সব। তোর সঙ্গে কি এমন কাজ
আমি করতে পারি বল।
'আমাকে একটি সাহায্য করবি।
'কি সাহায্য বল।
'আমাকে এখানে থেকে বের হওয়ার উপায় বলে দে।
আমি এখানে থেকে পালিয়ে যাবো।
প্লিজজজজজ না করিশনা।
'চৈতির কথাটি শুনে সিয়াম নিশ্চুপ হয়ে
ভাবতে থাকে কি করবে এখন।
বেশ কিছুক্ষন চিন্তা করার পরে সিয়াম বললো।
'তোকে আমি সাহায্য করতে পারি। কিন্তু পরবর্তীতে
যদি ধরা পরিশ আমার কথা বলতে পারবিনা।
কারন যদি আব্দুল স্যার জানে আমি তোকে পালিয়ে
যেতে সাহায্য করেছি তাহলে আমি শেষ।
'তুই চিন্তা করিশনা। আমি এই কথাটি কাউকে বলবোনা! বিশ্বাস রাখতে পারিশ কিন্তু আমার উপরে।
'কথাটি কিন্তু মাথায় রাখিশ।
'হুমমম এখন বল আমাকে কিভাবে পালাতে হবে
এই স্থান থেকে।
'সব কিছুই বলবো তুই আগে পোশাক পরেনে? (কথাটি বলেই সিয়াম চৈতির পোশাক গুলা ওর দিকে ছুরে দিলো)
'পোষাক পরা শেষে'
'এখন বল কি করতে হবে আমাকে।
'তুই মা-রা যাওয়ার নাটক কর।
'কেনো।
'কারন আমি আব্দুল সার এবং সবাইকে বলবো চৈতিকে আমি ধর্ষন করেই মে/রে ফেলেছি।
এখন বাহির গিয়ে মাঠি দিয়ে আসি।
'সত্যিরে তোর মাথায় অনেক বুদ্ধি।
'বুদ্ধি না থাকলেকি আব্দুলের মতো সন্ত্রাসীর সঙ্গে
কাজ করতে পারি বল।
'সেটাও ঠিক বলেছিস।
'আমি ঠিকেই বলি সব সময়।
'আচ্ছা একটি প্রশ্ন করি তোকে। প্লিজজ সত্যি
উত্তর টাই দিবি আমার।
'হ্যা বল।
'আব্দুলের সঙ্গে কি কোন ছোট্ট বাচ্ছা আছে।
ধর ১৫/২০ দিন বয়স হয়েছে।
'আরে তুই কেমন করে জানিস আমাদের স্যারের কাছে
একটি বাচ্চা আছে।
'তার মানে ওর কাছে বাচ্চাটি এখনো আছে।
'হুমমমম আছে।
কিন্তু একটি কথা কি জানিস। স্যার কখনো বাচ্ছাদের
দেখতে পেতোনা।
আবার সব বাচ্ছার কিডনি,চোখ'রক্ত এই সব বের
করে নিয়ে বিক্রি করতো বাট এই বাচ্চাটিকে এতো আদর করতেছে কাহিনী বুজলাম না।
'এই বাচ্ছাটি আমার।
'কীইইইইই।
'হ্যা আব্দুল একদিন আমাকে রাস্তার ধারে পাগলি মনে করে ধর্ষন করেছিলো।
তার পরে এই বাচ্ছাটির জন্ম।
'তার মানে আব্দুল স্যার ওই বাচ্ছার বাবা আর তুই মা।
'হ্যা। কথাটি আর কাউকে বলিশনা আবার।
নাহলে অনেক সমস্যা হবে।
'আরে বলবোনা।
তুই এখন শুয়ে পর তোর হাত পা বেধে আমি
নিয়ে যাবো।
'ঠিক আছে। (কথাটি বলেই চৈতি শুয়ে পরলো এবং সিয়াম তার হাত পা বেধতে শুরু করলো)
'শোন চৈতি সুন্দর ভাবে অভিনয় করবি।
কারন যদি ধরা পরি তাহলে তুইও শেষ আমি শেষ কিন্তু
'বুজতে পেরেছি।
'এর পরে সিয়াম সুন্দর ভাবে চৈতির হাত পা বেধে
বাহিরে বের করে।
'বাহিরে বের করার সঙ্গে সঙ্গে সবাই জিঙ্গেস করে। "আরে ওকে এইভাবে বেধ রাখছো কেনো।
এখন পযর্ন্ত আমরা কিচ্ছু করিনাই।
'আরে ভাই তোমরা কি করবা। সেতো আমাকেই সজ্য করতে পারেনি।
তার আগেই মারা গিয়েছে।
'কিইইই মারা গিয়েছে।
'হ্যাঁ মারা গিয়েছে। বিশ্বাস না হলে এসে দেখে যাও
তোমারা সবাই।
'আরে এই ভাবে বলার কি আছে।
আমরা তোমাকে সবাই বিশ্বাস করি বুজছো।
'হুমমম।
'আচ্ছা এখন এই লাশটি কি করবা সেটাতো বললেনা।
'কি আর করবো। বাহিরে বা কবর স্থানে গিয়ে
একটি গর্ত খুরে মাঠি দিবো।
'ওহ ঠিক আছে নিয়ে যাও তাহলে।
'সবার কাছে অনুমতি নিয়ে যেইনা আসতে যাবে।
এমন মুহূর্তে আব্দুল কোথা থেকে যেনো এসে
বলতে লাগলো।
'সিয়াম সত্যি কি ও মারা গিয়েছে নাকি মরার মিথ্যা
অভিনয় করতেছে।
'স্যার সত্যি মারা গিয়েছে। আপনি চাইলে চেক
করতেও পারেন।
'চেক করার দরকার নেই।
কিন্তু তুমি ওকে পোশাক পরাইছো কেনো এইটা খুব জানার ইচ্ছে হচ্ছে আমার।
'স্যার মানুষ মারা গেলে তাকে কিছু একটি পরাতে হয়।
তাই ওর পোষাক গুলাই আমি পরিয়ে দিয়েছি।
এছাড়া কিচ্ছুনা।
'ওহ। তোমার মনে দেখি ভালোবাসাও আছে।
যাই হোক ওকে এমন জায়গাই পুতে রাখবে যেনো একটি প্রানিও জানতে না পারে।
'ঠিক আছে স্যার।
'এর পরে সিয়াম কোন ভাবে আব্দুলের গোপন স্থান বা জায়গা থেকে বাহিরে নিয়ে আসে চৈতিকে।
বাহিরে নিয়ে এসে একটি মাইক্রতে করে একটি বাড়িতে নিয়ে আসে।
ওই রকম হাত পা বাধা অবস্থায়।
'বাড়িতে আসা মাত্রই চৈতি বলে "সিয়াম হাত পায়ের
বাধন গুলি এখন খুলে দে আমার কষ্ট হচ্ছে।
'চৈতির এমন কথা শুনেই সিয়াম হাহহা।হাহাহ। হাহ করে হাতে থাকে। যা দেখে চৈতি আবার জিঙ্গেস করে।
'কি হলো সিয়াম তোর আবার।
'তুই কী ভাবেছিস আমি তোকে ছেরে দিবো
এতো সহজে।
ভুলে গিয়েছিস অতিতের কথা।
'মানে।
'তুই আমাকে.............
চলবে....
১৪ পর্ব লিংক 👇
0 Post a Comment:
Post a Comment