গল্প- ভয়ংকর চাহনি ( পর্ব-০৩)

 

00000

গল্প- ভয়ংকর চাহনি ( পর্ব-০৩)

লেখক- Riaz Raj




111111

----------------------

মেহেদি একটা ছুরি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।চোখ প্রচণ্ড লাল।মুখ পচাগলা হয়ে আছে।মেহেদির চোখ গুলো খুবি ভয়ংকর। এক ভয়ংকর চাহনি তার চোখে।শুভও জোরে এক চিৎকার দিয়ে উঠে।


এদিকে মেঘা ওয়াশরুমে আকাশকে দেখে পিছু দৌড়াতে চেষ্টা করলো।আখির গলার কন্ঠে আকাশ কিভাবে ডাকতে পারে।মেঘা পালাতে চেয়েও পারেনি যেতে।পা দুটো যেনো কেও শক্ত করে বেধে দিয়েছে।মেঘা জোরে এক চিৎকার দেয়। মেঘার চিৎকারে জেগে যায়, সাদিয়া,রশনী,আর সুমাইয়া।ওরা বিছানা ছেড়ে সবাই ওয়াশরুমের দিকে এগিয়ে আসে।ওয়াশরুমে আসতেই ওরা দেখে মেঘার বুকে কেও শতশত ছুরির আঘাত করে রেখেছে।কেও যেনো মেঘার বুকে ছুরি মেরে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। রক্তাক্ত হয়ে পড়ে আছে মেঘার বডি। মেঘার এমন অবস্থা দেখে রশনী,সাদিয়া আর সুমাইয়া চিৎকার দিয়ে উঠে।তাদের চিৎকারের শব্দ পুরো গার্ল হোস্টেল কাপিয়ে দেয়।সবাই বরাবরের মতো তাদের দরজার সামনে চলে আসে। ভিতর থেকে কোনো সাড়াশব্দহীন নেই। দরজায় বাহির থেকে আঘাত করতেই দরজা খুলে যায়। সবাই রুমের ভিতর ঢুকে দেখে,সবাই ফ্লোরে পড়ে আছে। কারো হাত-পা কাটা।কারো শরীর থেকে মাথা আলাদা। কারো বুকের উপর এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাত।


এদিকে শুভ দরজার বাহিরে মেহেদিকে দেখে আবার দৌড়ে রুমে ঢুকে যায়। এরপর রাকিবকে ধাক্কা দিয়ে বিছানা থেকে টেনে নামায়। শুভ কিছু বলার আগেই রাকিব বলল,

- আরেহ,গার্ল হোস্টেল থেকে কিসের হৈচৈ আসছে? চল জলদি গিয়ে দেখি।

শুভ আর কিছু না বলে রাকিবের কথায় সায় দেয়।রাকিব দরজা খুলে বের হয়।শুভ খেয়াল করে দরজায় মেহেদির আত্মা নেই।ওরাও সবার মতো দৌড়ে যায় গার্ল হোস্টেলে। রাকিব আর শুভ হোস্টেলে যেতে যেতে ওখানে লোকের ভিড় জমে গেছে। শুভ আর রাকিব লাশগুলো এক পলক দেখে আবার ফিরে আসে।এতো ভয়ংকর আর হিংশ্র কে হতে পারে।প্রশ্ন সবার মুখে মুখে।পুলিশ হাজারো তদন্ত চালিয়ে ফলাফল শূন্য পাচ্ছে। কেস বন্ধ হয়ে যায় প্রমানের অভাবে।  এইটা নতুন কিছু নয়। এরকম হাজার কেস বন্ধ হয়ে এসেছে।কেও টাকার জোরে বেচে যায়,কেও পাওয়ার খাটিয়ে স্বাধীন হয়ে যায়। সঠিক বিচার পায়না অনেক অসহায় মানুষ।ধর্ষণের বিচার হয়না কোটিপতি বাবার ছেলেদের।খুনের বিচার হয়না পাওয়ার হাতে থাকা লোকদের।আদালত যেনো মনে মনে বলে," বিচার চাহিয়া লজ্জা দিবেন না"।

2222222

তাদের জন্য এরকম কেও নিশ্চয় দরকার।যারা অদৃশ্য, যারা ঝাপসা হয়ে থাকে।যাদের স্পর্শ করার সুযোগ থাকে কিন্তু করতে পারেনা।তারা ছায়া।তারা অন্ধকার জগতে কালোমানব।হোক তার সাইকো।বিচার তো করবে সঠিক।

- এই রাখ তো? কিসব বলে যাচ্ছিস। কথার আগামাথা কিছুই নেই তোর।তোর এই রহস্যময় কথাগুলো সব সময় আমার মাথার কোনদিক দিয়ে যেনো যায়।

- কেন। খারাপ কি বললাম।তোর হোস্টেলে মেহেদির সাথে যে কাজটা হয়েছে।হতে পারে সেটা কোনো এমনি মানব।যে আড়াল থেকে বিচার করে। মেহেদি অপরাধী ছিলো।সাথে তোরাও অপরাধী। তোদের সাহায্য করলে তো আমিও ফেসে যেতে পারি।

- রিয়াজ, এইভাবে কেনো বলছিস। তোকে গ্রাম থেকে এখানে এনেছি এসব বলার জন্য? আমরা মানছি আমাদের ভুল হয়েছে।কিন্তু মেহেদি তো ভুলের মাশুল দিয়েছে।আমার মনে হয় তুই আমাদের বাচাতে পারবি।

- আচ্ছা? আজ অব্দি আমাকে কোনো ভূত প্রেত বশ করতে দেখেছিস? আমি কি করে তোদের বাচাবো? এখানে এসে তো এখন আমার নিজেরি ভয় হচ্ছে।আমি জীবন নিয়ে যেতে পারবো কিনা কে জানে।

- তোকে ছোট বেলা থেকে চিনি আমি।খুবই সহজ সরল, কিন্তু রহস্যময়।তোর ছোটবেলার কথা মনে আছে? একটা পাখি তোর সাথে কথা বলেছিলো? তুই তোর আম্মুকে বলিস নি। সে পাখি তোকে বলেছিলো দরকার হলে ডাক দেওয়ার জন্য। আজ তো আমরা বিপদে।তাকে একটু স্বরণ কর ভাই প্লিজ।

-  ওহ শিট! এই কথা আমার মাথায় আগে কেনো আসেনি। তাহলে তো সেদিনের রহস্য খুজে পেতাম।

- কিসের রহস্য?

- কয়দিন আগে আমার সাথে এক অলৌকিক ঘটনা ঘটে।খুব অদ্ভুত ঘটনা। একটা অদ্ভুত মেয়ের সাথেও দেখা হয়।মেয়েটি অনেক রহস্যময়ী। ( সম্মানিত পাঠক বৃন্দ।রিয়াজের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে একটা গল্প আছে।যেটা এই গল্পের সিজন-১ নামে পরিচিত।যারা পড়েনি। তারা গল্পের লিংক গ্রুপ গুলোতে গল্পটার নাম লিখে চেয়ে নিন।গল্পের নাম "ইভিল মিস্ট্রি 

"। লেখক আমি নিজেই) 

333333

- তো আমাকে খুলে বল? কি হয়েছিলো?

- বাদ দে না। এখন শুন। তোদের ঝামেলাটা নিয়ে কথা বল। গুগোল সার্চ করি চল।কোনো এক কবিরাজের কাছে গিয়ে আমরা মেহেদির আত্মাকে হাজির করাবো।এরপর তাকে জিজ্ঞেস করবো তার ইচ্ছে কি।সে কেনো ফিরে এসেছে।আর কেনো এসব করছে।

- এরকম কবিরাজ আদৌ কি আছে?

- আলী বাবা নামক এক জ্যোতিষী আছে।আমি উনার পেজ ফলো করি সব সময়।চল উনার কাছে যাই।যতদূর জানি গাজীপুর চৌ-রাস্তার উত্তরে উনার বাসা। গিয়ে কাওকে জিজ্ঞেস করে নিবো।

- তো এখুনি চল?

- কি বলিস। রাত ৮ টা বাজে এখন।

- এদিকে জীবনের ১২ টা বাজতে চলছে। চল।

- ওকে।


রিয়াজ, রাকিব আর শুভ রওনা হয় গা

জীপুর। যানজট অতিক্রম করে প্রায় ৩ ঘন্টা পর তারা গাজীপুর পৌঁছায়। রাত ১১:৪৭ মিনিট। অনেক কষ্টে তারা আলী বাবার ঠিকানা বের করে।বাসায় ঢুকতেই আলী বাবার এক কর্মচারী দরজা খোলে। এরপর রিয়াজ আলী বাবার সামনে গিয়ে বলল,

- ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এতো রাত বিরক্ত করার জন্য।আসলে আমি চাইনি এতো রাতে আসতে।কিন্তু পরিস্থিতি বাধ্য করছে।ক্ষমার চোখে দেখবেন।

- তোমার আসার কথা আমি আগেই জানতাম। ১০টায় ঘুমিয়ে যাই আমি।কি হয়েছে তোমাদের সব জানি আমি। বসো নিছে। 

রিয়াজ, শুভ আর রাকিব ফ্লোরে বসে পড়ে।অবাক হয়ে যায় তারা। এই আলী বাবা মিছে কোনো জ্যোতিষী নয়,তা বুঝা যাচ্ছে।কর্মচারী একটা মোমবাতি জ্বালায়।এদিকে লাইট অফ করে দেয় আরেকজন।রুম অন্ধকার। একটা মোমবাতির আলোয় রুমটা কোনোভাবে উজ্জ্বল হয়ে আছে। উনি চোখ বন্ধ করে রিয়াজদের উদ্দেশ্যে বলল।

- মোমবাতি নিভে গেলে পুরো রুম অন্ধকার হয়ে যাবে। এই রুমে মোট ৩ টা আত্মা আসবে। 

উনার কথা শুনে রিয়াজ বলল,

- ৩টা কেনো? আমরা তো শুধু মেহেদির আত্মার সাথে কথা বলতে চেয়েছি।

- আত্মারা আসলে বুঝে যাবে তোমরা। এখন সবাই সবার হাত ধরো শক্ত করে। আর হ্যা,আত্মার সাথে যেকোনো একজন কথা বলবে। 

- আমি নিজেই বলবো সমস্যা নেই।

- ঠিক আছে।


আলী বাবা বিড়বিড় করে কিছু পড়তে শুরু করে।রিয়াজ, শুভ আর রাকিব আলী বাবার দিকে তাকিয়ে আছে।রুম ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে শুরু করেছে।পরিস্থিতি বদলানো শুরু হয়েছে। এইবার সবার ফোকাস হচ্ছে মোমবাতি। মোমবাতি যেকোনো সময় নিভে যেতে পারে।আর রিয়াজের প্রশ্নের ঝুড়ি ছুড়তে হবে তখন।দেখতে দেখতে টুপ করে মোমবাতি নিভে যায়। রিয়াজ কিছুই দেখতে পায়না।তখনি রুমের কোনো কোনা থেকে মেহেদির গলার আওয়াজ ভেসে আসলো।

- আমাকে ডাকা হয়েছে কেনো?

রিয়াজ মেহেদির গলা শুনেই উত্তর দিলো,

- আপনার সাহায্য দরকার আমাদের।যদি আপত্তি না থাকে তাহলে বলবো?

- বলতে পারো।

- আপনি তো মারা গেছেন।তবে ফিরে এলেন কিভাবে?

- তোমরা ডেকেছো তাই।

- কিন্তু শুভ আর রাকিবকে বিরক্ত কেনো করেছেন?

- ওটা আমি নই।আমি কাওকে বিরক্ত করছিনা। মৃত্যুর পর কেও ফিরে আসতে পারেনা।আত্মাদের ডাকতে হয়।তারপর তারা হাজির হয়।

- তবে ওরা কাকে দেখেছে?

- তা একটা রহস্য। তোমাকে খুঁজতে হবে সেটা। 

- আত্মাদের আমি কিভাবে খুঁজবো।

- তারা আত্মা নয়। মৃত মানুষ কখনো ফিরে আসেনা। যারা আমাদের রুপ নিয়ে এসব করছে,তাদের খুঁজতে হবে তোমাকে।একটা কথা বলি তোমাকে।এই সব কিছু কারো ইশারায় হচ্ছে।আমাদের মাথায় ধর্ষনের চিন্তাটা আমাদের ইচ্ছেতে নয়।তা কারো ইশারায় হয়েছে।এখন যা কিছু হচ্ছে,সব তার ইচ্ছেতে হচ্ছে। আর আসল কথা এইটাই।তোমার জন্ম সাধারণ ভাবে হয়নি,আর তুমি সাধারণ কেও নাহে।তুমি এমন একজন লোক,যে ছদ্মবেশী এক ছায়া। 

- আমি আপনার কথা ঠিক বুঝলাম না।

রিয়াজের কথায় আর মেহেদি উত্তর দেয়নি।এইবার একটা মেয়েলি কন্ঠ ভেসে আসে।

- আমাকে কেনো ডাকা হয়েছে।

- আপনি কে আবার।

- আমি আখি।কয়দিন আগে মৃত্যু হয়েছে আমার।

- আপনি এসেছেন কেনো? আপনাকে দিয়ে কি করবো।

- কারণ তোমার সাথে জড়িত আমরা। তোমার সূত্র থেকে আমাদের জন্ম। 

- কিসের সূত্র?

- তোমার মুখে কোন কথাটা বেশি বিরাজ করে? 

রিয়াজ কিছু বলতে চেয়েও,বলতে পারেনি।অটোমেটিক তার মুখ থেকে সেই প্রবাদটা বের হয়ে যায়।

- কিছু মুহূর্তে এমন কিছু ঘটনা সামনে ভেসে উঠে,তা বুঝে নিতেই লাগে রহস্য। রহস্য দিয়ে শুরু কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে রহস্য দিয়েই।আবার রহস্য দিয়ে চলতে থেকে,হটাৎ রহস্য নিয়েই শেষ হয়। রহস্য নিয়ে শেষ হওয়া ঘটনা কোনো একদিন আবার রহস্যরুপে শুরু হয়। আবার চলতে থাকে রহস্য।নিয়তি এমনই।শেষ থেকে শুরু আর শুরু থেকে শেষ করে।তার অস্তিত্ব নামক একটা শব্দ হচ্ছে রহস্য।

- এইটাই।এই সূত্র থেকে আমাদের জন্ম।আর সূত্রের জন্মদাতা তুমি নিজেই।এই সব কিছু আমাদের নয়, বরং কারো ইশারায় হচ্ছে।

- কিন্তু সে কে? কে এমন ইশারা করছে।নাম কি তার? 

আগের মতো এইবারও মেয়েলী কন্ঠে অন্য আত্মা জবাব দিচ্ছে।

- আমাকে ডাকা হয়েছে কেন?

- আপনি কে আবার।

- আমি মিম। মেহেদি, শুভ আর রাকিব আমাকে ধর্ষণ করেছিলো।

- ও আচ্ছা! তারমানে সব আপনার ইশারায় হচ্ছে?

- না। আমার ধর্ষণটাও কারো ইশারায় হয়েছে। প্রতিশোধ আমি নিতে পারবোনা।কারণ আত্মারা প্রতিশোধ নিতে আসেনা। তুমি এগিয়ে যাও। তোমার বাড়িতে সব রহস্য লুকিয়ে আছে। তুমি চেষ্টা করো। আমাদের সাথের ঘটনা কিছু নয়।এইটা ছোট একটি নমুনা।  সব কিছু তোমাকে ইঙ্গিত করে হচ্ছে। তুমি মানুষ নয়। মানুষ রুপী এক ছায়া।

- কিন্তু কার ইশারায় হচ্ছে বলবেন তো।

444444

আর কোনো জবাব আসেনি। হটাৎ আলী বাবা এক চিৎকার দেয়। সাথে সাথে কর্মচারী লাইট অন করে। লাইটের আলোয় রিয়াজ,রাকিব আর শুভ যা দেখেছে,তা কাল্পনাতেও ছিলোনা তাদের। আলী বাবার দেহে কেও নখের আছড় দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে।উনার নাক থেকে রক্ত ঝরছিল।  অনেক কষ্টে উনি বলল,

- রিয়াজ,তুমি জাগাও তোমার ভিতরের সত্বা টাকে।সে ঘুমিয়ে আছে। যতদিন সে ঘুমিয়ে থাকবে,ততদিন বিপদ বাড়তে থাকবে। বাচাতে হবে সবাইকে।তুমি জগিয়ে তোলো।জাগিয়ে তোলো তাকে।

বলেই আলী বাবা ফ্লোরে পড়ে মারায় যায়। ওরা তিনজন অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে উনার দিকে।কর্মচারী রিয়াজের উদ্দেশ্যে বলল,

- আলী বাবা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় মৃত্যুবরণ করেছে। কবর দেওয়ার সময় তিনি জেগে উঠেন হটাৎ করে।আর বলেছে আপনারা আসবেন,আর আপনাদের কাজ করে সে আবার মৃত্যুবরণ করবে।

- কিহহ,কেও জানেনা এইটা?

- না।উনি নিজেই বলেছিলো।উনি মোট দুইবার মৃত্যুবরণ করবে।আর প্রথম মৃত্যুর সংবাদ যেনো আমরা কর্মচারীরা ছাড়া কেও না জানে।তাই গোপন রেখেছিলাম আমরা।


চলবে.............

555555



গল্প- ইভিল মিস্ট্রি - Evil mystery ( পর্ব-০৩ ও শেষ)

 গল্প- ইভিল মিস্ট্রি - Evil mystery ( পর্ব-০৩ ও শেষ)  

লেখক- Riaz_Raj


111111


-----------------------------

রিয়াজের ঠোটের উপর থেকে,দুইটা দাত বের হয়ে এসেছে।দেহের সাইজ আগের থেকে বড় হয়ে গেছে।৬ ফুটের উপরে থাকা রিয়াজ হটাৎ প্রায় ১২ ফুট লম্বা হয়ে গেছে।রশনী ভয়ে কপতে লাগলো।রিয়াজ ভয়ংকর গর্জন ছেড়ে রশনীর দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।এক মুহূর্তের জন্য রশনীর মনে হচ্ছে,একটা নেকড়ে মানব তার দিকে তেড়ে আসছে।


রশনী চোখ বন্ধ করে জোরে চিৎকার দিতে লাগলো।তার গলার স্বর পুরো গুহা জুড়ে ছুটাছুটি করছে। এর মধ্যেই একটা বিকট শব্দ রশনীর কানে বাধে।রশনী বুঝতে পারে পুরো গুহা স্তব্ধ হয়ে গেছে।

ধীরে ধীরে রশনী চোখের পাতা খোলে। আর দেখতে পায় শুধু একটা প্যান্ট পরিহিত মানব তার সামনে শুয়ে আছে। যেনো উপর থেকে কেও পড়েছে।রশনী বুঝতে পারে এইটা রিয়াজ। এগিয়ে যাবে নাকি পালাবে সেটাই ভাবছে সে। কিন্তু রিয়াজ মাটিতে কেনো শুয়ে আছে। রশনী মনে সাহস নিয়ে রিয়াজের দিকে এগিয়ে যায়। রিয়াজ মাটিতেই শুয়ে আছে। এদিকে গুহার দেয়ালে আগুন জ্বালিয়ে থাকায়,স্পষ্ট দেখা যায় সব। রশনী গিয়ে রিয়াজের পিট স্পর্শ করতেই অনুভব করে তার পুরো দেহ গরম হয়ে আছে।অতিরিক্ত গরম। রশনী আবার ছুটে যায় সেই পুকুর পাড়ে।আর হাতের খোলসে করে একটু পানি নিয়ে আসে। রিয়াজের সামনে বসে রশনী সব পানি রিয়াজের মুখে ফেলে।কিছুক্ষণ পর লাফ মেরে উঠে রিয়াজ।রিয়াজের এমন হটাৎ জেগে উঠাতেও ভয় পায় রশনী।  এরপর রিয়াজ বলল,

- কি হয়েছিলো।দানবটা শুয়ে আছে কেন? আপনি মেরেছেন?

22222

- দানবকে দানব শুইয়েছে।

- বুঝলাম না।

- অভিনয় করছেন? আমি দেখেছি আপনার রুপ। এখন মিথ্যে বলে লাভ কি।

- অদ্ভুত তো! কিসের মিথ্যে আর কিসের রুপ।

রশনী রিয়াজের কথায় কিছু রহস্য বুঝতে পারে।হয়তো নিজের সেই ভয়ংকর রুপের কথা রিয়াজের অজানা।তাই রশনী আবার বলল।

- আপনার সত্যি কিছু মনে নেই?

- আছে। দেখেছি একটা দানব।আর তারপর চোখ মেলে দেখি আপনি সামনে।এর বাহিরে কি হয়েছে।

- আপনি কি জানেন? আপনি নিজে একটা দানব?

- হাহাহা। এতো সুন্দর জোক্স পারেন আপনি? কিন্তু সরি। পকেটে এখন একটাও কানাকড়ি নেই। ইনাম দিতে পারলাম না।

- আজব তো।মজা করছেন আপনি? সত্যিই আপনি দানব।হটাৎ দানব হয়ে গিয়েছিলেন।আপনার শার্ট ছিড়ে গেছে।

- শার্ট নেই তা তো আমিও দেখছি।কিন্তু আপনি ছিঁড়েন নি তো?

- কিসব বলছেন।আমি সত্যিই দেখেছি আপনার দানব রুপ।

- আচ্ছা মেনে নিলাম আমি দানব হয়েছি।তো আপনাকে ছেড়ে দিলাম কেন।

- আমিও বুঝতে পারছিনা।

- শার্ট ছাড়া ভালো লাগছেনা।আপনার গেঞ্জিটা দিন।

- মানে? আমি কি পড়বো?

- তাও তো কথা।আচ্ছা চলুন।এগিয়ে যাই।এখান থেকে বের হতে হবে।

33333

রিয়াজ আর রশনী আবার এগিয়ে যেতে লাগলো।রশনীর কথা রিয়াজ মোটেও বিশ্বাস করেনি।রিয়াজ ভাবছে রশনী নিজেই হয়তো দানব মেরে এখন নিজের পরিচয় লুকাচ্ছে।যাইহোক, বেচে গেছে এইটাই বেশি। তাই রিয়াজ চুপচাপ হেটে চলছে। কিছুদূর যাওয়ার পর ওরা দেখে সামনে আরেকটা দরজা। রিয়াজ বলল,

- আবার কোন দানব আছে কে জানে। আপনি দরজা খোলেন।আমি তো ভুলের মনেও যাচ্ছিনা।

- আরেহ,কেমন মানুষ আপনি? আমাকে একা ছেড়ে দিতে চাচ্ছেন?

- একা কই।দৌড়ে পালানোর জন্য তো আমি আছিই।

রশনী এইবার শিওর। রিয়াজ হয়তো তার অলৌকিক সেই শক্তির কথা জানেনা।তবে রশনী নিজে এইবার সাহস পেয়েছে।বিপদ আসলে হয়তো রিয়াজ এমনিই দানব হয়ে যাবে।তাই নিজে গিয়ে দরজা খুলতে যাচ্ছে রশনী।কিন্তু সিস্টেম এবার অন্য রকম। কোনো পুতুল বা পাথর নেই। রশনী রিয়াজকে ডাক দেয়।রিয়াজ আসার পর বলল,

- দরজা যেহেতু আছে,সিকিউরিটি নিশ্চয় আছে। আর আনলক করার একটা উপায় তো আছেই। খুঁজুন। রহস্য এখানেই কোথাও।

- কিসের রহস্য? 

- আমার বাবার ডায়েরিতে একটা প্রবাদ আছে। 

- কেমন।

- কিছু মুহূর্তে এমন কিছু ঘটনা সামনে ভেসে উঠে,তা বুঝে নিতেই লাগে রহস্য। রহস্য দিয়ে শুরু কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে রহস্য দিয়েই।আবার রহস্য দিয়ে চলতে থেকে,হটাৎ রহস্য নিয়েই শেষ হয়। রহস্য নিয়ে শেষ হওয়া ঘটনা কোনো একদিন আবার রহস্যরুপে শুরু হয়। আবার চলতে থাকে রহস্য।নিয়তি এমনই।শেষ থেকে শুরু আর শুরু থেকে শেষ করে।তার অস্তিত্ব নামক একটা শব্দ হচ্ছে রহস্য।

- এইটার সাথে দরজার কি মিল? 

- রহস্য এখানেও। আমাদের এখানে আসাটা একটা রহস্য।যা এখনো জানিনা আমরা।রহস্য নিয়েই চলছি আমরা।আবার রহস্যের মধ্যেই শেষ হবে। তা খোঁজে বের করাই সফলতা। নিশ্চয় আশেপাশে একটা ক্লু আছে।খুঁজুন।

- হতে পারে এই দরজার সিকিউরিটি ওপাশ থেকে সেট করা।

- গুহা দেখে সাধারণ তো মনে হচ্ছেনা। দুইদিকেই সিকিউরিটি আছে।চলুন এক সাথে খুঁজি।


রিয়াজ আর রশনী দরজার দুইপাশ খুঁজতে শুরু করে। তখনি রিয়াজ বলল,

- দেখো,এখানে কিসের যেনো একটা চিত্র আছে।

রশনী দৌড়ে আসে চিত্র দেখার জন্য।এসেই রশনী অবাক হয়ে যায়। চিত্রটা একটা দানবের মুখের। বড় বড় দাত আর ভয়ংকর চোখের চিহ্ন। রশনী বলল,

- এইটা কিভাবে হতে পারে?

- কেনো?  কি হয়েছে?

44444

- আমি বুঝে গেছি।আমাদের এখানে আসাটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো।অর্থাৎ কেও একজন আমাদের এসব পরিস্থিতিতে ফেলেছে। কারো ইশারায় হচ্ছে এসব।আপনার কথা সত্য। রহস্য আছে এখানে।

- চিত্রটা দেখে অবাক হচ্ছেন কেন?

- কারণ এই একই রকম চিহ্ন আমার বুকে আছে।

- মানে? দেখি? 

- কি? লজ্জা নেই নাকি আপনার।

- ও সরি।এতো গভীরে চিত্র থাকবে আমি জানতাম নাকি।কিন্তু আপনি লাগিয়েছেন কেন এইটা।

- এই চিহ্ন জন্মের পর থেকেই এখানে।বুকের ডান পাশে। তবে একেবারে গভীরে না।উপরেই আছে।

- তো এখন এর কাজ কিভাবে করবেন।

- আমি বুঝতেছিনা।

এইটা বলে রশনী আবার সেই চিহ্ন দেখতে লাগলো। দেখতে দেখতে এক পর্যায় চিহ্নটির কাছে যায় রশনী। তখনি অদ্ভুত ভাবে রশনীর বুকের চিহ্নটি জ্বলে উঠলো।সাথে সাথে দেওয়ালের চিহ্নটিও জ্বলে উঠে।যেনো জেগে উঠেছে চিত্রটা।রিয়াজ বলল,

- কিছু একটা হতে যাচ্ছে।সরবেন না। এক কাজ করুন।আপনি বুকের চিত্রটা দেওয়ালের চিত্র বরাবর করুন।দেখুন কি হয়।


রিয়াজের কথায় রশনী দুইটা চিত্র বরাবর করে।আর অদ্ভুত ভাবে দরজা খুলে যায়। দরজার বাহিরে তাকাতেই রিয়াজ আর রশনী খুশিতে লাফ মেরে উঠেছে।ওপাশে জঙ্গল দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ গুহার শেষ এইটাই। ওরা পাগলের মতো ছুটে বের হয় গুহা থেকে।দরজা পেরিয়ে দুজন নাচতে শুরু করে।এরপর পিছনে গুহার দিকে তাকিয়ে দেখে,পিছনে কোনো গুহা নেই।শুধু জঙ্গল আর জঙ্গল।অবাক হয়ে যায় ওরা দুজন। মাত্র তারা গুহা থেকে বের হয়েছে।গুহাটা গেলো কোথায়। দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে।তখনি তারা শুনতে পায়,গাড়ির হর্ন বাজতেছে আশেপাশে। তড়িঘড়ি করে দুজনেই শব্দ বরাবর ছুটতে লাগলো।কিছুদূর গিয়ে তারা দেখে,সামনে হাইওয়ে রোড ।যেখানে গাড়ি চলাচল করছে।মুচকি হাসি দিয়ে উঠে দুজনেই।


- হ্যা মা।সত্যি বলছি।এমন সব অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে।যা কল্পনার বাহিরে ছিলো।

- তুই কেনো গিয়েছিলি ঝগড়া থামাতে।

- মা তুমি বুঝোনা কেন।যা হয়েছে,সব হবারই কথা ছিলো।কেও একজন করেছে এসব।সে সব জানে।কিন্তু কে সে..?

- শুন বাবা।এসব কিছু নয়। হতে পারে কোনো যাদুকর ভুল করে তোদের নিয়ে গেছে।দেখ,তুই এখন আবার বাড়িতে চলে এসেছিস।আজ দুইদিন থেকে তো কিছুই হয়নি। আর রশনী নামক মেয়েটাকে আমার সুবিধা মনে হচ্ছেনা।সে হয়তো করেছে এসব।

- না মা।মেয়েটা নিজেও ভয় পাচ্ছিলো। সেও হয়তো আমার মতো মিষ্টেকে চলে গেছে।আজকাল যাদুকররা এতো ভুল কিভাবে করে।

55555

মেঘা চলে যায় উপরে।রিয়াজ সোফায় বসে আছে।সেদিন গাড়ি পেয়েই রিয়াজ বাসায় চলে আসে।আর রশনীও চলে যায় তার বাসায়।কেও কারো ঠিকানাটাও জানতে চায়নি। কিন্তু যতই মেঘা রিয়াজকে ভুল প্রমাণিত করুক।রিয়াজ জানে,এসব কেও একজন ইচ্ছে করেই করেছে।কারো ইশারায় হয়েছে এসব।কিন্তু রশনী মেয়েটা অদ্ভুত ছিলো।তার গায়ে শক্তি।আবার বুকের চিহ্ন আর গুহার চিহ্নের মিল।হটাৎ ভাঙ্গা বাড়িতে প্রবেশ।সব অদ্ভুত। তবে তার একটা কথা রিয়াজকে খুব হাসাচ্ছে।রিয়াজকে দানব দাবী করাটা হাস্যকর রিয়াজের কাছে।রিয়াজ ভাবলো,মেয়েটা হয়তো রহস্য বাড়াতে গিয়ে বেশিই অবিশ্বাস্য কথা বলে ফেলেছে।কিন্তু বাকি গুলা হিসেব করলে এইটাও সত্য লাগে। কিজানি, রিয়াজ চিন্তা করা বন্ধ করে ফোন টিপছে।


অন্যদিকে রশনী তার বাসায় বসে বসে চিন্তা করছে। একটা মানুষ দানব হয় কিভাবে। 


অন্যদিকে মেঘা নিজের রুমে গিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে যায়। ডিওএমএম এর নজর আবার রিয়াজের উপর পড়েনি তো? 


************** সমাপ্ত************

66666



9:42

 


                          DOWNLOAD


                         Open the video


                             Play know

    

                             HD VIEW



যদি ভিডিও টি ওপেন না হয় নিচের লিংক এ ক্লিক করুন 👇


https//wwwkhslinkopenforvideo.com

পিশাচ সুন্দরী ( পর্ব-০৫)

 গল্প- পিশাচ সুন্দরী ( পর্ব-০৫)


লেখক- রিয়াজ রাজ 



----------------------------------

এদিকে রিয়াজের বাবা মা দৌড়ে আসে। বাহির থেকে দরজা পেটাচ্ছে ওরা। তাজকিয়া দৌড়ে দরজা খুলতে যাবে,তখনি রিয়াজ তাজকিয়ার চুলের মুঠি ধরে জোরে ফ্লোরে আছাড় মেরে দেয়। 


ফ্লোরে সজোরে আছাড় খাওয়ায় তাজকিয়ার মাথা কিছুটা ফেটে যায়। রক্ত বের হয়ে ফ্লোর যেনো ভেসে যাচ্ছে। অন্যদিকে রিয়াজের মা বাবা বাহির থেকে দরজা পিটিয়েই যাচ্ছে। রিয়াজ দরজার কাছে গিয়ে দরজাটা খুলে দিলো। রিয়াজের মা বাবা তাজকিয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফ্লোরে দেখে অবাক হয়ে যায়। রিয়াজের মুখে যেনো কাল বৈশাখীর ঝড় দেখা যাচ্ছে। পুরা মুখ রাগে কালো হয়ে আছে। রিয়াজের মা দৌড়ে তাজকিয়ার কাছে আসে। এদিকে রিয়াজ গেঞ্জিটা হাতে নিয়ে পড়ে নেয়। এরপর রুম থেকে বের হয়ে যায়। রিয়াজের বাবা তাজকিয়াকে কোলে নিয়ে বের হয়ে আসছে। রিয়াজের মা রিয়াজের এমন আচরণ দেখে অবাকই হচ্ছে। তাজকিয়া বেহুশ হয়ে যায়। হসপিটালে নেওয়ার জন্য সবাই তাড়াহুড়ো করলেও,রিয়াজ নিছে এসে সোফায় বসে টিভি অন করে দেয়। অদ্ভুত সব কান্ড রিয়াজের মায়ের সহ্য হয়নি। তাজকিয়াকে নিয়ে রিয়াজের বাবা বাসা থেকে বের হয়ে গেছে। পাশের গলিতেই হসপিটাল আছে। এদিকে রিয়াজের মা রিয়াজকে বলে উঠলো," তুই কি পাগল হয়ে গেছিস? কি হয়েছে তো? তাজকিয়াকে এমনভাবে মারলি কেন? বের হয়ে যা আমার বাসা থেকে"।  রিয়াজের মা কথাটা শেষ না করতেই রিয়াজ হাতে থাকা রিমোট ছুড়ে মারে ওর মায়ের দিকে। কপাল ফেটে যায় উনারও। রিয়াজের মা ব্যাথার থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছে। রিয়াজ শেষমেশ ওর মাকে আঘাত করলো। এইটাও সহ্য হয়নি উনার। উনি আর আর কিছু না বলে সোজা বের হয়ে যায়। রওনা দেয় হসপিটালের দিকে। তাজকিয়াকে আগে সুস্থ করতে হবে। 


ঘটনা এমন এক পর্যায়ে দাড়িয়েছে। যেখানে রিয়াজ না করছে কাওকে পরোয়া।  আর না পাচ্ছে ভয়। ওর মাঝে কি সেই পিশাচ অবস্থান করছে? নাকি আলাদা কোনো মায়া চালিয়ে দিচ্ছে। রিয়াজ এখন আর নিজের কন্ট্রোলে নেই । কিন্তু প্রশ্ন এক জায়গায়, পিশাচটা এমন কেনো করছে। রিয়াজকেই বা কেনো? রহস্য।  প্রতিটি স্টেপে রহস্য হেলছে। যার সমাধান কারো জানা নেই। কারো না। 


এদিকে তাজকিয়ার জ্ঞান ফিরে।  ডক্টর ব্যান্ডেজ করে দেয় তাজকিয়াকে,সাথে রিয়াজের মাকেও। ভয়ে ওরা আর নিজেদের বাড়ি ফিরেনি। তিনজন মিলেই চলে যায় তাজকিয়াদের বাসায়। তাজকিয়ার বাসায় এ নিয়ে সমালোচনাও শুরু হয়। কারণ তাজকিয়া আগেই বুঝতে পেরেছে অলৌকিক কোনো শক্তির হাত আছে। আজকের ঘটনার পর নিশ্চিত হয় সে। এখন আর কারো বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছেনা। সবাই বুঝে গেছে রিয়াজের শরীরে ভূত প্রবেশ করেছে। চিন্তিত পুরো পরিবার। তাজকিয়ার মা বাবা আর রিয়াজের মা বাবা দুই পরিবারই হতাশ ।  এর সমাধান কি? তখনি রিয়াজের বাবা হোসেন সাহেব বলে উঠলো," সামনেই তো মন্টু কবিরাজের দোকান আছে। আমরা কি উনার কাছে যাবো? হয়তো কোনো সমাধান উনিই দিবেন?"।  হোসেন সাহেবের কথায় সবাই সম্মতি জানালো। সাথে সাথেই সবাই বের হয়ে যায়। রিয়াজের বাসা থেকে মন্টু কবিরাজের দোকান দেড় কিলো হলেও,তাজকিয়ার বাসা থেকে মাত্র ৬ মিনিট লাগে । 


রাস্তায় নেমে পড়ে পুরো পরিবার  । সবার চোখে কান্নার ভাব। কেও কাদছে কষ্টে,কেও কাদছে ভয়ে। কারণ রিয়াজের কিছু হলে দুই পারিবারই ভেঙ্গে যাবে । আর এই পরিবার আজ থেকে নয়,গত ৯ বছর যাবত মিলেমিশে আছে। সম্পর্ক শক্ত করার জন্যেই তাজকিয়ার সাথে রিয়াজের বিয়ে ঠিক করেন। কিন্তু এরই মাঝে নেমে এলো এক ধমকা হাওয়া। যা উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে সকল খুশির সাম্রাজ্য।  


মন্টু কবিরাজের দোকানের সামনে আসার পর সবাই দেখতে পায় প্রায় ২০০ মানুষ সিরিয়াল ধরে আছে। এতো কাস্টমার তো কখনো হয়না। আবার খেয়াল করলে দেখা যায়, কারো হাতে ব্যান্ডেজ কারো পায়ে আবার কারো মাথায়। সবার চোখে অশ্রুপাত।  মনে হচ্ছে একই সমস্যায় সবাই পড়েছে। হোসেন সাহেব একজনকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলো। উনি কাদতে কাদতে বলল, " সাহেব। আমগো বহুত বিপদ হইয়া গেছে। আমার পোলায় আমারে মাইরা দেহেন মাথা ফাডাই দিছে। আমার মাইয়ারে ছুরি দিয়া কোপাইয়া খুন কইরা ফেলছে। আমার বউরে লাথি মাইরা ফালাই দিছে। আমার পোলায় বহুত ভালা। ওর গায়ে ভূত ঢুইকা গেছে ।  এহন কবিরাজের কাছে আইলাম। কিন্তু কবিরাজ সকাল ৮ টায় সবাইরে কইলো হেয় নাকি একটা তাবিজ বানাইতাছে। সবাইরে সিরিয়াল ধরতে কইলো। বেইন্না তো আমরা ১৬ জন আছিলাম। এরপর একি সমস্যা লইয়া বাকিরাও আইলো "।  লোকটা কথাগুলো বলে নিজের কপালে নিজেই থাপ্পড় দিতে থাকে আর কান্না শুরু করে। উনার কথা শুনে সবাই কান্না থামাতে পারেনি। সবার চোখে পানি। কিন্তু কি করার, একই পথের পথিক সবাই। কবিরাজ মন্টুর অপেক্ষায় সিরিয়াল ধরে সবাই । 


বিকেল ঘনাঘন হয়ে গেলো। অথচ মন্টু কবিরাজের কোনো ডাক আসেনি। অবশেষে রিয়াজের বাবা কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। উনি সিরিয়াল থেকে বের হয়ে দোকানের দিকে হাটা শুরু করে । সবাই চিল্লাচিল্লি করছে,কারো কথায় কান দেয়নি উনি। সোজা গিয়ে মন্টু কবিরাজের দোকানের দরজায় সজোরে লাথি মারে।আর দরজা ভেঙ্গে পড়ে যায় নিছে। এরপর যা দেখলো,তা সবার জন্য একটা বড়সড় ধাক্কা হয়ে প্রকাশ পায়। কবিরাজ মন্টুর মাথা আলাদা, পা আলাদা,হাত আলাদা হয়ে আছে। যেনো কেও কুচি কুচি করে উনাকে কেটে ফেলে গেছে। উনার এই অবস্থা দেখে দোকানের সামনে আবার কান্নার আওয়াজ উঠে। শেষ যে উছিলা ছিলো, সেটাও হারালো সবাই। কিন্তু লক্ষ করার মতো একটা বিষয় হচ্ছে,রক্ত দিয়ে মাটিতে লেখা ছিলো ০৭ঃ০০।  অর্থাৎ ৭ টার সময়টাকে ইঙ্গিত করে কিছু একটা বলা হয়েছে। 


সবাই আবার আরো একটি আতঙ্কে দিগ্বিদিক হয়ে গেলো। এই ৭ টা কবেকার,আজ সন্ধ্যা ৭টা? নাকি কাল সকালের।  আর কি হবে ৭টায়। কোনো বড়সড় ঝড় আসবে? শেষমেশ আর কোনো উপায় না পেয়ে সবাই মাঠে বসে পড়ে। জীবনের মায়া ছেড়ে দিয়েছে কয়েকজন।  একজন বসা থেকে হুট করে উঠেই বলল," আমার আর কি বাকি আছে। পুরো পরিবার হারালাম। ৭টায় হয়তো সেই অশরীরীর হাতে আমাকেও মরতে হবে। তারচেয়ে বরং এখনি মরে যাই। অন্তত কষ্ট পেয়ে মরতে হবেনা,"।  বলেই উনি রস্তা থেকে একটা লোহা নিয়ে নিজের গলায় নিজেই ঢুকিয়ে দেয়। চিৎচিৎ করে রক্ত উড়ে পড়ে কয়েকজনের মুখে। সবাই চিল্লাচিল্লি করে উনাকে থামাতে চেয়েছে,কিন্তু তার আগেই মারা যান উনি। তার এই কান্ড দেখে আরো দুজন দৌড়ে গিয়ে দেওয়ালের সাথে নিজের মাথা নিজে পিটানো শুরু করে। দুয়েকটা মারার পরই মাথার খুলি ফেটে মগজ বের হয়ে আসে। মারা যান তারাও। এইবার সবাই আরো আতঙ্কিত হয়ে গেলো। হুট করে আবার কে উঠে নিজেকে নিজেই মেরে ফেলবে। সবার ভাবনার মাঝে এইবার রিয়াজের বাবাও দাড়িয়ে যায়। এ বুঝি আরেকজন মরতে যাচ্ছে। 


কিন্তু রিয়াজের বাবা তা না করে সবার উদ্দেশ্যে বলল," দেখুন সবাই। এখানে আমরা কেওই নিরাপদ নয় । সবাই বিপদগ্রস্ত হয়ে আছে। কিন্তু টপিক একটাই। আমাদের ছেলেদেরকে কোনো এক ডাইনী বশ করে নিয়েছে। খেয়াল করলে দেখবেন,কোনো মেয়ের গায়ে সেই ডাইনী প্রবেশ করেনি। কোনো বৃদ্ধ ব্যাক্তির দেহেও না। শুধু যুবক ছেলেদের বশ করেছে। এর কারণ কি? কেও বলতে পারে?"।  রিয়াজের বাবার প্রশ্নের জবাব কারো কাছে নেই। কারণ এইটা একটা রহস্য। যা পূর্বে ব্যাখ্যা করার শক্তি নেই কারো।।ঘটনাস্থলে যা হচ্ছে বা হবে। নিজের চোখে দেখার পর বিশ্লেষণ করার শব্দ পাবে। এর আগে সবাই শুধু দর্শক।  সবাই মাথা নিচু করে ফেলে। রিয়াজের বাবা আবার বলল," জানি উত্তর কারো কাছে নেই। কারণ এমন হবে আমরা কখনো ভাবিনি। হুট করে হয়ে গেছে। এখনো হয়ে আসছে। আর সামনেও হবে। কিন্তু আমরা মানুষ। আমরা হার মানতে পারিনা। জন্মের আগে আমরা যুদ্ধ করে এসেছি। আমরা প্রতিটি মানুষ একেকটা যুদ্ধা। হার কেনো মানবো আমরা? কে পুরুষ, কে মহিলা সেটা ভাবার সময় নেই। আমরা যুদ্ধা,আমরা লড়াই করে যাবো। নিজের জন্য,নিজেদের ছেলের জন্য"।  রিয়াজের বাবার কথায় সবাই হাততালি দেয়। সবাই একত্রিত হয়ে এক কন্ঠে আওয়াজ তুলল," লড়বো, লড়বো,লড়বো"।  একটা শ্লোগান।  কিন্তু শ্লোগানটা শুধুই স্লোগান নয়, সবার মনে এক একটা বিন্দু পরিমাণের শক্তি। রিয়াজের বাবা আবার বললেন," থামুন সবাই। সবাই বুঝতে পেরেছেন এইটাই বেশি। এখানে অনেক পুলিশও আছে। তারাও বিপদগ্রস্ত।অর্থাৎ এখন আমাদের হাতে একটাই পথ খোলা আছে। এই এলাকা থেকে কেও পালাতে পারছেনা। এলাকার সীমানায় একটা মায়াজাল পড়েছে। এ এলাকায় নেটওয়ার্ক ও বন্ধ হয়ে গেছে। তাই অন্য এলাকার বা শহরের মানুষ আমাদের অবস্থার ব্যাপারে জানেনা। আমরা সবাই যার যার বাড়িতে যাই। সন্ধার অপেক্ষা করি । যদি আমাদের মাঠে নামতে হয়,তবে আমরা নামবো। কিন্তু পরিস্থিতি বুঝেশুনে। মনে রাখবেন,যারা মরেছে মরে গেছে। যারা বেচে আছে,অন্তত তাদের বাচাতে হবে। "। 


আকাশটা আজ ভয়ংকর রুপ ধারণ করেছে। বাতাসটা কেমন যেনো হিংস্র হয়ে যাচ্ছে। দেহে স্পর্শ হওয়া মাত্রই যেনো কারো আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সবাই সবার ঘরে অবস্থান করলেও,প্রতিটি মানুষ জানালার পাশে দাড়ানো।  সবার চোখ বাহিরে। সাড়ে ৬ টা বাজে। আর ৩০ মিনিট পর কি হবে,কি হতে যাচ্ছে,সেই দৃশ্য দেখার অপেক্ষা। আরেকটা কথা। যে ছেলেগুলোকে পিশাচটা বশ করেছে,তারা কেওই বাসায় নেই। প্রতিটি ছেলেই গায়েব। তারা কোথায় গেছে সবার অজানা। ঘড়ির কাটা টিকটিক করে এগিয়ে যাচ্ছে। সময় যতটা ঘনিয়ে আসছে, সবার ভিতরে ভয়ের চাপটা বেড়েই যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পরেই ৭টা বাজবে। কি হবে,কি হবে ভেবে সবাই হতাশ। 


৭ টা বেজে গেছে। সবাই বাহিরে তাকিয়ে আছে। কোনো সাড়া শব্দ নেই। বুক ধুকধুক করছে সবার। কিছুই হয়নি,সবাই নির্বাক হয়ে গেলো। জানালা থেকে চোখ সরাতে যাবে, তখনি শুরু হয় ঝড়। 

প্রচুর বাতাস বইতে লাগলো বাহিরে। শুধু প্রচুর না,মাত্রাধিক বাতাস বইতে শুরু করে। বাহিরে যাদের গাড়ি পার্কিং করা ছিলো,গাড়িগুলো বাতাসে উড়ে অন্য বাড়ির সামনে গিয়ে পড়ছে। রাস্তার পাশে কয়েকজনের দোকান পার্ট ভেঙ্গে বাতাসে উড়ে যাচ্ছে । ঘুর্ণিঝড়ের মতো এক পলকে সব উতালপাতাল করে থেমে যায় বাতাস । 

এরপর আচমকা একটা চিৎকার শুনতে পায় সবাই। খুবি ভয়ানক চিৎকার। সবাই তাকায় সেদিকে। আর দেখে,প্রতিটি যুবক ছেলে মাতালের মতো কাদতে কাদতে হেটে আসছে। ওদের গলার স্বর খুবি ভয়ানক হয়ে গেছে। কোনো জন্তুর শব্দের মতো। আর সব থেকে বেশি অবাক করার বিষয় হচ্ছে,সাবার সামনে এবং মাঝে রিয়াজ হাটছে। যেনো সবার লিডার সে। কিন্তু এরা হেটে কোথায় যাচ্ছে। সবাই জানালা দিয়ে শুধু তাকিয়ে কান্ড দেখে যাচ্ছে। তাজকিয়া কান্না করতে করতে বেহুশ হবার অবস্থা ।  এদিকে আচমকা প্রতিটি যুবক মানুষের ঘরের দরজা ভাঙ্গা শুরু করে । এরপর বাসার ভিতর থেকে মহিলাদের বের করে কামড়াচ্ছে। রিয়াজ ও একটা মহিলার ঘাড় ধরে কামড় মেরে দিয়েছে। মহিলার গায়ের রক্তে রিয়াজের মুখ রক্তাক্ত হয়ে যায়। 


জানালা দিয়ে সবাই এসব দেখছে আর কান্না করে যাচ্ছে। কারণ কিছুক্ষণ পর সবার উপর হামলা আসবে। ওরা একটা একটা বাসা টার্গেট করছে,আর খুন করছে। কেও কান্না করছে, কেও বমি করে দিচ্ছে আর কেও এসব সহ্য না করতে পেরে অজ্ঞান হয়ে গেছে। রিয়াজের বাবা জানালা দিয়ে চিৎকার মেরে বলল," সবাই বের হও। যুদ্ধের সময় এসে গেছে"। 


কিন্তু একটা লোকও বের হয়নি। সবাই ভয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রিয়াজের বাবা বুঝতে পারে,ভয়ে কেওই এগিয়ে আসবেনা। কিন্তু থেকেও বা লাভ কি,যেহেতু মরতেই হবে। রিয়াজের বাবা একটা ধারালো তলোয়ার নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। পরিবারের সবাই আটকাতে চাচ্ছে,কিন্তু কে শুনে কার কথা। উনি সবাইকে ধাক্কা মেরে বেরিয়ে আসে। বাহির থেকে দরজা লক করে দেয়। তখনি ঘটে আরেকটা ঘটনা। আচমকা সবার মাঝখান থেকে বেরিয়ে আসে সেই পিশাচ। সাদা চোখ,কালো দাত,দেহের গঠন প্রায় ১০ ফুট। ভয়ংকর কুৎসিত চেহারা নিয়ে পিশাচটা হাসতে শুরু করে। যুবকরাও পিশাচের হাসির শব্দে থেমে যায়। পিশাচটা এমন ভাবে হাসছে, তার হাসির শব্দে আরো অনেকে অজ্ঞান হয়ে যায়। কারণ এইটা সাধারণ হাসির শব্দ নয়। অনেক,অনেক, অনেক ভয়ংকর হাসি। আর তখনি নতুন আরেকটা ঘটনার সম্মুখীন হয় সবাই। 


রিয়াজ আচমকা শার্টের ভিতর থেকে একটা ছুরি বের করে। এরপর দৌড়ে সেই পিশাচের দিকে গিয়ে লাফ মেরে তার গলায় ঢুকিয়ে দেয়। সিনটা এমনভাবে হয়ে গেলো,প্রতিটি মানুষ থ হয়ে যায়। রিয়াজের বাবাও তলোয়ার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। এইটা কি হয়ে গেলো? রিয়াজ এইভাবে পল্টি কেনো নিলো? কিন্তু এদিকে পিশাচটা ছুরির আঘাত সহ্য করতে পারেনি। সবাই দূর থেকে খেয়াল করে যাচ্ছে, রিয়াজের হাতের ছুরিটাও সাধারণ কোনো ছুরি নয়। ছুরিটা প্রচুর আলো ছড়াচ্ছে। আর ছুরির মাঝে অজানা কিছু অক্ষরে কি যেনো লেখা আছে। এ ছুরি রিয়াজ পেয়েছে কোথায়,আর সে পিশাচকে কেনো মারলো? পিশাচটাও হটাৎ চিৎকার দিতে লাগলো। নিজের নখ দিয়ে রিয়াজের পেটে জোরে আছড় মারে।  নখের আঘাতে শার্ট ছিড়ে যায়। ভিতরে চামড়াও অনেক কেটে গেছে। ২-৩ ডিগবাজি খেয়ে রিয়াজ অনেক দূরে ছিটকে পড়ে। ছুরিটা রিয়াজের হাতেই। এদিকে পিশাচটা চেচাতে চেচাতে হুট করে ফেটে যায়। নিমিষেই ধোয়ার রুপে উড়ে যায় পিশাচ। মরে যায় সে। 


তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ছুরিটা ভেঙ্গে গেছে। রিয়াজ যখন ডিগবাজি খাচ্ছিলো,তখন ছুরির উপর আঘাত পড়ে। এদিকে অন্য যে যুবকরা,তারা সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। সবাই দাত বের করে রিয়াজের দিকে তেড়ে আসতে লাগলো। রিয়াজ বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়। ছেড়া শার্টটা রাস্তায় ফেলে দিয়ে সেও এগিয়ে যায়। তখনি রিয়াজের পিছন থেকে অন্য আরেকজন দৌড়ে এসে রিয়াজকে ঝাপটে ধরে। আর সে রিয়াজকে নিয়েই আকাশে উড়ে চলে যায়। বশে থাকা যুবকরা আকাশের দিকে তাকিয়ে ভয়ংকর গর্জন ছাড়ছে। রিয়াজের বাবাও উল্টো দৌড়ে বাসায় ঢুকে যায়। বাসায় ঢুকার পর রিয়াজের মা দৌড়ে আসে।  উনি এসেই রিয়াজের আব্বুকে বলতে লাগলো,

- রিয়াজকে নিয়ে আকাশে উড়ে যাওয়া ব্যাক্তি অন্য কেও নয়। সে আমাদের তাজকিয়া।

- মানে?

- হ্যাঁ,  তাজকিয়া হটাৎ জানালা ভেঙে বাতাসের গতিতে ছুটে যার, আর এক পলকেই রিয়াজকে নিয়ে উড়ে চলে গেলো। আমি বুঝতেছিনা কি হচ্ছে এসব। 


এক মুহুর্তেই সব এদিক সেদিক হয়ে গেলো। রিয়াজ তো বশে ছিলো,তবে হটাৎ সে পিশাচকে কেনো আক্রমণ করলো। এমন শক্তি পেয়েছে কোথায় সে। আর রিয়াজও বা সেই ছুরি কোথায় পেলো,যেটা দিয়ে আক্রমণ করেছে সে? পিশাচটা তো মরে গেলো,তবে বাকি যুবকরা কেনো এখনো হিংস্র হয়ে আছে? তারা তো পিশাচের মৃত্যুর পর ঠিক হবার কথা। তবে কি এখানে আরো কেও আছে? মূল শয়তান পিশাচ না? অর্থাৎ অন্য কেও সবাইকে পরিচালনা করতেছে? হটাৎ তাজকিয়ারও বা এই রুপ দেখা গেলো কেনো। তাজকিয়ার ভিতর এমন শক্তি এসেছে কোথা থেকে? নাকি পূর্বের কোনো ঘটনা সংমিশ্রণ আছে এসবে। এখন কি বা হতে যাচ্ছে? কি হবে? ঘটনা কি শেষ, নাকি মাত্র শুরু। রহস্য, রহস্যের মায়াজালে সবি আটকে গেছে। সব রহস্য উদঘাটন হবে,আগামী পর্বে। 


চলবে........?


https//wwwprithasbowlastpart.com

গল্প- পিশাচ সুন্দরী ( পর্ব-০৪)

 গল্প- পিশাচ সুন্দরী ( পর্ব-০৪)

লেখক- রিয়াজ রাজ



-------------------------------- 

আমি মেয়েটার পিছন থেকে দেখছি। উল্টো দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে সে। চুল গুলো পুরো ফ্লোর অব্দি নেমেছে। পিছন থেকে চুল ছাড়া আমি মেয়েটার কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা। মেয়েটা ধীরে ধীরে পিছু ফিরতে লাগলো। আমি শুধু ভাবছি ওর মুখটা কতটা ভয়ংকর হতে পারে। মেয়েটা ঘুরে অবশেষে তার মুখ দেখালো আমাকে।


আমার জীবনে আমি এরকম একটা সুন্দর মেয়েকে দেখিনি। আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা,এইটা কোনো পিশাচ। ওর মায়াভরা টানটান চোখ, চোখের চারপাশে কালো ঘাড় কাজল মনমুগ্ধ করার মতো। ওর চুল,সত্যিই অবিশ্বাস্য।  এতো সুন্দর ঘনকালো চুল কখনো দেখিনি। সামান্য বাতাসেও চুলগুলো এমন ভাবে হেলছে,যেনো বাতাস ছাড়াই চুলগুলো উড়াউড়ি করে বেড়াচ্ছে। ওর ঠোঁটের প্রসংশা করার মতো নয়। কারণ এই ঠোঁটের ব্যাখ্যা করার মলতো শব্দ তৈরি করতে আমাকে আরো ৭ বার জন্ম নিতে হবে। আর ওর ফিগার।  সেটা আর আমি বলছি না। আপনিই বুঝে নিন। কারণ এমন ফিগার নিয়ে কেও সোস্যাল মিডিয়ার সামনে এলে আমি নিশ্চিত এই মেয়েকেই বিশ্ব সুন্দরী বলে গন্য করা হবে। আমি হারিয়ে গেছি ওর রুপের দরিয়ায়। আমি ঢুবে গেছি তার আখিধারে।আমি ভেসে গেছি তার নাভিতলে। 


হটাৎ আমার কল্পনাকে নাড়া দিয়ে পিশাচটা বলল," আমাকে কেমন লাগছে?"। আমি ওর প্রশ্নের উত্তর ভেবে দেইনি। অটোমেটিক আমার মুখ থেকে বের হতে লাগলো,"  তুমি সেই নারী যার রুপে হেসে প্রাণ দিবে হাজার পুরুষ। তুমি সেই নারী যার একটি শব্দে যুদ্ধে মেতে উঠবে কোটি যুবক। তোমার তুলনা হয়না,তোমার তুলনা তুমি নিজেই। আমি তোমাকে স্পর্শ না করেও,দেখে দেখে কাটিয়ে দিতে পারবো আজীবন। সত্যিই, তোমার তুলনা হয়না"।  আমার কথায় সে মুচকি হাসলো। হেসে তার চুলগুলো একটা ঝাড়া দিলো,সাথে সাথে পুরো রুমে একটা মায়াবী সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ে। এর চুলের মাঝে এমন কি আছে,যা একজন সুস্থ ব্যাক্তিকেও মাতাল করে দিতে পারে। তার প্রেমে মাতাল। 


সম্মানিত পাঠক শ্রোতা।  এতক্ষণ রিয়াজের মুখে শুনলেন পুরো ঘটনা।  চলুন এইবার আমি লেখক মশাই আপনাদের বাকি ঘটনা বলি। কারণ ক্যারেক্টর সব গুলোই এখন ব্যস্ত। শুধুমাত্র আমি আছি ঘটনা বলার জন্য।চলুন শুরু করি।

🔴গল্পের মাঝে এড দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। 

দেখতে দেখতে শীতকাল চলে এলো এজন্য আমরা নিয়ে এসেছি ন্যায্য দামে উন্নতমানের শীতকালের জ্যাকেট(কুটি) জ্যাকেটের বিবরণ 🥰👇

Ladies Primium Winter Overcoat


চায়না উইন্টার ফেব্রিক্সের প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ওভারকোট।

দুই পাশে পকেট দেওয়া আছে।

ছবির সাথে মিল থাকবে এবং কোয়ালিটি সম্পূর্ণ হিট প্রোডাক্ট।


লং সাইজঃ ৩৬/৩৮

বডি সাইজঃ ৩৮,৪০,৪২,৪৪

লেডিস জ্যাকেট গুলো দেখতে কেমন পিক দেওয়া আছে 👇





সাইজ বর্ণনাঃ

S=34,36 (আপাতত নাই, সামনে আসবে)

L=38,40

XL=42,44

মূল্য ১২০০৳

অর্ডার করতে ইনবক্স করুন📨

আমার গল্পে ফিরে আসা যাক🤩

রিয়াজ পিশাচকে দেখে এক প্রকার বশ হয়ে যায়। পিশাচ তার আসল রুপ দেখিয়ে এক মুহূর্তে ঘায়েল করে দেয় রিয়াজের হাজারো বিভ্রান্তি। পিশাচটা ধীরে ধীরে রিয়াজের দিকে এগিয়ে আসে। রিয়াজ মুগ্ধ হয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে পিশাচের দিকে। পিশাচটা রিয়াজের বিছানায় শুধু একটা পা তুলে দেয়। রিয়াজ সাথে সাথে মাথা নিচু করে পিশাচটার পায়ে চুম্বন দিতে শুরু করে। কুকুরের মতো আচরণ করে যাচ্ছে সে। পিশাচটা যখন রিয়াজের মাথায় হাত রাখে, রিয়াজ তাড়াহুড়ো করে গেঞ্জি আর প্যান্ট খুলে বিছানায় শুয়ে পড়ে।পিশাচও চট করে তার গায়ের শাড়িটা ফেলে দেয়। রিয়াজ আরো বেশি মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে পিশাচ তার সব কাপড় খুলে ফেলে দেয়। কিছুক্ষণ পর পিশাচটা ধীরে ধীরে রিয়াজের কোমরের উপর বসে। তারপর রিয়াজের গলায় হাত দিয়ে পিশাচটা রিয়াজকে চুমু দিতে লাগলো। রিয়াজ নিজের দুই হাত তুলে সোজা পিশাচের স্থনে স্পর্শ করে বসে। এইভাবে কিছুক্ষণ যাওয়ার পর পিশাচটা রিয়াজের গোপন অঙ্গ তার মাঝে বিলিয়ে দেয়। চাদটা ঢুবে গেছে,রুমটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। কিন্তু তার মাঝে মিলন চলছে একটা পিশাচ ও মানুষের। 


সকাল ৮টা।

ভোর করে উঠলেও, তাজকিয়া বাসায় রিয়াজের জন্য পিঠা বানাতে বসে। যেগুলো বানাতে বানাতে ৮ টা বেজে গেলো। গতকাল রিয়াজকে প্রচুর টর্চার করেছে। আজ আর তা করবেনা। কারণ রিয়াজের মা সহই সেদিন প্ল্যান করেছে রিয়াজকে টর্চার করবে। শীতকাল, গরম গরম পিঠা তৈরি করে তাজকিয়া রিয়াজদের বাসায় আসে। ততক্ষণে ৯টা বেজে গেলো। রিয়াজের আম্মু দরজা খুলেই দেখে তাজকিয়া। উনি পিঠার বক্সটা হাতে নেয়। এরপর তাজকিয়া বলল,"

- আন্টি,রিয়াজ কোথায়? ঘুমাচ্ছে এখনো? ।

- কেনো, আজকেও টর্চার করবে নাকি আমার ছেলেকে। তবে যাই বলো,কাল অনেক মজা পেয়েছি হাহাহা"। 

- না,আজকে আর জ্বালাবো না। কাল প্রচুর বিরক্ত হয়েছে। 

- তাও ঠিক। আচ্ছা যাও, উপরের ঘরে আছে। ঘুমাচ্ছে এখনো। পিটিয়ে তুলবা ঠিক আছে?

- ওকে আন্টি।


তাজকিয়া নাচতে নাচতে রিয়াজের রুমের দিকে যায়। দরজার সামনে গিয়ে ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেলো। মনে মনে তাজকিয়া অবাক হয়। রিয়াজ তো দরজা লক করা ছাড়া ঘুমায়না কখনো।  যাইহোক, ভুলে গেছে হয়তো ভেবে তাজকিয়া রুমে ঢুকে। প্রচন্ড রকমের একটা বিশ্রী গন্ধ পায় তাজকিয়া। প্রায় বমি করার মতো। তাজকিয়া রিয়াজের দিকে তাকিয়ে দেখে,রিয়াজ উলঙ্গ হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। তাও আবার হাত পা ছড়িয়ে দিয়ে। তাজকিয়া হুট করে আবার পিছনে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়। বেকুব হয়ে যায় তাজকিয়া। রিয়াজ এমনভাবে শুয়ে আছে কেন। তাজকিয়া দৌড়ে রিয়াজের কাছে যায়। রিয়াজের পাশে বসে। এরপর গাল ধরে রিয়াজকে ডাকাডাকি শুরু করে।  রিয়াজ গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে আছে।  ডাকাডাকির কারণে হুট করে রিয়াজ লাফিয়ে উঠে। দেখে তাজকিয়া বসে আছে পাশে।  রিয়াজ আচমকা রেগে গিয়ে তাজকিয়াকে জোরে একটা চড় মারে। তৎক্ষনাৎ তাজকিয়া বিছানা থেকে ফ্লোরে পড়ে যায়। ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হচ্ছে তাজকিয়ার। রিয়াজ উলঙ্গ অবস্থায় বিছানা থেকে নেমে প্যান্ট পড়ে নেয়। তাজকিয়ার দিকে তাকাচ্ছেও না। তাজকিয়া ফ্লোর থেকে উঠে কান্না করতে করতে আবার রিয়াজের কাছে গিয়ে বলল," কি হয়েছে তোমার সোনা। এমন করতেছো কেন? "। রিয়াজ এইবার তাজকিয়াকে এমন জোরে এক ধমক দেয়। তাজকিয়া নিমিষেই ভয়ে জমে বরফ হয়ে যায়।  এদিকে রিয়াজের বাবা মা দৌড়ে আসে। বাহির থেকে দরজা পেটাচ্ছে ওরা। তাজকিয়া দৌড়ে দরজা খুলতে যাবে,তখনি রিয়াজ তাজকিয়ার চুলের মুঠি ধরে জোরে ফ্লোরে আছাড় মেরে দেয়। 


চলবে.......?



পিশাচ সুন্দরী ( পর্ব-০৩)

গল্প- পিশাচ সুন্দরী ( পর্ব-০৩)



লেখক - রিয়াজ রাজ

-----------------------------------

আমি লাফিয়ে উঠলাম। দেখি তাজকিয়ার চোখ মুখ লাল হয়ে আছে। মুখে রক্তের দাগ। দাত সব কালো হয়ে গেছে। চোখ দুটো সাদা হয়ে গেছে। হাতের নখ বড় বড় হয়ে গেছে। গলার চামড়াগুলো বুড়োদের মতো হয়ে গেছে। আর আমার গলা দিয়ে যে সাউন্ড বের হয়,সেটাও যেনো সাইলেন্ট হয়ে গেছে।


আমার মাথা ঝিম ধরে যায়। পিছন সাইট থেকে ঝিম ঝিম করতে করতে চোখ সহ ঘোলা হতে থাকে। তাজকিয়ার এই রুপ আমি নিতে পারছিনা। ভয় তো পাচ্ছিই,সাথে অলৌকিক ঘটনা।  আমার পুরো শরীর অবশ হতে থাকে। তাজকিয়া আমার দিকে ভয়ংকর দৃষ্টিতে তাকিয়েই আছে। লোড নিতে না পারে আমি সেখানেই পড়ে যাই। 


- ওও মা!!! 

- হা বাবা আমি আছি তো। 

আমার বাম পাশে আম্মু,আর ডান পাশে আব্বু। বিছানায় শুয়ে আছি আমি। পায়ের দিকে তাজকিয়া বসে আছে। আমি তড়িঘড়ি করে আম্মুকে জড়িয়ে ধরে বললাম,

- মা,তাজকিয়া মানুষ নয়,ভুত। 


ঠাসসসসসসসস।  হ্যাঁ, ভুল কিছু আন্দাজ করেন নি। চড়টা আমার গালেই পড়েছে। আমি গাল ধরে হাবলা হয়ে আম্মুর দিকে তাকিয়ে আছি। আম্মু রেগেমেগে বলল, 

- পাগল হইলি নাকি। তোর আব্বুকে নিয়ে হাজার ঘটনা বল, কিন্তু আমার তাজকিয়া মাকে নিয়ে একটাও বাজে কথা বলবিনা। 

আম্মুর কথা শেষ না হতেই তাজকিয়া হুড়হুড় করে কেদে দিলো। কাদছে আর বলছে," দেখেছেন আন্টি,ও সব সময় এমন করে। আমাকে আর ভালো লাগেনা ওর। কিছুক্ষণ আগে আমার ঘাড় ধরেছে মারার জন্য। পরে দেখি নিজেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছে। এখন উঠেই বলছে আমি ভুত"। তাজকিয়ার কথা শেষ,আব্বুর কথা শুরু," দেখলি তো রিয়াজ। তোর মা টেনেটুনে আমাকেই বাশটা দিলো। কেনো? আমার সম্মন্ধে কিছু বলার আছে নাকি। আমি কি খারাপ কিছু করি? সব তোর দোষ,তোর জন্য তোর মা সুযোগ পায় আমাকে খোচা দেওয়ার জন্য। ধ্যাত"।  বলেই আব্বু নাক বাকা করে বের হয়ে যায়। আব্বুর কাহিনি দেখে আম্মুও নাক বাকা করে রুম ত্যাগ করে। ওদের দুজনের কাহিনি দেখে তাজকিয়াও নাক বাকা করে বের হয়ে গেলো। আমি অসহায় গালে হাত দিয়ে শুধু দেখেই গেলাম। 


কি হচ্ছে মাথায় কেন,কান দিয়েও ঢুকতেছে না। কাল রাত থেকে হাবলা হয়ে আসছি। ভুতের সাথে করলাম ফষ্টিনষ্টি।  ভুতের চেহারা দেখলাম তাজকিয়ার মুখে,শেয়ার করতে গেলে চড় খাচ্ছি। আমি কি আসলেই হাবলা? ভুত কি আমাকে হাবলা পেয়েছে নাকি। আর তাজকিয়া কি আসলেই ভুত? নাকি ওর মুখে আমি ভুত দেখেছি? নাকি ভুত ওর গায়ে ভর করেছিলো? নাকি আমার মাথায় সমস্যা? না না না,নিতে পারছি না। আমাকে এখন রহস্য বের করতে হবে। কিন্তু কিভাবে?  ডক্টরের কাছে যাবো? নাকি কবিরাজের কাছে? এ খোদা, আমার এখন কি করনীয়। 


যা হবার হবে। আমি কবিরাজের কাছেই যাবো। ভুত থাকলেও চলে যাবে,আর আমার মাথায় গ্যাস্টিক, না সরি সমস্যা থাকলেও নেমে যাবে। কারণ ভুত আছে কিনা,সেটা শিওর হলেই আমি বাচি। 


বিছানা ছেড়ে উঠে ওয়াশরুমে গেলাম। গোসল করতেছি। আয়নার দিকে তাকালাম। না মানে,বিভিন্ন হরর মুভিতে দেখেছি আয়নাতে ভুত থাকে। আর এইটাও জানি,আপনিও তেমন কিছুই ভাবতেছেন,যে এখন কিছু হবে। হা হা হা,আপনাকে হাবলা বানিয়ে দিলাম। আমার সাথে কিছুই হয়নি এখন। 

🔴গল্পের মাঝে এড দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। 

দেখতে দেখতে শীতকাল চলে এলো এজন্য আমরা নিয়ে এসেছি ন্যায্য দামে উন্নতমানের শীতকালের জ্যাকেট(কুটি) জ্যাকেটের বিবরণ 🥰👇

Ladies Primium Winter Overcoat


চায়না উইন্টার ফেব্রিক্সের প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ওভারকোট।

দুই পাশে পকেট দেওয়া আছে।

ছবির সাথে মিল থাকবে এবং কোয়ালিটি সম্পূর্ণ হিট প্রোডাক্ট।


লং সাইজঃ ৩৬/৩৮

বডি সাইজঃ ৩৮,৪০,৪২,৪৪

লেডিস জ্যাকেট গুলো দেখতে কেমন পিক দেওয়া আছে 👇




সাইজ বর্ণনাঃ

S=34,36 (আপাতত নাই, সামনে আসবে)

L=38,40

XL=42,44

মূল্য ১২০০৳

অর্ডার করতে ইনবক্স করুন📨

আমার গল্পে ফিরে আসা যাক🤩

ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে নিছে আসি। বাহ,বাহ, কি ভালো পরিবার আমার। সবাই টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছে,অথচ আমাকে একবারও ডাকেনি। আমার ভাবনার মাঝেই আম্মু আমাকে দেখে ফেলেছে। আম্মু বলল," কিরে তোর ক্ষুদা লেগেছে? লাগলে খেয়ে নিতে পারিস"। আমার মেজাজ খিটখিটে গরম হয়ে যাচ্ছে। তাজকিয়া আসার পর থেকেই এরা যেনো রত্ন পেলো। আমি যে তাদের ছেলে,এইটা কি ভুলে যাচ্ছে? যাইহোক, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। কথাটা মাথায় এনে খাবার টেবিলে বসি। কিছু ভাত নিলাম প্লেটে,মাংসের বাটি নিতে যাবো।তখনি আম্মু বাটিটা ধরে তাজকিয়ার প্লেটে ঢেলে দিলো। এক টুকরো মাংসই ছিলো। মাংস তো দিয়েছেই,আবার বলেও উঠলো, " রিয়াজ না খেলে কিছু হবেনা। কিন্তু তুমি বেশি বেশি খাও। সামনে তোমাদের বিয়ে দিবো। পুরো মহল্লার লোক যেনো বলে। আমার বাসার বউটা সবার থেকে সেরা"।  আমি কান্ড দেখছি আর নিত্যসময়ের মতো হাবলা হচ্ছি। সবাই সেরা বউটাই দেখলো, এদিকে আমি যে সেরা বয়ফ্রেন্ড, তা কারো নজরেই লাগেনা। দুনিয়া মাদারি হয়ে গেছে। 


যাইহোক, আলু ভর্তা আর ডাল দিয়ে খেয়ে নিলাম ভাত। তখনি মা বলল," 

-ভাত তো খেয়েছিস পেট ভরে। এইবার থালাবাসন গুলা পরিস্কার করে ফেল।

- তুমি আমারে পাইছো কি? ( বলেই চেয়ারটা লাথি মারলাম। সবাই আমার দিকে হা করে তাকাই আছে। আমি গরম গলায় আবার বললাম)

- মাংস সব ওরেই দিলা।  কোনো রকম ডাল ভাত খেলাম,তাও সহ্য হচ্ছেনা। বিয়ের আগেই মাথায় তুলে রাখতাছো তারে। ওয় তো তোমাদের জন্যই সাহস পাচ্ছে। সকাল থেকে তোমাদের কান্ড দেখে যাচ্ছি আমি। এদিকে আমার কি অবস্থা কেও খেয়াল করেই দেখছেনা। আমি কি মানুষ না? 


কড়া বাসায় কথা গুলা বলার পর আম্মু বলল," আমরা কেও ভয় পাইনি"। এ বলেই সবাই আবার খাওয়া শুরু করলো। যাহহ শেষ অব্দি বাসায় ইজ্জৎটাও হারালাম। ফোনটা পকেটে নিয়ে বের হয়ে গেলাম আমি। কল দিলাম রনিকে।


- হ্যালো রিয়াজ বল।

- তুই কই বন্ধু? আমার জীবন তো শেষ হয়ে গেলো রে। 

- কি হয়েছে আবার।

- বন্ধু ভুত পিছু নিয়েছে আমার।

- হা হা হা হা। ও মারে,কেও আমার হাসি থামা। শালা ভুত বলে কিছু আছে নাকি।

- শেষমেশ তুইও?

- আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে। বল ভুত তোর কি সর্বনাশ করেছে।

- ভুত করেনি,আমি ভুতের সাথে রাতে সে* করেছি। 

- বুঝলাম না,কল দিয়েই এতো মজার মজার জোক্স শুনাচ্ছিস কেন। সেই হচ্ছে বন্ধু।

- তুই বেডা ফোন রাখ।


কলটা কেটে দিলাম। কেও বিশ্বাস কেনো করছেনা। না,আমি কবিরাজের কাছেই যাবো। 

আমার বাসা থেকে মাত্র দেড় কিলো দূরে একটা কবিরাজের দোকান আছে। সবসময় আসা- যাওয়ায় চোখে পড়ে। উনার কাছে গিয়ে দেখি,যদি পাই কোনো সহযোগিতা।  একটা রিক্সা নিয়ে রওনা দিলাম কবিরাজের কাছে। প্রায় ২০ মিনিট পর উনার দোকানের সামনে পৌছাই । রিক্সা ভাড়া দিয়ে দোকানে প্রবেশ করি। তখনি কবিরাজ মন্টু মিয়া বলল,

- দাড়া।

আমি সেখানেই দাঁড়িয়ে গেলাম। উনি আমার দিকে নিজেই হেটে হেটে আসলো। হাতে একটা অদ্ভুত লাঠি,আর মাথায় সাদা লম্বা চুল। গায়ে পাঞ্জাবি, এবং মুখ ভর্তি দাড়ি। উনাকে দেখেই ভয় পাচ্ছি আমি। উনি আমার কাছে এসে বলল,

- মেয়ে ভুত। রাতে ওর সাথে সহবাস করেছিস। দিনেও অন্যের চেহারায় তাকে দেখতে পাস। তাইনা?

- হ্যাঁ হুজুর হ্যাঁ।  হুজুর,আমাকে বাচান। কেও বিশ্বাস করেনা আমার কথা। একমাত্র আপনিই বলার আগেই বুঝে গেলেন। ( এ বলেই আমি হুজুরের পায়ের কাছে চলে গেলাম)

- পা ছাড়। শুন,আমি যেভাবে বলবো,ঐ ভাবে করবি।

- হ্যাঁ বলুন? 

- বাসায় যাবি,অপেক্ষা করবি পিশাচটার জন্য। তাকে মনে মনে ডাকবি। সে আর তাজকিয়ার চেহারায় নয়,তার নিজের আসল চেহারা নিয়ে তোর সামনে আসবে। তুইও তার সাথে হেসে হেসে কথা বলবি। ওর কাছে যাবি। কোনোভাবে ওর মাথা থেকে একটা চুল ছিড়ে তোর পকেটে রাখবি। কাজ হয়ে যাবে। চুলটা আমার কাছে আগামীকাল নিয়ে আসবি। আমি পিশাচকে বন্দি করে ফেলবো। 

- হুজুর,যদি বলে আবার উল্টাপাল্টা কিছু করার জন্য?

- তো করবি। তাকে কোনোভাবে রাগানো যাবেনা।

- হ্যাঁ তা ঠিক। অবশ্যই আমার ভালোই লেগেছে গতকাল।

- এসব বললে হবেনা। পিশাচটা কিন্তু অনেক শক্তিশালী।  ওর মায়ায় পড়িস না। নিজেকে কন্ট্রোল রাখবি।

- আচ্ছা হুজুর। 

- এ নে,এই তাবিজটা পকেটে রাখ। যদি দেখিস পিশাচটা তোকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তবে তাবিজটা ওর কপালে চেপে ধরবি।

- এতে কি হবে?

- সে যন্ত্রণা সহ্য করতে পারবেনা। তৎক্ষনাৎ পালিয়ে যাবে। অন্তত এই যন্ত্রণা তার ২৪ ঘন্টা থাকবে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে সে তোর কাছেও আসতে পারবেনা।  ততক্ষণে আমি একটা সমাধান দিবো। তবে সে তোকে মারতে চাইলে তুই তাবিজ ব্যাবহার করবি। আর যদি দেখিস সে ভালো আচরণ করছে। তবে ওর চুল একটা নেওয়ার চেষ্টা করবি।

- আচ্ছা।

- তুই তাহলে যা এখন। আজ রাত ১২ টার পরেই তাকে স্বরণ করবি।


মন্টু হুজুরকে বিদায় দিয়ে বের হয়ে এলাম। যাক,অবশেষে একটা উপায় পাওয়া গেলো। বাসায় এসে দেখি তাজকিয়া নেই। অর্থাৎ চলে গেছে। আব্বু অফিসে, আর আম্মু টিভিতে সিরিয়াল দেখছে। আমার দিকে আম্মু তাকিয়েই,নাক বাকা করে আবার টিভিতে মন দিলো। আমিও পাছা বাকা করে রুমে চলে এলাম।


সারাদিন অপেক্ষা করার পর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। তাজকিয়ার কল আসে ফোনে। আমি রিসিভ করতেই তাজকিয়া বলল,

- কি করো।

- কি করবো? বাড়িতে তো আমার ইজ্জত ঢুবিয়ে গেলে।

- ঠিকি তো,তুমি উল্টাপাল্টা কাজ কেনো করো।

- কি করেছি আমি? তোর গায়ে ভূত ভর করেছিলো। তুই তো সেটা জানস না,আমি নিজের চোখে দেখেছিলাম।

- এ ব্যাপারেই একটা কথা ছিলো।

- কি কথা।

- তুমি যখন জ্ঞান হারিয়েছো, তখন তোমার বাম পাশের ফ্লোরে একটা পায়ের চাপ দেখি আমি। যেটা হেটে হেটে জানালা অব্দি গিয়ে উধাও হয়ে যায়। আমি শুধু পায়ের চাপ দেখতে পাচ্ছিলাম।অন্য কোনো কিছু দেখিনি।

- এইবার দেখলা তো? ওটা ভুত ছিলো। কিন্তু আমাকে আগে বলোনি কেন?

- আমার ভয় করতেছিলো। 

- যাক,আমার লক্ষীসোনাটা যে সত্যটা জেনেছে,এইটাই বেশি। আচ্ছা শুনো, কাল বাসায় আইসো। তোমাকে একটা ঘটনা বলবো। 

- কিসের ঘটনা। 

- বাড়িতে এলেই বলবো।

- আচ্ছা বাবা আসবো। খেয়েছো?


এরপর ওর সাথে প্রেমালাপ শুরু করি। বকবক করতে করতে রাত ১০ টা বেজে যায়। খাওয়াদাওয়া শেষ করে উঠতে উঠতে ১১ টা বাজে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে একটা সিগারেট ধরালাম। সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে প্রায়। ১২ টা বাজবে এখন। আমি মিশনে যাই। 


রুমে গিয়ে বিছানায় বসি। মনে মনে ভুতটাকে কল্পনা করতে লাগলাম। ধীরে ধীরে আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। রুমটা কেমন যেনো ঠান্ডা হয়ে আসছে। আমি চোখ খুলে তাকাই। দেখি জানালা দিয়ে একটা সাদা ধোয়া আমার রুমে প্রবেশ করলো। আমার হাটু কাপছে। ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে আছি। দেখলাম, সাদা আলোটা ফ্লোরের উপর এসে দাঁড়িয়ে যায়। হটাৎ সেখান থেকে একটা মেয়ে ভাসমান হয়। আমি মেয়েটার পিছন থেকে দেখছি। উল্টো দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে সে। চুল গুলো পুরো ফ্লোর অব্দি নেমেছে। পিছন থেকে চুল ছাড়া আমি মেয়েটার কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা। মেয়েটা ধীরে ধীরে পিছু ফিরতে লাগলো। আমি শুধু ভাবছি ওর মুখটা কতটা ভয়ংকর হতে পারে। মেয়েটা ঘুরে অবশেষে তার মুখ দেখালো আমাকে।


চলবে........?


( গল্পের ব্যাপারে সকল অভিযোগ, অনূভুতি, রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমার গ্রুপে।  আর কমেন্টে জানান কেমন লেগেছে)

৪র্থ পর্ব লিংক 👇

https//wwwlastpartstory.com

ভয়ংকর_ধর্ষণ ( পর্ব-৫ ও শেষ)

গল্প- ভয়ংকর_ধর্ষণ ( পর্ব-৫ ও শেষ)




লেখক- Riaz Raj

------------------

সব ঝাপসা দেখতে লাগলো সে। ধীরে ধীরে জ্ঞান হারিয়ে বসে রিয়াজ।

চোখ খুলে দেখে রিয়াজ মর্গে শুয়ে আছে। সামনে দাঁড়িয়ে আছে সামিয়া আর ফাতেমা। অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে সে। এইগুলা কি। কি হচ্ছে এসব?


চোখের পলকে আবার তারা অদৃশ্য হয়ে যায়। রিয়াজ সিট থেকে উঠে দেখে আশেপাশে অনেক লাশ। কে বা কারা,আর সে এখানে কিভাবে। তা বুঝে উঠতে পারেনা রিয়াজ। এইবার ভূত বলতে কিছু আছে,তা বিশ্বাস করেই নিয়েছে রিয়াজ। এতোদিন চোখের ভুল বা বনোয়ারি গল্প ভেবেছে। এখন থেকে তার মনের ভিতর পুরোপুরি ভাবে জমাট বেধেছে। আসলেই আত্মা নামক কিছু আছে। ভাবতে ভাবতে অবশেষে ওখানেই জ্ঞান হারায় সে।


অন্যদিকে ড:এস্টুম্যান রিয়াজকে বলল,

- হা হা হা,দেখো। ইন্সপেক্টর ভয় পেয়ে জ্ঞান হারিয়েছে। তারমানে সে ধরেই নিয়েছে আত্মা নামক কিছু আছে। হা হা হা

- থামুন তো! এতো হাসার কি আছে। উনাকে আমরা ব্যবহার করেছি। ব্যস এইটুকু। ডিওএমএম এর পরিচয় না জানাই থাক। আমরা লুকিয়ে কাজ করবো। ডিওএমএম এর নাম সেখানেই প্রকাশ হবে,যেখানে প্রকাশ করা দরকার। এই অহংকার আর বিকৃত মস্তিষ্কজাতের কাছে যদি ডিওএমএম এর পরিচয় লিক হয়। তবে এরা উল্টো ভেবে আমাদের উপরেই হামলা চালাবে হয়তো।

- ডিওএমএম কখনো হার মেনে নেয়না রিয়াজ।

- জানি। তবে জিত লাভ করার জন্য এই নিরীহ মানুষদের মেরে কি হবে। আপরাধীর শাস্তি সে পাবেই? কিন্তু জেনে অপরাধ করাতে তো পারিনা। কি বলেন ড:এস্টুম্যান

- হুম। এইবার তুমি যাও। এই ইন্সপেক্টরকে বলে দাও,ওর সাথে আমরা এমন কেনো করেছি আর কি করতে চেয়েছি। 

- হুম যাবো। এখন নয়। সে বাসায় যাক। এরপর তার বারান্দায় গিয়ে কথা বলবো। আকাশযান তো আছেই।

- তোমার খুশি মিষ্টার রিয়াজ সাহেব।


এই রিয়াজ আর ইন্সপেক্টর রিয়াজ এক মানুষ না। ওরা মানুষ দুজন,কিন্তু নাম এক। রিয়াজ হচ্ছে ডিওএমএম এর এজেন্ট।  যারা ডিওএমএম এর সম্মন্ধে জানেনা,তারা Riaz Raj Official নামক পেজে মেসেজ করে জেনে আসুন। আমি সংক্ষিপ্ত আকারে বলি। ডিওএমএম হচ্ছে খুবি শক্তিশালী একটা এজেন্সি।  রিয়াজ হচ্ছে এই এজেন্সির এজেন্ট। এদের কাজ হচ্ছে কালো যাদু,সাইন্স,মেশিন,মস্তিষ্ক সহ সব কিছু নিয়ে খেলা করা। অলরেডি এই ব্যাপারে গল্প লেখা আছে। আপনারা পেজে মেসেজ দিয়ে লিংক নিয়ে নিবেন। মনে রাখবেন,ডিওএমএম এর সিরিজ না পড়লে,এই গল্পের আগামাথা কিছুই বুঝবেন না। পেজের নাম মনে আছে তো? ফিরে যাই গল্পে। 

রিয়াজ অফিস থেকে বের হয়ে আকাশযানে চড়ে বসে।  লাল বাটনে চাপ দিতেই এক মেয়ের কন্ঠ ভেসে আসলো," 3...2...1... let's go....


অন্যদিকে ইন্সপেক্টর রিয়াজ আবার চোখ মেলে দেখে সে বাসায়। নিজেকে এইবার পাগলও ভাবা শুরু করেছে সে। হুটহাট করে কি হচ্ছে, কখন হচ্ছে কোথায় হচ্ছে সবি তার অজানা। তখনি সে দেখে,জানালার বাহিরে একজন ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। রিয়াজ বিছানা থেকে উঠে পিস্তল হাতে নেয়। বারান্দায় ঢুকেই সে গুলি করে দেয় সেই ছায়ামানব এর উপর। কিন্তু বুলেট তার গায়ে পড়ার আগেই সে গায়েব হয়ে যায়। রিয়াজ ভ্যাবাচেকা খেয়ে খুঁজতে লাগলো ছায়ামানবকে। আর তখন অদৃশ্য একটা কন্ঠ ভেসে আসে। রিয়াজ শুনতে লাগলো কথাগুলো। 

- ভয় পেয়োনা। আমি কোনো ভূত বা প্রেত না। তোমার সাথে এসব কেনো হচ্ছে আমি জানি। যদি অনুমতি দাও,তবে আমি তোমার সামনে আসতে পারি।

কথাগুলো শুনে ইন্সপেক্টর রিয়াজ বলা শুরু করেছে,

- কে আপনি? আর কি জানেন?

- তোমার সামনে আসবো?

- হুম আসুন।


ইন্সপেক্টর অনুমতি দেওয়ার সাথে সাথে দেখতে পায়, একটা রশ্নি আলো হুট করে তার সামনে ভাসমান হয়। যা অবিশ্বাস্য।  ইন্সপেক্টর দেখতে লাগলো আলোটাকে। দেখতে দেখতে দেখতে হটাৎ সে খেয়াল করে,একটা যুবক ছেলে সেখানে দাঁড়ানো। তার চুলগুলো অনেক লম্বা লম্বা। সব চুল ধবধনে সাদা রঙ্গের। লম্বা প্রায় ৭ ফুট। লাল একটা বড় জামা,আর ভিতরে কালো গেঞ্জি পড়া। স্টাইলিশ জামাকাপড়।পিঠের মধ্যে একটা লম্বা তলোয়ার আটকানো। কোমরের দুই পাশে দুটো পিস্তল। যেনো কোনো মুভি থেকে একটা সুপার পাওয়ারের অধিকারী লোক এসেছে তার সামনে। ইন্সপেক্টর কিছু বলার আগে এজেন্ট রিয়াজ বলল।

- হাই। আমার নাম রিয়াজ। এজেন্ট রিয়াজ।

- রিয়াজ? ওটা তো আমার নাম।

- হুম জানি। কিন্তু তুমি ইন্সপেক্টর রিয়াজ। আর আমি এজেন্ট রিয়াজ।

- ঠিক বুঝলাম না। 

🔴গল্পের মাঝে এড দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। 

দেখতে দেখতে শীতকাল চলে এলো এজন্য আমরা নিয়ে এসেছি ন্যায্য দামে উন্নতমানের শীতকালের জ্যাকেট(কুটি) জ্যাকেটের বিবরণ 🥰👇

Ladies Primium Winter Overcoat


চায়না উইন্টার ফেব্রিক্সের প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ওভারকোট।

দুই পাশে পকেট দেওয়া আছে।

ছবির সাথে মিল থাকবে এবং কোয়ালিটি সম্পূর্ণ হিট প্রোডাক্ট।


লং সাইজঃ ৩৬/৩৮

বডি সাইজঃ ৩৮,৪০,৪২,৪৪

লেডিস জ্যাকেট গুলো দেখতে কেমন পিক দেওয়া আছে 👇




সাইজ বর্ণনাঃ

S=34,36 (আপাতত নাই, সামনে আসবে)

L=38,40

XL=42,44

মূল্য ১২০০৳

অর্ডার করতে ইনবক্স করুন📨

আবার গল্পে ফিরে আসা যাক🤩

- সোজা কথায় বলি। তুমি এই কয়দিন যে ভৌতিক কাহিনী দেখেছিলে। তা ছিলো শুধুমাত্র একটা 3D ভিডিও ফুটেজ।  অর্থাৎ ফুটেজের দ্বারা তোমাকে এসব দেখানো হয়েছে। তোমার মত সেম লাশ ঝুলে থাকা,ওটা তোমারি দেহ ছিলো। তবে তা ভিডিও একটা ফুটেজ মাত্র। যা দেখলে যে কেও অশরীরী মনে করবে। সামিয়া,আর ফাতেমা তারাও ছিলো একটা ভিডিও ফুটেজ মাত্র। আর এই কাজ আমরা করেছি তখন,যখন তুমি ফাতেমার কেসটা হাতে নিয়েছিলে। তোমার চোখে একটা বায়ুকোষ ল্যান্স লাগানো হয়েছে। যার দ্বারা,আমরা তোমাকে যা দেখাবো,তুমি তাই দেখবা। হা হা হা,মজা না?

- আপনি কি পাগল? বা কোনো সাইকো? এসব করার কি দরকার ছিলো? আপনার লাভ হয়েছে কি? 

- এই কয়দিনে আমরা কাকে হত্যা করেছি? যারা একটা নিরীহ মেয়েকে মেরেছে তাদের? নাকি যাদের জন্য হাজার মেয়ের স্বাধীনতা বন্দি হয়েছে তাদের? 

- দুটোই তো এক। 

- রাইট। এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাকে বলে। ওরা ধর্ষক, ওদের জন্য মেয়েরা নিরাপদ না। ওরা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট, ওদের ভয়ে খাচায় বন্দি থাকতে হয়। ওরা ঘাতক,ওদের মৃত্যু অনিবার্য।  মেরে দিয়েছি। সবাইকেই মেরেছি। 

- আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়াও কিন্তু অন্যায়।

- যেটা আইন করতে পারেনা,সেটা ডিওএমএম করে। আইন অপরাধীকে ২ দিন জেল বন্দি করে। উপর থেকে চাপ এলেই ছেড়ে দেওয়া হয়।আই হেট সৌচ এ ল্যও,দ্যা ল্যও উইল বি লাইক দ্যা ল্যও। দিচ ইজ নট এ থিং টু প্লে। 

- বুঝলাম। আচ্ছা এইটুকু তো বলুন। ফাতেমার লাশ কোথায়। আর সামিয়ার লাশের রহস্য কি। ৪ বছর ধরে যে সিম কার্ড বন্ধ। ওটা থেকে কিভাবে কল দিলেন।

- আচ্ছা শুনো তবে। সামিয়ার লাশের কোনো অস্তিত্ব আসলেই নেই। গত ৪ বছর আগে যে লোকটা সামিয়াকে হসপিটাল এনেছিলো। সে ছিলো একজন সাইকো। আর সামিয়া তার স্ত্রী ছিলো। সামিয়ার বাবা- মা অনেক আগেই মারা গেছে। তাই সামিয়ার পরিচিত কেও যদি থাকে,সে ছিলো তার স্বামী শিবলু। শিবলু সামিয়াকে রাগের মাথায় আঘাত করে।  যার কারণে সামিয়ার মস্তিষ্কে প্রচুর ব্লাড জমা হয়ে যায়। এর ফলে সে মারাও যায়। কিন্তু শিবলু পরবর্তী সময়ে এইটা জানতে পারে।আর সেও নিজের রাগ করে,নিজেকে শেষ করে দেয়। যার কারণে দুজনের লাশেরই কোনো অস্তিত্ব ছিলোনা।

আর কলের ব্যাপারটা?

- সামিয়ার সিম থেকে তোমাকে আমরাই কল করেছি। আমি জানি তুমি অপরাধীদের ধরলে তারা ২ দিন পর মুক্ত হয়ে যাবে। তাই তোমাকে ভয় দেখিয়ে,তাদের কেস আমরা হেন্ডেল করেছি। আর সামিয়ার ভোকালটা ছিলো আমাদের এক মেয়ে এজেন্টের।

- তাহলে এই ব্যাপার।  কিন্তু আমি ডিওএমএম এর সম্মন্ধে জানতে চাই। কে তারা,কেনো করছে এসব। 

- সব কিছু দেওয়া আছে। খুঁজুন আপনি। ঠিকই জেনে যাবেন।


বলেই এজেন্ট রিয়াজ বারান্দা থেকে লাফ দেয়। আর সোজা আকাশযানের উপর উঠে যায়। ছুটতে লাগলো রিয়াজও। কারণ ব্লাক ডেভিলকে খুঁজতে হবে এখন। ব্লাক ডেভিল নাকি ডিওএমএম এর ৬ জন এজেন্টকে দিয়ে অনেক শক্তিশালী যন্ত্র বানিয়ে ফেলেছে। ডিওএমএম এর ৬ জন এজেন্ট এখন ব্লাক ডেভিলের আন্ডারে কাজ করে। ৬ জন এজেন্ট এখন ব্লাক ডেভিলের এক একটা লেভেল। অর্থাৎ ব্লাক ডেভিলের কাছে পৌঁছানো অসম্ভব।  এখনো তো এইটাই জানেনা,কে এই ব্লাক ডেভিল,আর কোথায় তার বাসা। ব্লাক ডেভিল দেখতে কেমন,তাও কেও জানেনা। ব্লাক ডেভিল নামটা সবার মুখে মুখে,আজ অব্দি চেহারা দেখায়নি সে। আসলেই কে সে? অদৌ কি রিয়াজ ব্লাক ডেভিলকে শেষ করতে পারবে? আচ্ছা এইটাই তো কেও জানেনা। ব্লাক ডেভিল কোনো মানুষ? নাকি এলিয়েন? জানতে চোখ রাখুন,আগামী সিরিজে..! 


.............সমাপ্ত............



ঘটনা মূলক কমেন্ট করুন।আপনারা গল্প পড়ে মজা নেন,আমি কমেন্ট পড়ে।আর রিভিও দিতে ভুলবেন না কেও।




পিচাশ সুন্দরী ( পর্ব-০২)

 গল্প- পিশাচ সুন্দরী ( পর্ব-০২)

লেখক- রিয়াজ রাজ


--------------------------------

ওর কথাগুলো আমার এক কান দিয়ে সুন্দর মতো ঢুকলেও,অন্য কান দিয়ে আগুন হয়ে বের হচ্ছিলো। তাজকিয়া বাড়িতে হলে এইটা কে? তাজকিয়াকে কি জবাব দিবো,হাবলা হয়ে ফোনটা বিছানায় রেখে আমি ওয়াশরুমের সামনে যাই। দরজা খুলতেই দেখি,ভিতরে একটা বিড়াল চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি চিৎকার দিতেই বিড়ালটা চোখের সামনেই অদৃশ্য হয়ে গেলো। 


এরপর আর কি,

মুভির কাহিনীর মতো জ্ঞান হারাই ওখানেই। প্যান্ট ছাড়া। 


এলোপাতাড়ি কলিং বেলের শব্দে হুশ আসে আমার। লাফ দিয়ে উঠি। অগোছালো রুম আমার। প্যান্ট এক জায়গায়,শার্ট এক জায়গায় আর ছোটটাও অন্য জায়গায়। তাড়াহুড়ো করে লুঙ্গিটা পড়লাম। এরপর  দরজা আটকিয়ে সোজা নিছে নেমে এলাম। নিশ্চয়ই আব্বু আম্মু চলে এসেছে। দরজার সামনে এসে দরজা খুলতেই দেখি,তাজকিয়া,আম্মু,আব্বু তিনজনই দাঁড়িয়ে আছে। আমার দিকে এমনভাবে মুখ করে আছে,যেনো চিড়িয়াখানার প্রাণী দেখেছেন উনারা। আমি আমতা আমতা করে বললাম,

- এমন করে কি দেখছো সবাই। আমি রিয়াজ।

আমার কথার পরেই তাজকিয়া বলল,

- সেই ২০ মিনিটের বেশি হবে বেল বাজিয়ে যাচ্ছি আমরা। তোমার দরজা খোলার নামই নেই। কল দিচ্ছি ধরতেছো না। হয়েছে কি তোমার? কি করতেছিলে?


তাজকিয়ার কথা শেষ না হতেই আব্বু বলল,

- এক রাত বাসায় ছিলাম না বলে মদ এনে খেয়েছিস নাকি। মানে একা ছেড়ে দিলেই আকাশে উড়তে মন চায়? চোখমুখ এমন গাজাখোরের মতো হলো কেন এক রাতেই?


আব্বুরটার ফাকে এইবার আম্মুর কবিতা শুরু।

- তুই তো আমারে একটুও ভালোবাসিস না। কত চিন্তা করতেছিলাম। তোর কিছু হইলে আমরা কি নিয়ে বাচবো। আমাদের কথা একটুও কি ভাবিস না তুই?


দিলো কান্না করে। আর আমার অবস্থা তখন কেমন বুঝতেই পারতেছেন। সারারাত গেলো এক অমায়িক ঝড়,যে ঝড়ে আমিই হয়ে আছি অমায়িক বোকা**দা। ওদের কথা শুনে আমি আমার বাংলা ভাষাওটাও ভুলে গেলাম। উত্তর কি দিবো, দেওয়ার মতো কিছু হয়ওনি। যা হয়েছে তা বললে বিশ্বাস তো করবেই না। উল্টো মিথ্যা কথা বলতেছি বলে আরো কয়েকটি রচনা উপস্থাপন করবে। লুঙ্গিটা হাত দিয়ে ধরে হাবলার মতো ওদের দিকে তাকাই আছি। আর কি বা করার আমার। হুট করে সবাই আমাকে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলো। আম্মু সোফায় গিয়ে বসে,আব্বু আর তাজকিয়া পুরো বাসা এমন ভাবে দেখছে, যেনো আমি কোটি কোটি ডলার রাতে চুরি করে এনে দেয়ালের চিপায় চাপায় লুকিয়েছি। হটাৎ তাজকিয়া আব্বুকে বলল,

- আঙ্কেল, আমি নিশ্চিত রিয়াজের রুমে গেলে কোনো ক্লু পাওয়া যাবে। চলুন রুমে। 

🔴গল্পের মাঝে এড দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। 

দেখতে দেখতে শীতকাল চলে এলো এজন্য আমরা নিয়ে এসেছি ন্যায্য দামে উন্নতমানের শীতকালের জ্যাকেট(কুটি) জ্যাকেটের বিবরণ 🥰👇

Ladies Primium Winter Overcoat


চায়না উইন্টার ফেব্রিক্সের প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ওভারকোট।

দুই পাশে পকেট দেওয়া আছে।

ছবির সাথে মিল থাকবে এবং কোয়ালিটি সম্পূর্ণ হিট প্রোডাক্ট।


লং সাইজঃ ৩৬/৩৮

বডি সাইজঃ ৩৮,৪০,৪২,৪৪

লেডিস জ্যাকেট গুলো দেখতে কেমন পিক দেওয়া আছে 👇


সাইজ বর্ণনাঃ

S=34,36 (আপাতত নাই, সামনে আসবে)

L=38,40

XL=42,44

মূল্য ১২০০৳

অর্ডার করতে ইনবক্স করুন📨

আমার গল্পে ফিরে আসা যাক🤩


কথাটা শুনতেই আমার মাথায় দেড় ইঞ্চি টাইপের একটা ধাক্কা লাগে। ওরা রুমে গেলে, জামা কাপড় ওমন দেখলে নিশ্চিত আরো বড় কোনো ঘটনা সাজাবে। রাতে তখন কনড* লাগিয়েছিলাম নাকি মনেও তো নাই। যদি লাগাই,তবে তো নিশ্চিত ওটা ফ্লোরে থাকবে।সর্বনাশ,এদের রুমে যেতে দেওয়া যাবেনা। ভুলেও না। 

আমি এইবার মুখ উজ্জ্বল করে একটা ভেটকি দিয়ে ওদের সামনে গিয়ে দাড়ালাম। দাত কেলিয়ে কেলিয়ে বলতে লাগলাম, 

- দেখো তাজু। রুমে কেন যাবে হা হা হা। এসেছো,বসো,নাস্তা খাও। এরপর আস্তে ধীরে চেক করবে। উফফ তোমার কপালে ঘাম জমেছে। কত গরম লাগছে তোমার। সোফায় বসো আম্মুর সাথে,আমি বাতাস করে দিচ্ছি।


তাজকিয়া আমার কথা শুনে ভ্রু কুচকে আব্বুকে বলল,

- দেখেছেন আঙ্কেল? ওর মুখের হালটা দেখুন। হাসি আসতেছেনা জোর করে হেসে যাচ্ছে। আদেক্ষেতাও দেখাচ্ছে। ওর চেহারাতে চোরের চেহারা মিল খাচ্ছে। আমি নিশ্চিত রুমে কোনো গড়বড় করে রেখেছে। সব তথ্য রুমে গেলেই পাওয়া যাবে। চলুন আঙ্কেল, ভয় নেই।

- এই এই দাড়া দাড়া। তুমি আমার প্রেমিকা নাকি গোয়েন্দা।  আমি কিছুই করিনি। কেন আমাকে সন্দেহ করে যাচ্ছো। তুমি আমাকে চিনোনা বলো? আমি ওমন ছেলে? আমি কোনো খারাপ কাজ করতে পারি বলো?

- ইমোশনাল ব্লাক মেইল করে লাভ নেই। আঙ্কেল চলুন,ওর রুমে যাওয়া যাক। 


তাজকিয়া আমাকে ধাক্কা দিয়ে সিড়ি বেয়ে উঠতে লাগলো। আব্বুও তাজকিয়ার সাথে যাচ্ছে। মরণ আমার। বিয়ের আগেই আম্মু আব্বুকে পটিয়ে আমার সর্বনাশ করতেছে। বিয়ের পর কপালে কি আছে আল্লাহ জানে। আজ যদি রুমে কনড* পায়। বিয়েটাও বাতিল হবে মনে হয়। আজাইরা চিন্তা করে কিছু হবেনা। আমি ওদের আটকানোর চেষ্টা করি। " আব্বা" বলে চিৎকার মেরে ফ্লোরে পড়ে গেলাম। চোখ অফ করে ফেলেছি। তাজকিয়া উপর থেকে আওয়াজ দিয়ে বলল,


- অভিনয় বন্ধ করো। এসব তোমার রোজকার কান্ড। 


লাভ হলোনা। আবার শোয়া থেকে উঠে ওদের পিছু নিতে লাগলাম। আমি উঠতে উঠতে আব্বু আর তাজকিয়া আমার রুমে ঢুকে গেছে। দরজার বাহিরেই ব্রেক করি আমি। সামনে আর যাওয়া যাবেনা। লুঙ্গি হইলে লুঙ্গি। গায়ে গেঞ্জি নেই তো কি হয়েছে, এক দৌড়ে এখন রনির বাসায় চলে যাবো। উল্টো দৌড় দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সাথে সাথেই আব্বু তাজকিয়াকে বলল,

- শুধু শুধু তুমি আমার ছেলেটাকে সন্দেহ করেছো। দেখেছো? কত নিষ্পাপ ছেলে আমার?


কথাটা কান খাড়া শুনেছি। হটাৎ আব্বুর রুপ বদলে গেলো কিভাবে।  এক দৌড়ে আমি আমার রুমে গেলাম।

বিশ্বাস করবেন না জানি।।তবুও বলি, আমার বিছানা একদম গোছগাছ। প্যান্ট শার্ট কি সুন্দর করে গুছিয়ে রেখেছে কে যেনো। রুম থেকে এক মিষ্টি গন্ধ ভেসে আসছে। বেকুব কিভাবে হয়,কাল রাত থেকে টের পাচ্ছি। অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। রুম এতো সুন্দর করে সাজালো কে? আব্বু আর তাজকিয়া আমতা আমতা করে কি যেনো বলতে চাচ্ছিলো,আমি বুক ফুলিয়ে নাক বাকা করে বলা শুরু করি।


- চুপ যাও। অনেক হয়েছে। আমার উপর কারো বিশ্বাস নাই। আমি এই সংসারে আর থাকবো না।।বনবাসে চলে যাবো আজই। 

আমার কথা শুনে আব্বু তাজকিয়াকে বলল,

- দেখেছো? ছেলেটা কত অভিমান করেছে? তুমি মানাও এখন। আমি নিছে গেলাম। 


এ বলেই আব্বু রুম থেকে বের হয়ে গেলো। তাজকিয়া ওর ওড়নাটা কচলিয়ে যাচ্ছে। আমি এক পা এক পা করে ওর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ও চোখ অফ করে ফেলেছে ভয়ে। আমি ওর পেটে হাত রেখে ঠেলতে ঠেলতে দেওয়ালের সাথে পিঠ লাগিয়ে দেই। এরপর আরেক হাত দিয়ে ওর ঘাড় ধরি। তাজকিয়া ভয়ে কাপাকাপি করছে। তখনি আমার কানে স্পষ্ট একটা শব্দ এল, " ছাড় তুই"।  


আমি লাফিয়ে উঠলাম। দেখি তাজকিয়ার চোখ মুখ লাল হয়ে আছে। মুখে রক্তের দাগ। দাত সব কালো হয়ে গেছে। চোখ দুটো সাদা হয়ে গেছে। হাতের নখ বড় বড় হয়ে গেছে। গলার চামড়াগুলো বুড়োদের মতো হয়ে গেছে। আর আমার গলা দিয়ে যে সাউন্ড বের হয়,সেটাও যেনো সাইলেন্ট হয়ে গেছে।


চলবে.....? 


( নেক্সট পর্ব পেতে চাইলে কমেন্টে জানান,এখন কি হতে যাচ্ছে। বা ৩য় পর্ব আপনি কমেন্টে ছোট করে লিখুন তো? যারটা সুন্দর হবে, তারটা স্ক্রিনশট মেরে পরের পর্বের কমেন্টে দেওয়া হবে।)


************************************


গল্প- পিচাশ সুন্দরী ( পর্ব-০৩)লিংক 👇

https//wwwsundoriprotisthritpari.com

গল্প- ভয়ংকর_ধর্ষণ ( পর্ব-৪)

 গল্প- ভয়ংকর_ধর্ষণ ( পর্ব-৪)




লেখক- Riaz Raj

------------------

অন্ধকারে স্পষ্ট রুম বুঝা যায়না। রিয়াজ শুধু দেখে যাচ্ছে কালো ছায়ার মত কেও রুমে দাড়িয়ে আছে। আর কিছু ভাবেনি রিয়াজ। সোজা গুলি মারতে লাগলো। তখনি রিয়াজের মনে পড়লো,কারেন্ট যাওয়ায় ওর আম্মু চলে আসেনি তো?


হাত কাঁপতে থাকে রিয়াজের। পিস্তল হাত থেকে পড়ে যায়। আর ঐ সময় দরজার ওপাশ থেকে আওয়াজ ভেসে আসে," দরজা খোল রিয়াজ। কিসের যেনো শব্দ শুনতে পেলাম"।  রিয়াজ স্থির হয়ে গেলো। তারমানে রিয়াজের মা দরজার বাহিরে।  তবে গুলি করলো কাকে। রিয়াজ আবার বলল,"না মা, কিছু হয়নি। পিস্তলটা ঝং ধরে যাচ্ছিলো,তাই টেস্ট করলাম। তুমি যাও,আমি মোবাইলের ফ্লাশ অন করতেছি"।  


স্থির হয়ে রিয়াজ বারান্দায় বসে পড়ে। বাহিরে ভিতরে সবখানে অন্ধকার। হেলান দিয়ে বসে রিয়াজ ভাবছে। কি হচ্ছে ওর সাথে। কেনো হচ্ছে এমন। রহস্য কি। ভাবনার মাঝেই ঘুমিয়ে যায় রিয়াজ। 

সকালবেলা পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙ্গে রিয়াজের। পায়ের কাছে পিস্তল পড়ে আছে। এখনো হেলান দেওয়া। শরীর প্রচণ্ড ব্যাথা ওর। এদিকে অফিসের সময় হয়ে গেছে। রিয়াজ বসা থেকে উঠে সোজা ওয়াশরুমে যায়।ঝরনা ছেটে দিয়ে ভিজাতে থাকে পুরো দেহ। ভাবনাতে ডুবে যায় আবার। এতো ভাবনা করেও বা লাভ কি,উত্তরের শব্দ একটাই। রহস্য।


(গল্প বিরতি - হ্যা আপনাকে বলছি। আপনি এখন কোন আইডিতে গল্প পড়তেছেন আমি জানিনা। তবে এই গল্পের আসল লেখক আমি রিয়াজ রাজ। আইডির নাম imtiaz Zahid।  যদি কেও অন্য আইডি বা পেজ থেকে গল্পটি পড়ে থাকেন,অথবা সব পর্ব পাচ্ছেন না। তারা Riaz Raj Official লিখে সার্চ দিন।আমার পেজ আসবে।আর ওখানেই আমার এই গল্প সাথে সব গল্পই খুঁজে পাবেন। নয়তো কপিবাজের আইডিতে বসে থাকতে হবে। কপিবাজদের জন্য আজকাল লিখালিখি করতে মন চাচ্ছেনা। পুরো ক্রেডিট তাদের নামে করে নেয়। গল্প পড়েই আমার পেজ সার্চ করুন।) 


অফিসের জন্য রেডি হয়ে রিয়াজ নিছে আসে। খাবার টেবিলে নাস্তা রেডি করা। চেয়ারে বসতেই রিয়াজের আম্মু বলল,

-রাতের খাবার না খেয়েই ঘুমিয়ে কেন পড়েছিস। 

রিয়াজ হটাৎ প্রশ্ন শুনে একটু ভয় পেয়ে যায়। আচমকা আচমকা শব্দ গুলো যেনো রিয়াজকে হটাৎ কোনো নেশার ঘোর থেকে ফিরিয়ে আনে। মাকে বুঝতে না দিয়ে রিয়াজ বলল,

- তেমন কিছু না আম্মু। খুদা লাগেনি।

- তাহলে বারান্দায় ঘুমিয়েছিস কেন? বিছানায় কেনো গেলিনা।

রিয়াজ আরো অবাক হয়। দরজা তো বন্ধ ছিলো। ওর আম্মু কিভাবে জানে সে বারান্দায় ঘুমিয়েছে। রিয়াজের আম্মু আবার বলল,

- কি এতো ভাবছিস? উত্তর দে?

- না মানে,দরজা তো বন্ধ ছিলো। তুমি কিভাবে জানলে আমি বারান্দায় ঘুমাইছি?

- কই দরজা বন্ধ ছিলো? আমি তো খোলা ফেলাম।

- রাতে তুমি নিজেই তো বলেছিলে দরজা খুলতে। ভুলে গেলে?

- রাতে? আমি? কি হয়েছে বাবা তোর? এরকম অদ্ভুত আচরণ কেনো করছিস? আমি তো রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আর উঠিনি। তোর রুমে কেনো যাবো।

- তুমি সত্যিই কাল আমার দরজার সামনে আসোনি?

- দাড়া,আমার পরিচিত একটা কবিরাজ আছে। তোকে তার কাছে নিয়ে যাবো। হে খোদা,কি হয়ে গেলো আমার ছেলের।

🔴গল্পের মাঝে এড দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। 

দেখতে দেখতে শীতকাল চলে এলো এজন্য আমরা নিয়ে এসেছি ন্যায্য দামে উন্নতমানের শীতকালের জ্যাকেট(কুটি) জ্যাকেটের বিবরণ 🥰👇

Ladies Primium Winter Overcoat


চায়না উইন্টার ফেব্রিক্সের প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ওভারকোট।

দুই পাশে পকেট দেওয়া আছে।

ছবির সাথে মিল থাকবে এবং কোয়ালিটি সম্পূর্ণ হিট প্রোডাক্ট।


লং সাইজঃ ৩৬/৩৮

বডি সাইজঃ ৩৮,৪০,৪২,৪৪

লেডিস জ্যাকেট গুলো দেখতে কেমন পিক দেওয়া আছে 👇



সাইজ বর্ণনাঃ

S=34,36 (আপাতত নাই, সামনে আসবে)

L=38,40

XL=42,44

মূল্য ১২০০৳

অর্ডার করতে ইনবক্স করুন📨

আমার গল্পে ফিরে আসা যাক🤩

কান্না জুড়ে দিলেন উনি।

- আরে মা, কি করতেছো এসব।আমার কিছুই হয়নি। সম্পূর্ণ ঠিক আছি আমি। 

কথাটা বলেই রাগ দেখায় রিয়াজ।খাবার না খেয়ে উঠে পড়ে টেবিল থেকে। রিয়াজের আম্মু কান্না করতে লাগলো। রিয়াজ মেজাজ গরম অবস্থায় বাসা থেকে বের হয়ে যায়। গাড়ি নিয়ে থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রিয়াজ। নেই কোনো ক্লু। একটা না একটা তো সূত্র খুঁজে বের করতেই হবে। কিন্তু সেটা কিভাবে।  ভাবতে ভাবতে রিয়াজ পৌছে যায় থানায়। থানায় ঢুকার সময় রিয়াজ দেখে থানার সামনে দুইটা লাশ পড়ে আছে। রিয়াজ ওটা এড়িয়ে যেতে চাইলো। এখন এসব দেখার সময় নেই। থানায় ঢুকার সময় একটা ধমকা বাতাস এসে লাশ দুটোর মুখ থেকে কাপনের কাপড় সরিয়ে ফেলে। রিয়াজের চোখ লাশ দুটোর মুখের দিকে যায়। মুখ দেখেই রিয়াজ থমকে যায়। আবার চেপে বসে নতুন রহস্য। এই দুটো হচ্ছে রোকনের দুই বন্ধুর লাশ। রিয়াজ অবাক হয়ে যায়। এরা দুজন তো ঠিকই ছিলো। দেখেও নির্দোষ মনে হয়েছিলো তার। তবে এই দুটোকে কে মারলো। রিয়াজ দারোগাকে জিজ্ঞেস করলেন,

- কিভাবে মরেছে এরা।

- স্যার, গতকাল রাতে এদের কেও খুন করেছে। 

- খুন করেছে তা তো আমিও জানি। আমি দেখতেছি তাইনা? কিন্তু কিভাবে করেছে সেটা জিজ্ঞেস করলাম।

- স্যার স্যার, রেগে যাচ্ছেন কেন? আমি বলতেছি।

- ওহ্ সরি। আসলে মাথা ঠিক নেই। চিন্তায় আছি একটু। বলো কিভাবে খুন হয়েছে।

- স্যার, গতকাল রাতে থানার সামনে এদের কেও ঝুলে রেখেছিলো। সকাল বেলা লোকজন ভিড় জমিয়েছে এখানে। আপনাকে অনেকবার কল দেয়া হয়েছে,কিন্তু ফোন অফ ছিলো। আপনার অনুমতি ছাড়া লাশ মর্গেও পাঠাইনি,আর বাড়িতেও না। 

- হুম। আমার ফোনের চার্জ ছিলোনা। যাইহোক,  ওদের বাড়িতে যাও। ওদের মা-বাবার সাথে কথা বলে দেখো শত্রু বা কোনো কারণ ছিলো কিনা। তাদের তো কেও এমনি এমনি খুন করবেনা।

- আপনি যাবেন না স্যার? 

রিয়াজ দাতে দাত কামড়াচ্ছে।  রাগ কন্ট্রোলে এনে আবার বলল,

- দেখুন মিষ্টার আরিফ সাহেব। খুন করার পিছনে  সব সময় ৩টা কারণ থাকে। টাকা,নারী,প্রতিশোধ।  এই তিনটা হচ্ছে খুন করার মূল কারণ। তিনটা জিনিষ মাথায় রেখে আপনি কাজে যেতে পারবেন না? 

- জ্বী স্যার। আমি এক্ষুনি যাচ্ছি।

- আর এই লাশগুলো পোস্টমর্টেমে পাঠাও। জানাও আমাকে।

- ওকে


রিয়াজ অফিসে প্রবেশ করে। আবার একই চিন্তা। এতক্ষণে যা বুঝলো রিয়াজ,তা হচ্ছে ফাতেমার খুনের সাথে সামিয়ার কোনো না কোনো সম্পর্ক আছেই। আবার ধর্ষকদের সাথে ফাতেমার সম্পর্ক আছে,এইটা মানা যায়। কিন্তু ফাতেমার সাথে সামিয়ার কি সম্পর্ক। আর এদের দুজনের সাথে রিয়াজের কি সম্পর্ক।  ৪ বছর আগের লাশ এখন কেনো জাগ্রত হলো। একটা ক্লুয়ের অপেক্ষায় আছে রিয়াজ। শুধুমাত্র একটা ক্লু। এরপর বাকি সব বের করে নিবে সে। সেই প্রত্যাশায় আছে। 

ভাবনার মাঝে রিয়াজের মাথায় কেও সজোরে আঘাত করে। 


সব ঝাপসা দেখতে লাগলো সে। ধীরে ধীরে জ্ঞান হারিয়ে বসে রিয়াজ।

চোখ খুলে দেখে রিয়াজ মর্গে শুয়ে আছে। সামনে দাঁড়িয়ে আছে সামিয়া আর ফাতেমা। অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে সে। এইগুলা কি। কি হচ্ছে এসব?


চলবে....? 


গল্প- ভয়ংকর_ধর্ষণ ( পর্ব-৪)


লেখক- Riaz Raj


[ ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ব্যস্ততার জন্য গল্প লেখা হচ্ছেনা। নেক্সট পর্ব বড় হবে। অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত অনেক। সময় পাচ্ছিনা। আর কাল আইডি থেকে সন্ধায় লাইভে আসবো। সবাই থাকবেন অবশ্যই।]

ঘটনা মূলক কমেন্ট করুন।আপনারা গল্প পড়ে মজা নেন,আমি কমেন্ট পড়ে।আর রিভিও দিতে ভুলবেন না কেও।

৫ম পর্ব (শেষ পর্ব লিংক) 👇

https//wwwmystorylastpart.com


ভয়ংকর_ধর্ষণ ( পর্ব-৩)

 গল্প- ভয়ংকর_ধর্ষণ ( পর্ব-৩)


লেখক- Riaz Raj

------------------

এই লাশ তো ৪ বছর ধরেই এখানে। তবে ১ ঘন্টা আগে কিভাবে কল দিলো। ভাবতে ভাবতে হটাৎ সামিয়া রিয়াজের হাত ঝাপটে ধরে। রিয়াজ পিছু ফিরে তাকিয়ে দেখে সামিয়া বড় বড় চোখ করে রিয়াজের দিকে তাকিয়ে আছে। 


রিয়াজ ভয় পেয়ে পিছনে লাফ দেয়। লাশ সহ

রিয়াজের সাথে ফ্লোরে পড়ে যায়। এক অদ্ভুত ঘটনা। লাশ এখনো রিয়াজের হাত ধরে আছে। অনেক শক্ত করে ধরে আছে হাত। রিয়াজ ফ্লোরে পড়ে পিছু ছুটতে থাকে । লাশটাও ছেচকি খেতে খেতে রিয়াজের সাথে

যাচ্ছে। অবশেষে রিয়াজ লাশের হাতে প্রচুর শক্তি দিয়ে লাথি মারে। আর সঙ্গে সঙ্গেই লাশ রিয়াজের হাত ছেড়ে দেয়। রিয়াজ দৌড়ে লাশঘর থেকে বের হয়ে যায়। রিয়াজকে এমন হয়রান হতে দেখে ডক্টর ইয়াসিন রিয়াজের কাছে দৌড়ে আসে। রিয়াজ প্রচন্ড ঘাবড়ে আছে। ডক্টর সাহেবকে রিয়াজ বললো,

- ডক্টর সাহেব, লাশঘরে কোন ঝামেলা আছে। আপনি জলদি আমার সঙ্গে চলুন।

- কি ঝামেলা হয়েছে, আমাকে খুলে বলুন।

- আপনি আগে চলুন তো।

কথাটা রিয়াজ অনেক রেগে গিয়ে বললেন। ডক্টর সাহেব ভয় পেয়ে যান রিয়াজের কথা শুনে । রিয়াজের ধমকের সাথে ডক্টর সাহেব নিজেও, লাশ ঘরের দিকে ছুটে যেতে লাগলেন। তাদের সঙ্গে হসপিটালের আরো কয়েকজন নার্সও দৌড়ে আসে।রিয়াজ সহ ডক্টর সাহেব সাথে নার্সরা লাশঘরে এসে উপস্থিত হয়। ভিতরে প্রবেশ করতেই রিয়াজ থমকে যায়। এতক্ষণ ঘামে মাখামাখি করছিলো রিয়াজ। এইবার ঘামের প্রভাবে যেনো গোসল সেরে ফেললো। ডক্টর সাহেব রিয়াজকে জিজ্ঞেস করলেন," কই,কি হয়েছে এখানে?"।  রিয়াজ কোনো উত্তর দিতে পারেনি। দিতেও ব্যর্থ হয়। কারণ সামিয়ার লাশ ফ্লোরে নেই। লাশ আগের মতোই সিটে শুয়ে আছে। উপরে আগের মতো সাদা কাঁপন পেছানো। রিয়াজ আরো ডিপ্রেশনে চলে যায়। এই মাত্র লাশটি রিয়াজের হাত ধরেছিলো। তার সাথে গড়াগড়ি করে ফ্লোরে নেমেছে। প্রায় দরজার কাছাকাছি এসে গিয়েছিলো। তাহলে আবার সব ঠিকঠাক হলো কিভাবে।  ডক্টরকে আর কিছু না বলেই রিয়াজ লাশঘর ত্যাগ করে। এই অনুভূতি প্রকাশ করার মতো না। প্রকাশ করা মানে নিজেকে পাগল নামে উপাধি দেওয়া। যা রিয়াজ মোটেও করতে যাচ্ছে না। হসপিটাল থেকে বের হয়ে রিয়াজ সোজা গাড়িতে বসে। কি হলো এইটা। এতো বড় অসম্ভব একটা কুকর্মা ঘটে গেলো। যার উত্তরের অস্তিত্ব খোঁজে পাওয়া দুষ্কর।  আবার এক দিক থেকে উত্তর পাওয়া যায়। যে লাশ, অর্থাৎ ৪ বছরের পুরনো লাশ যদি নিজের চোখ মেলতে পারে। ৪ বছর পুরনো লাশ যদি একটা জীবন্ত মানুষের হাত ধরতে পারে। ৪ বছর পুরনো লাশ যদি এক ঘন্টা কল দিতে পারে। ৪ বছর পুরনো লাশ যদি জীবিত হতে পারে। তবে শুয়া থেকে উঠে সিটে কেনো যেতে পারবেনা। এখন সিটে যাওয়ার উত্তরটা নাহয় বের হলো। কিন্তু বাকি প্রশ্নের উত্তর?  তা কোথায় পাবে। যদিও সাথে আরো হাজারো প্রশ্ন বাকির লিষ্টে আছে। যেমন এই লাশের সাথে ফাতেমার সম্পর্ক কি। আর কে এই সামিয়া। এতো বছর পর কেনো কান্ড শুরু করে দিলো। কেনো সে ফিরে এলো। তার সাথে এমন ব্যবহার কেনো করলো। তার সাথেও কি কোনো সম্পর্ক আছে? থাকলেও সেটা কি? রিয়াজকে কেনো এই মামলায় জড়িত হতে হলো? কত গুলো প্রশ্ন জমা হলো। সিম্পল ধর্ষণের একটা মামলা থেকে ৪ বছর পিছিয়ে গেলো। কি হয়েছিলো ৪ বছর আগে? রহস্য! রহস্যের উত্তর খোজাটাও একটা রহস্য হয়ে যাচ্ছে। যত এগিয়ে যাচ্ছে রিয়াজ,ততই কঠিন হচ্ছে সব কিছু।এর শেষ কোথায়..? 


ভাবতে ভাবতে রিয়াজ গাড়ি স্টার্ট করে। এখন সে কি করবে,তার কূল কিনারা কিছুই খুঁজে পাচ্ছে না। যাই করতে যায়,তাতেই রহস্যের জাল ঝাপটে আসে। একটু বিশ্রাম নেওয়া দরকার। ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে।

রিয়াজ ফিরতে যাচ্ছে বাড়িতে। যাওয়ার কথা থানায়। কলের রহস্য বের করতে গিয়ে অকাল মৃত্যুর ইঙ্গিত। ভাবনার মাঝে হটাৎ রিয়াজের চোখ আটকে যায় রাস্তার পাশে।সাথে সাথেই কষিয়ে ব্রেক করে রিয়াজ। রিয়াজ এখন নির্জন একটি পথে। শহর থেকে তার বাসায় যেতে যে দুরুত্ব, তার মাঝে এই নির্জন এলাকা। দুই পাশে ইয়া বড় বড় গাছ। জঙ্গলের মতো হয়ে আছে সব কিছু। গাড়ির লাইটের আলোয় রিয়াজ দেখতে পায়,রাস্তার পাশে গাছের সাথে কিছু একটা ঝুলে আছে। এমতাবস্থায় যদি কিছু থাকে,অবশ্যই কোনো ভূত প্রেত হবে। হয়তো কোনো লাশ ঝুলে আছে। রিয়াজ এমনি ভেবে নিয়েছে। কারণ আজকাল নাকি এরকম ঘটনা প্রায় ঘটে। রিয়াজ গাড়ি থেকে নামতে মোটেও রাজি নন। এইটা হয়তো অশরীরীর কোনো প্লেন। রিয়াজ গাড়ি থেকে নামলেই হয়তো দেখবে তার উপর এট্যাক করেছে সে। রিয়াজ আবার গাড়ি স্টার্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর তখনি চোখ যায় লুকিং গ্লাসের দিকে। রিয়াজ পিছনের সিটে সামিয়া বসে আছে। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেনা রিয়াজ। সামিয়া ৪ বছর আগে মারা গেছে। এখন ৪ বছর পর ওর পিছু কেনো নিলো। ভয় পেয়ে রিয়াজ দরজা খোলেই দৌড় দিতে লাগলো। আর তখনি খেয়াল করে রাস্তার পাশে ঝুলে থাকা সেই বস্তুর উপর। যেমন ভেবেছিলো,একটা লাশ ঝুলে আছে। গলায় দড়ি। অর্থাৎ ফাসি দেয়া লাশ। কিন্তু এইটুকুর মধ্যে থাকলেও হতো। রিয়াজ আরো বেশি অবাক হয়।কারণ ওটা রিয়াজের নিজের লাশ। হতভম্ভ হয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। সামনে যদি রিয়াজের লাশ ঝুলে থাকে,তবে সে কে? এক মুহূর্তের জন্য মনে হচ্ছিলো রিয়াজ মৃত। এখন ওর আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর সামনেই ওর দেহ ঝুলে আছে।অন্য কিছু ভাবার আগেই রিয়াজ আবার দেখে,লাশটা নড়াচড়া করতেছে। হাত পা ধীরে ধীরে নড়ছে। ভয় পেয়ে রিয়াজ আবার নিজের গাড়ির দিকে এগিয়ে আসে। কিন্তু এইবার পিছনের সিটে সামিয়াকে দেখতে পায়নি রিয়াজ। সাহস করে আবার গাড়িতে উঠে রিয়াজ। আর দ্রুত স্টার্ট দিয়ে পালাতে লাগলো।ছুটতে লাগলো নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে। 


বাসায় এসে রিয়াজ নিজের রুমে চলে যায়। রিয়াজের রুমে তার আম্মু, টেবিলে খাবার রেডি করে রেখেছে। রিয়াজ খাবারে মন দিতে পারেনি। কি সব হলো ওর সাথে। এতো অলৌকিক ঘটনা ঘটে কখনো? আসলেই এমন হয়? ভূত প্রের বিশ্বাস করেনা রিয়াজ। এইগুলা শুধুমাত্র গল্পে পড়েছে শুনেছে।  এখন নিজের চোখেই দেখলো সব কিছু। নিজেকে মানতে পারেনা রিয়াজ। একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর হয়ে ভূত নিয়ে ভাবতে হচ্ছে? অদ্ভুত পরিস্থিতি, সাথে ঘটনা। 

ভাবতে ভাবতে রিয়াজ বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। নিশ্চুপ হয়ে সেই কালো মায়ার মাঝে হারায়। সামিয়া রিয়াজের পিছু কেনো নিলো। ফাতেমার কেস থেকে এই কেসে কোন সংযুক্ত আছে? ৪ বছর পর এই সামিয়া হটাৎ কেনো জাগ্রত হলো? তাও এসেই রিয়াজের দিকে টার্গেট।  এমন এক ঘটনা,যা কাওকে বললেই হেসে উড়িয়ে দিবে। না পারবে কাওকে বলতে,না পারছে সমাধান খুঁজতে। কারো হেল্প নিতে গেলে যদি ওর চাকরীটাও যায়? 


তখনি কারেন্ট চলে যায়। হুট করেই লাইট অফ। রিয়াজ বারান্দায় অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে। আবার নতুন কিছু হতে যাচ্ছে নাকি। রিয়াজ কান খাড়া করে চারপাশের হাব বুঝার ট্রাই করে । তখনি কানে এলো দরজা খটখট করার শব্দ। নিশ্চয় সামিয়া আবার এসেছে। কোমর থেকে পিস্তল বের করে রিয়াজ এইবার প্রস্তুতি নেয়। ভূতকে গুলি করবে। বাচলে বাচবে,নয়তো মরবে। রিয়াজ বারান্দা থেকে সোজা রুমের দরজার সামনে আসে। অন্ধকারে স্পষ্ট রুম বুঝা যায়না। রিয়াজ শুধু দেখে যাচ্ছে কালো ছায়ার মত কেও রুমে দাড়িয়ে আছে। আর কিছু ভাবেনি রিয়াজ। সোজা গুলি মারতে লাগলো। তখনি রিয়াজের মনে পড়লো,কারেন্ট যাওয়ায় ওর আম্মু চলে আসেনি তো?


চলবে....? 






[ নেক্সট পার্ট পেতে কমেন্ট ] 


[ কে,কে এই সামিয়া। কি তার পরিচয়। ৪ বছর পর ফিরে এলো কেনো? এসে রিয়াজকে ধরেছে কেনো? ফাতেমার খুনিকে বের করতে গিয়ে,সে খুন হবে নাতো? আর গুলি করলো কাকে রিয়াজ? রহস্য রহস্য রহস্য।রিভিউ দিন গ্রুপে আর কেমন হয়েছে,তা কমেন্টে জানান।]




ভয়ংকর_ধর্ষণ ( পর্ব-২)

 গল্প- ভয়ংকর_ধর্ষণ ( পর্ব-২)




লেখক- Riaz Raj

------------------

রোকনের মা তখনি জ্ঞান হারায়। রিয়াজ বমি করতে গিয়েও থেমে যায়। এইটা কিভাবে হলো? আসামী খুঁজতে এসে আসামীর খুনিকে খোজার পথ বের হয়ে এলো। ধর্ষণ যদি রোকন করে থাকে,তবে তাকে কে মারলো? এতক্ষণ সব ঠিকঠাক ছিলো। এখন বিশাল বড় রহস্যের কারণ কি হতে পারে?


রিয়াজ ফিরে এলো বাসায়। বাসায় আসার পরই রিয়াজের মা জিজ্ঞেস করলো,

- আজ এতো অস্থিরতায় দেখা যাচ্ছে কেনো?

- আর বলোনা মা। অনেক ডিপ্রেশনে আছি। যাইহোক, আমি সামলে নিবো। খাবারের কি কি আছে। 

- আলু ভর্তা আর ডাল।




- আম্মু, ভালো খাবার থাকতে প্রতিদিন এসব কি রান্না করো তুমি? ফ্রিজে মাংস তো আছে তাইনা?

- পরশু বাসায় মেহমান আসবে।  তোর জন্য মেয়ে দেখছি আমি। এখন এসব রান্না না করে সেদিন রান্না করি। তাহলে তো আর আউট টাকা খরচ হবেনা।

- তুমি একজন ইন্সপেক্টরের মা। এতো হিসেব করলে হয় বলো?

- যেখানে ভর্তা দিয়ে আমাদের চলে যাবে,সেখানে মাংস রান্না করে টাকা উড়ানোর মানে হয়? 

- হা হা হা,তুমিও না? এইজন্য বাবা তোমাকে বকা দিতো ভালো ভাবে। 

- তাই তো এখন কেও নেই। উনি সব উজাড় করে দিতো। দেখ, তোর বাবার মৃত্যুর পর কেও এখন আমাদের খবরটাও নেয়না। সবাই স্বার্থের পূজারি।

- আচ্ছা ওয়েট,তুমি কি বললে একটু আগে? ভর্তা দিয়ে চললে,মাংস কেনো রান্না করবা। অর্থাৎ কাজ একই,চালাচ্ছো দুইভাবে।যেভাবে লাভ হয় আরকি।

- এইতো,তোর মগজে ঢুকেছে।

- ইয়েস,আম্মু তুমি তো আমার ডিপ্রেশন দূর করে দিলে।

- অমা,সেটা কিভাবে।

- পরে জানাচ্ছি। রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসি।ডাল আর ভর্তা রেডি করো।




রিয়াজ চলে আসে নিজের রুমে। ভাবতে লাগলো, রোকনের খুনি কে হতে পারে। রোকন নিশ্চয় কাজটা একা করেনি। অর্থাৎ রোকনের সাথে আরো কয়েকজন আছেই।ফাতেমার  পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসেনি এখনো। এতক্ষণে আসার কথা। কিন্তু ওর বডি দেখে এইটুকু বুঝা যায়,ধর্ষণকারী আরো অনেকে।জড়িত আছে আরো অপরাধী। তারা হয়তো রোকনকে খুন করে দিয়েছে। অর্থাৎ রোকনকে খুন করলে,তারা ধরা পড়বেনা।কারণ রোকনকে সন্দেহ আমরা করবো এইটা তারা আগেই জানতো। রোকন মৃত অর্থাৎ জিজ্ঞাসাবাদ করার কেও নেই। কিন্তু বাকিরা কারা। ওর বন্ধুরা তো রিয়াজের সাথেই ছিলো। তারাও খুনি না। তাহলে খুনি কে। এখন ফাতেমার খুনিকে বের করতে হলে রোকনের খুনিকে বের করা লাগবে। ডাল আর ভর্তার মতো, যেটায় লাভ সেটাই আমরা আগে দেখি। রোকনের মৃত্যুতে তারা বেচে যাবে,তাই রোকন খুন। ভালো ফান্দি খুঁজেছে ওরা।এইবার আমাকে খুঁজতে হবে।

রিয়াজ ফ্রেশ হয়ে নিছে আসে।খাবার খেতে বসে ওর আম্মুর সাথে। এর মধ্যেই রিয়াজের ফোন বেজে উঠে।রিসিভ করে রিয়াজ হ্যালো বলার পরই ওপাশ থেকে মেয়েলী কন্ঠে কেও বলল,

- আমি খুন হয়েছি।আমি প্রতিশোধ নিবো। তুই তোর জায়গায় অটল থাক। নয়তো ঝুঁকিতে পড়বি। 

- মানে? কে আপনি? 




কল কেটে যায়। রিয়াজ আবার সেই নাম্বারে কল দেয়। কিন্তু কল ঢুকেনা। খাবার টেবিল থেকে উঠে রিয়াজ তার আম্মুকে বলল,

- আমি থানায় যাচ্ছি একটু। তুমি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।

- আরেহ,খাবারটা তো শেষ করে যা।আর এতো রাতে কিসের কাজ পড়লো তোর।

- পরে বলি? আর খাবার ঢেকে রাখো।এসে খেয়ে নিবো।

বলেই রিয়াজ বাসা থেকে বের হলো। গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ছুটতে লাগলো থানার দিকে। ড্রাইভিং অবস্থায় কল দেয় সাইবার-৭১ এ। ওখানের ইয়াসিন আরাফাত কল রিসিভ করে বললেন?

- জ্বী স্যার। বলুন কিভাবে সাহায্য করতে পারি।

- আমি আপনাকে একটা নাম্বার এস এম এস করেছি। দ্রুত এই নাম্বারের লোকেশন সহ সকল ইনফরমেশন চাই। এক্ষুনি।

- জ্বী স্যার,আমি জানাচ্ছি আপনাকে।

কল কেটে রিয়াজ হসপিটাল কল দেয়। ডক্টর কল রিসিভ করতেই রিয়াজ বলল,

- ফাতেমা নামক মেয়েটির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এখনো আসেনি কেনো। এতো সময় তো লাগার কথা নয়? 

- সরি স্যার। আসলে লাশের এখনো পোস্টমর্টেম করা হয়নি। 

- হোয়াট,আজ কতদিন হয়েছে লাশ পাঠানো হয়েছে। এখনো করা হয়নি কেনো?

- যেখানে লাশ খুঁজে পাচ্ছিনা আমরা। সেখানে পোস্টমর্টেম কিভাবে করবো। 

- লাশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা মানে? আপনাদের হেফাজতেই তো ছিলো।

-জ্বী স্যার,সব ঠিকঠাক ছিলো। কিন্তু পোস্টমর্টেম করার সময় দেখি, এইটা ফাতেমার লাশ নয়। অন্য একটি মেয়ের লাশ। যার পোস্টমর্টেম অনেক আগেই করা হয়েছে। আর সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এই লাশ আরো ৪ বছর আগের লাশ। যার পরিচিত কেও এখনো লাশ নিতে আসেনি। 

- আমি হসপিটাল আসতেছি। অপেক্ষা করুন।




রিয়াজ কল কেটে গাড়ি ঘুরিয়ে নেয়। হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রিয়াজ। কিছুক্ষণ পর হসপিটাল গিয়ে দেখে ডক্টরা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। রিয়াজ বলল," আমাকে মর্গে নিয়ে যান"। ডক্টররা রিয়াজকে মর্গে নিয়ে যায়। রিয়াজ মর্গে গিয়ে দেখে ফাতেমার লাশের জায়গায় অন্য একটি লাশ। এতো সিকিউরিটি থাকতেও লাশ কিভাবে চুরি হলো তা অজানা।  সিসি টিভি ফুটেজেও নাকি কোনো তথ্য নেই। রিয়াজকে ডক্টর বলল,

- আমরা বুঝতে পারছিনা স্যার কিভাবে কি হলো। একটা লাশ কিভাবে হারিয়ে যেতে পারে। আর সেই জায়গায় এই অদ্ভুত লাশ কিভাবে গেলো। 

- হসপিটাল ছেড়ে আপনারা সিকিউরিটি গার্ডে দাঁড়ান।  কে বলেছে ডক্টর হতে,যেখানে লাশের হেফাজত করা হয়না।

- আমরা আসলেই সরি স্যার। 

- এই লাশটা যেনো কার বললেন? 

- সামিয়া নামের একটি মেয়ের। গত চারবছর ধরে এখানে আছে। ওর কোনো পরিচিত কোক আসেনি। 

- হসপিটাল দিয়ে গিয়েছিলো কে?

- তাও এক পথচারী। 

- তার কোনো পরিচয় নেই?

- না স্যার, উনি এসে এই বডি দেয়। আমরা চিকিৎসা করতে যাই। আর তখনি মেয়েটি মারা যায়। হসপিটাল আনতে দেরি করেছিলো। আমরা বের হয়ে দেখি,লোকটা নেই। 

- আপনারা আসলেই সিকিউরিটি গার্ডে জব করা উচিৎ।  প্রতিটা পদেই ভুল।

- সরি স্যার।

- সরুন আমার চোখের সামনে থেকে।  একা থাকতে দিন। 

- স্যার, লাশঘরে থাকবেন নাকি। 

- হ্যা, আপনারা পারলেন না,অন্তত আমি লাশ পাহারা দেই? যান সবাই। 

প্রচণ্ড রেগে যায় রিয়াজ। রিয়াজের ধমকে সবাই বের হয়ে গেলো। ফাতেমার লাশ গায়েব হবে কিভাবে।  আর একই জায়গায় এই সামিয়ার লাশ এসেছে কিভাবে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না ফেলে ফাতেমার খুনিকে বের করবে কিভাবে। রোকনও খুন। আর তো কোনো ক্লু নেই। চিন্তিত হয়ে যায় রিয়াজ। এর মধ্যে রিয়াজের ফোনে রিং বেজে উঠে। রিসিভ করতেই সাইবার-৭১ থেকে ইয়াসিন আরাফাত বললেন,

- স্যার,আপনার দেওয়া নাম্বারটি গত চার বছর থেকে বন্ধ। এই নাম্বারের কোনো সিম নেই একটিভ।

- মানে? ১ ঘন্টা আগেই কল দিয়েছিলো আমাকে। এই নাম্বার থেকেই।

- না স্যার। ৪ বছর এইটা অফ। 

- ইউজার কারীর নাম কি।

- তার নাম সামিয়া। গত ৪ বছর থেকে সিম বন্ধ করে রেখেছে।




রিয়াজ এক মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায়। ফোনটা হাত থেকে ফেলে দেয়। সামিয়া বলতে এই লাশের কথা বলছে নাতো? এই লাশ তো ৪ বছর ধরেই এখানে। তবে ১ ঘন্টা আগে কিভাবে কল দিলো। ভাবতে ভাবতে হটাৎ সামিয়া রিয়াজের হাত ঝাপটে ধরে। রিয়াজ পিছু ফিরে তাকিয়ে দেখে সামিয়া বড় বড় চোখ করে রিয়াজের দিকে তাকিয়ে আছে। 


চলবে....? 



লেখক- Riaz Raj


[ কোথাও সামিয়ার সাথে এই ঝামেলার কোনো সূত্রপাত নেই তো? ফাতেমার লাশ গায়েব,রোকন খুন,খুনি কে তা অজানা। এর উপর এই ৪ বছর আগের লাশ। তাও ১ ঘন্টা আগের কল। যে সিম ৪ বছর ধরেই বন্ধ,সে সিম থেকে কিভাবে কল আসে। কি হচ্ছে এসব? কি মনে হচ্ছে? রিভিউ দিন গ্রুপে। আর কেমন হয়েছে,তা কমেন্টে জানান।]

৩য় পর্ব লিংক 👇

https//wwwbonkordorshgolop.com